![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
রোমের সিজার ছিল যুদ্ধাপরাধী, আশপাশের দেশের হাজার হাজার সাধারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, অস্ত্রহীন পলায়নপর মানুষকে হত্যা করেছে; সেটাকে রোম বীরত্ব হিসেবে দেখেছে। আলেকজানডারও রাজ্য জয় করেছে, সারারণ মানুষ থেকে দুরে থেকেছে; কিন্তু হালাকু খানের সৈন্যদের সামনে যে পড়েছে, তাকে তারা হত্যা করেছে। নেপোলিয়ন রাশিয়া বিজয় করেছিল, গ্রামের মানুষের গায়ে হাত দেয়নি, তাদের খাবার কেড়ে নেয়নি; পলাশীর যুদ্ধে সাধরণ বাংগালীরা জড়ো হয়ে যুদ্ধ দেখেছে; ইংরেরা তো ওদের হত্যা করেনি।
কেহ ছিল সৈনিক, কেহ জন্ম থেকেই জল্লাদ।
যোদ্ধাদের মানসিক অবস্হার উপর নির্ভর করে তাদের হত্যাকান্ড; ১৯৭১ সালে, পাকিস্তানী সৈন্য বাহিনী, রাজাকার ও আল বদর বাহিনী যাকে ইচ্ছা তাকে হত্যা করেছে। মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার হাতে অস্ত্র ছিল, যুদ্ধের লজিক অনুযায়ী অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল পাকিস্তানী বাহিনী, রাজাকার ও আল বদর বাহিনীর প্রতিপক্ষ; কিন্তু রাজাকার ও আল বদর বাহিনী সব সময় হত্যা করেছে অস্ত্রহীন সাধারণ মানুষকে, তাদের ঘরবাড়ী পোড়ায়ে দিয়েছে, লুট করেছে, মহিলাদের অপহরণ করে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
রাজাকার ও আল বদরে যারা যোগদান করেছিল তারা ছিল খুবই নিম্ন মানের বাংগালী, মগ, মারাঠাদের মতো; এদের অনেকেই মানসিকভাবে আধা রোগী ছিল; আমাদের গ্রামের একটা ছেলে মানসিক রোগী ছিল, আরেকটা ছেলের হরমোন সমস্যা ছিল শরীরে, এই ২ জনকে জামাত রাজাকারে নিয়েছিল।
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্হা কখনো আমেরিকা বা বৃটিশের সম-মানের ছিলো না, কারণ আমরা আমেরিকা বা বৃটিশ নই; যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে 'বিএনপি ও জামাত আন্তর্জাতিক মানের বিচার' চেয়েছিল; '৭১ সালে যখন রাজাকার ও আল বদর অস্ত্রহীন মানুষকে হত্যা করেছিল, তারা কি বৃটিশ ও আমেরিকান সৈনিকদের মতো যুদ্ধ করেছিল? বৃটিশ ও আমেরিকানরা সৈন্যরা ঘরে ঢুকে মেয়ে নিয়ে যেতে পারবে? রাজাকার ও আল বদর ছিল নিকৃস্ট মানের পাকিস্তানীদের মতো।
জামাত ও বিএনপি-মনের মানুষরা বাংলাদেশ চায়নি, কিন্তু বাংলাদেশে 'আন্তর্জাতিক মানের বিচার' চেয়েছে।
বিচার চলাকালীন ও বিচারের রায়ের পর, প্রতিটি অপরাধী 'V' চিহ্ন দেখায়েছে, অর্থাৎ জাতিকে অপমান করলো; বিচারের রায়ে, তারা কখনো নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে মাফ চাহেনি; এটা কি বীরত্ব নাকি মানসিক সমস্যা? আমার মনে হয় মানসিক সমস্যা ছিল; এবং ওদের মানসিক সমস্যার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানী বাহিনী তাদেরকে ব্যবহার করেছে।
এসব অপরাধীদের ছেলেমেয়েরা অপরাধী মন নিয়ে, মানসিক সমস্যা নিয়ে জন্মেছে; তারা তাদের পিতাদের হয়ে মাফ চাহেনি, উল্টো 'V' চিহ্ন দেখায়েছে; এরা বংশ পরম্পরায় মানসিক রোগী, অপরাধী ও নীচু মানের লোক।
১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফেরাউনদের পর, অনেক সময় বয়ে গেছে; আসলে, ১৯৬০ সালে থেকে মানুষ যতটুকু দক্ষতা অর্জন করেছেন, আগের ৩ লাখ বছরের চেয়ে বেশী।
আমাদেরকে সভ্যতার সাথে চলতে হবে।
২| ১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্বাধীনতার পরপরই এদের ঝোলানো গেলে এরা এতদিনে এত বংশধর তৈরি করতে পারতো না, এত শুভানুধ্যায়ী তৈরী করতে পারতো না!
