নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

rm -rf /

আর্কিওপটেরিক্স

Cyber Security

আর্কিওপটেরিক্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

গালকাটা চান্দুর শেষ চুরি

০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৭


গালকাটা চান্দু। পিতৃপ্রদত্ত একখানা নাম ছিলো একসময়। উহা এখন কালের স্রোতে বিলীন হইয়া গালকাটা চান্দু নাম ধারণ করিয়াছে। গালখানা কিভাবে কাটিলো তাহা চান্দুর মনে নাই। এতো জায়গায় হাত চালাইবার ফল বোধহয়। কোনো একখানে ছুরি বা বটির ঘায়ে এ অবস্থা হইতে পারে বলিয়া চান্দুর বিশ্বাস।

চান্দুর কয়েকদিন ধরিয়াই ঘুম নাই। শাস্ত্রের মোটা মোটা কথা শুনিয়া উহার মনে মৃত্যুর পরের জীবন নিয়া মাথাব্যথা শুরু হইয়াছে। ভালো কাজ এবং প্রায়শ্চিত্ত করিবার মতো অবস্থা চান্দুর নাই। রবীদার মুরগিখানা চুরি করিয়া কতকাল আগে ভোজন করিয়াছে। এখন কি ভাবে প্রায়শ্চিত্ত করিবে শুনি? পেট হইতে মুরগী বাহির করিবে? ছিঃ ছিঃ সে কেমন কথা !

চান্দু ছোটকাল হইতেই শর্টকাটে বিশ্বাস করিয়াছে। একখানা ছুরি ধরিয়া যদি সোনাদানা পাওয়া যায় তবে বহি পড়িয়া কি লাভ! বাপে ইশকুলে ভর্তি করাইলে সে ইশকুলে না গিয়া লম্বুদার সাথে মিশিত। এই লম্বুদার কল্যাণেই তাহার চুরিবিদ্যায় হাতেখড়ি। অতঃপর বাড়ি হতে পলায়ন এবং যাবতীয় কুকাজে হাত পাকানো।

গাছ যেমন বুড়ো হইয়া যায় তেমনি চান্দুও বর্তমানে বুড়ো হইয়াছে। আর তখনই কিনা শাস্ত্রের ভূত নামিয়া আসিয়া উহার ঘাড়ে চড়িল। এ যেন তেন ভূত নয় যে কবিরাজের চুরি করা মন্ত্র পাঠে চলিয়া যাইবে। ইহা হইলো একেবারে নামজাদা ভূত। ফলে চান্দুকে শর্টকাট খুঁজিতে নামিতে হইলো।

বহু স্থানের চুরি করা বহি পড়িয়া চান্দু জানিতে পারিলো, আকাশলোকে একখানা খাতা রহিয়াছে। উহাতে সকল পাপাচারের ডিটেইলস লেখা থাকে। উহা হাতাইতে পারিলেই শ্রাস্ত্র মতে চান্দুর স্বর্গারোহণ সুনিশ্চিত হইয়া যাইবে। তাই সে ফন্দি আটিতে লাগিলো। বুড়ো বয়সে বুদ্ধিটাও ঠিক স্লো কাজ করে কিনা, তাই একটু বেশিই ভাবিতে হইবে !

চান্দু বহু ভাবিয়া বিশিষ্ট এক সাধুর কাছে গমন করিলো। সাধু চান্দুর সকল কথা শুনিয়া, ১৭টি টাকা লইয়া চান্দুকে আকাশলোকে পাঠাইয়া দিলেন। সংগে দিলেন কয়েক খানা স্বর্ণের কয়েন। ইহা থাকিলে কেহ বুঝিতে পারিবে না, চান্দু মানুষ্য নাকি ভূতুষ্য।

আকাশলোকে আসিয়াই, চান্দু সেখানকার দারোয়ানকে হাত করিল। একখানা কয়েন দিতেই চান্দুকে প্রশাসনিক ভবনটা দেখাইয়া দিলো। সেখানেই রহিয়াছে সেই কর্মের খাতা। ভবনের সদর দরজায় রহিয়াছে আরেক দারোয়ান। চান্দু তাহারেও একখানা কয়েন দিলো। কয়েন দিতেই লোভী দারোয়ান দরজা খুলিয়া দিলো।

