নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাহা নেই, তাহার অবমাননার জন্য প্রাণ সংহার?

১২ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৫১



হাজার হাজার বছর ধরে গরু গৃহপালিত জন্তু, মানুষের জন্য সম্পদ; ইহা কেন দেবতা হবে? এই গরুর জন্য ভারতে কত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, কত মানুষ নির্যাতিত হয়েছে! গরু তো গরু, অন্য দেবতাদের কি অবস্হা, তারা সবাই কি আছে? এই যে শিব, গণেশ, জিউস মিউস, জুপিটার কুপিটার, এরেস মেরেস, সবাই কি আছে, বা কখনো ছিলো? কখনো ছিলো না, এগুলো হাজার বছরের চলমান গল্প, রূপকথা; রূপকথার দেবতাদের মানে না বলে, মানুষকে হত্যা করতে হবে, তাকে মাতৃভুমি থেকে উৎখাত করতে হবে?

৫০০০ বছর আগের গল্প হওয়ায় গরুও দেবতা হয়ে গেছে, সুর্য দেবতা হয়ে গেছে, আরো অনেকই দেবতা, সংখ্যাটা ১৮ কোটী; পরীক্ষায় যদি ১৮ কোটী দেবতার নাম লিখতে বলা হয়, আমাদের নুরু সাহেব কি জিপিএ'৫ পাবেন? একটা ভালো ব্যাপার হলো, সময়ের সাথে দেবতা কমে আসছে।

যাহা নেই, তাকে না মানার জন্য শাস্তি পাচ্ছে মানুষ! রোমে যারা খৃষ্টান ধর্ম প্রচার করতে গিয়েছিলো তাদের বড় অংশকে হত্যা করা হয়েছিলো। এদের একাংশ মাটির নীচে বসবাস করেছে জেনারেশন ধরে। রোমান দেবালয়ে যারা যীশুর কথা বলেছে, তাদেরকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। এখন রোমান ধর্ম আছে? যদি ধর্মই হারিয়ে গেলো, যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের কি হবে?

যীশু কি বলেছিলো নতুন এক ধর্ম প্রচার করতে? উনি নিজেই ছিলেন ইহুদী, উনি কি অকারণে কাউকে প্রাণ দিতে বলেছিলেন? ইহুদী ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিলো। উনার ধর্মীয় ভুলের জন্য উনাকেই ক্রুশে ঝুলায়ে হত্যা করলো রোমানরা।

গ্রীকরা একটু ভালো মানুষ ছিলো, হাজার বছর রূপকথার ধর্ম পালন করলেও উহা অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়নি; এখন তারা জিউস, এ্যাপোলোর জন্য আর কাঁদে না, যীশু একাই যথেষ্ট! তাদের জিউস মিউস, এ্যাপোলো ম্যাপোলো কোথায় গেলো? এখন বলছে, উহারা ছিলো না; যাক, নিজেদের ভুল নিজেরা বুঝতে পেরেছে।

রোমান, গ্রীক ও হিন্দু ধর্ম একই ধরণের মীথ থেকে জন্ম নিয়েছিলো; ২টা বিদায় নিয়েছে, হিন্দু ধর্ম রয়ে গেলো কেন? কারণ, ভারতে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিসটেটল, আর্কেমেডিস ও গ্যালিলিওরা জন্মেনি, যুগে যুগে রাম, সাম, যদু,মদু ও মোদীরা জম্মেছে। বিশ্বের সব দেশে একটা করে সক্রেটিস জন্ম নিলে সমস্যা হতো, কোন দেবতাই থাকতো না, মনে হয়।

রাম ছিলো কিনা প্রমাণ নেই, থেকে থাকলে, ভারতের কোন এক কোণে সামন্ত রাজা ছিলো; যদি সামন্ত রাজা হয়ে থাকে, উহার বউ কি জমি চষার সময় বের হওয়ার কথা? জমি চষার সময় যদি জীবিত নারী পাওয়া যেতো, উহাকে কি কেহ বিয়ে করতো? হনুমান নামে বীর থাকা সম্ভব ছিলো, তার সেনাবাহিনীও থাকতে পারে, সে রামকে সাহায্য করে থাকতে পারে; কিন্তু উহা হিমালয়ের একাংশকে বুকে জড়ায়ে উড়ে কি শ্রীলংকায় এনেছিলো? এসব মানছে না বলে মানুষকে ভারতে থাকতে দেবে না বলছে ইডিয়টরা; দেখছেন, যা নেই, তার জন্য কিভাবে মানুষকে হত্যা করা হয়, কিভাবে মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়? নাকি গরু আসলেই দেবতা, জুপিটার কুপিটার, শিব টিব, জিউস মিউস সবই আছে?