১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওরা ততকালীন সরকার থেকে বুদ্ধিমান ছিলো, ওরা পাকিস্তান ও সিআইএ'কে সহযোগীতা করে শেখ সাহেবকে সরায়ে দিয়ে, বাংলাদেশ শাসন করেছে শেখ সাহেব থেকে ১০ গুণ বেশী সময়; ওদের সাথে ততকালীন সরকার পেরে উঠেনি
৩| ১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এদের শেকড় এমন বেড়েছে যে শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে গেলে মস্ত বিপদে পড়বেন ।
১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা নিজেই জাতিকে বিপদের মাঝে রেখে যাবে; উনি সবাইকে ফ্রি পড়াচ্ছে না কেন? উনার বাবার পয়সা খরচ হবে?
জামাতের পাথর যুগের রাজনীতি ও প্রতিশাধ থেকে বাঁছার উপায় হলো শিক্ষা। জাতিকে শেখ হাসিনাই বিপদের মাঝে টেনে নিচ্ছে, জাতিকে ফ্রি শিক্ষা দিচ্ছে না।
নিজামীর ছেলে ডাক্তার ও ব্যারিস্টার, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেরা রিকসা টানে; মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেরা নিজামীর ছেলের সাথে, সাকা চৌধুরীর ছেলের সাথে পেরে উঠবে?
ঢাকা ইউনিভার্সিটিকে বড় করা হয় না, ৮৭টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খোলা হয়; আওয়ামী লীগ বাংগালীদের বিপদের মাঝে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪০
প্রথম কথা বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট , ভাল লাগল ,,,,
১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
হত্যাকারীদের বংশধরেরা তাদের পিতাদের হত্যাকে সাপোর্ট করছে, বলছে উচিত হয়েছে।
৫| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনি যে শিক্ষাব্যবস্থার কথা বলেন, সমাজব্যবস্থার কথা বলেন; এগুলো এখন আর সম্ভব না! ৭২ সালে শেখ সাহেব যদি আওয়ামীলীগকে ধরে রাখতে পারতেন, জাসদ যদি তৈরি না হতো; তাহলে বোধহয় সম্ভব ছিলো । কিংবা শেখ সাহেব যদি কমপক্ষে দশ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারতেন, বাকশাল যদি টিকে যেতো; তাহলেও হয়ত সম্ভব ছিলো । শেখ হাসিনার বাপের পথে ফেরার সুযোগ নেই । টিকে থাকতে হলে উনাকে জিয়া-এরশাদের দেখানো পথেই চলতে হবে ।
১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যে সব দেশে শেখ মুজিবর রহমান জন্ম নেননি সেখানে কিভাবে ওরা করেছে?
