নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

rm -rf /

আর্কিওপটেরিক্স

Cyber Security

আর্কিওপটেরিক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক টুকরো লেখা.....

০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫


চিত্রঃ পাতার উপর মুক্তোর ন্যায় জল জ্বলজ্বল করছে

আমরা প্রতিনিয়তই নিত্য-নতুন লেখার সংস্পর্শে আসি। সেটা হতে পারে কাগজের মাধ্যমে কিংবা ডিজিটাল ভাবে। তবে সব লেখাই কি মনে দাগ কাটে? না কাটে না। সব লেখা সবার জন্য যেমন নয় তেমনি একটা লেখা আমার ভালো লাগতে পারে কিন্তু অন্যজনের ভালো নাও লাগতে পারে। এখানেই আসে শব্দ ব্যবহারে নৈপুণ্যের প্রসঙ্গ।

এক টুকরো লেখা কখনো মনকে গভীরভাবে আলোড়িত করতে পারে। কিংবা কয়েক লাইনই পারে মনকে ভাবনার জাহাজে তুলতে। সবটাই আসলে লেখকের কারিকুরি বা কৃতিত্ব। লেখক শব্দের জাল বুনে অতি ছোট লেখাকেই মহিমান্বিত করতে পারেন। শব্দের বিচিত্র ব্যবহার, চিত্ররূপময়তা, উপমা লেখাকে আলাদা করে তোলে। শব্দ চয়ন , গঠনশৈলী, সাবলীলতা একটা লেখাকে অন্য মাত্রা এনে দেয়। যার ফলে পাঠকের কাছে লেখাটি হয়ে উঠতে পারে চমকপ্রদ এবং মনে দাগ কাঁটা।

কয়েকটি উদাহরণ দেখা যাকঃ
সকাল থেকেই আকাশটা কেঁদে চলেছে.....
সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে..........
সকাল থেকেই বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর.....

উপরের সবগুলো বাক্যই আমার বৃষ্টির ক্ষেত্রে লিখতে পারি। কিন্তু কোনটা সবচেয়ে মনকাড়া? অবশ্যই আকাশের কেঁদে চলা।

আরোকটা উদাহরণ দিইঃ
পাতার উপর মুক্তোর ন্যায় জল জ্বলজ্বল করছে।
জীবন নৌকার শেষ যাত্রা।
বাবার মৃত্যুতে সায়ানদের জীবনটা ধূসর হয়ে গেছে।

উপরের দ্বিতীয় বাক্য দ্বারা শবযাত্রা বুঝানো হয়েছে।

আসলে লেখাও ইমারতের মতো। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে কাগজে। কিন্তু লেখকের শব্দ ব্যবহারে মুন্সিয়ানাই পারে পাঠককে টানতে।
যেমন চিত্ররূপময়তা পাঠককে কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করতে বাধ্য করে । সে যা পড়ছে তা মন আকাশে ভেসে ওঠে। এতে লেখার মাধুর্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি পাঠকের জন্যও তা সহায়ক বটে !

এবং আরো উদাহরণঃ
কান পাতলে হাহাকার শোনা যায়।
নরম ঘাসের বুকে কঠোর পদচিহ্ন।
হঠাৎ করেই আকাশে কালো মেঘেদের আনাগোনা।
মেয়েটির চোখদুটো দিয়ে মুক্তো ঝরছে।

উপরের বাক্যগুলো পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ ঘাসের দুমড়ানো মোচড়ানো অবস্থা কিংবা কালো আকাশে মেঘের রাজত্ব। মেয়েটির কান্না যেন মুক্তোর মতেই ঝরে পড়ছে। অথবা অনতিদূরের হাহাকার।


চিত্রঃ চোখ দিয়ে মুক্তো ঝরছে....

উপরের ছবিটা আসলে আমাদের মানসপটে ভেসে উঠবে। এরকমটাই দেখা যায় প্রথম চিত্রেও। এবং এমনটা দেখানোই হলো লেখকের উদ্দেশ্য। লেখাকে বাস্তবতার আলোকে বা ছায়ায় আনা, যাতে পাঠক খুব সহজেই লেখার রস আস্বাদন করার সুযোগ পায়।


চিত্রঃ নীল আকাশ যখন কালো.....