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:২৩

সুপারডুপার বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা নাই বলাতে , প্রকৃতপক্ষে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টিকর্তার অস্বীকারকারী বা নাস্তিক ব্যক্তির মধ্যে হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে হয় আস্তিক ও নাস্তিকের মধ্যে মারামারি, যা অনেক ক্ষেত্রে হত্যা পর্যন্ত গড়ায় । অথচ সৃষ্টিকর্তা আছে বা নাই কেউই প্রমাণিত করতে পারে নি। অবাক হওয়ার বিষয় এটাই, উগ্র আস্তিকের ধর্মানুভূতি এতো তীব্র যে, সে নাস্তিককে হত্যা করতেও কুন্ঠিত হয় না। অথচ তার সৃষ্টিকর্তা অসীম শক্তিশালী হলেও নাস্তিককে মেরে ফেলেন না । মানে কি দাঁড়ায় , আস্তিকের তীব্র ধর্মানুভূতি থাকলেও, তার সৃষ্টিকর্তার কোনোই ধর্মানুভূতি নাই।

১২ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


গরু যে দেবতা নয়, এটা আপনার কাছে পরিস্কার, আশাকরি। এ্যাপোলো, জিউস, হেরা মেরা কয়েক হাজার বছর দেবতা দেবী ছিলেন; কিন্তু আর্কেমিডিস, সক্রেটিসদের জন্ম হওয়ায়, উহারা "নাই" হয়ে গেছে।

আমাদের পালিত গরু দেবতা হওয়ায়, মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে; এগুলো কাহাদের আবিস্কার ছিলো?

২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৪৯

সুপারডুপার বলেছেন: ধার্মিকগরুদের আবিষ্কার গরু দেবতা তবুও দৃশ্যমান। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পাথর মেরে অদৃশ্য শয়তানকে মারা হয়, যা বহু পদার্থবিদ, রসায়নবিদ,ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার বছরের পর বছর বিশ্বাস করেই যাচ্ছেন। আর্কেমিডিস, সক্রেটিসদের জন্ম আবার হলেও এরা বদলাবে না।

১২ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পৃথিবীর অনেক যায়গায় কোন সক্রেটিস, কোন আর্কমেডিস, কোন প্লেটো জন্মনি এখনো; সেখানে জন্মে রাম, সাম, যদু, মধু ও তাদের বেরাদররা।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:১৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন:


সুপারডুপার বলেছেন: ধার্মিকগরুদের আবিষ্কার গরু দেবতা তবুও দৃশ্যমান। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পাথর মেরে অদৃশ্য শয়তানকে মারা হয়, যা বহু পদার্থবিদ, রসায়নবিদ,ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার বছরের পর বছর বিশ্বাস করেই যাচ্ছেন। আর্কেমিডিস, সক্রেটিসদের জন্ম আবার হলেও এরা বদলাবে না।



আরাফাতের মাঠ পরিচিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিদায় ভাষণের স্মৃতিবিজড়িত স্থান হিসেবে। হজ্জের দিনে সারা দিন আরাফাতের ময়দানে দোয়া-দরুদ ও জিকিরে ব্যস্ত থাকার পরে হাজীরা আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যান। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে ইবাদত-জিকির করে সময় কাটান। এরপরে শয়তানকে মারার জন্য সেখান থেকে প্রত্যেক হাজি ছোট আকারের ২১টি পাথর সংগ্রহ করেন। শয়তান কে পাথর নিক্ষেপ হজ্জের একটি ওয়াজিব । এই ওয়াজিবটি ইব্রাহিম নবীর সাথে স্মৃতিবিজড়িত। এই ওয়াজিব পালনে কারোর প্রাণ সঙ্ঘার করা হয়না। বরং মানুষের নিজের ভেতরের শয়তানিকে উদ্দেশ্য করেই এই নিয়ম পালন করা হয়। এই নিয়ম শুধু মাত্র ধার্মিকদের জন্য।

তাছাড়া কুরআনের অনেক আয়াত মানবজাতিকে প্রকৃতি অধ্যয়নের জন্য জোর দিয়েছে ।

এই ব্যাপারে বলতে গেলে অনেক অনেক কথাই লেখা যায়। এতো কথায় নাই বা গেলাম। কারন নীরবতা এক ধরনের ইবাদত।

১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



গরু ভারতের ধর্মীয়দের জন্য দেবতা; অন্য ধর্মের মানুষ যারা গরুকে দেবতার সন্মান দিচ্ছে না, তাদের পিটায়ে মেরে ফেলছে; ইহা নিয়ে আপনার কি বক্তব্য, গরু কি দেবতা?

