![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
দেওয়ানবাগী সম্পর্কে আগেও অনেক পোষ্ট এসেছিলো ব্লগে, উনার সম্পর্কে ব্লগের ধর্মীয় লেখকেরা সব সময় খারাপ মন্তব্য করতেন; এবার উনার মৃত্যুর পর যেই কয়টা পোষ্ট এসেছে, সবগুলোতে উনাকে খারাপ লোক হিসেবে দেখানো হয়েছে, খারাপ মন্তব্য করা হয়েছে; এক লেখক বলেছেন যে, দেওয়ানবাগী শাস্তি শুরু হয়েছে দুনিয়ায়; এগুলো হচ্ছে, পেশাগত বৈরিতা।
ধর্মে এসব সুযোগ ছিলো ধর্মের শুরু থেকেই; আমরা যে বড় বড় পীরদের নাম শুনি, উনারা কি করতেন? ব্লগের বাহিরে, পুরান ঢাকায় উনার মুরীদদের কাছে উনার গল্প শুনুন, ওরা উনার সম্পর্কে হাজার হাজার মিরাকেলের গল্প করতে পারবেন। এগুলোর কোন ভিত্তি আছে? আসলে কিছুই নেই, এটাই হাজার বছর থেকে চলে আসছে। চট্টগ্রামকে ১২ আওলিয়ার দেশ বলা হয়; এইসব আওলিয়ারা কারা, এরা কি করেছেন? এরা কোন না কোনভাবে দেওয়ানবাগীর মতো প্রফেশানেল ছিলেন, মানুষের মনসতত্ব বুঝে তাদেরকে খুশী করার মতো কথা বলতেন, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতেন, তাদের দেয়া টাকা পয়সায় নিজে ধনী হয়েছেন, অনেকে সেই টাকা থেকে অনেক লোকজনকে খাওয়ায়েছেন, এটাই আসল ইতিহাস।
আমি দেওয়ানবাগীর নামটাও জানি না; আমি উনার কিছু কার্যকলাপের গল্প শুনি আমাদের এলাকার এমপি থেকে; ২০১৪ সালে, আমাদের এলাকা থেকে যিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি নির্বাচনের ১ সপ্তাহ পরে, দেওয়ানবাগী থেকে ফোন পান; দেওয়ানবাগী উনাকে ফোনে বলেন যে, এমপি'র ভবিষ্যত উনি দেখতে পাচ্ছেন, এবং উনি ইচ্ছা করলে এমপি'কে মন্ত্রী বানিয়ে দিতে পারবেন। এমপি দেওয়ানবাগীর আস্তানায় যাননি; দেওয়ানবাগী ৩য় কলের সময় উনাকে 'বোকা' বলে সম্বোধন করলে, এমপি রেগেমেগে দেওয়ানবাগীকে বলেন যে, ভুললে চলবেনা যে, উনি আওয়ামী লীগের এমপি; তখন দেওয়ানবাগী উনাকে ভয় দেখান যে, আগামীবার তুমি নমিনেশন পাবে না। আমাদের এলাকার এমপি ব্যবসায়ী লোক, তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভালোভাবে বুঝতেন।
ব্লগে যারা ধর্ম প্রচার করেন, তারা দেওয়ানবাগীকে পছন্দ না করার কারণ হলো, ২ জন ধর্মীয় ভাবনার লোকের ভাবনায় গরমিল থাকবে, বৈরিতা থাকবে; কারণ, ধর্মের কোন লজিক্যাল ডাইমেনশন নেই, ইহাকে যেজন যেভাবে নিবে, সেটাই উহার ডাইমেনশন, ইহা কোন লজিক্যাল তত্ব নয়, ইহা আদি ট্রেডিশনের সমষ্টি মাত্র।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি মানুষকে ঠকান নাই, উনি বেহেশতের রুমের রিজার্ভেশন দিয়েছেন।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪
অধীতি বলেছেন: উনি রহস্যময় ব্যক্তিত্ব। উনি বুদ্ধিমান। কখনো মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলেন নাই।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে রাজনীতি ও ধর্ম হলো সবচেয়ে বড় ব্যবসা।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেওয়ানবাগী অন্যান্য পীরদের ও কতিপয় ইসলামী রাজনৈতিক দলের লোকদের ঈর্ষার শিকার।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম ব্যবসার লোকেরা হিংস্র, ওদের মাঝে ভয়ংকর প্রতিযোগীতার সম্পর্ক থাকে; কারণ, এদের মাঝে জল্লাদ আছে।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০
নতুন বলেছেন: উনি হয়তো মানুষিক রুগী, কল্পনায় আল্লাহে দেখতেন, রাসুল সা: কে স্বপ্নে দেখতেন তাই প্রচার করতেন।
আহাম্মক মূর্খ ধমান্ধরা তার মুরিদ ছিলো যাদের নিজেস্ব চিন্তা নাই তারাই তো অন্যের চিন্তায় চলে।
এখন তার ছেলে বাবার গদিতে বোসবে এবং প্রচার করবে যে তাকে বাবা আল্লাহের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনিও বড় হনু।