ভিতরে প্রবিষ্ট হয়ে চান্দু দেখিলো, একজন বুড়ো একখানা খাতায় কিছু লিখিতেছেন। দেখিতে ভালো ভূতুষ্য বলিয়াই মনে হয় !
চান্দু তাহারে কহিল, "মশাই আমার নাম চান্দু। বহুদূর থেকে আসিয়াছি। ইহাই কি সেই খাতা? "
বুড়ো কহিল, "ইহাই সেই খাতা। যাহাতে সকলের পাপের কথা লিখা হয়। তা তোমার আসিবার কারন? "
চান্দু কহিল, "আসলে আমি খাতাটিকে একবার দেখিতে আসিয়াছি। মরিবার পরে তো নরকেই যাইবো তাই ইহার সাক্ষাৎ লাভ করিতে চাহিয়াছি। আমাকে ইহা একটু ধরিতে দিবেন?"

বুড়ো তাহাকে খাতাখানা দিতেই উহা চান্দুর আনা অপর খাতা দ্বারা রিপ্লেস হইয়া গেল। বুড়ো কিছু টেরই পাইলো না। বয়েস হইলেও চান্দুর হাত সেই পূর্বের মতোই রহিয়াছে। চান্দু কিছুকাল খাতাখানা দেখিবার ভান করিয়া বুড়োকে ফেরত দিলো।

"একেবারে পৃথিবী ধ্বংসের আগে ঐ খাতাখানা খোলা হইবে না ", চান্দু ভাবিলো। ইতোমধ্যে সে ভবন হইতে বাহির হইয়া গেছে। তারপর যখন পৃথিবীতে যাওয়ার ব্যবস্থা করিবে তখনই সে এক ধোঁয়া দেখিতে পাইলো এবং মুহূর্তের মধ্যে উহা কাটিয়াও গেল। "কি হলো ব্যাপারটা! ধোঁয়ার হেতু বা কি হে? ", ভাবিতে ভাবিতে আকাশলোকের দুয়ারে চলিয়া আসিলো।

তখনই দারোয়ান তাহাকে ধরিলো এবং নরকে পাঠাইবার আয়োজন করিতে লাগিল। " ব্যাপারটা কি হে ? তুমি আমার কাছ হইতে কয়েনও লইলা আবার আমাকে ধরিয়াছ কেন? ", চান্দু দারোয়ানকে শুধাইলো। তবে দারোয়ান নিরুত্তর রহিল।

তখনই সে গোলখানা কি বুঝিতে পারিল। তাহার কাছে কয়েনও নাই সাথে খাতাখানাও উধাও। তবে কি আকাশলোকেও চুরি হয় !

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৪

শায়মা বলেছেন: উনারা বড় বড় ডাকাত ! :)

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: "এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি "

বড় বড় ডাকাতে দুনিয়া ভরে গেছে....


সাবধানে রোস্ট করো আপুনি, দেখো চান্দু আবার না নিয়ে যায় :P

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার আগের কমেন্ট থেকে মনে হলোঃ

"এ জগতে হায়, সেই বেশি খায়, আছে যার বড় ভুঁড়ি
ভুড়িওয়ালা করে সমস্ত লোকের খাওয়ার চুরি "

:D :D :D :D

২| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তাহার কাছে কয়েনও নাই সাথে খাতাখানাও উধাও। তবে কি আকাশলোকেও চুরি হয় !
...........................................................................................................................
টাকার জোরে সব পাওয়া যায়
কথাটা সঠিক না ।
চান্দু এটার প্রমান

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সবখানে সব বিদ্যে চলে না.....

চোরের উপরেও বাটপারি হয়....

৩| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:০৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
সব জায়গাতেই চান্দুর বিচরণ আছে।
ভালো কথা কিউটের ডিব্বা কই ?

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে.....

কিউটের ডিব্বা সব পাট একসাথে পোস্ট করবো....

পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু :)

৪| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:০৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: গলাকাটা চান্দুর শেষ চুরি,ভালো লাগলো রম্য গল্প।

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভাইয়ু গলাকাটা নয় গালকাটা চান্দু :D

পড়ার জন্য ধন্যবাদ :)

৫| ১০ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




যে সাধু "কয়েকটি স্বর্ণের কয়েন" দিচ্ছেন, উনি ১৭ টাকা কোন দু:খে নেবেন? প্লট ম্লটে একটু লজিক মজিক থাকা উচিত

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রথমত এটা গল্প। গল্পে সবসময় লজিক মজিক টজিক ইত্যাদি থাকে না।

১৭ টাকাটা একটা টোপ। আপনি গিলেছেন। আমার আগের মশারম্য পোস্টের সুজন আর সুমন বিভ্রাট আপনার চোখো ধরেনি। সব পোস্ট ঠিক পড়ে টড়ে মন্তব্য করেন কিনা এটা দেখতেই এই ব্যবস্থা। যাই হোক এই গল্পটা সাধুভাষায় লেখারও এটাই কারন।

তাহলে এবার গোপন কথাই বলি, সাধুবাবার চান্দুর আনা খাতাটি নেওয়ার কথা ছিলো । স্বর্গের খাতা নিশ্চয়ই কয়েকটা স্বর্ণের কয়েন অপেক্ষা দামি। আর সাধুবাবা কি কয়েন কিনবেন? না ওগুলোও কারো দান করা। আর টাকা না চাইলে চান্দু বুঝবে কিভাবে সাধুবাবা আসল সার্ভিস দিবেন?

৬| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: গল্প তো গল্পই- পড়তে ভালো লাগলেই হল! তাই চাঁদগাজীর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য হলেও, গল্পটা ভালো হয়েছে বলতেই হবে।

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চাঁদগাজীকে করা প্রতিমন্তব্যটা দেখে নিন।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম :)

গল্পে সবসময় সবকিছু খাটে না। গল্প গল্পই। তবে মাঝেমাঝে জীবন গল্পকে ছাড়িয়ে যায়। এটাই জীবনের স্বার্থকতা।

৭| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
++
সামুর এই সময়ে নিয়মিতভাবে লেখা পোষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ ।

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু :)

সামুর এই সময়ে পোস্টের চাকা সচল রাখার জন্য এটা সামান্য প্রচেষ্টা মাত্র।

৮| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহাাহাহা চোর শেষ পর্যন্ত আকাশলোকেও চলিয়া গেলো , কী অদ্ভুত । সুন্দর হয়েছে

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চোর যে কবে মঙ্গলে চলে যাবে :D

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো :)

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু :)

৯| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

জুন বলেছেন: এই গল্পখানি পাঠ করিয়া ইহাই বুঝিতে পারিলাম কোন লোকেই শান্তি নাই :(
শান্তির মা দেহ রক্ষা করিয়াছে :((
এই রকম দ্রুতগতির হাতসাফাই এর মাধ্যমে চৈনিক রাজধানী বেইজিং এ শকট চালক চীন দেশ ত্যাগের পুর্ব দিন আমাদের দেয়া আসল ১০০ শত টাকা বদল করিয়া জ্বাল ১০০ শত টাকা ধরাইয়া দিয়াছিলো। ইহা লইয়া আমাদের কি পেরেশানিতে পরিতে হইয়াছিল তাহা উল্লেখ করত একখান লেখাও সামুতে প্রকাশ করিয়াছিলাম। যাই হোক এই সকল গাল কাটা চান্দুরা স্বর্গ নরক ভুল্যোক এমনকি চীন দেশেও বসবাস করে এই গল্পের মাধ্যমে ইহাই প্রমানিত হইলো /:)
অধীনার একখানা + চিনহ লইয়া কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিবেন।
=p~

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শুরুতেই অভাগার ধন্যবাদ গ্রহণ করিবেন। B-)) চোরের হাত বড়োই বড়। তাই উহা অনেক লোকেই প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। যদি ডার্ক ওয়েব লোকেও আসিয়া থাকেন তবে ইহা সত্য বলিয়া প্রতীয়মান হইতে সময় লাগিবে না। অমুকের সফটওয়্যার চুরি করিয়াছে তমুক, ওর সাইট হ্যাক করিয়াছে এর।

অধীনার চৈনিক অভিযানের ফর্দ শুনিয়া হাসি ও কান্না উভয়ই আসিলো। এককালে নকল মুদ্রার বাজারখানা সেই রকম হইয়াছিল। এখন আসিয়াছে অত্যাধুনিক চুরি। দেশে তো আজকাল বালিশেও ইউরেনিয়াম খালাস হইয়া যায়। কেহই টের পায়না। :D

আপনার একশত টাকার প্রায়শ্চিত্ত করিবার পোস্টটু খানা দেখিবার অভিলাষ ব্যক্ত করিলাম।

যোগ চিনহ প্রদানের জন্য পুনরায় ধন্যযোগ :D

আজকালকার সুন্দরীরা মন চুরি করার উস্তাদ বলিয়া মনে হয় ;)

১০| ১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: চান্দু একজন হতভাগা।
মনে হয় জীবনে স্বচ্ছ প্রেম ভালোবাসা পায়নি।

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কেউ স্বেচ্ছায় চোর হয় না.....