১৯৭২ সালে মানুষ ঐক্যবদ্ধ ও আশাবাদী ছিলেন, জীবন ধরণের মান খুবই সস্তা ছিল ; তখন যত সহজ ছিলো এখন সহজ হবে না; কিন্তু শেখ হাসিনা যদি চেস্টা করেন, সবই সম্ভব; উনার মাথায় সেই ধরণের আইডিয়া নেই, উনার চারিপাশে যারা আছে এদের দক্ষতা খুবই কম।
৬| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যুদ্ধাপরাধী, ওদের আত্মীয়দের 'V' সাইন দেখানো ছিল জাতিকে বুড়ো আংগুল দেখানোর সমান । যারা এই চিহ্নগুলি ধারণ করেছে ও সংবাদ মাধ্যমে প্রদর্শণ করেছে তাদের এই অসাধারণ কির্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে পদ্মভুশন ধরনের পুরস্কার প্রথা চালু করতে পারলে ষোলকলা পুর্ণ হয় !!!!!!!!!! জাতির জন্য আর কি লজ্জা অপেক্ষা করছে তা বিধাতাই জানেন ।
অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর এ পোস্টি অগনিত পাঠকের দৃস্টি আকর্ষণ করুক এ কামনা করি । ভাল থাকুন শুভ কামনা থাকল ।
১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
হত্যা করা একটা ভয়ংকর মানসিক রোগ, এইসব হতয়াকারীদের বংশধরেরা সেই পথই বেচে নিলো নিজেদের জন্য।
৭| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।
৮| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
বিপরীত বাক বলেছেন: রোমের সিজার..............................................।আলেকজানডারও....................... কিন্তু হালাকু খানের সৈন্যদের সামনে................................।নেপলিয়ন রাশিয়া বিজয় করেছিল......................................................................................।
পলাশীর যুদ্ধে সাধরণ বাংগালীরা জড়ো হয়ে যুদ্ধ দেখেছে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
All clear.
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
হত্যাকারীরা সৈনিক নয়, তারা মানসিক রোগী ও ভয়ানক অপরাধী
৯| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজিবের মন্তব্য,
রাজীব বলেছেন: আমরা ভুল বুঝেছি। আসলে এটি ব্যবহার করার veet চিন্হে
@রাজীব,
স্যরি, আপানর মন্তব্যটা আমি মুছে দিয়েছি, এটা ব্লগের জন্য ভালো নয়; অনেক বড় মেমোরি দখল করেছে।
১০| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
রাজীব বলেছেন: ফান ছিল।
১১| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৩৭
রাজীব বলেছেন: ছবির কারনে মন্তব্যটি ঠিক মত আসেনি, এটি হবে=
আসলে এটি veet ব্যবহার করার চিন্হ।
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি বুঝতে পেরেছি।
১২| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১:০১
মোস্তফা ভাই বলেছেন: ভি দেখিয়ে লাভ নাই, পালের গোদা গুলার ফাসি হইসে, এখন যত খুশি ভি দেখাক।
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জামাতের ইতিহাস জল্লাদদের ইতিহাস।
১৩| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ২:০৬
মু. সাদ উদ্দিন বলেছেন: ওরা " ভি " চিহ্ন দেখানোর মতো এতো সাহস পায় কোথা থেকে ??
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো সাহস থেকেও বেশী, হত্যাকারীর পক্ষে মাফ না চেয়ে দম্ভ প্রকাশ করছে; তবে, নিজেদের নাম অমানুষের খাতায় লিখায়েছে
১৪| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:০০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এরশাদ মামার বদলে আপনারেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়া দরকার ছিলো । উনারে বুদ্ধি-সুদ্ধি দিতে পারতেন । এই যে এরা ভি চিহ্ন দেখায়; প্রধানমন্ত্রী কিছু কয়না কেন?
১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘোলাজলে মাছ ধরার ব্যবসা করেন; উনি চায় যে, ওরা 'ভি' চিহ্ন দেখাক, মানুষ বুঝুক যে, ওরা শক্তিমান এখনো; শেখ হাসিনাকে চাপ দেয়া যাবে না, উনি না থাকলে জামাতীরা দেশ দখল করে ফেলবে।
১৫| ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্বাধীনতার পরপরই এদের ঝোলানো গেলে এরা এতদিনে এত বংশধর তৈরি করতে পারতো না, এত শুভানুধ্যায়ী তৈরী করতে পারতো না!
১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
০
লেখক বলেছেন:
ওরা ততকালীন সরকার থেকে বুদ্ধিমান ছিলো, ওরা পাকিস্তান ও সিআইএ'কে সহযোগীতা করে শেখ সাহেবকে সরায়ে দিয়ে, বাংলাদেশ শাসন করেছে শেখ সাহেব থেকে ১০ গুণ বেশী সময়; ওদের সাথে ততকালীন সরকার পেরে উঠেনি।" শেখ সাহেবের আসার আগেই কামডা মুক্তিযোদ্ধাদেরই করা উচিত ছিলো । উনারা যদি গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাজাকারগুলো হত্যা করে ফেলতেন, তাহলে হারামজাদারা এত ধৃষ্টতা দেখাতে পারতো না!