পীর ব্যবসা খুবই লাভ জনক। আমি গত সপ্তায় এক পীরের নাতীর বউ এর জন্য একজোড়া জুতা+ এটা ভ্যানেটি ব্যাগ দেশে পাঠিয়েছি দাম ১৪৫০০০ টাকার মতন হবে।
দেশের মানুষ সচেতন না হলে ধান্দাবাজেরা মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবেই।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের মানুষকে সচেতন হওয়ার সুযোগ শেখ হাসিনা দিচ্ছেন? মানুষের টাকায় উনি মানুষকে পড়তে দিচ্ছেন না, টিকা ক্রয় করেননি ঠিক সময়; উনার মাথায় সঠিক কোন ভাবনা নেই; উনি বর্তমানে জাতির জন্য বড় সমস্যা হয়ে গেছেন।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধার্মিক ।
কিন্তু তারা সৎ নয়।
তাদের অধিকাংশই নামাজি।
কিন্তু ঘুষখোর।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের অবস্হা মানুষকে ভেঁড়ায় পরিণত করেছে; শেখ হাসিনা সেটাই চাইছেন। শেখেরা আসলে মনেপ্রানে জমিদার মানুষ।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬
নতুন বলেছেন: ভিসনারী লিডার শেখ হাসিনা না। তার কাছে এই গুলি আশা করতে পারেন না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন আরব্য উপন্যাসের দৈত্যের মতো জাতির ঘাঁড়ে বসে আছেন।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: ওনি বেঁচে থাকতে ব্যবসা করে গেছে এখনও অনেক পীর করে যাচ্ছেন এক পীরের মুরীদের সাথে অন্য পীরের মুরীদের মিল নেই। আমাদের এলাকায় এটা নিয়ে মাঝে মাঝে সংঘাত হয় কোনো পীর বলে মোনাজাত দেয়া যাবে আবার অন্য পীর বলে মোনাজাত দেয়া যাবে না দেশের কিছু পীরেরা ধর্ম প্রচারের নামে উগ্রতা ছড়ায়। সাধারণ মানুষ কিছুই বোঝে না তারা কিছু কাহিনি শুনে চোখের পানি নাকের পানি ফেলে আর বস্তায় বস্তায় টাকা দিয়ে পীরদের খেদমত করে। কিছু মানুষ ভাবে পীরদের টাকা দিলেই বুঝি ভেহেস্তের টিকিট পেয়ে গেলো। মানুষ যে কবে সঠিক শিক্ষা পেয়ে এসব বুঝবে কে জানে...
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
পীর ব্যবসা এই রকমই।
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: উপমহাদেশে সব থেকে নিরাপদ ও কার্যকর ব্যাবসা হোলো ধর্ম ব্যাবসা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের মাঝে উপমহাদেশ ও আরবে বেকুবের সংখ্যা অনেক অনেক বেশী; সাথে আফগানিস্তান, উজবেক ও ইরানীদের যোগ করা যেতে পারে।
৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭
আমি সাজিদ বলেছেন: ১৪ র ইলেকশনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো ইলেকশান নয়, বাংগালী জাতিকে ইডিয়টে পরিণত করার পদক্ষেপ।
১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: নিজের চোখে দেখা একটা ঘটনা।
আমাদের এলাকায় এক লোক একটা ব্যাংকে চাকরি করেন। ভালো লোক। স্ত্রী পুত্র কন্যা আছে।
একদিন সে দেওয়ানবাগীর মুরিদ হয়। তারপর এক বছরের মধ্যে তিনি পাগল হয়ে যান। এখন খালি গায়, খালি পায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
পীরের আশেপাশে বেকুব, পাগল, উন্মাদ, হিংস্র, জেচ্চোর, মাদক ব্যবসায়ী, শঠেরা সমবেত হয়; ফলে, উহার প্রভাব পড়বেই।
১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আইডিয়াল স্কুলের সামনের রাস্তা জুড়ে বানানো হতো পেন্ডেল।আমার বাসা থেকে বেরুতে এবং ঢুকতে চোখ যেত স্টেজের দিকে।
পীর সাহেব বসে আছেন পাশে বসে আছেন দুই একজন মন্ত্রী এবং বিচারপতি।চলতি পথে দুই একটা কথা কানে আসতো,দাড়িয়ে কখনো শুনি নাই।তখন অবশ্য এরশাদের শাসন।সাধারন লোকের আর দোষ কি!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
জিয়া ছিলো জল্লাদ, এরশাদ ছিলো শিয়াল, বেগম জিয়া ছিলো মুরগী; এগুলো হলো জাতিকে ধ্বংস করার তরিকা।
১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লক্ষ লক্ষ মানুষ তার মুরিদ হয় কি করে?
