নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাস নিয়ে ধর্মীয় বিভ্রান্তি

১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২৩



করোনা ভাইরাস নিয়ে এত আতংক কেন? কারণ, এখন মানুষ জীবনমুখী, মানুষ অসুস্হতার কারণ জানে, মানুষ জীবনের মুল্য বুঝে, মানুষের জীবনের মুল্য আছে। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে, এই ধরণের, বা এর থেকেও কঠিন ভাইরাসে কোটী মানুষ প্রাণ হারায়েছেন; কিন্তু তখনকার মানুষ এসব ভাইরাস সম্পর্কে জানতো না, প্রতিষেধকও ছিলো না, সরকার ছিলো না, মানুষ ছিলো অসহায়; তখন সাধারণ মানুষের কাছাকাছি জ্ঞানী-মানুষ(?) ছিল উপসনালয়ের পুরোহিতরা: রাবাই, পাদ্রী, মোল্লা, ঠাকুর; এরাও কিছুই জানতেন না; কিন্তু এরা মানুষকে একটা বুঝ দেয়ার জন্য ধর্মীয় গ্রন্হ থেকে কিছু একটা বলতেন, যা কখনো সঠিক থাকার কোন সম্ভাবনা ছিলো না, নিজেও হয়তো বুঝতেন না কি বলছেন।

তবে, ধর্মীয়রা ও অশিক্ষিত মানুষ ভুলক্রমে সব মহামারীকে সৃষ্টিকর্তার দেয়া শাস্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা ছিল সব সময় ভুল; আজকের উন্নত বিশ্ব এসব ভুল ধারণা থেকে মুক্ত হলেও, ধর্মীয়দের সমস্যা রয়ে গেছে; কারণ, তারা অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে পড়ালেখা করে, এবং তাদের পড়ালেখার পরিধি খুবই সীমিত। আমেরিকা ও ইউরোপে থিওলোজীতে 'পিএইচডি'ও দিয়ে থাকে, এদের পরিামাণও অসংখ্য; পৃথিবী সম্পর্কে এদের ধারণা খুবই কম। আমাদের দেশ, ভারত, আফগানিস্তানের ধর্মীয় লোকজন এসব ব্যাপারে এখনো পাথর যুগে আছেন।

এই শতাব্দীর মানুষের জীবনযাত্রার মুলে রয়েছে মানুষের শ্রম ও জ্ঞানের প্রয়োগ; এই শতাব্দীর মানুষ নিজেরাই ক্যাপিটেলিজমকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনীতি গড়ে তুলেছে, সমাজ গড়ে তুলেছে; ক্যাপিটেলিজমের উৎপাদন ব্যবস্হা একটি চেইনের মতো। কিন্তু ইহা একটি সমস্যার সৃষ্টি করেছে, উন্নত জাতিগুলো মোটামুটি আর স্বনির্ভরশীল নয়, এরা পরস্পরের উপর নির্ভরশীল; ইহার ভালো ও খারাপ দিক আছে; যেমন, করোনাই ইহার উদাহরণ, চীনে উদ্ভব, এখন সারা বিশ্বে চলে গেছে।

পশ্চিমের সমাজ সায়েন্স ও টেকনোলোজীর উপর ভিত্তি করে এগুচ্ছে; এখানকার মানুষ এই ধরণের মহামারীকে থামাবে, এবং জীবন নাশের পরিমাণও হবে ন্যুনতম। ধর্মীয়রা আছেন ৩য় বিশ্বে; সব ব্যাপারের তাদের মতামত আছে, হোক সে মহামারী, হোক সে কম্প্যুটারের মেশিন লার্নিং; এবং সব ব্যাপারে তাদের মতামত একেবারেই অর্থহীন, সময় সময় ক্ষতিকর।

তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ ক্রমেই জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে যাচ্ছে; কিন্তু তাদেরকে ধর্মীয়দেরকে নিয়েই এগুচ্ছে হচ্ছে; ফলে, ধর্মীয়দের ভুল জীবনেকেও বোঝা হিসেবে টানছে তারা; তিউনিশিয়া, আলজিরিয়া, ভারত এখন এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