১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্যরি, আপনারা ভেতরের খবর জানেন না, জাতির জন্য ভলনটিয়ার হয়ে মুক্তিযু্দ্ধে বিজয়ের পর, তাজুদ্দিন সাহেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী পাঠায়ে দিয়েছিলেন ২২ শে ডিসেম্বর থেকে। ফলে, মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য কোন অবদান রাখতে পারেননি, শুধু স্বাধীনতা আনা ছাড়া।
১৬| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০১
জেন রসি বলেছেন: জামাত ও বিএনপি-মনের মানুষরা বাংলাদেশ চায়নি, কিন্তু বাংলাদেশে 'আন্তর্জাতিক মানের বিচার' চেয়েছে।
মজার কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন।
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজনীতি ব্যতিত বাংলাদেশ বিরোধীরা ৪২ বছর বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক দল।
১৭| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার সমসাময়িক লেখাগুলোর মধ্যে এই পোস্টটাকে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বলে মনে হল, চাদঁগাজী ভাই ।
রাজাকারদের ফাসিঁ সাধারণ জনগন যথার্তই মনে করে, আর এতে রাজাকারদের সাঙ্গপাঙ্গরা জাতির উপর খুবই ক্ষেপা ।
তবে আপনার প্রথম প্যারার ইতিহাস নিয়ে একটু সংশয় আছে, বিশেষ করে জুলিয়াস সিজার কে নিয়ে । আসল সিজারের ইতিহাস খুব একটা জানিনা তবে শেক্সপিয়ের "জুলিয়াস সিজার" তো বেশ মহৎ-ট্রাজিক এক বীর-নেতা, সে কোনভাবেই সাধারণ নিরীহ মানুষ হত্যাকারী নয়.....।
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেক্সপিয়ের সিজারের দেশ বিজয় ও রোমের বিলাসিতা তুলে ধরেছেন; কিন্তু দেশ বিজয়ের সময়, সেইসব দেশের রাজার সাথে সাধারণ মানুষের নিহত হওয়াকে দাম দেননি; আমি সেই সব সাধারণ মানুষকে দাম দিচ্ছি, আপনিও সাধারণ মানুষের পক্ষে আছেন।
জামাতের রাজনৈতিক দর্শন নেই, শুধু একটা ধরণার উপর প্রতিস্ঠিত যে, ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব; যা এই যুগে আসলে অসম্ভব।
১৮| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
মশার কয়েল বলেছেন: লেখক বলেছেন:
শেখ হাসিনা নিজেই জাতিকে বিপদের মাঝে রেখে যাবে; উনি সবাইকে ফ্রি পড়াচ্ছে না কেন? উনার বাবার পয়সা খরচ হবে?
জামাতের পাথর যুগের রাজনীতি ও প্রতিশাধ থেকে বাঁছার উপায় হলো শিক্ষা। জাতিকে শেখ হাসিনাই বিপদের মাঝে টেনে নিচ্ছে, জাতিকে ফ্রি শিক্ষা দিচ্ছে না।
নিজামীর ছেলে ডাক্তার ও ব্যারিস্টার, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেরা রিকসা টানে; মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেরা নিজামীর ছেলের সাথে, সাকা চৌধুরীর ছেলের সাথে পেরে উঠবে?
ঢাকা ইউনিভার্সিটিকে বড় করা হয় না, ৮৭টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খোলা হয়; আওয়ামী লীগ বাংগালীদের বিপদের মাঝে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ৷
পুরোপুরি সহমত ৷অনেকেই এরকম কথার বিপরীতে বলে থাকেন যে আমাদের দেশ গরীব দেশ ৷এরকম ব্যবস্থা সরকার করতে পারবে না ৷কিন্তু আমি মনে করি,আমাদের দেশ বর্তমানে এতটা গরীব নয় যে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারবে না ৷প্রত্যেকটা মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার যোগ্যতা এদেশের হয়েছে ৷অভাব যেটার রয়েছে সেটা হল সরকারের সদিচ্ছার ৷
আরেকটা বিষয়ে বলছি,আসলেই জামাতিরা আমার মনে হয় মানসিক প্রতিবন্ধী ৷তা নাহলে এরকম জঘণ্য অপরাধ করে শাস্তি পেয়ে বিজয় সূচক চিহ্ন কেমনে দেখায়?