এই মুরিদগন কোন শ্রেনীর মানুষ?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লক্ষ তো কিছুই না, এই দেশের অর্ধেক মানুষকে ভেঁড়া করে রেখেছিলো মিলিটারী, বেগম জিয়া ও বর্তামানে শেখ হাসিনা; এই ভেঁড়াদের যা করার তাই করছে।
১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পীররা প্রচন্ড শক্তির অধিকারী - অনেক মিরাকেল দেখতে পারেন, সুতরাং ভেড়ার পাল তাকে ভগবানের মতো মাথায় তুলে রাখবে এটাই স্বাভাবিক। স্বৈরাচারী লুচ্ছা লাফাঙ্গা লেজেহোমো এরশাদ নিঃসন্তান ছিলেন, তার হুজুর আটরশির পীর তার অলৌকিক শক্তিবলে এরশাদের সন্তান জন্মদান করিয়ে ছেড়েছিলো। এদের মিরাকলের কাছে বিজ্ঞানও তুচ্ছ। এরা চাইলে সূর্যকে উত্তর দিকে উত্তিতও করতে পারে যা শুধু তার অনুসারীরা দেখতে পায়। আপনার আমার মতো ব্যাক্কলরা তা কখনো দেখতে পাবে না।
এই সকল মিরাকলের অধিকারী পীরের অনুসারী বলেই হোমো এরশাদকে মানুষ সাচ্চা মুসলিম হিসাবেই জানে, তা সে যতই অসৎ, লম্পট ও হত্যাকারী হোক না কেন ।
আসলে জাতিগতভাবে বাঙালিদের এটি নৈতিক অধঃপতন হয়ে গেছে যে এরা ভালো-মন্দের পার্থক্যটুকু করতেই চরমভাবে অক্ষম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এরশাদ, বেগম জিয়া, নিজেরাই ছিলেন ভয়ংকর দুষ্ট মানুষ; এরা নিজকে ব্যতিত কাউকে চিনতো না; দু:খের বিষয়, শেখ হাসিনাও এখন সেই পথে; মানুষজন এরশাদ ও বেগম জিয়াকে ভুলে যাবেন; কিন্তু শেখ হাসিনা অপমানিত হবেন।
১৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
এমেরিকা বলেছেন: ধর্ম হচ্ছে এমন জিনিস, যেটাকে ব্যবহার করে সহজেই অশান্তি সৃষ্টি করা যায়। দেওয়ানবাগীরা সেই সুযোগ নিচ্ছে। আপনি যেই ঘটনার কথা বললেন এতেই বুঝা যায়, তার অগাধ সম্পত্তির উৎস কি? পীরদের আয়কর ধরলে সরকারকে দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশীদের কাছে ভিক্ষকের মত হাত পাততে হয়না।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি দেশের অশিক্ষিতদের চেয়েও সামান্য কম বুঝেন বলে মনে হচ্ছে!
১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দেওয়ানবাগী প্রচন্ড ভন্ড, মূর্খ এবং গোমরা লোক। সে যেদিন মারা যায় সেইদিন ঐপথে বাসায় ফিরছিলাম শত শত লোক তাকে দেখার জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছে সেই লোকদের দেখে আমার মনে হলো এদের ৯৮% হলো গাঁজাখোর টাইপের এবং গোমূর্খ। এই টাইপের লোকই তার ভক্তকূল ফলে যা হবার তাই হয়।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই লোকের মুরীদদের সমান লেভেলের কি পরিমাণ মানুষ আমাদের জাতিতে আছে?