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: গরুর ভূনা মাংস উপাদেয় খাবার। বিফ স্টেকও বেজায় পছন্দ । দেবতা আবার খাদ্য উপাদান হয় কি করে?

শুধু মাত্র জংলী বর্বর জনগোষ্ঠির পক্ষেই সম্ভব নিরিহ মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা।

১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ আবিস্কার করেছে গরু দেবতা; মানুষ বলেছে জিউস ছিল দেবতা নাকি গড, হেরা ছিল দেবী, এখন বলছে এসব সঠিক ছিলো না।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: গরু কখনোই দেবতা হতে পারেনা। এটা একটা পশু যা মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই শুধু অন্য কিছু না। ইহা কসাই মোদি অমিতের মতো ক্ষমতা লোভীদের সৃষ্টি যা অতীত থেকেই শুরু হয়েছে। ইদানীং এইসব মোদি টোদি অমিতের মত পিচাশরা আবার গরুর মূত্র ও গোবরবে মহাপবিত্র হিসেবে মূর্খ বোকা লোকদের মাঝে প্রচার করছে। মূর্খরা তাদের কথায় গোমূত্র গোগ্রাসে পান করছে এবং মানুষ মারছে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


৫০০০ বছর আগে যাকে দেবতা বানায়েছে, তাকে আজকে অদেবতা কিভাবে বানাবে? বুয়েটে গিয়ে জানা যাবে?

মানুষের পা মাত্র ২ টি, গরুর ৪টি পা, ভাবার বিষয়

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্যা তো এখানেই।
লোকজন কুসংস্কার বিশ্বাস করে। এই আধুনিক যুগে এসেও শিক্ষিত মানুষ এইসব কুসংস্কার বিশ্বাস করে।
এটা খুব দুঃখজনক এবং দেশের উন্নতি হচ্ছে না।

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতের ২৫/২৬ কোটীকে আবারো গরু, শিব, গণেশে বিশ্বাস করতে হবে হয়তো

৭| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১০

সুপারডুপার বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আমাদের পালিত গরু দেবতা হওয়ায়, মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে; এগুলো কাহাদের আবিস্কার ছিলো?

- ভগবান বিষ্ঞর বাহন গাভী। অন্যদিকে শিবের বাহন ষাড়। এই হিসেবে গরুকে সম্মানের চোখে দেখা হলেও ইতিহাস বলে হিন্দুরা আগে গোমাংস খেত। ঋগ্বেদে, যজুর্বেদে, উপনিষদে, আবেস্তায় ও বিভিন্ন ব্রাহ্মণ গ্রন্থে গোহত্যা ও গোমাংস ভক্ষণের কথা পাওয়া যায়। কেরালার হিন্দুরা এখনো গোমাংস খেয়ে যাচ্ছেন।

‘বৈদিক যুগ’ এর ‘শিকারী-সংগ্রাহক’ জীবনের যে শেষ ছোঁয়া ছিল, তপোবন কেন্দ্রিক জীবন ছিল, ষোড়শ মহাজনপদের উত্থানের পর তা একেবারে মুছে যায়। এই সময় বৈদিক ধর্মের স্থানে আচার সর্বস্ব ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ক্রমে জাঁকিয়ে বসে। বলি, যজ্ঞ ক্রমশ বেড়ে যায়। নতুন স্থায়ী কৃষি সমাজ এটা মানতে রাজি ছিল না। তাঁদের আর প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলনের চাপে গো-হত্যা, বলদ হত্যার উপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপে। অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে কৃষি ব্যবস্থার বিস্তার আর ক্রমবর্ধমান গবাদী পশুর প্রয়োজন গরুকে ক্রমে সম্মানের আসনে বসিয়েছে, তাকে মায়ের সাথে তুলনা করেছে।ক্রমে হিন্দুরা মাতারূপে গরুর উপাসনার সূত্রপাত করে।
-----

