নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত ধরণের লোকজন নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ে না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০



হেফাজত ধরণের লোকজন নিজেদেরর অধিকারের জন্য লড়ে না; তারা আল্লাহের পক্ষে লড়ে, সংগ্রাম করে; অথচ, তারাই বলে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান; সর্বশক্তিমানের পক্ষে লড়তে হয়, নাকি নিজের জন্য ও দুর্বলদের জন্য লড়তে হয়? আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় মাওলানা হলেন মাওলানা ভাসানী; তিনি কৃষক, শ্রমিক, বেকার, গরীব জনসাধারণের জন্য লড়তেন; আইয়ুব খান উনাকে ভয় করতো, পুর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর, মোনায়েম খান উনাকে ভয় করতো, পুলিশ অফিসারেরা উনাকে ভয় করতো; অনেকবার পুলিশ অফিসারেরা উনাকে লাল দীঘিতে গ্রেফতার করতে এসে ফিরে গেছে, ভয়ে গ্রেফতার করেনি।

মাওলানা ভাসানীকে সরকারের লোকেরা ভয় করতো; ১৯৭১ সাল থেকে, দেশের সাধারণ মানুষ আমাদের মাওলানাদের বিশ্বাসও করে না, এবং ভয় পায়।

১৯৬৯ সালে, পাকী সরকার যখন শেখ সাহেবকে ঝুলানোর জন্য রশিতে মোম লাগাচ্ছিলো, মাওলানা ততকালীন সময়ে ১৪৪ ধারা ভেংগে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের দিকে রওয়ান হন, সেখানে মিলিটারী ছিলো, তারা উনাকে বাধা দিয়েছিলো; কিন্তু থামাতে পারেনি; কারণ, মিলিটারী জানতো যে, তিনি জনতার পক্ষে লড়ছেন, তিনি আল্লাহের জন্য লড়েননি, লড়েছিলেন মানুষের পক্ষে।

এবার হেফাজত নেমেছিলো আল্লাহ রসুলের পক্ষে, শেখ হাসিনা থামিয়ে দিয়েছে, আল্লাহ তাদের পক্ষে থাকার কথা; কিন্তু তারা সামান্য শেখ হাসিনার কাছে ১ দিনে পরাজিত হয়ে গেছে। তারা যদি নিজের জন্য নামতো, নিজের পরিবারের জন্য নামতো, পেশাহীন মোল্লাদের পক্ষে নামতো, এতিম বাচ্চাদের পক্ষে নামতো, দেশের বেকারদের পক্ষে নামতো, করোনার চিকিৎসার জন্য নামতো, টিকার জন্য নামতো, গার্মেন্টস'এর মেয়েদের বেতনের জন্য নামতো, গার্মেন্টস'এর বেকারদের ভাতার জন্য নামতো, শেখ হাসিনা কাঁপতে থাকতো।

বাংগালীরা ১৯৫২ সাল থেকে সংগ্রাম করে এসেছেন , তাঁরা ১৯৬৬ সালে লড়েছেন, ১৯৬৯ সালে লড়েছেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন; তাঁরা নিজের জন্য লড়েন, জাতির জন্য লড়েছেন, তাঁরা মানুষের জন্য লড়েছেন, তাঁরা মানবতার জন্য লড়েছেন, তাঁরা জয়ী হয়েছেন; যারা ভাঁওতাবাজী করে ইসলাম রক্ষার নামে বাংগালীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলো, তারা পরাজিত হয়েছে, এখনো তারা নাকি আল্লাহের জন্য সংগ্রাম করছে? শেখ সাহবের ভাস্কর্য নাকি আল্লাহ পছন্দ করেন না। আসলে, শেখ সাহেবের "একাধিক" ভাস্কর্য আমিও পছন্দ করি না; মানুষের টাকায় শেখ হাসিনা মানুষের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করে না, ভাস্কর্য বানায়, উহা কার দরকার? হেফাজতেরা নিজের জন্য লড়তে পারতো, আমার জন্য লড়তে পারতো, তারা সেটা না করে সর্বশক্তিমানের পক্ষে লড়তে চায়, যিনি একাই যথেষ্ঠ!

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৭

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি যে নামার কথা বলছেন ওই নামায় মধু নাই, ওই নামা নামলে কোন লাভ নাই, সবাই ভাসানী না কিন্তু অনেকেই মোউলানা!! আপনাকে বুঝতে হবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বুঝতেছি, কোটী কোটী বেকুবে দেশ ভরে গেছে, একটা মওলানা ভাসানী নেই এদের মাঝে।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ব্লগেও আল্লার পক্ষে অনেকেই লড়ে যাচ্ছেন, যুক্তিতর্ক করে আল্লার পক্ষে লড়াই করে যাচ্ছে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এরা সবাই শক্তিমানের পক্ষে সৈনিক, নিজের বেলায় নেই, তাই মুখ বাড়ছে, আয় নেই।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: হেফাজতসহ সমস্ত ইসলামিক দল গুলো একেবারে মুছে ফেলা দরকার। আসলে এদের বুদ্ধি কম। অন্যরা তাদের ব্যবহার করছে নিজেদের সুবিধার জন্য।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



হেফাজত ধরণের নাগরিক যত বাড়ছে, জাতির মাথপিছু আয় তত কমছে।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভাসানী লড়াই করেছে গরীব দুঃখীদের জন্য আর এড়া লড়াই করে৭২ টা হুরের জন্য।বক্তব্য দিতে যখন দাড়ায় হুরের প্রসঙ্গ আসলেই এদের চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে যায়।মনেহয় হুর তার নাগালের মধ্যে।