১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি আছে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাই হবে।
১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: দেওয়ারবাগীর কাছে আপনি মুরীদ হতে পারতেন। মুরীদ হয়ে তাকে আপনি লাইনে আনতেও পারতেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি সময় পাইনি; স্কুলে থাকার সময় আমি মাইজভান্ডারে যেতাম।
১৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বড় ধরনের ভন্ড পীর ছিলেন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় কোন পীর ভন্ড নয়? ধর্ম এখন ভন্ডদের ব্যবসাবুদ্ধি
১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৪
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ইসলাম কখনো ভন্ড, নাস্তিক, বিধর্মী, মাজার, মুরিদ, সন্ত্ররাস, জঙ্গি, খুন, হত্যা এসবের প্রশ্রায় দেয় না। যারা ইসলামের নাম করে এই সব করে তাদের স্থান সৃষ্ট্রিকর্তা তৈরি করে রেখেছেন। যেদিন সে স্থানে ওদের টেনে নেওয়া হবে সেই দিন বুজবে কত ধানে কতটা চাল হয়েছে। তাই দেওয়ানবাগী, আতরশি, আরো আরো কি কি মাজার পীর আছে আমার জানা নেই। এরা সবাই পাগল, আর রাজনীতি, অর্থ, এদের কাছে প্রিয় এরা ইসলামের বাইরে। ইসলামে এদের কখনো জায়গা দেয়না, আর কখনো দিবেও না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
জুডাইজম, খৃশ্চিয়ানিজম ও ইসলাম, এই ৩ ধর্মের মাঝে বেশী ভন্ডামী করার সুযোগ আছে ইসলামে; মুসলমানরাই একামত্র অশিক্ষিত সম্প্রদায়।
২০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দেওয়ানবাগী সম্পর্কে ভালো ও মন্দ বলার লোকের অভাব নেই। আমি জরুরী একটি তথ্য দিচ্ছি হাল সময়ে বাংলাদেশে যে কয়জন পীর আছেন তার মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিত্তশালী পীর দেওয়ানবাগী। মানুষ কতোটা বেপোরোয়া হলে তাকে অর্থ বিত্ত সম্পত্তি দিয়ে দিয়ে এতোটা উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে কল্পনা করা যায়?
এক লোক মগবাজারে আস্ত সাত তলা ভবন দেওয়ানবাগীর ফান্ডে ওয়াক্ফ করে দিয়ে দিয়েছেন। দেয়ানবাগীর কি পরিমান এ্যাসেট তা সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে।
আসলে বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্ব দেওয়ানবাগীর মতো লোকের কবলে আছে। কেউ ধর্ম বিক্রি করে খাচ্ছে কেউ রাজনীতি।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকে বাংলাদেশে রাজনীতি করে লুটপাট চালাতে আওয়ামী লীগের লাইসেন্স দরকার, পীর হতে লাইসেন্স লাগে না।
২১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধর্মে এসব সুযোগ ছিলো ধর্মের শুরু থেকেই; আমরা যে বড় বড় পীরদের নাম শুনি, উনারা কি করতেন? ব্লগের বাহিরে, পুরান ঢাকায় উনার মুরীদদের কাছে উনার গল্প শুনুন, ওরা উনার সম্পর্কে হাজার হাজার মিরাকেলের গল্প করতে পারবেন। এগুলোর কোন ভিত্তি আছে? আসলে কিছুই নেই, এটাই হাজার বছর থেকে চলে আসছে। চট্টগ্রামকে ১২ আওলিয়ার দেশ বলা হয়; এইসব আওলিয়ারা কারা, এরা কি করেছেন? এরা কোন না কোনভাবে দেওয়ানবাগীর মতো প্রফেশানেল ছিলেন, মানুষের মনসতত্ব বুঝে তাদেরকে খুশী করার মতো কথা বলতেন, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রাখতেন, তাদের দেয়া টাকা পয়সায় নিজে ধনী হয়েছেন, অনেকে সেই টাকা থেকে অনেক লোকজনকে খাওয়ায়েছেন, এটাই আসল ইতিহাস।