গরুর জন্য ভারতে কত মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, কত মানুষ নির্যাতিত হয়েছে! সবই ধর্মানুভূতির চোটে। ধর্মানুভুতিতে আঘাত করলে ঐ ধর্মের ধার্মিক নামধারীরা উম্মাদ হয়ে ওঠে।

একই ভাবে কেউ বা কাহারা যদি কাবা শরীফের কালো পাথর ধ্বংস করে মুসলিমদের চিরতরে পাথর চুমা পূজা বন্ধ করার প্ল্যান করে, তাদেরকেও প্রাণ দিতে হবে অথবা নির্যাতিত হতে হবে।

অনেক অনেক ধর্মানুভূতি প্রকৃতপক্ষে ভ্রান্ত বিশ্বাস। কিন্তু আঘাত করলে বা করার চেষ্টা করলে নির্যাতিত হতে হয়, প্রাণ দিতে হয়।

সবচেয়ে ভালো হচ্ছে যে দেশে থাকা হয় সেই দেশের নিয়ম মেনে চলা। না মেনে চলতে পারলে পরিবর্তন করতে চেষ্টা করা। তাও না পারলে ঐ দেশ ত্যাগ করে এমন দেশে যাওয়া যেখানকার নিয়ম তার পছন্দ। ভারতের গোহত্যা নিষিদ্ধ রাজ্যে মুসলিমদের নিজ প্রাণ অপেক্ষা গরু খাওয়ায় কেনই বা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো?

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতে হয়তো গরু এক সময় খেতো, যারা বেদ লেখেছে, তারা কিভাবে কি করেছে কে জানে, যিনি রামায়ন লিখেছেন, তিনি কি করেছেন কে জানে, যারা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন তারা কি করছেন কে জানে, গরু কিন্তু দেবতা হয়ে আছে ৫০০০ বছর।

গণেশ দেবতা হয়ে আছে; শুরু জুপিটারেরা ও হেরারা শেষ; একা সক্রেটিসরা এতগুলো দেবতাকে বিদায় করে দিলেন।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: ভাল যুক্তি দেখাছেন দাদা
স্যালুট জানাই---------------------

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যুক্তির তেমন কিছু নেই, কলিকাতা গেলে রাস্তায় গরু দেখলে উহাকে কি আপনার কাছে দেবতা মনে হয়? কিন্তু ৫০০০ বছরেও উহা গরু হলো না।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গরুর কথা বাদ দেন রামইতো বাল্মিকীর কাল্পনিক সৃষ্টি চরিত্র। সেই যখন দেবতা হয়ে যায় তখন পাথর বা গাছপালা, গরু ছাগলতো দৃশ্যমান বস্তু তাদের দেবতা বানাতে সমস্যাতো নেই।

অকারণে মানুষ মারছে, মরছে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কিছু সৃষ্টি করেননি?

বেদ কিন্তু শুধু গরুর কথা বলেনি, ১৮ কোটী দেবদেবী অবতারের কথা বলেছে

১০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০২

রাশিয়া বলেছেন: যেহেতু গরুর দুধ আমরা খাই, তাই গরু হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে সকলেরই মা - দেবতা নয়। হিন্দু ধর্মমতে গো হত্যা মাতৃ হত্যারই শামিল। কেউ যদি অপরকে মাতৃ হত্যার মত অপরাধ করতে দেখে ধর্মীয় মতে শাস্তি কার্যকর করতে চায়, এবং সেই দেশের আইন এর মধ্যে অপরাধ না দেখে অথবা দেখেও না দেখার ভান করে - আপনার তাতে চুলকায় কেন?

মায়ের সামনে উলঙ্গ অবস্থায় যাওয়া ব্যাভিচারের শামিল - বাসুদেবের এই উপদেশ মানতে গিয়ে দুর্যোধন তার মা গান্ধারির সামনে কদলি পত্রের লেংটি পড়ে গিয়েছিল। পরিণতিতে গোপনাঙ্গে ভীমের গদার বাড়ি খেয়ে তার প্রাণ সংহার হয়েছিল। কিন্তু ধর্ম পালনে একনিষ্ঠতার কারণে হিন্দুদের ভিলেন দুর্যোধন হয়েছিল স্বর্গবাসী আর হিরো ভীমের ঠাই হয়েছে নরকে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবার গল্প আছে, গরুর গল্প, ঘোড়ার গল্প