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭২ সালেই সবাকে পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ জাতির কাছে ছিল ও আছে; আজ যদি ফ্রী পড়ানোর শুরু করে ১০ বছরে মানুষ সুইডেন, নরওয়ের পর্যায়ে চলে যাবে।
যুদ্ধাপরাধীরা ও তাদের আত্মীয়রা নিহতদের জন্য দু:খিত হয়নি, ওরা নিম্ন মানের বাংগালী।
১৯| ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
প্রীতম বলেছেন: আমার ভাগ্য খুব ভালো যে আমি কোন রাজাকারের ঘরে কিংবা পরিবারে জন্ম গ্রহণ করিনি। যদি করতাম তাহলে এই আমিই হয়তো অমানুষ আমি হিসেবে প্রমানিত হতাম এবং ভালো হয়েও ভালো হতাম না।
আপনার লেখার খুব বড় ভক্ত আমি। আপনার লেখার গভিরতা আমার ছোট্ট মাথায় সব সময় ধরেনা। তাই বার বার পড়ে বোঝার চেষ্টা করি।
আপনার সবগুলো কথা আমার ভালো লাগে আবার বিশ্বাস করতেও ইচ্ছে করে। কিন্তু ধারনা অনুযায়ী একটা মানুষ সব কিছু জানতে কিংবা সঠিক বুঝতে পারার কথা নয়। তাই সব কিছু বিশ্বাস করতে সমস্যা হয়। কি করব বলুনতো?
কেউ কেউ তছলিমা নাসরিন আর সালমান রুশদিদের ফাসি চায় আবার কেউ কেউ মানবতার কথা বলে তাদের প্রতি নুন্যতম হলেও মানবতা দেখাতে বলে এবং চায়। মানবতা আর আমাদের সাধারন চাওয়া গুলো যদি কনট্রাডিক্ট হয় তবে বড় চিন্তার মানুষগুলো হয়তো ভেবে চিন্তে পার পেয়ে যাবে, কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ, যারা সকালে উঠে ব্রাশে সস্তা টুথপেষ্ট লাগিয়ে ব্রাশ করে দিন শুরু করি আর মশা ঢুকবে যেনেও বড় বড় ফুটোওয়ালা মশারী টাংগিয়ে ঘুমোতে যাই তারা কি করবে?
আমরা যারা হাসিনা-খালেদা, রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা পার্থক্য নিয়ে চিন্তা না করে পেটের কমুঠো ভাত যোগাড় করা নিয়েই শংকিত তাদের জন্য কিছু বলুন।
আমাদের যেমন হরতালে আগুনে পোড়ার ভয়, তেমনি উন্নয়নের নামে সর্ব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টেক্স দেয়াতেও মন খারাপ হয়।
এক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধাদের যে বিশাল সংঘর্ষ এদেশে শুরু হয়েছে তা হয়তো কয়েক শতাব্দি চলতে হতে পারে কিন্তু মানবতা আর উন্নতীর কথা ভেবে আমরা কি অন্য আর কোন পথ অবলম্বন করতে পারিনা যেটাতে সংঘর্ষও কমবে আর দেশও উন্নত হবে আর আমরা সাধারণ আম জনতা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যাবো ঘুমের ঔষধ না খেয়ে?