উপরের ছবিটা এমনিতেই পাঠকের হৃদয়ে আঁকা হয়ে যায়। তবে আকাশে কালো মেঘ সর্বনাশও নির্দেশ করে।


চিত্ররূপময়তা কবিতাকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। যেন কবিতা মাত্রই রঙ-বেরঙের শব্দের হোলিখেলা।

উদাহরণঃ
সময় নদীতে জীবনের গান
নৌকার মতোই বহমান।

অথবা,

তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে আমদের ছোট গাঁয়
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভায়ের স্নেহের ছায়,
তুমি যাবে ভাই- যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়।

এখানে শব্দের সাহায্যে কবি গ্রামের সুনিপুণ ছবি এঁকেছেন। কিংবা, প্রথম উদাহরণটাতে সময় ও জীবন নদীতে একাকার।


লেখার স্বাভাবিক গতিশীলতা পাঠককে প্রশান্তি দেয়। সাথে চমৎকার গঠনশৈলীর বাক্য থাকলে সোনায় সোহাগা। পাঠক লুফে নেবে। সাথে স্পেসিংও গুরুত্বপূর্ণ। বেশি বড়ো লেখার ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ অনুচ্ছেদ করে লিখলে ভালো হয়। অপেক্ষাকৃত সরল বাক্য ব্যবহার করা উত্তম। এতে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হয়।


চলবে...

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লেখা
কথা সইত্য

আমি ছোট করে লিখতে পারি না :(

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: টপিকটা ভাল ছিল, বাট পড়তে বসার সাথে সাথেই শেষ হয়ে গেছে।
সকাল থেকেই আকাশটা কেঁদে চলেছে.....
সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে..........
সকাল থেকেই বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর.....

উপরের সবগুলো বাক্যই আমার বৃষ্টির ক্ষেত্রে লিখতে পারি। কিন্তু কোনটা সবচেয়ে মনকাড়া? অবশ্যই আকাশের কেঁদে চলা।
আপনার লিখা যদি স্যাড থিম নিয়ে হয় সে ক্ষেত্রে আকাশের কেঁদে চলা পারফেক্ট হতে পারে। আনন্দময় আবহের কোন লিখায় এরূপ বাক্য সার্থক হওয়ার কথা নয়।

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আরেকটু যোগ করলাম। লিখাটা বড়োই। আরো পার্ট দিবো। আর ছবি ও ক্যাপশান যোগ করেছিলাম না। তাই এডিট করলাম।

এটা ঠিক বলেছেন। স্যাড থিমের সাথে আকাশের কান্না করাটা পারফেক্ট - একদম তাই।
আনন্দময় আবহের ক্ষেত্রে এটা লেখা যায়ঃ
আকাশে ঝকঝকে রোদ।

সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগের কবিতা সম্রাজ্ঞী কই? যার লেখা পড়তে বসলে প্রতি নিয়ত নতুন নতুন বাংলা শব্দ শেখা যায়!
একজন ভাল লেখকের লেখার ধার বুঝা যায় তার শব্দ বিন্যাস আর সমার্থক শব্দের উপযুক্ত ব্যবহারে।
এই ব্লগে এমন এমন কিছু গুণী লেখক আছেন যাদের লেখা পড়লে মনে নিজে নিজেই শ্রদ্ধা চলে আসে। অল্পদিনে কত কিছু যে শিখলাম এদের কাছ থেকে।
চমৎকার টপিক নিয়ে লিখেছেন। আলোচনা চলুক!
সাথেই আছি...

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাংলায় আমার যথেষ্ট দখল আছে। তাই মনিরা আপা বা শিখা রহমানের কবিতা বা লেখার শব্দগুলো আমার কাছে অনেকটাই জানা। শব্দের ঝংকার তোলার জন্যই তাদের লেখা আমাকে টানে। তারা শব্দের জাল বুনে পাঠককে মোহজালে আবদ্ধ করতে পারেন। এটা হলো তাদের কৃতিত্ব। তাদের লেখনি চমৎকার চিত্ররূপময়।

আসলে লেখা দিয়েই লেখক। তাই লেখার মাঝে যারা জীবনকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তারাই স্বার্থক। আর লেখা পড়ার অর্থই হলো নতুন কিছু জানা।

আপনিও চমৎকার লেখেন।

সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

৪| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো পোষ্ট, লেখালেখি আপনি দেখছি বেশ গবেষণা করছেন! B-)

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধন্যবাদ প্রান্ত :)

আসলে অনেক বিষয়েই গবেষণা করি। আর লেখালেখি তো চলেই।

বহুদিন পরে তোমাকে আমার ব্লগে পেলাম। সময় পেলে আমার বাকি পোস্টগুলো পড়ো।

সামনে একটা চমক অপেক্ষা করছে.......