দুনিয়ায় বহুত লোকের প্রকৃত ভালোবাসার অভাব....

১১| ১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের মশা নিয়ে গল্পটির নাম সম্ভবতএকটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প

সত্যি সত্যিই রোমাঞ্চকর এক অভিযানের গল্প। তবে অভিযানটি মানুষের নয়, মশার। মা মশা একদিন তার তিন কন্যা পি, পিপি, পিপিপি আর এক পুত্র পে-কে নিয়ে রক্ত খাওয়ার অভিযানে বের হলো। শর্ত একটাই, এক চুমুকের বেশি রক্ত খাওয়া যাবে না। কিন্তু পিপিপি খেয়ে ফেলল এক গাদা রক্ত! আর তার পেটটি ফুলে হয়ে গেল ঢোল। এখন এই শরীর নিয়ে সে উড়ে পালাবে কেমন করে?

১০ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই :)

গল্পের নাম এটাই এবং আমি বোধহয় পড়েছি। আজ আবারো পড়বো :)

১২| ১০ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাবনার বিষয় । আকাশে চুরি কখনো কাম্য নয়।। :)

১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: কিন্তু সেটাই যে হলো !

পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা :)

১৩| ১০ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জীবনের ব্যাকরণ সব সময় যে ছন্দময় হতেই হবে এমন কোন কথা নাই। কাজেই গল্প বেশ ভালো লেগেছে। গল্পের একটা সদর্থক দিকও আছে। রম্য হিসেবে বেশ উপভোগ্য বটে।
পোস্টে সপ্তম লাইক।

শুভকামনা জানবেন।

১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: জীবনকে ব্যাকরণের বাঁধাছাদা নিয়মে ফেলা সম্ভব নয়। তাই জীবন হতে গল্প লেখা হয়, গল্প হতে জীবন নয় !

পাঠকের ভালোলাগাই কাম্য !


পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ :)

১৪| ১০ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

মা.হাসান বলেছেন: কাল পড়া হলেও সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয় নি। এ জাতীয় রম্য গল্পের জন্য সাধু ভাষাই বেশি মানানসই, তবে টারজান ছাড়া আর কাউকে ব্যবহার করতে দেখিনা।
সাধুরা টাকা বেজোড় সংখ্যায় নেয় সে হিসাবে ১৭ টাকা পারফেক্ট, বেজোড় + মৌলিক। ওটাতে আমার সমস্যা ছিল না।
ভূতুষ্য শব্দটি ভালো লাগলো।
আকাশলোকের বদলে দ্যুলোক মনে হয় ভালো শোনায়। স্লো এর বদলে ধীর হলেই আমার বেশি ভালো লাগতো।
খাম্বাচোর-বালিশচোরেরা অমর না, দ্যুলোকে যেয়ে তারা দলভারি করতে থাকবে। কাজেই চান্দুর ধরা খাওয়াই স্বাভাবিক হবে।

১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। সাধুদেরকে নিয়ে সাধু ভাষায় লেখা উচিত :P আসলে সাধুভাষার রম্য পড়ার মজাই আলাদা।

আমি বাংলা ভাষা সম্পর্কে একটুআধটু গবেষণা করি। তাই এরপরেও সাধুভাষার ব্যবহার দেখলে আশ্চর্য হবেন না।


সাধুদের নানান সংস্কার থাকে। বিজোড় + মৌলিক তো হলোই আবার ব্লগার চাঁদগাজীর জন্য টোপও হলো B-)) যদিও এটা আজ প্রথম শুনলাম।


আকাশলোকই রেখেছি। নতুন টাইপের শব্দ কিনা ! দ্যুলোকও ভালো। বাট অনেক গল্পে এর ব্যবহার দেখা যায়। আর স্লো দেওয়া মজার জন্য। সাধুংলিশ হিসেবে ধরে নিন৷ ;)

যুগযুগান্তর ধরিয়া চুরিবিদ্যা তাহার গুণ দেখাইতেই থাকিবে। তাই সকল লোকেই ইহার অবাধ বিচরণ হইবে !!