স্বয়ং আমেরিকার চার্চেও করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করা হচ্ছে, নিউইয়র্কের মসজিদ, মন্দিরে দোয়া হচ্ছে। শুধু হচ্ছে না ইহুদীদের সিনাগগে; তারা এটাকে মেডিক্যাল সমস্যা হিসেবে নিয়েছে ও তাদের রাবাইরা ইহুদী বাইও ফার্মাগুলোকে দিনরাত কাজ করে প্রতিষেধক বের করার চেষ্টা করতে বলেছে।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

বিষন্ন পথিক বলেছেন: ইহুদীরা হলো টাকা কামানোর মেশিন, এরা ভ্যাকসিন না বের করতে পারলেও যে বের করতে পারবে তার কাছ থেকে কিনে নেবে। ট্টাম্প কাহু একদম বাশ দিলেো স্টকের। নাসডাক আগের দিন ৭% আর আজকে ৮% ক্যামনে কি? আপনাদের দেশে কোনো দরবেশের আগমন ঘটছে নাকি? ট্রিলিয়ন ডলার মেঘ হয়ে উড়ে যাচ্ছে...

১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্প সময় মতো পদক্ষেপ নেয়নি; আজকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বণ্ড কিনেছে সরকার, ২ মিনিটের জন্য মার্কেট ১৪০০ পয়েন্ট ফিরে এসেছিল, তারপর আবার মরে গেছে; ভয়ংকর অবস্হা। ইউএস ও বিশ্ব মার্কেট থেকে ১৪/১৫ ট্রিলিয়ন বাস্প হয়ে গেছে; উহার ফলাফল হবে ভয়ংকর।

ইহুদীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, এরা জানে কি হচ্ছে, কি করতে হবে; শেখ হাসিনা বা ড: এমাজুদ্দিন সাহেব কিছু জানেন না, বেকুবের মত ম্যাঁওপ্যাঁও করে সময় কাটাচ্ছে।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রতিষেধক আবিষ্কারও হবে, তা সবার হাতেও পৌঁছবে | কিন্তু এর মধ্যে প্রাণ যাবে হাজার হাজার মানুষের |

১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটাই ঘটতে যাচ্ছে, মনে হয়। চীনাদের ডাটা থেকে কিছু বুঝা যায়নি, এখন কোরিয়া ও ইতালীর অবস্হা ও ডাটা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, রোগটি'র সংক্রমণ ক্ষমতা ভয়ংকর।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাওয়া এবং দোয়া দুটোরই প্রয়োজন সৃষ্টিকর্তার গজব থেকে মুক্তি পাবার জন্য।
আস্তিকদের দৃঢ় বিশ্বাস গজব, মহামারী সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসে যথন্ তার
বান্দারা পাপ কার্যে লিপ্ত হয়। হযরত লুত (আঃ) এর জামানা, হযরত নুহু (আঃ)
এর জামানায় এমন ঘটনার উল্লেখ আছে। একটা কওমের সকলে পাপ কাজে
লিপ্ত না থাকলেও তারাও সৃষ্টিকর্তার গজবের শিকার হন। কারণ শুকনা কাঠে
আগুন লাগলে তা ভিজা বনকেও পুড়িয়ে দেয়।
ইহুদিরা নািস্তিক, তারা আল্লাহ বা পরজনেমের বিশ্বাস করেনা। তা্ই তারা
দোয়া না চেয়ে দাওয়ায় মনোনিবেশ করে। কিন্তু দাওয়ায় তখন্ই কাজ করে
যখন আল্লাহ চাইবেন। সৃষ্টিকর্তাক বিশ্বাস করুন। নিজের কৃত অন্যায় কর্মের
জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি সব বিপদ, বালা মুছিবত দূর করবেন
ইনসাআল্লাহ। আপনি সাবধানে থাকবেন। করোনা কিন্তু মোড়লের ভয়ে
ডরাবে না।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, আমি সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি।