৫| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: *লেখালেখি নিয়ে

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বুঝেছি তো :)

আচ্ছা 0^0 = কত?

৬| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

নীলপরি বলেছেন: বেশ ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন । ভালো লাগলো ।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু :)

৭| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আরও পার্ট দিবেন বলেছেন। অপেক্ষায় থাকলাম।

০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অবশ্যই দেবো :)

পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা :)

সাথে থাকবেন....

৮| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৬

বলেছেন: চমৎকার টপিক নিয়ে লিখেছেন...........+++

০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

সাথে থাকবেন :)

৯| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: সুন্দর লিখা।

০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

ভালো থাকবেন :)

১০| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৫২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সকাল থেকেই বাদলের ধারা ঝরে ঝরঝর.....
সময় নদীতে জীবনের গাননৌকার মতোই বহমান।
কান পাতলে হাহাকার শোনা যায়।
নরম ঘাসের বুকে কঠোর পদচিহ্ন।
বাবার মৃত্যুতে সায়ানদের জীবনটা ধূসর হয়ে গেছে।
হঠাৎ করেই আকাশে কালো মেঘেদের আনাগোনা।
পাতার উপর মুক্তার ন্যায় জল জ্বলজ্বল করছে।

এই উদাহরনগুলো আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে।

০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: উদাহরণগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম :)

সাথে থাকবেন :)

১১| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,




খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
বলেছেন - "সবটাই আসলে লেখকের কারিকুরি বা কৃতিত্ব। লেখক শব্দের জাল বুনে অতি ছোট লেখাকেই মহিমান্বিত করতে পারেন। শব্দের বিচিত্র ব্যবহার, চিত্ররূপময়তা, উপমা লেখাকে আলাদা করে তোলে। শব্দ চয়ন , গঠনশৈলী, সাবলীলতা একটা লেখাকে অন্য মাত্রা এনে দেয়। যার ফলে পাঠকের কাছে লেখাটি হয়ে উঠতে পারে চমকপ্রদ এবং মনে দাগ কাঁটা।"

লেখকদের কথা বলেছেন কিন্তু আমি একটু পাঠকদের কথাও বলতে চাই! পাঠকের মেধা-মনন, আবেগ, সুকুমারবৃত্তি, বোঝার গভীরতা, রোমান্টিসিজম, নান্দনিকতার জ্ঞান ইত্যাদিও কিন্তু লেখাটি ভালো নাকি মন্দ তারও নির্ণায়ক, লেখক যতোই শব্দের জাল বুনুন না কেন।

এই যে প্রথম উদাহরণটি দিয়েছেন আকাশের কেঁদে চলা, সেটা আপনার কাছে এবং অনেকের কাছেই মনকাড়া, আমার কাছেও । আপনি বা আপনারা রোমান্টিক ও আবেগী বলেই এ্টা ভালো লাগবেই। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন লিটন তার মন্তব্যে যা বলতে চেয়েছেন সেটাও যথাযথ। পাঠকদের বেলাতেও মনে হয় তাই। পাঠক বেরসিক হলে " সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে.." এই বাক্যটি লুফে নেবেন। তাই বলছিলুম কি, কোন শ্রেনীর পাঠকের কাছে একটা লেখা সমাদৃত হয় সেটাও লেখার উৎকর্ষতা, ধারা, ব্যাপ্তি ইত্যাদির গায়ে একটা টিক চিহ্ন দিয়ে যায়!