সবশেষে পড়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা :)

১৫| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,



সাধু ভাষায় লিখিত, সাধু চোর গালকাটা চান্দুর গপ্পো। চুরির ব্যাপার-স্যাপার লৈয়া গপ্পোখানি রচনা হৈয়াছে বিধায় কতক কতক শব্দ সাধু ভাষার ভান্ডার হৈতে চুরি হৈয়া গিয়াছে!
সেমতে ৩ নম্বর লাইনে " বলিয়া " র জায়গায় গালকাটা চান্দু মনে হয় " বলে " শব্দটি ফাঁকতালে ঢুকাইয়া দিয়াছে। B-)
৬ নম্বর লাইনে চুরি করিয়া খাওয়া মুরগী উদর হৈতে "বের" হৈবার কোনই আলামত না থাকিবার হেতুতেই "বাহির" করা যায় নাই! ;)
এই মতো আরো কিছু রহিয়া গেল, যাহা ধরিতে গেলে আবার না এই অধমকেই চুরির দায়ে নরকবাস করিতে হয়, সেই ভয়ে বিরত রহিলাম................. :P

১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আহারে.... চান্দু ইশকুলে না পড়িলে সাধুভাষা শিখিবে কেমতে :D তাই শেষমেশ সাধুভাষার শব্দ ভান্ডারে হাত লাগাইতে হইলো :P

ভালো ভুল ধরিয়াছেন। চান্দুর ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া সুনিশ্চিত হইলো :D


সময় মতো ভূতুষ্য দ্বারা পোস্টু খানা মেরামত হইয়া কেরমাতি দেখাইবে B-)

১৬| ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৭

বলেছেন: শান্তি নাই !

১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শান্তির মা মরে গেছে !!!

১৭| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: চান্দু চোরকে ড্যাশিং হিরো লাগছে। লেখাটা জমাট বেঁধেছে ঠিকঠাক।

১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: যাক বাবা ! তাহলে বাঁধা হয়েছে সেই রকম। চান্দু আর পালাতে পারবে না :P

ড্যাশিং হিরোরাও আকাশলোকে গিয়ে জিরো হইয়া যায় :D

সবশেষে পড়িবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু :)

১৮| ১১ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গল্পটা জমিয়া উঠিয়াছিল।

আমি ভাবিয়াছিলাম চান্দু স্বর্গলোক পৌছিয়া একখানা স্ট্যাটাস লাঞ্চ করিতে ........ ।।।।।।

১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গল্পটা জমিয়া উঠিয়াছিল.... অতঃপর ইলেকট্রিসিটির গমন এবং দাবদাহে জল হইয়া যাওয়া :D

আমিও তাহাই ভাবিয়াছিলাম। হতচ্ছাড়া ধোঁয়াখানাই দিলো বিগড়াইয়া :D

১৯| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: চান্দু মনে হয় চৈনিক। জুন এর মন্তব্য পড়িয়া সে সন্দেহটি আরো বাড়িয়া গেল!

১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চিনদেশের লোকের অসাধ্য কিছু নাই। তাহারা অতিসহজেই খাতা, নোট এবং যাবতীয় সামগ্রীর নকল তৈয়ার করিয়া ফেলে। নকল করিবার গুণটিকে তাহারা শিল্পের পর্যায়ে লইয়া গিয়াছে।চান্দুও তাহার ব্যতিক্রম নহে !!

জুন অতঃপর আপনার কমেন্টখানা দেখিয়া চন্দুর নাগরিকত্ব সম্মন্ধে আমিও শিওর হইলাম :D

২০| ১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭

নজসু বলেছেন:




সব কথা সবখানে কহিতে নাই ভ্রাতা। :-B

১২ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তবে কি কথার মাও মরে গেছে :D

২১| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩০

সুমন কর বলেছেন: সাধু ভাষা কেন ?? তবে চান্দুর কাহিনী পড়িয়া ভালোই লাগল।

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এ ধরনের গল্প সাধুভাষায় চমৎকার লাগে। আরো জানতে আপনি, ৫ এবং ১৪ নং কমেন্ট এবং উহার উত্তর দেখুন :D

ভালো লাগিলেই ভালো :)

২২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: খাসা রম্যরচনা রচিত হইয়াছে। চলিত রীতিতে লিখিলে এহেন হাস্যরসের উদ্রেক ঘটিত না।
সাধু।সাধু।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধন্যযোগ পিচ্চু B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.