![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
আজকে আলেপ্পোতে গণহত্যা চালাচ্ছে শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী(ইরানের সাহায্যপুস্ট) বাশারের মিলিটারী, কুর্দি ও দুর থেকে রাশিয়ানরা, কোন আরবদেশ প্রতিবাদও করছে না ; আলেপ্পোর সুন্নীরা বাশারের মিলিটারী ও শিয়া মিলিশিয়ার কাছে পরাজিত হয়েছ্বে। আলেপ্পো আজীবন সুন্নী প্রধান, তারা বাশার থেকে মুক্তির পথ খুঁজতেছিল, আরব স্প্রীং সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল কিছুটা; তারা সেটার সুযোগ নিতে চেয়েছিল; কিন্তু সঠিভাবে না ভেবে, কোন নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলন না করে, নিজের দেশের সরকারের বিবুদ্ধে হাতে অস্ত্র হাতে নেমে পড়েছিল কিছু লোক; সেখানে ছিল আমেরিকা, সেখানে ছিল হিলারী ক্লিনটান, সেখানে ছিল ডলার। সুন্নীরা বাশারের বাবা হাফেজ আসাদের জ্বালায় অতিস্ঠ ছিল, ১৯৭১ সাল থেকে আসাদেরা প্রেসিডেন্ট; কিন্তু ইরান ছিল আসাদদের শক্তি; আজও তাই।
সুন্নীদের একাংশ আমেরিকার উপর নির্ভর করে বাশারের মিলিটারীর বিপক্ষে অস্ত্র ধরে; যখন পারছিলো না, তখন তারা আইএস'কে সাথে নেয়; আইএস'এর কারণে আমেরিকা ও ইউরোপের সহানুভুতি হারায় সুন্নীরা; এখন আইএস পালায়ে গেছে; ডলারের বেতনভোগীরা বাশারের বাহিনীর কাছে মুরগীর বাচ্ছার মত প্রাণ হারাচ্ছে। মানুষের একাংশকে আমেরিকান ডলারের মিলিটারী নাম দিয়ে মারছে, আরেক অংশকে আইএস এর সাহায্য কারী বলে হত্যা করছে!
বাশার নিজেই এক ধরণের শিয়া; আরবের সুন্নীরা সব শিয়াকে ২ নম্বরী ইহুদী হিসেবে গণ্য করে; যাক, ইহুদীরা উহাদের ইহুদী হিসেবে নেয় না, বরং ১ নম্বর শত্রু হিসেবে নেয়।
৫ বছরের যুদ্ধে সিরিয়া বলতে কোন কিছু নেই; বিশ্বে কোন কালে কোন দেশ এভাবে ধ্বংস হয়নি; ২য় বিশ্বযুদ্ধে কোন দেশ সিরিয়ার কাছাকাছি ধ্বংস হয়নি।
আলেপ্পোতে শুধু সুন্নীরা নয়, আমেরিকাও পরাজিত হয়েছে; তবে, একফোটা আমেরিকান রক্তও ঝরেনি; ঝরেছে ডলার ও অস্ত্র। রাশিয়ানরা বাশারকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করছে; পরোক্ষভাবে আমেরিকাকে সিরিয়া থেকে হাত গুটাতে বাধ্য করেছে।
গত ৪০ বছর থেকে আরবেরা ক্রমেই এইসব রক্তপাতের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল; তাদের শিক্ষা দীক্ষাহীন বৈভব, নির্দয় সমাজ ব্যবস্হা, কাজ না করে বিলাসবহুল জীবনযাপন, অন্যকে দাসের মতো করে রাখার মনোভাব আজ তাদেরকে এইখানে এনেছে।
১৯৮০ সালে ইরান ইরাক যুদ্ধ থেকে মুসলমানেরা গণহত্যায় মেতে উঠেছে; পশ্চিম তাদের নিয়ে পরিশ্রান্ত; তাদের জনসংখ্যা কমে আসলে ও তারা আবার তাঁবুতে ফিরে গেলে হয়তো আবার কিছুটা স্বাভাবিক হবে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরবের লোকদের বাড়ী, গাড়ী ও নারী ছিল; শিক্ষা ছিলো না; সেজন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে নিজের ভাইয়ের হাতে
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
নতুন বলেছেন: ইয়ামেনে সৌদি আক্রমনও যোগ করতে পারেন...।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেটা হলো ওয়াহবী আশমানী গজব। এরপর, সৌদীরা প্রাণ দিয়ে মুল্য দেবে।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: নিজের বুদ্ধি না থাকলে যা হয় আর কি। এত সম্পদ থাকার পরও করুন অবস্থা।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মগজ না থাকলে সম্পদ মৃত্যকে ডেকে নিয়ে আসে।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমেরিকা সাদ্দাম, গাদ্দাফীরে খাইছে, বাশারকে খাইতে পারে না?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাশার মানুষকে বাদ দিয়ে শুধু মিলিটারীকে নিজের করে নিয়েছিল; এটা কাজ করেছে!
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আমিরিকার ভুলগুলিকে রাশিয়া বেশ কৌশল করে কাজে লাগিয়েছে ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকান কোম্পানীগুলো যুদ্ধ থেকে আয় করছে; সরকারে ওদের লোকজন আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
আহা রুবন বলেছেন: দুনিয়ার শিক্ষা বাদ দিয়ে খালি পরকালের শিক্ষা নিয়ে পড়ে থাকলে তো নিজেরা এসব করে দ্রুত পরপারে চলে যাবে, এটাই স্বাভাবিক।