মোদ্দাকথা হলো, লেখক ও পাঠকের ব্যাটেবলে হয়ে গেলেই ছক্কা।
একটুকরো নয় আরো অনেক টুকরো লেখার প্রত্যাশায়।

০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পাঠকের মেধা-মনন, আবেগ, সুকুমারবৃত্তি, বোঝার গভীরতা, রোমান্টিসিজম, নান্দনিকতার জ্ঞান ইত্যাদিও কিন্তু লেখাটি ভালো নাকি মন্দ তারও নির্ণায়ক, লেখক যতোই শব্দের জাল বুনুন না কেন। - চমৎকার বলেছেন।

পাঠকের শব্দের ভান্ডারও এক্ষেত্রে দরকার পড়ে। পাঠক যদি শব্দ খুঁজতে গিয়ে বারবার ডিকশিনারির শরণাপন্ন হয় তবে সে লেখা তার বুঝতে সময় লাগবে। তাই পাঠকেরও লেখা বোঝার মনন, চিন্তা-চেতনা সর্বোপরি নলেজ থাকতে হবে। তবেই লেখকের লেখার মর্ম সে বুঝতে পারবে।

আসলে পাঠকমাত্রই লেখার বিচারক। পাঠকের মনের খোরাক যোগাতে পারলে লেখার সার্থকতা। তবে মোটাদাগে যেমন নির্দিষ্ট ধারার গানের শ্রোতা সুনির্দিষ্ট করা যায় তেমনি লেখার ক্ষেত্রেও পাঠক বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।

কোন শ্রেনীর পাঠকের কাছে একটা লেখা সমাদৃত হয় সেটাও লেখার উৎকর্ষতা, ধারা, ব্যাপ্তি ইত্যাদির গায়ে একটা টিক চিহ্ন দিয়ে যায়! -একদম তাই। সমাদৃত হলে সেটা একটা স্ট্যান্ডার্ড টাইপ ছাপ রেখে যায়।

মোদ্দাকথা হলো, লেখক ও পাঠকের ব্যাটেবলে হয়ে গেলেই ছক্কা - একদম ফিনিশিং দেওয়ার মতো কথা দিয়ে কমেন্ট শেষ করলেন।
পাঠকের চাওয়ার সাথে লেখকের দান মিলে গেলেই কেল্লাফতে !


আরো হাজার টুকরো পাবেন :)

১২| ০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯

নজসু বলেছেন:



লেখাটি যেন এক টুকরো আলো।

০৯ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এক টুকরো ধন্যবাদ নিন :)

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সবাই বলবে জিরো, কিন্তু হবে ওয়ান B-)

০৯ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভুল উত্তর প্রান্ত :((

0^0 = 1 হলে দুই পাশে লগ বা লন বা e অপারেটর নাও। এটা স্বাভাবিক a^0 = 1 এ ফেলা যাবে না। উত্তর হলো undefined.


প্রশ্নটা একটি গণিত অলিম্পিয়াড আসরে করেছিলাম। স্যাররা ঠিক উত্তর দিয়েছিলেন। তবে লগ বা লন বা e এর ব্যবহারটা আমি সূচক এর থেকে পেয়েছিলাম।

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: কলেজের বাংলার এক স্যার বলেছিল কোন লেখার পর ডট দিতে হলে তিনটা ডট দিতে হয়, যেমন এক টুকরো লেখা... তিনটা ডট অসীম বুঝায়।

পরে প্রায় সব জায়গাতেই লক্ষ করেছি তিনটা ডট দিত।

০৯ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমিও অসীম বোঝাতেই তিন বা ততোধিক ডট দিই। আমার মতে আপনজনের সাথে যেমন কথা শেষ হয় না তেমনি লেখারও শেষ নেই।

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: হাহাহা যা বলেছেন ভাই B-) B-)

০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই B-))

১৬| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অল্প কথায় খুব কাজের কথা গুছিয়ে বলেছেন। যারা লেখালিখিটাকে চর্চা ভাবে তাদের জন্যে একটা দরকারি নোট। ধন্যবাদ জানবেন।

১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:০২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

লেখালেখির জন্যই এ লেখা......

১৭| ১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১২

মুক্তা নীল বলেছেন: আপনার লেখা, উদাহরণ, প্রতিটি বাক্য -ই যেন জ্বলজ্বল করছে...
চির চেনা জানা কথাগুলো পড়তে খুব ভালো লাগছে +++

১০ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লেখাটি মানসপটে ভেসে বেড়ালেই আমার লেখা স্বার্থক।

চিরচেনা জানা তবে লিখিত আকারে........

পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৮| ১০ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শব্দের বিচিত্র ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু সুন্দর উপমা সমৃদ্ধ লেখাটি পাঠে ভাল লাগল । পোষ্টে দেয়া ছবিগুলিও সুন্দর ।
এটা অনস্বিকার্য যে প্রায় সকল লেখাতেই রয়েছে কিছু না কিছু অনায়াস গতি ও শক্তি। তবে সকল পাঠকের জন্য হৃদয়গ্রাহী লেখা সৃষ্টি খুব একটি সহজ কর্ম নয় বরং তার জন্য দরকার অনুপম সৃষ্টিক্ষমতা। উল্লেখ্যযে, অনুকারী লেখকের শিথিল কলমে যে কোন লেখাই ভাল হয়না। হালকা চালের কোন রচনা পাঠকের মনযোগ তেমন আকর্ষন করতে পারেনা।শাস্ত্রীয় সংজ্ঞার মারপ্যাঁচে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন একথা মনে রাখা যে, ভাল একটি লেখা বিশেষত সাহিত্যধর্মী লেখা সতত সঞ্চরণশীল এবং তা হতে হবে সহজ সরল কথামালায় যেমনটি এ পোষ্টে তুলে ধরা পল্লী কবির নিমন্ত্রন কবিতাংশ হতে দেখা যায় ।

মনের ভাব, অনুভব, আবেগ প্রভৃতি প্রকাশের জন্য প্রয়োজনে বাক্যে প্রয়োগকৃত শব্দের চিত্র ও চরিত্র পাল্টায়। মনের ভাব প্রকাশে অনেক সময়ই বাক্যে শব্দ পাল্টায়, শব্দের অর্থ বদলে যায়। বদলের হাওয়া লাগে বলার ভঙ্গিতে ও সঙ্গীতে। সঙ্গত কারনেই শুধুমাত্র শব্দের কারনে একই বিষয়ের উপর একটি লেখা বহু কিছুকে বুঝায়, পায় বহুমাত্রিকতা। অশ্পষ্ট হলেও লেখাটির গায়ে তার উদ্দেশ্য কোন না কোন ভাব ভঙ্গিতে বিদ্যমান থাকলে আরো ভাল হয় । তবে বিষয় যাই হোক না কেন, শব্দের আদিতে যে মনোরমতা ও মনোহারিতার ভাব গ্রতিথ করা হয় তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে বাক্যটির শেষ তক।

অপরদিকে কোন একটি লেখায় ভাললাগার ব্যাপারটা আপেক্ষিক,তাতে শব্দ সম্ভার যাই থকুকনা কেন। ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে তা ভিন্ন হতে পারে। ভালোলাগার প্রথম শর্ত হলো -অন্তত আমার ক্ষেত্রে- পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা। তারপর শর্ত হলো নিজের অনুভবকে স্পর্শ করা এবং ভাবনাকে আলোড়িত করা। তাই কোন একটি লেখার ভিতরে থাকা শব্দ প্রযোগের তুলনামূলক পর্যালোচনা করার সুযোগ বিবিধ কারনেই সীমিত। তবে বলতে পারি, এখানে এই পোষ্টে তুলে ধরা লেখার উপমাগুলি ব্যতিক্রমোজ্জ্বল ও স্বাতন্ত্র্যসুন্দর।

অভিনন্দন রইল মুল্যবান লেখাটির জন্য ।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রথমেই ব্লগে আসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন :)

লেখার নিজস্ব শক্তিই পারে পাঠককে ধরে রাখতে বা টানতে। লেখা হতে হবে সহজ সরল প্রাণবন্ত। যাতে পাঠক সহজে তা হজম করতে পারেন। নিমন্ত্রণ কাব্য সম্পর্কে আর কি বলবো ! জীবনে জীবনে যোগ দেখা যায় পল্লি কবির কবিতাংশটিতে।

মনের ভাবের সম্পূর্ণ পরিস্ফুটন হতে শব্দের কারুকাজ দরকারি। হ্যা এক্ষেত্রে একটা ছাপ স্পষ্ট থাকলে ভালো হয়।


অপরদিকে কোন একটি লেখায় ভাললাগার ব্যাপারটা আপেক্ষিক,তাতে শব্দ সম্ভার যাই থকুকনা কেন। ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে তা ভিন্ন হতে পারে। ভালোলাগার প্রথম শর্ত হলো -অন্তত আমার ক্ষেত্রে- পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা - চমৎকার বলেছেন। আসলে জগতটাই আপেক্ষিক।

আমার লেখাটি পড়ার এবং এমন শানিত মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

আপনার একটি পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম......