ইসলাম ধর্ম ইহুদী ধর্মের আরবী ভার্সন, নবী মুসা শিক্ষিত ছিলেন, উনি ইহুদী ধর্মের বই লিখেছিলেন, উনার অনুসারীরা শিক্ষিত। ইহুদীরা সবার থেকে বেশী চেষ্টা করছে করোনার প্রতিষেধক বের করার।

মুসলমানেরা তাদের "জীবনযাত্রার যেই মান ভোগ করছেন, সেটার উন্নয়নে সামানুপাতিক ভুমিকা রাখছে না", এটা সমস্যার সৃষ্টি করছে। বিশ্বের অন্য প্রান্তে মানুষ গড়ে ৮/১০ ঘন্টা কাজ করছে। মুসলিম এলাকার বেকার, ও কাজে ফাঁকি দেয়াকে হিসেবে করলে, মানুষ গড়ে ৪/৫ ঘনতা কাজ করছে, এজন্য দরকারী উন্নয়ন হচ্ছে না।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৫

কোথাও কেউ নেই বলেছেন: তবে, ধর্মীয়রা ও অশিক্ষিত মানুষ ভুলক্রমে সব মহামারীকে সৃষ্টিকর্তার শান্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে,
ঠিক করে নিন,
তবে, ধর্মীয়রা ও অশিক্ষিত মানুষ ভুলক্রমে সব মহামারীকে সৃষ্টিকর্তার শাস্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে,
.........
উন্নত বিশ্ব কি এইডস এর টিকা আবিস্কার করতে পেরেছে ?

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এইডস'এর টিকা নেই, ইহার প্রতিষেধক বের করেছে।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

নতুন বলেছেন: এন্টারকটিক হুজুর ভাইরাসের ফরমুলা বলে দিয়েছেন এখন ইহুদীরা আবিস্কার করতে পারবে তার ফরমুলা অনুযায়ী।

বত`মান জামানায় এসে এই রকমের মহামারীকে সৃস্টিকতার তরফ থেকে গজব যারা বলে তারা বোকা।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীরভাগ ধর্মীয় মানুষ লজিক্যালী ভাবেন না, এরা সবকিছুতে সৃষ্টিকর্তাকে এনে, নিজের ভাবনাকে মুল্য দেন না।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার ধারণা বিশ্বে সবচেয়ে বড় মুসলিম ঈমানদারদের বসবাস বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে তার মধ্য অন্যতম অবস্যই বাংলাদেশ ( আমার ধারণা ভুল হতে পারে) চীনে করোনার আঘাতে মৃত মানুষের সংখ্যা জেনে রিতিমতো আনন্দ উল্লাস করছে বাংলাদেশ। তাছাড়া ইরান ও ইতালী সহ যে সকল দেশে করোনা আঘাত করেছে এগুলো কাফেরের দেশ। কাফেরকে করোনা নামক অস্ত্রের আঘাতে মানুষ হত্যায় আনন্দদায়ক বলেই মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মুসলিমকে।

ইহুদীদের আবিস্কার প্রতিষেধক (যদি আবিস্কার হয়) বাংলাদেশের মুসলিম গ্রহণ করলে তাদের ধর্মভ্রষ্ট হবে বলে আমি বিশ্বাস করি এবং আমি আরো বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সকল মুসলিম তাতে ইহুদী নাসারা হয়ে যাবে।

সর্বশেষে বলতে চাই আমরা বাংলাদেশের মুসলিমদের অন্তর এতো অন্ধকার কেনো? পৃথিবীর যে কোনো জাতি ধর্ম বর্ণের লোক কোনো কারণে আক্রান্ত হলে আমরা কাফের খোঁজে পাই - আমাদের ভেতের এই হিংসা আক্রোশের কারণ কি?