আপনার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম জানাই আবারো। অবশ্যই ভালো থাকবেন ইনশাল্লাহ।
১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি অনেক ভাবনা তুলে ধরেছেন; আমি নিজে মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে; বর্তমান প্রেসিডেন্ট হয়তো এসব অপরাধীদের মাফ করে বেঁচে থাকার সুযোগ দিতে পারতেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসেই বাড়ী পাঠায়ে দিয়েছিলেন তাজুদ্দিন সাহেবের সরকার; ফলে, মুক্তিযোদ্ধারা কারো সাতে-পাঁচে নেই; মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যব হার করে অন্যেরা নিজেদের নিয়ম কানুন চালু করেছে।
এই পোস্টে আমার বক্তব্য ছিলো, ১৯৭১ সালে রাজাকারেরা ভুল পক্ষে যুদ্ধ করে, ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে অপরাধ করেছিল; দরকার ছিল মাফ চাওয়া; কিন্তু উনারা সব কিছুতে বিজয়ী থাকতে চেয়েছে 'ভি' চিহ্ন দেখায়ে।
মানুষ বিএনপি কোয়ালিশন ও আওয়ামীদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ভিকটিম ৪২ বছর; এর থেকে বের হওয়ার উপায় নিজ চেস্টায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া; আমাদের কমন একটা গ্রাউন্ড হলো ,'শিক্ষা ও সবকিছুতে জাতি ও দেশ ১ নম্বরে '; আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাকে শিক্ষিত করে তুলতে পারি, আমরা আমাদের মৌলিক অধিকার প্রতিস্ঠা করতে পারবো।
২০| ১৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২
প্রীতম বলেছেন: এতো সুন্দর জবাব আমি কল্পনাতেও করিনি। আপনাকে আবারো আপনার যোগ্য শ্রদ্ধা আর সালাম জানাই। ধন্যবাদ জানবেন।
১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সিচিন্তিত কমেন্টের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২১| ১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সহমত জানিয়ে গেলাম।
১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওকে
২২| ১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
রোষানল বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই কইয়াছেনঃ
ফেরাউনদের পর, অনেক সময় বয়ে গেছে; আসলে, ১৯৬০ সালে থেকে মানুষ যতটুকু দক্ষতা অর্জন করেছেন, আগের ৩ লাখ বছরের চেয়ে বেশী।
আপসুস!! এখনকার এই দক্ষ মানুষ গুলা ধারনাই করতে পারত্তেছেনা ক্রেন আর ভারী যন্ত্রপাতি ছাড়ায় সেই অদক্ষ মানুষেরা বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে দৈতকার পিরামিড নির্মান করলো ক্যামতে। দুধের সাথে হরলিক্স মিশিয়ে খেতোনা নিশ্চয়।
১৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
একজন রাজার মৃতদেহকে সংরক্ষণের জন্য লাখ খানেক মানুষকে বছরের পর বছর মরুর উত্তপ্ত বালিতে পাথর টানতে হয়েছে; রাত জেগে, হাতে মাটি কেটে পাথরকে উপরে নিয়েছে; মানুষের জীবনকে গাধার জীবনের চেয়েও নীচে নামানো হয়েছিল; সেটা আপনার কাছে দক্ষতা?
২০ হাজার লোক ২২ বছর কাজ করে তাজমহল নির্মাণ করেছিল, সেটা আপনার কাছে শিল্প? আসলে সেটা অ্ত্যাচারের সাক্ষ্য; এবং সেই তাজমহল আজকে ১০০ জন লোক ১ বছরের মাঝে তৈরি করতে পারবে।
২৩| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০২
অগ্নি সারথি বলেছেন: এসব অপরাধীদের ছেলেমেয়েরা অপরাধী মন নিয়ে, মানসিক সমস্যা নিয়ে জন্মেছে; তারা তাদের পিতাদের হয়ে মাফ চাহেনি, উল্টো 'V' চিহ্ন দেখায়েছে; এরা বংশ পরম্পরায় মানসিক রোগী, অপরাধী ও নীচু মানের লোক। - একই সাথে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার ও সামিল।
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
হ্যাঁ, এই দেশের মানুষ যাদের হাতে প্রাণ হারায়েছে, সেই সব জল্লাদদের পক্ষ নেয়া মানে দেশের বিরোধীতা করা।
২৪| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:০২
চিক্কুর বলেছেন: ভি চিহ্ণের দখল সহ্য করতে না পারলে বিচার সুস্ট হবে কিভাবে?
আর ইতিহাসের বিকৃতি দেখে অবাক হলাম। আলেকজান্ডার মানুষ খুন করেনি,আপনি তো বড় একজন কমেডিয়ান!