১৯| ১০ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৫

শায়মা বলেছেন: এত জল ও কাজল চোখে পাষানী আনলে বলো কে ?
টলোমলো জলমোতীর মালা দুলিছে ঝালর পলকে .......


এমনি এক যাদুকরী কথামালা ......

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপুনি :)

কে আনলো কে জানে ! নজরুলের লাইনটা বলার জন্য ধন্যবাদ :)

আসলে লেখা দিয়েই জীবন জয় করা যায়......

কথায় কথায় হয়ে যায় মায়ার জাল.......

২০| ১১ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সত্য। সুন্দর উপস্থাপন।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২১| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পড়ে মনে হল বাংলা কবিতার ক্লাস করছি। অধ্যাপক স্যার ভালই পড়াচ্ছেন।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নিজেকে শিক্ষক শিক্ষক মনে হচ্ছে B-)

২২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: আমার মতো আনাড়ির লেখকের জন্য ভালো উপকারী দিক বাতলেছেন। বাক্য গঠনে আরো মনোযোগী হতে হবে মনে কয়। অনেক সময় ভাবনা চিন্তা ছাড়াই বাক্য ডেলিভারী দিচ্ছি। অবশ্যই এটি ভালো লিখিয়ে হওয়ার পথে অন্তরায়।

এরকম বিশ্লেষণধর্মী আরো পোস্ট চাই...।

১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

একটু চিন্তা করলে ভালো বাক্য পাওয়া যেতে পারে।

এরকম আরো পোস্ট আসিবে B-))

২৩| ১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জিরো ভাগ জিরোর মতো
মনে হইছিলো অসংজ্ঞায়িত বলি!

ও ভাই, একটা কথা, আপনার সার্পাইজে একটা ছবি দিয়েন, প্লিজ ;)

১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: Just say it man !

ক্যালকুলেশনের ক্ষেত্রে চিন্তা করার তেমন কিছু নাই।

কেন ক্রাশ খাওয়াতে ব্যবহার হবে নাকি ;)

২৪| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

জুন বলেছেন: কাব্যিক কিছু লিখতে বসলে আমি অবশ্যই লিখতাম সকাল থেকেই আকাশটা কেদে চলেছে । তবে কথা হলো গিয়ে আমি কি ভাবে লিখছি । যদি খুব সাধারন বা জরুরী বিষয় নিয়ে লিখি সেখানে বেশি কাব্য অতি অলংকার পরার মত জবরজং হয়ে পরে যা আমার কাছে ভালোলাগে না । তখন হয়তো লিখতাম সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এটা স্থান কাল পাত্র পরিস্থিতি ভেদে ভিন্ন হতে পারে । তবে একজনার সাথে আরেকজনার মত পার্থক্য থাকবেই না হলে দুনিয়াটাই একঘেয়ে হয়ে যেতো ;)
লেখায় প্লাস
+

১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কাব্যিক কেন লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই তো অলংকার ব্যবহার করা হয়। সাধারণ বিষয়ও উপমা বা চিত্ররূপময়তার কারনে হয়ে উঠতে পারে চমকপ্রদ। তবে সবার ভিউ এক নয় এটা ঠিক। নিতান্ত সাধারণ ভাবেও কোনো কিছু ফুটিয়ে তোলা যায়। এক্ষেত্রেও লেখকের লেখার স্টাইলটাই মূখ্য। লেখকই পারেন লেখাকে মহিমান্বিত করতে।


পার্থক্যর জন্যই দুনিয়াটা এত্ত রঙিন, বৈচিত্রময়।

আমার ব্লগে আসা এবং কমেন্ট করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.