ভাসানী নিজে খুব বিত্তবান ছিলেন না।আশেপাশের লোকজন যখন রোগের কারনে পানি পড়ার জন্য আসতো তখন উনি পানি পড়া দিতেন,সাথে সাথে সাধ্যমত টাকা পয়সা দিতেন ঔষধ কিনে খাবার জন্য।আর বর্তমানের হুজুররা শুধু নিতে জানে দিতে জানে না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মোল্লাদের কোন পেশা নেই, এদের কোন দক্ষতা নেই; এদের পরিবার অনেক কষ্ট করে; কিন্তু মোল্লাদের বোধশক্তি নেই।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৫৯

আমি নই বলেছেন: আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্যাচাল প্রিয় বানরের বংশধরদের একভিটিস সবার আগে নিষিদ্ধ করা দরকার। এরা উসকানি মুলক বক্তব্য/লেখার মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তি নষ্ট করতে চায়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাড়ে ৮ বছর আছেন ব্লগে, ১টা পোষ্ট লিখতে পারেননি, আপনার বক্তব্য কে শুনবেন?

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩৯

আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন:
সাড়ে ৮ বছর আছেন ব্লগে, ১টা পোষ্ট লিখতে পারেননি, আপনার বক্তব্য কে শুনবেন?


আপনারটাই বা কে শুনছেন :) :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার বক্তব্য শুনছেন বুদ্ধিমান ব্লগারেরা, আপনার কোন বক্তব্য নেই, থাকার কথাও না।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৭

অধীতি বলেছেন: নিঃস্বার্থ লোক অনেক আছে কিন্তু টাকা নেই। টাকা আছে মানসিকতা নাই একটা গ্রন্থগার করে দেয়ার। অথচ আশি হাজার টাকা দিয়ে আমরা বক্তা আনি "ঠিক কিনা" শুনতে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


৮০,০০০ টাকা দিয়ে কা'কে কিজন্য আনা হয়?

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৫

অধীতি বলেছেন: নাম বলব না, আমার বন্ধুরা একজন বক্তাকে সত্তর হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছে ওয়াজ শোনার জন্য। অথচ ঐ টাকায় সুন্দর একটা গ্রন্থগার করা যেত।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওয়াজ ইত্যাদি হচ্ছে বেকুবদের জন্য বেকুবী বক্তব্য। বর্তামন তরুণরা পাঠ্য বইও পড়ে না; বইমেলায় ৯০% গার্বেজ বই বিক্রয় হয়; নতুন লেখক নেই বললেই চলে।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার নিজের লেখা কোনো বই আছে?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



না, আমার লেখা বই নেই।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: ৭নং মন্তব্যে আমি একমত।

বাংলাদেশে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বেশি হয় সরকার যেখানে যেখানে ভাস্কর্য করবে বলে প্লান করেছে ওখানে ভাস্কর্য না করে গ্রন্থাগার করে দিলেও পারতো এবং বছর শেষে পাঠকদের জন্য পুরস্কারের ব্যাবস্থা করলে দেশে পাঠক সংখ্যা বাড়তো। দেশে প্রতিবছর ওয়াজ মাহফিলের পিছনে যে টাকা খরচ করে সে টাকা দিয়ে বিভিন্ন হাদিস/ইসলামিক বই কিনে সাধারণ জনগনকে দিলে প্রতিবছর ওয়াজ দিতে হয়না তারা হাদিস কুরআন পড়ে অনেক কিছু জানতে পারতো তাহলে অন্তত দেশে ভন্ড পীরদের সংখ্যা কমতো কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশে হুজুরদের 'ঠিক না বেঠিক' শোনার জন্যে যে লোক পাওয়া যাবে তার ৫০ ভাগের এক ভাগও কোরআন হাদিস পড়ার জন্য পাওয়া যাবে না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষের টাকা খরচ করে, শেখ হাসিনা মানুষের জন্য টিকা কিনেননি; উনি রিলিফের আশায় আছেন; সেখানে মানুষের টাকায় আবার কিসের ভাস্কর্য?

শেখ সাহবে জাতীয় নেতা হিসেবে একটা প্রতিকৃতি থাকতে পারে, সেটাও মানুষের দানের টাকায় হওয়া উচিত।

ওয়াজ হলো রূপকথার আসর

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

গফুর ভাই বলেছেন: ভালো লাগলো বলার মত কথা শুনে।আমিও নিজে বিশ্বাস করি আপামর জনতার কথা না বল্লে সার্থ কেন্দ্রিক কথা বলা হলে কোন দল আওয়ামিলীগ কে হটিয়ে ক্ষমতায় যেতে পারবে নাহ। আমি গত দশ বছরে দেখালাম বিএনপি কে জনতার সার্থ কাজ করে এজেন্ডা নিয়া কাজ করে এমন ইস্যু নিয়া আন্দোলনে যায় নি হাসি পায় এটা দেখে যে তারা ক্ষমতায় যাবার জন্য সবার কাছে ভিক্ষা চায় আর্তনাদ করে যার ফলে তার কথা কেও শুনে নাহ।যদি এই পৃথিবীতে টিভি নামক বস্তু না থাকত তাহলে তাদের দলের স্থান হয়ে যেত স্কুলের সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পাতায়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিএনপি'র ১ জন মানুষও রাজনীতি জানে না, বাংলাদেশের সব ফালতু এক যায়গায় একত্রিত হয়েছিলো; আওয়ামী লীগও এখন সেই রকম; কিন্তু তারা প্রশাসন, মিলিটারী ও পুলিশকে তাদের পক্ষে নিতে পেরেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.