বিষয়টা দালাল আইন যখন হলো-তখন এদের নাম আসলো না কেন?৩০ হাজারের মধ্যে নাম নেই,আর এখন এরা যুদ্ধাপরাধী।
জনাব গাজী সাহেব, আমাকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে খুশি হব।
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রথমত: বিচারের সাথে আমি কোনভাবে জড়িত নই, এদের নাম কিভাবে জড়িত হলো, কিভাবে এরা দোষী প্রমাণিত হলো, সবই আপনার মতো আমিও সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেখেছি; বিচার করেছে সরকার।
এই ধরণের বড় বিচারে ফাঁকি থাকলে মানুষ সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করতো। যেহেতু রাজাকার ও আল বদর বাহিনী জামাতের অধীনে করা হয়েছিল, জামাত ঐ ২ বাহিনীর সবার লিস্ট সরকারকে দিয়ে দিলে, বিচারে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা মোটেই থাকতো না।
আমি বলেছি যে, বিচারে যদি অন্যায় থাকতো, এসব লোককে 'হতাশ' বা 'রাগ' করতে দেখা যেতো; কিন্টু 'V' সাইন দেখানো কি বলছে?
২৫| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্টটিতে গাজী ভাইকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজে পেলাম ।
পেলাম প্রতিটি রিপ্লাইয়ে পাণ্ডিত্যের পরিচয় । অভিনন্দন !!!
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই ঘটনা প্রবাহগুলো, প্রতি পদক্ষেপ, প্রতিটি এ্যাকশন আজকে প্রভাবিত করছে; এগুলো কালকে নতুন কিছু নিয়ে আসবে।
২৬| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওয়েল সেইড বাবুভাই!
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাবুভাই কোন ব্লগার?
২৭| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: কেন 'ভি' দেখায় তার জন্য শত শত প্রমাণ, অসঙ্গতি, ফেসবুক, ইউটিউব-এ আছে ।এমনকি প্রধান বিচারপতি নিজেও অসন্তুষ্ট ছিলেন যুক্তি তর্ক নিয়ে। এসব বলে এখন আর লাভ নেই। সময় বিপক্ষে। তবে কনফিডেন্স না থাকলে কারো পরিবারের সদস্যরা এতটা বিজয়ী ভাব দেখাতো না। মুসলমানের সন্তান জানাজার আগে বলে, আমার বাবার কোন কিছু করে থাকলে আপনারা মাফ করে দিবেন। তারা অন্তত অন্য মুসলমানের চাইতে বেশী ধর্ম কর্ম করে সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
'৭১ এর যুদ্ধে ছিল ২ পক্ষ, পাকিস্তান ও মুক্তিযোদ্ধারা (বাংলাদেশ বাহিনী); তৃতীয় বাহিনী(রাজাকার, আল বদর), যাদের সঠিক কোন সামরিক ট্রেনিং ছিল না, তাদের এই যুদ্ধে ভুমিকা কি ছিল?
প্রত্যেক জাতির সরকার জাতিরই প্রতিচ্ছবি; ফলে, আওয়ামী লীগ সরকারের যে বিচার ব্যবস্হা, সেটাই ছিল বিএনপি ও জামাতের বিচার ব্যবস্হা; জামাত ক্ষমতায় ছিল বিএনপি'সহ; তাদেরই সিস্টেম তাদের বিচার করেছে; সাধারণ মানুষের কোন ভুমিকা ছিলো না।
২৮| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন:
বাবুভাই কোন ব্লগার?
চিনে নেন, বলার ইচ্ছে নাই।
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭
প্রীতম বলেছেন: ইতিহাস সাক্ষি নীল নদে ডুবে মরা ফেরাউন এর আদর্শকে সম্পুর্ন উপেক্ষা করে তার স্ত্রী আছিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে জীবন দেন। অনেক উদাহরন আছে যে সুস্থ সামর্থবান ডাক্তারের সন্তান প্রতিবন্ধি আর প্রতিবন্ধির সন্তান সুস্থ সামর্থবান হয়ে জীবন কাটিয়েছে। আপনার লজিকটা আমার কাছে পুরোপুরি সঠিক মনে হয়নি। তবে আপনার টপিকটা গুরুত্তপুর্ন। ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর লেখার জন্য।