ভাবতেও অবাক লাগে সমগ্র বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশের মানুষকে কিভাবে সহ্য করছে। এই জাতিকে সহ্য করা সহজ কাজ নয়।






১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সুদান, নাইজেরিয়ার মানুষের সামাজিক , টেকনোলোজিক্যাল, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জ্ঞান বিশ্বের সবার নীচে। ভারতে ধর্মীয় সমস্যা দেখা দিলেও, ওদের শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ টেকনোলোজিক্যাল ধারণায় উন্নত।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জীবানুটির নাম (COVID-19)।
প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার না হলেও এই জীবানুর আচরনটা বুঝা গেছে।
খুব দ্রুত ছড়ায়।
মানুষের দেহ বাদে প্রকৃতিতে বাচে না, অন্য পশু পাখিতেও ভর করতে পারে না।
এই ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়, হাঁচির এরোসলে করনা থাকতে পারে। এরোসল ড্রপলেট দরজার হাতলে স্যাতস্যাতে ফ্লোরেও কিচ্ছুক্ষন বেচে থাকে। শুকিয়ে গেলে মরে যায়।

কোন ব্যাক্তি করনাক্রান্ত হলে সে ৭-৮ দিনের ভেতর কোনমতে টিকে গেলে আর ভয় থাকে না, ১৫ দিনে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় (যদি না সে বেশি বয়েসি বা অন্য কোন রোগ না থাকে)
বয়স কম ও প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকলে খুব অল্প আক্রান্ত হয়।
করনা রুগির পরিবারের অনেকে রোগির কাছে একসাথে বসবাসকারি অনেকেই আক্রান্ত হয় নি, শুধু সাবধানতার জন্য পরিবারের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।
এজাবৎ প্রাপ্ত তথ্যে তরুন বয়েসে আক্রান্তের বা মৃত্যুর হার খুবই কম। 0.02% ভাগ মাত্র।
বাংলাদেশের ৩ করনা রুগী ২ জন অলরেডি ভাল হয়ে গেছে।
সিঙ্গাপুরে ৫ বাংলাদেশীও ভাল হয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে।

এই ভাইরাসের টিকা চীন আবিষ্কার করতে পারবে না, আমেরিকা বাদে কেউ পারবে না। টিকা উদ্ভাবনের অবকাঠামো একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই আছে। চীন অলরেডি ভাসরাসটির স্যাম্পল ও উপাত্ত দিয়েছে আমেরিকান CDC কে। CDC থেকে একদল গবেষক অলরেডি চীনে অবস্থান করছে গত মাস থেকে। বড় ফান্ডও বরাদ্দ হয়েছে। WHO সহ সবাই সমন্নিত ভাবে কাজ করছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ট্রাম্পের জ্ঞানের অভাব, ও এক গুঁয়েমীর জন্য আমেরিকার সরকার কিছুটা পেছনে পড়ে গেছে, ওয়াল ষ্ট্টীট'এর ক্যাপিটেল নষ্ট হয়েছে, সরকারকে "অসময়ে নিজের বন্ড কিনতে হয়েছে"। এরপরও, টিকা আবিস্কারে আমেরিকাই সবার চেয়ে বেশী চেষ্টা করছে।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা হলো- পৃথিবীর কোনো ধর্ম করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে পারবে না।
কোনো সূরা পড়েও লাভ নাই।
ল্যাবরেটরিতে গবেষনা করে এর প্রতিকার বের করতে হবে। এবং বের হবে।

তবু কিছু বোকা মানুষ ধর্ম এবং সুরা নিয়ে বেশ মাতামাতি করছে। হাস্যকর।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম এলাকাকে এখন পশ্চিমের উপর নির্ভর করতে হবে; মুসলিম এলাকার" মানুষ ভালো থাকার জন্য প্র‌য়োজনীয় শ্রম দিচ্ছে না, ও আধুনিক জ্ঞান আহরণ করছে না।"

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার এক বন্ধু- একটা সুরা কাগজে প্রিন্ট করেছে।
অর্থসহ উচ্চারন সহ এবং বাংলায় অনুবাদ।