আপনার কথায় মনে হয়, গরুই আপনার আসল মা; ছাগলও তো আপনার মা নিশ্চয়? উহাও দুধ দেয়।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৬

নতুন বলেছেন: মূখ`তার কারনে কিছু মানুষ এই সব বিশ্বাস করছে।

আর রাজনিতিকরা এই সব মানুষকে দিয়ে সন্ত্রাসী কাজ করাচ্ছে।

সমাজের বিরাট একটা অংশ অশিক্ষিত এবং ধমান্ধ তাদের ব্যবহার করছে রাজনিতিকরা।

ভোটের সময় হলেই ভারতে হিন্দু ধমে অস্থিত্ব হুমকির মুখে পরে এমন বিষয়টা সবার মনে গেথে দিয়ে ফয়দা লুটে রাজনিতিকরা।

রাজনিতি আর ধম` সবচেয়ে ভালো ব্যবসা।

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:




বাকী ধর্মগুলোর কি অবস্হা? গ্রীক ও রোমান ধর্ম বিদায় নিলো কেন? জুপিটার মুপিটার, হেরা মেরা কি মানুষ হয়ে মারা গেলো?

১২| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫১

নতুন বলেছেন: খৃস্টানধম` গ্রীক ও রোমান ধম`কে বিদায় করেছে।

রাজনিতিকরা অন্ধ ধামিকের হাতে অস্র তুলে দেয়, বোমা ধরিয়ে দেয়।

আমাদের উপমহাদেশে অজ্ঞতার কারনে রাজনিতিকরা ধমান্ধদের ব্যবহার করে তাদের সাথ` হাসিলের কারনে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



রোমান ও গ্রীক ধর্মের যায়গায় খৃষ্টান ধর্ম এসেছে; সময়ের সাথে, মানুষ পুরাতন গল্প থেকে আরো ভালো নতুন গল্প সাজায়েছে; আরো আধুনিক গল্প যোগ হবে।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

সুপারডুপার বলেছেন:



@রাবেয়া রাহীম আপা,

আপনার কথা অনুসারে যদি তাই হয়, যেসব লোকেরা নিজের ভেতরের শয়তানি নিয়ে হজ করতে যায়, হজে শয়তান কে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে হাজী হয়ে আসার পরেও তাদের ভেতরের শয়তানি থেকেই যায় কেন?

১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাবেয়া রাহিম যা বলছেন, সেটা মোটামুটি ৫০০০ বছরের পুরাতন নয়; ফলে, উহা বেশ উন্নত ভাবনা হওয়ার কথা

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১২

নতুন বলেছেন: আর নতুন কোন ধম` আসবেনা। সমাজে মানুষ চলতে এখন ধমের প্রয়োজন কমে এসেছে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেগুলো আছে, সেগুলোর কি হবে? এখন তো প্রতি ঘরেই সক্রেটিস জন্ম নিচ্ছে!

ইহুদীদের নতুন নবী আসার পর, বিশ্ব গরু, ঘোড়াকে ভুলে যাবে হয়তো!

১৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভারতের ২৫/২৬ কোটীকে আবারো গরু, শিব, গণেশে বিশ্বাস করতে হবে হয়তো

ভারতের অবস্থা আমাদের চেয়ে শোচনীয়। সব ক্ষেত্রেই।

১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


উহারা ৫০০০ বছরের পুরোনো মাল চালাতে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে; বাজারে অনেক নতুন কাহিনী আছে; ইসরেয়েলে শীঘ্রই "মেশিন লার্নিং" মগজ নিয়ে নতুন নবী আসবে; উহা যদি ভারতের কম্প্যুটারের লোকদের চোখে পড়ে অবস্হা ভালো দিকে যাবে, গরু উহার বিশাল দায়িত্ব থেকে রেহাই পাবে।

১৬| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভারতএখনো সামান্যতম বিজ্ঞানসম্মত একটি রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারেনি। এর সমাজ ব্যবস্থা এখনও যথেষ্ট মাত্রায় অজ্ঞতা, বিজ্ঞান হীনতা আর গোড়ামীতে পরিপূর্ণ । ভারতীয় সভ্যতা হয়তো অনেক পুরাতন। কিন্তু এরা মুক্তচিন্তার অধিকারী হতে পারেনি । বিজ্ঞান চর্চা করতে পারেনি । আধুনিক মন মানসিকতার অধিকারী হতে পারেনি। হিংসা বিদ্বেষ আর হানাহানি মন থেকে দূর করতে পারেনি। ফলে এই আমলের ভারত অনেক বেশি অনগ্রসর আর পশ্চাৎপদ।

