![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, আমেরিকা এক নতুন সমস্যায় পড়ে: কুর্দি ও শিয়ারা ইরাক নামের দেশই চাহে না, কুর্দিরা কুর্দিস্তান নাম দিয়ে উত্তর ইরাকের তেলের এলাকাগুলো নিয়ে আলাদা হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো; শিয়ারা উত্তর পুর্বের তেলের এলাকাগুলো নিয়ে ইরানের সাথে যোগ দিতে চায়; সুন্নীদেরকে সাদ্দামের সকল অপরাধ কাঁধে নিয়, সিরিয়ার কাছে ভালো বালুর মরুভুমি নিয়ে চৌদ্ধগোষ্ঠীর ইতিহাসের ইরাক নিয়ে থাকার ব্যবস্হা করা হচ্ছিলো।
আমেরিকা অনুধাবন করলো যে, তারা মানব ইতিহাসে এক ভয়ংকর দুর্নামে কুড়াবে যদি ইরাক বিলুপ্ত হয়। আমেরিকাকে বিশ্বের সেরা দুষ্টদের এক দেশের অধিবাসী হিসেবে রাখার বিরাট দায়িত্ব হাতে নিতে হলো। ইরাকের শিয়ারাদের ধারণা, তাদেরকে তাদের ইরানী শিয়া ভাইদের সাথে থাকতে হবে। কুর্দিরা দেশ চেয়ে ১০০ বছর ধরে সিরিয়া, তুরস্ক ও ইরাকীদের লাথি খাওয়ার পর, হঠাৎ যেন তাদের স্বপ্নের দেশ নিজেদের হাতের মুঠোয় পেয়ে গেলো। তারা উত্তর ইরাকের বাড়ী বাড়ী গিয়ে সুন্নীদের উৎখাত করে দিলো ২ মাসের ভেতর; তারপর, উত্তরের তেল এলাকায় নিজেদের আধিপত্য স্হাপন করলো; এখন নাকি তারা অটোনোমাস।
শিয়ারা বাগদাদ শহরে যেসব সুন্নী লোকজন শিয়া এলাকায় বাস করতো, তাদেরকে ২/১ সপ্তাহের মাঝে উৎখাত করে দিলো। শিয়ারা শহরের সুন্নী এলাকার শিয়াদের নিজেদের এলাকায় নিয়ে আসার শুরু করলো। আমেরিকান সৈন্যরা কিছু বুঝার আগে, দেশ মোটামুটি ২ ভাগে বিভক্ত।
আমেরিকানরা আটকে গেছে, যেই দেশ ধ্বংস করতে গিয়েছিল, সেই দেশ রক্ষাই তাদের মুল কাজ হয়ে দাঁড়ালো; আজো সেই কাজই করে চলেছে।
আমেরিকানদের উপস্হিতিতে কুর্দি মিলিশিয়া ও শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী গঠিত হয়েছে; তারা সাদ্দামের সব অপকর্মের দায়ভার সুন্নীদের কাঁধে দিয়ে, তাদেরকে সবকিছু থেকে উৎখাত করলো; সুন্ণীরাও সুযোগ মতো অস্ত্র হাতে নিলো; কিন্তু তারা শিয়া ও কুর্দিদের মতো ধরে নিয়ে মানুষ না মেরে মিডিয়ার সামনে মানুষ মারার শুরু করলো, তারা সবার টার্গেটে পরিণত হয়ে সব হারায়েছে।
আজকে ইরাকী পার্লামেন্ট এক হয়েছে, দেশ থেকে সকল বিদেশী সৈন্য বের করে দেবে; ১৭ বছরের মাঝে এটাই আসল ও সঠিক সিদ্ধান্ত; এই সিদ্ধান্ত ২০০৪ সালে নিতে পারলে, ইরাক আজকের বিশ্বে আবারো শক্তিশালী এক দেশে পরিণত হতে পারতো।
আমেরিকা অবশ্যই চলে যাবে; কিন্তু ইরাক থেকে শিয়া মিলিশিয়া (জেনারেল কাশেম সোলাইমানীর বাহিনী) ও কুর্দি মিলিশিয়া চলে যাবে কিনা?। শিয়া ও কুর্দি মিলিশিয়ারা মিলে, পুরো দেশে তরুণ সুন্নীদের জীবিত রাখেনি, বাকী আছে বুড়ো ও নারীরা; তাদেরকে কে রক্ষা করবে, শিয়া মিলিশিয়া ও কুর্দি মিলিশিয়ারা?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
কুর্দিরা হলো জল্লাদ ও অমানুষ, শিয়ারা হলো জল্লাদ; ওরা ইরাকে নামের দেশও চাহে না।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৪
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ইরাক নামে কোন দেশই থাকবেনা মনে হচ্ছে।এত স্বল্প সংখ্যক সুন্নি নিয়ে সাদ্দাম কিভাবে ইরাক শাসন করল?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাদ্দাম দেশ চালায়নি, চালিয়েছিলো রাজতন্ত্র; সেটার ফলাফল ভোগ করছে ইরাকীরা। সব আরব দেশ একই ষ্টাইলে চলার পর, আজকে আরবদের এই অবস্হা; পড়ালেখা ছিলো না, ছিলো তেলের পয়সা।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৯
নজসু বলেছেন:
শুভ বাংলাদেশী সকাল প্রিয় শ্রদ্ধেয়।
আশা করি ভালো আছেন।
অনেকের কাছে শুনি ইরাক যদি মুসলিম কান্ট্রি না হতো তাহলে এভা্বে নিশ্চিহ্নের পথে যেতো না।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিশ্চয় বাংগালীদের কাছে শুনেছেন; বাংগালীরা যদি জ্ঞানী হতেন, তদের প্রতিবেশীর মেয়েকে কেন তারা চাকরাণী বানায়েছে, তাদের মানুষ কেন বউ দেশে ফেলে ৪০ বছর আরবে উট চরাচ্ছে, মালয়েশিয়ায় দাস হচ্ছে ? আলজিরিয়া, তিউনিসিয়া তো আমেরিকা যায়নি।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৮
নুরহোসেন নুর বলেছেন: ইরাকী নাগরিকদের উচিত শিয়া সুন্নী বিভেদ ভুলে দেশকে রক্ষা করা,
নিজেরা বিভক্ত হলে তারা নিজেদের নিরাপত্তা হারাবে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের জামাতীদের, শিবিরদের ইতিহাস দেখেন, ওরা বারবার গণহত্যা চলায়েছে; আমাদের জামাতীরা আরবদের ভক্ত
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ইরাকের সাহস থাকলে, ইরাকে থাকা ৫ হাজার সৈন্য মেরে ফেলতো। কোনো কিছুর পরোয়া না করে।
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা কি কোনো দিন থামবে না।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
৫ হাজার আমেরিকান মারলে, ৫ লাখ প্রান দিটে হবে।
বিন লাদেনের লোকেরা ৩ হাজার আমেরিকান মারার ফলে, ৩ মিলিয়ন আরব ও ৩ লাখ আফগানের প্রাণ গেছে।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাতে পরিণত হতে যাচ্ছে ইরান/ইরাক/সিরিয়া/ইয়েমেন...
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই দেশগুলোতে জ্ঞানী মানুষ নেই, কিংবা জ্ঞানীরা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বাংলাদেশে জ্ঞানী মানুষের সংখ্যা কমছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ইরাকি সুন্নিরা এখন অনেক বেশি দুর্বল। আগামীতে এক খণ্ড বিখণ্ড ইরাকের ছবি দেখতে পাচ্ছি।