সে নীলক্ষেত থেকে তিন হাজার কপি প্রিন্ট করেছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষজনদের দিচ্ছে। লোকজন আগ্রহ নিয়ে সুরা নিচ্ছে। এই সুরা পাঠ করলে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সেদিন রাত ১১ টায় বন্ধু আমার বাসায় এসেছে। আমাকে চার কপি দিয়েছে। বলেছে আঠা দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে। প্রতিদিন ৩/৪ বার করে পড়তে হবে। বন্ধুর কথা হলো করোনা থেকে বাঁচতে এছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নেই।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের সরকারগুলো, আমাদের বড় ব্যবসায়ীরা এই ধরণের নাগরিক চেয়ে আসছে সব সময়; এদের সংখ্যা বাড়ছে।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে আশ্রয় চাই।এটা করোনা হোক এইচ আই ভি হোক সব রোগ থেকে মুক্তি থাকার দোয়া।একটি স্থানে অন্যায় যখন সীমা অতিক্রম করে সেখানে মহান আল্লাহর গজব নেমে আসে।আল্লাহ বলেন, আমি জালিমকে সুযোগ দেই যেন তারা পাপে পাকাপোক্ত হয় আর তারপর তাদেরকে ধরি।করোনা ভাইরাস একটি গজব এটা আমিও মনে করি।আর এই গজব থেকে আল্লাহ সকল মজলুমদেরকে হেফাযত করুক এই দোয়াই করি।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ কিংবা প্রকৃতি এই ভাইরাস সৃষ্টি করেছে, মানুষকেই ইহার প্রতিষেধক বের করতে হবে; প্রতিষেধক বের হওয়ার আগে, সরকার ও মানুষের সাহায্য করোণা থেকে দুরে থাকতে হবে।

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আগের মানুষ রোগ জানতো না, এবং মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে উপরওয়ালার গজব, শাস্তি ইত্যাদি ভেবে নিজেদের শান্তনা দিতো। এখন মানুষ অনেক সচেতন, কেন কি হচ্ছে? কোন রোগ কিভাবে আসছে- এসব জানতে পারছে; সমাধান খুঁজে বের করছে।
এইসব রোগশোক উপরওয়ার দেওয়া শাস্তি বা গজব মনে করে বসে থাকলে পৃথিবীতে মানবসভ্যতা অনেক আগেই বোধহয় বিলীন হয়ে যেতো। আমাদের মোল্লা, পুরোহিতরা এসব যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন তত মঙ্গল।

দ্বিতীয়ত, উপরওয়ালা বা প্রাকৃতিক গজব আসলেও তো 'কেন আসছে?' খুজখবর নিয়ে সমাধান বের করার চেস্টা করা দরকার। পানিপড়া, সুরাকালাম, গুমূত্র সমাধান হলে কলেরায় গ্রাম উজাড় হইতো না। বিশ্বাসীদের এসব ইতিহাস জানতে হবে, বুঝতে হবে।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার ধর্মীয়রা একদিকে চার্চে দোয়া করছে, অন্য দিকে সিডিসি'কে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে; বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইয়েমেন, আফগানিস্তানে ধর্মীয়রা দেশের সামাজিক ব্যবস্হাকে টেনে নীচে নামাচ্ছে।

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এমন গজব আগেও বিভিন্ন কওমের উপর
নাজিল হয়েছে। যেমন লুত (আঃ) ও নূহ
নবী (আঃ) এর কওমকে ধ্বংশ করা হয়েছে।
যারা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে
অর্থাৎ আস্তিক তারা একে গজব বলবে
আল্লাহর তরফ থেকে। আর যারা নাস্তিক
তারা ম্যাওপ্যাও করবে এবং তাদের সাথে
মাথামোটা কছিু সাগরেদ জুটে যাবে যারা
তিন নাম্বার ছাগ শিশুর মতো লম্ফঝম্ফ করবে।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন। আমিন

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ হাজার বছর আগেও, আরবের জনসংখ্যা খুব একটা বেশী ছিলো না; একমাত্র ইহুদীরা ব্যতিত বাকী সবাই নিজ গোত্র নিয়ে বাস করতো, তখন ভাইরাস ইত্যাদি বড় এলাকায় ছড়ানোর উপায় ছিলো না; ছড়ালেও আমরা জানবো না; কারণ, ইহুদীরা ব্যতিত বাকীরা ইতিহাস লিখতে পারার কথা নয়।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুকে কিছু গর্দভের কর্মকান্ড দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। এই সুরা আরো দশ জনকে ফরোয়ার্ড করলে এই হবে সেই হবে। করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকার দোয়া । এইসব হাবিজাবি পোস্ট মুলত ধর্মেরই ক্ষতি করে।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো বা খারাপ হোক, এরা এসব করছে নিজেদের ধর্মীয় জ্ঞান থেকেই

