![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ১লা জানুয়ারী, কথা শিল্পী অদ্বৈতমল্ল বর্মনের জন্মদিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রবেশদ্বার গোকর্ণঘাটের এক মালো পরিবারে ১৯১৪ সালে তার জন্ম, অল্প বয়সে পিতা মাতা হাড়ানো অনাথটির বেড়ে ঊঠা বিস্ময়কর, অর্ধাহারে অনাহারে লেখাপড়া থেমে থাকেনি। প্রতিদিন ৫ কিলোমিটার হেটে স্কুলে যেতেন, সেখানে প্রতিটি ক্লাশেই মেধার পরিচয় রেখে বৃত্তি পেতেন, স্কুল জীবনে অনেক লেখালেখি করেছেন, প্রকাশিতও হয়েছে কোথাও। শিক্ষকদের অনুপ্রেরনায় প্রবেশিকা পাশ করার পর কুমিল্লায় ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় আর্থিক অনটনে পড়া শেষ হয়নি। ক্যাপ্টিন নরেন্দ্রর হাত ধরে কলকাতে চলে যান শুরুহয় জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস। কলকাতায় মাসিক ত্রিপুরা পত্রিকায় হাতে খড়ি হলেও প্রেমেন্দ্র মিত্রের সহযোগী হয়ে নবশক্তি পত্রিকায় অদ্বৈত সাংবাদিকতা শুরু করেন। তারপর মোহাম্মদী,যুগান্তর, দেশ ও সর্বশেষ বিশ্বভারতীতে সংযুক্ত ছিলেন। তিতাস একটি নদীর নাম ধারাবাহিক ভাবে মোহাম্মদীতে প্রকাশিত হতে শুরু করলে সকলের নজরে আসেন। কিন্তু মর্মান্তিকভাবে তিনি তিতাসের পান্ডুলিপি রাস্তায় হাড়িয়ে ফেলেন। পরে যা বন্ধুদের অনপ্রেরনায় ষ্ঠীতলার বাড়ীর চিলকোঠায় বসে আবার লিখেন। পারিবারিক পিছুটান না থাকলেও তিনি তার অতীতকে ভূলে জাননি। সে জন্যই ভারত ভাগ হওয়ারপর পশ্চিমবংগে আশ্রয় নেওয়া তিতাস পাড়ের মানুষদের সাথে নিজের আয় ভাগ করে নিতে গিয়ে দিনরাত লেখাখিতে ব্যস্ত থাকেতেন। এসময়ই মরনব্যধি যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে কাচড়াপাড়ার যক্ষা হাসপাতালে ভর্তি হন।অনেকটা সুস্থ হয়ে ফিড়ে এলেও ১৯৫০ সালে আবারো অসুস্থ হয়ে সয্যাসায়ী হন এবং ১৯৫১ সালের ১৬ এপ্রিল নারকেল ডাংগারষ্ঠীতলার বাড়ীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার অমর রচনা তিতাস একটি নদীর নাম তাঁর জীবৎকালে প্রকাশিত হয়নি। তার মৃত্যুর পর ১৩৬৩ বাংলঅর আশ্বিন মাসে তা প্রকাশিত হয়। এমনিভাবে নানা পত্রিকা ও সাময়িকীর বিশেষ সংখ্যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার অনেক রচনা। অদ্ভৈতের চমতকার বইয়ের কালেকসনটি মৃত্যুর পর বন্ধুরা রামমোহন লাইব্রেরীতে দান করে যা সেখানে আলাদা ভাবে সংরক্ষিত আছে। অদ্বৈতের জন্ম দিনে তাকে জানাই প্রনাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: জন্মদিনের শুভেচ্ছা এই মহান মানুষটিকে।
আপনাকে নতুন বছরের শুভকামনা।