বিধাতা মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষেরা তৈরি করেছে কয়েক শত ধর্ম নামক রীতিনীতি। তাই বোঝা মুশকিল কোন ধর্মের মাধ্যমে তাঁকে পাওয়া যাবে।

প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্মকে সেরা মনে করে বসে আছে। কেউ কেউ আবার উগ্র হয়ে যাচ্ছে। অন্যে ধর্মের মানুষকে মেরে ফেলে একাকার করছে। এটাই এখনকার বাস্তবতা । মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্মত্ত । ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি এই অঞ্চলে একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু কিছু ধর্ম অনেক বেশী আগের লোকেরা বানায়েছে, ঐগুলো আজকের জন্য একেবারেই অচল; গ্রীক ও রোমানরা পুরাতন ধর্মগুলো ফেলে দিয়ে ভালো করেছে।

পুরাতন ধর্মগুলোর মাঝে নবী মুসার (আ: ) ধর্ম উনার মানুষদের সাহায্য করছে; উনি অনেক উঁচু মানের সিভিল ইন্জিনিয়ার ছিলেন।

১৭| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৩

সোহানী বলেছেন: আপনার লিখা পড়ে হাসতে হাসতে অজ্ঞান....।

শুনুন গাজি ভাই, ভারত এমন একটা চীজ সেখানে সক্রেটিসকে পাঠালে সেও মোদি হয়ে যেতো B:-/ B:-/ । এ আধুনিক যুগেও এমন বর্বর জাতি থাকতে পারে তা সত্যিই বিস্বয়।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেই ধর্মগুলো যত আদি, সেগুলো তত আদিম মানুষের আবিষ্কার।

১৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শিরোনামই যথেষ্ট “যাহা নেই, তাহার অবমাননার জন্য প্রাণ সংহার” আর কিছু বলার নেই।
১০০ঁ% সত্য - তিন সত্য।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বার অশিক্ষিত জাতিগুলো নিজেরা ভয়ংকর সব ভুল ভাবনাচিন্তা নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে।

১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু অনুন্নত বিশ্বে না, উন্নত বিশ্বেও,অনেকেই এমনই অনেক "মিথ" বা মিথ্যেতে বিশ্বাস করে।।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



উন্নত দেশে বিশ্বাস করে, কিন্তু তাদের কোন ক্ষমতা নেই; ভারত, পকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগান, সিরিয়া ইয়েমেন, এসব দেশে তারা জাতিকে নীচে নামাচ্ছে টেনে।

২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:০৩

সুপারডুপার বলেছেন:



@ চাঁদগাজী সাহেব ,

৫০০০ বছর আগে গঙ্গার জলে পবিত্রতা খুঁজে পায়, ৫০০০ বছর পর জমজম কূপের পানিতে পবিত্রতা খুঁজে পায়। ৫০০০ বছর আগে বলি দিয়ে দেবতাকে খুশি করা হত, ৫০০০ বছর পরে কুরবানী করে আল্লাহকে খুশি করা হয়। এই ভাবে আপনার মত জ্ঞানী মানুষ আরো অনেক কিছুই খুঁজে পাবেন। সবই, নতুন বোতলে পুরান মদ, এই আর কি!

আর্কেমিডিস, সক্রেটিসদের জন্মের বহু পরে থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের নিজের ভেতরের শয়তানিকে উদ্দেশ্য করে দূর কোনো এক দেশে গিয়ে শয়তান বা জামারতকে পাথর ছুড়ে মারা কি আপনার কাছে বেশ উন্নত ভাবনা বলে মনে হয়?

১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের দেশের মানুষগুলোকে পড়ায়নি সরকারগুলো; এজন্য এদের ভরসা ৫০০০ বছর , ৩০০০ বছর আগের মানুষের নিয়ম-কানুন।

২১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: এই লেখা মিস করেছিলাম কেমনে!? সব্বনাশ!

২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো আমি সব সময়ই বলি; ব্লগে থাকলে আজ, না হয় কাল শুনবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.