-আগেকার আমলের হক্কানি পীরগণ চাঁদাবাজি করেননি। কখনোই করেননি। তাদের কাছে স্বেচ্ছায় সমাজের ধনবানগণ হাদিয়া, অনুদান পেশ করতেন। আর হক্কানি পীরগণ সেসব অর্থ সম্পদ ও হাদিয়া অনুদান সাধারণ গরিবদের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দিতেন। তাদের খাওয়াতেন। ধর্মের পথে ব্যয় করতেন। মসজিদ মাদরাসা, পাঠশালা করতেন। মানুষের শিক্ষার পেছনে ব্যয় করতেন। এসব সম্পদে নিজেরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হতেন না। নিজেদের পেট তাদের কখনোই এমনভাবে ফুলে ফেঁপে উটের কুজের মত হয়ে উঠতো না। নিজেরা কখনো গাড়ি বাড়ি জমিদারির মালিক বনে যেতেন না। কিন্তু এখকার সময়ে এগুলো হরহামেশা দেখা যায়।
আমি দেওয়ানবাগীর নামটাও জানি না; আমি উনার কিছু কার্যকলাপের গল্প শুনি আমাদের এলাকার এমপি থেকে; ২০১৪ সালে, আমাদের এলাকা থেকে যিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি নির্বাচনের ১ সপ্তাহ পরে, দেওয়ানবাগী থেকে ফোন পান; দেওয়ানবাগী উনাকে ফোনে বলেন যে, এমপি'র ভবিষ্যত উনি দেখতে পাচ্ছেন, এবং উনি ইচ্ছা করলে এমপি'কে মন্ত্রী বানিয়ে দিতে পারবেন। এমপি দেওয়ানবাগীর আস্তানায় যাননি; দেওয়ানবাগী ৩য় কলের সময় উনাকে 'বোকা' বলে সম্বোধন করলে, এমপি রেগেমেগে দেওয়ানবাগীকে বলেন যে, ভুললে চলবেনা যে, উনি আওয়ামী লীগের এমপি; তখন দেওয়ানবাগী উনাকে ভয় দেখান যে, আগামীবার তুমি নমিনেশন পাবে না। আমাদের এলাকার এমপি ব্যবসায়ী লোক, তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভালোভাবে বুঝতেন।
-তিনি যে কত বড় পীর ছিলেন তা বুঝতে হলে আপনার এই পোস্ট পড়া দরকার। কারণ, তাকে পরিমাপ করার জন্য তার সম্মন্ধে শোনা আপনার এই গল্পটিই যথেষ্ট। একজন এমপিকে যিনি ফোন করে থ্রেট করতে পারেন, বারবার বিরক্ত করতে পারেন, সাধারণ মানুষ তার কাছে যে গণনার কোনো বিষয়ই নয়, এটা কি খুব সহজেই বুঝা যায় না? এমপির কাছ থেকে সম্ভবতঃ অবৈধ কোনো ফায়দা লুটে নেয়ার খেয়াল ছিল তার। এগুলো হয়তো ভিন্নরকম চাঁদাবাজি। বড় ধরণের ধান্ধা থাকে এসবের পেছনে।
ব্লগে যারা ধর্ম প্রচার করেন, তারা দেওয়ানবাগীকে পছন্দ না করার কারণ হলো, ২ জন ধর্মীয় ভাবনার লোকের ভাবনায় গরমিল থাকবে, বৈরিতা থাকবে; কারণ, ধর্মের কোন লজিক্যাল ডাইমেনশন নেই, ইহাকে যেজন যেভাবে নিবে, সেটাই উহার ডাইমেনশন, ইহা কোন লজিক্যাল তত্ব নয়, ইহা আদি ট্রেডিশনের সমষ্টি মাত্র।
-আপনার এসব কথা ভুল। ব্লগে যারা ধর্ম প্রচার করেন, তারা দেওয়ানবাগীকে পছন্দ না করার মূল কারণ হলো, তিনি ধর্মকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে নিজের মত করে ধর্মের অপব্যাখ্যা করেছেন। আর ধর্মের কোন লজিক্যাল ডাইমেনশন নেই বলে আপনি যে কথা বলেছেন তারও কোনো ভিত্তি নেই। ধর্ম সম্মন্ধে আপনার সঠিক ধারণার অভাবের কারণেই হয়তো এই ধরণের কথা বলতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ।
২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
হক্কানি, হুক্কানী পীরগণ নিজেরা বেকুব ছিলেন, বা ধুর্ত ছিলেন; সব পীরেরা মিলে মুসলমানদের বেকুব সম্প্রদায়ে পরিণত করেছে; যেকোন ইহুদী মানুষ, যেকোন মুসলমান থেকে গড়ে বেশী জ্ঞানী।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৮
মুজিব রহমান বলেছেন: একদিকে উগ্র সালাফিবাদীরা তাদের মতাদর্শের বিপরীতে থাকায় তার বিরুদ্ধে বলতো। আবার প্রগতিশীলদের পীরবিরোধী মনোভাবের কারণেও তার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ বলতো। এতো বলার পড়েই তিনি বহাল তবিয়তেই রাজার হালে ছিলেন। কায়েম করেছিলেন এক প্রতারণাময় সাম্রাজ্য। তিনি মানুষকে ঠকিয়েই অগাধ টাকার মালিক হয়েছেন।