নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেছি

চমন১৯৬২

সমাজকর্মী

চমন১৯৬২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪ এপ্রিল আশুগঞ্জ গণগত্যা দিবস

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৩

১৪ এপ্রিল আশুগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালে যখন পাক বাহিনী দেশব্যাপী নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। ঠিক সেই সময়ে ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি বর্বরবাহিনী আশুগঞ্জের শতাধীক নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বাঙ্গালী জাতির জন্য দিনটি আনন্দের হলেও আশুগঞ্জ বাসীর জন্য শোকের কান্নার দিন। ১৪ এপ্রিল সকালে পাক বাহিনী আধুনিক সমরাস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে আশুগঞ্জের খাদ্য শষ্য সাইলোতে ইষ্টার্ণ জোনের হেড কোয়ার্টার স্থাপনের লক্ষ্যে হেলিকপ্টার যোগে আশুগঞ্জের সোনারামপুরে প্রায় ৫ হাজার সৈনিক অবতরণ করে। এখান থেকে পাকবাহিনী ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের অপারেশন চালায়। ১৪ এপ্রিল পাক সেনারা আশুগঞ্জে অবতরন করে প্রথমে তারা আশুগঞ্জ বাজারে আসার পথে সোহাগপুরে হামলা চালায়। পরবর্তীতে পাক বাহিনী আশুগঞ্জের সোনারামপুর, ধানের আড়ৎ, মাছ বাজার, রেল গেইটে, রেল ষ্টেশনে, বড়তল্লায়, খোলাপাড়ায়, লালপুরে, চরচারতলা গ্রামের নিরীহ লোকজনকে কিছু বুঝার আগেই আটক করে নিয়ে আসে। পরে পাক বাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ধরে এনে সাইলোর কাছে, মেঘনা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতুর কাছে, ধানের আড়তের মাঠে, মাছ বাজারে, রেল ষ্টেশনে কাছে আশুগঞ্জের ৫টি স্পটে নির্মমভাবে নিরীহ লোকদের ধরে এনে লাইনে দাড় করে ব্রাশ ফায়ার করে পাক বাহিনী পাখিরমত হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধের সেসব স্মৃতি প্রত্যক্ষর্দশী স্থানীয় লোকজন ও মুক্তিযোদ্ধাদের মনে হলে এখনো গা শিহরীয়ে উঠে।গণহত্যা সংগঠিত বেশির ভাগ স্থানেই এখন পযর্ন্ত কোন স্মৃতি চিহ্ন গড়ে উঠেনি। অনেক স্থান এখন হাড়িয়ে গেছে। গড়ে উঠছে নানা স্থাপনা। এ গুলি অবিলম্বে চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.