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: শহরে একদল মানুষ সচেতন হতে শুরু করেছে।
এমন কি অনেক প্রতিষ্ঠানও সচেতন হতে শুরু করেছে।
গতকাল এক অফিসে গেলাম, অথচ আমাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না মাস্ক না থাকায়।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিছু মানুষ সবই বুঝেন, না হয় দেশ আফগানিস্তানের মতো হয়ে যেতো ২০০১ সাল থেকে।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২০

রাজীব নুর বলেছেন:

ঢাকা শহরের বহু অফিসে করোনা থেকে রেহাই পাবার সুরা দেখা যাচ্ছে।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো থেকে দেশে ইডিয়টের পরিমাণ নির্ণয় করা সহজ হবে।

১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার লেখা আমি পড়ি, একমত সহমত লিখে এড়িয়ে যেতে চাই না, শুধু এতটুকু বলতে চাই ইসলাম সম্বন্ধে আমরা যা চিন্তা করি ইসলাম তার উর্ধ্বে। কোরআনের আয়াত দিয়ে আমি একটা ফাইল বানিয়েছি। যে যাই বলুক না কেন কেউ নির্দায় হতে পারব না। আমরা এক অন্যের সাথে সম্পৃক্ত। যতটা মহামারি শুরু হয়েছে তা কিন্তু পাক পবিত্রতার অভাব এবং শক্তির দাপট এবং অবৈধ সংগমের কারণ হয়েছে। ধর্মালয়ে বাস্তব বিষয় কম শিক্ষা দেওয়া হয়, মুখস্ত পড়া নিয়ে বেশি ব্যস্ত।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকের মানুষ যেসব সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলোর সমাধান মানুষকে করতে হবে; মানুষ সায়েন্স ও টেকনোলোজীর মাধ্যমে নিজেদের জীবনের মান বাড়াচ্ছেন; যারা ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ করছেন, তাদেরকেও কম্প্যুটার বুঝতে হবে, আধুনিক পেশা শিখতে হবে, সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, আমি আপনার সাথে একমত এই বিষয়ে। আজ আমি যতটুকু জেনেছি তা কিন্তু কম্পিউটারে সুবাদে। আমি ওষুধ খাই। এক্সে করাই। আমি অজু করি দিনে কম হলেও পাঁচ বার। ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সচেষ্ট। শুধু গরু খাওয়ার জন্য আমি ধর্ম পালন করি না। বায় দা ওয়ে আমি গরুখোর নই, আমার এলার্জি আছে। গরু কেন জবাই করার জন্য আদেশ করা হয়েছিল তা নিশ্চয় জানেন? গরু উপসনার যোগ্য নয়। গরু মানুষকে সৃষ্টি করেনি। মানুষ এবং গরু দুটাই সৃষ্ট।

(আপনার লেখা পড়ে আপনার সাথে মন্তব্য বিনিময় করে আমি সত্যি উপকৃত হই, অনেক কিছু জানতে পারি, যা জানি না তা জানার চেষ্ট করি)

১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো থাকুন, ২/৩ সপ্তাহের মাঝে ইউরোপ ও আমেরিকায় ভাইরাস কমে আসবে।

১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:০৬

সুপারডুপার বলেছেন: সাধারণ মানুষ যখন কোনো বিপদে পরে যার সমাধান সে জানে না, তখন সাহায্যের জন্য অদৃশ্য কোনো সুপারপাওয়ার কে স্মরণ করা তার স্বভাব। আর এ ক্ষেত্রে অদৃশ্য শক্তির কাছে প্রার্থনা তার মনে আত্নবিশ্বাস ও মানসিক শান্তি এনে দেয়। তখন সে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারে। ঠান্ডা মাথায় চেষ্টা করতে করতে একটা সময় সে সমাধানে পৌছায়। কিন্তু ওয়াজ মাহফিলে মোল্লারা যা করে এটা মানুষের মাথাকে ঠান্ডার পরিবর্তে গরম করে দেয়। মানুষ তখন তার চিন্তা শক্তি হারায়।

ধ্যান ও প্রার্থনা করোনা ভাইরাসের সচেতনায় পজিটিভ ভূমিকা রাখলেও, মোল্লারা করোনা ভাইরাসের সচেতনায় নেগেটিভ ভূমিকায় রেখে যাচ্ছেন।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতিগতভাবে, মুসলমানরা আধুনিক বিশ্বের জ্ঞান অর্জন করতে পারছে না, প্রয়োগ করতে পারছে না; আমাদের পদ্মাসেতু করছে চীনারা; আমাদের ভালো ছাত্ররা বুয়েট শেষ করে "তাবলিগ জামাতের" দাওয়াত দেয়।

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি মনে প্রাণে কামনা করি আপনার কথা যেন সত্য হয়, আরো আগে বাস্তব হলে আরো ভালো হবে। সকলের মঙ্গল হোক।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আশাকরি, আগামী ২/৩ মাসের মাঝে ভাইরাস সংক্রমণ কমে আসবে।

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: ইসলাম কখনো জ্ঞান নিতে নিষেধ করে নাই।
জ্ঞানের জন্য সুদুর চীন যেতেও বলা হচ্ছে।
সমস্যা হচ্ছে যারা ইসলামের ব্যখ্যা করেন তাদের।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামে ব্যাখ্যা সকরার মতো কিছু নেই; ইসলাম "বেদুইনদের এক করে, একটা শক্তিতে পরিণত করার মন্ত্র ছিলো।"

২১| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: লেখক বলেছেন:
ইসলামে ব্যাখ্যা সকরার মতো কিছু নেই; ইসলাম "বেদুইনদের এক করে, একটা শক্তিতে পরিণত করার মন্ত্র ছিলো।"

আপনার এই মতে বিশ্বাস আনলে ইমান থাকবে না :||

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম যা বলছে, জুডাইজম তাই বলেছে, খৃষ্টান ধর্ম তাই বলেছে; তা'হলে, আরবের দুর্গম এলাকায়, ঠিক একই ধরণের আরেকটি ধর্ম কেন এলো?

২২| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: ইসলাম যা বলছে, জুডাইজম তাই বলেছে, খৃষ্টান ধর্ম তাই বলেছে; তা'হলে, আরবের দুর্গম এলাকায়, ঠিক একই ধরণের আরেকটি ধর্ম কেন এলো?

জুডাইজমের পরে খ্রীষ্ট ধর্ম যে কারনে এসেছে, ইসলাম ও সে একই কারনে এসেছে :)

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


খৃষ্টান ধর্ম এসেছিলো, কারণ ইহুদীরা নিজেদের ধর্ম প্রচার করছিলো না; যীশুর বৈপ্লবিক পদক্ষেপসমুহ নতুন ধর্ম হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা পায় ও ইহুদীদের "অপ্রচারের" সুযোগ নিয়ে; আসলে ধর্ম ২টি একই।

বেদুইনদের সাথে ইহুদীদের সমস্যা ছিলো, ইহুদীরা সমাজে বাস করতো, শিক্ষিত ছিলো; আর বেদুইনরা গোত্রে বাস করতো ও অশিক্ষিত ছিলো; এই অশিক্ষিতদের জন্য ইহুদী ধর্মের অনেক পদ্ধতিকে বদলানো হয়েছে মাত্র।

২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে হলে বাংলাদেশে সবার আগে ভণ্ড ধার্মিক, উগ্রবাদী আর ভন্ড ওয়াজীদের লাইনে আনতে হবে।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের সরকার, ইউনিভার্সিটিগুলো ও শিক্ষিতদের যেই অবস্হা, বাংলাদেশ এখন কোন শিল্প বিপ্লবে আছে, সেটা বুঝাই মুশকিল; এখানকার অবস্হা ভাবলে, ভবিষ্যত অপরিস্কার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.