নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মের ১টি অপধারণার রাষ্ট্রীয় প্রয়োগ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩



দিনাজপুরের ফুলবাড়ির আয়েশা সিদ্দিকার এজুকেশানেল কোয়ালিফিকেশন, ফাজিল পাস; বাংলাদেশে, এই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একজন নারী কি কি পেশায় চাকুরী পেতে পারেন? আসলে, পুরুষ হলে মোয়াজ্জিন, ইমাম, কিংবা মক্তবে পড়াতে পারতেন; গড় জীবনযাত্রার জন্য নগণ্য আয়; কিন্তু বাংলাদেশে নারীদের জন্য এসব পেশায় সামান্য বেতনের চাকুরীও নেই, নারী হলে ইসলাম তাঁদেরকে এসব করতে দেয় না; আমেরিকায় ২/৪ জন নারী ইমাম আছেন।

আয়েশা সিদ্দিকা নতুন করে পড়ালেখা করে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হয়েছেন; এরপর, উনি নিজের ইসলামী শিক্ষাকে কাজে লাগায়ে কাজী হওয়ার চেষ্টা করেছেন, এখানে আবার ইসলাম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে; বলা হচ্ছে, বিয়ে একটি পবিত্র কাজ, নারী বিয়ে পড়াতে পারবেন না, কারণ হচ্ছে, নারী নাকি কিছু সময় "অপবিত্র" থাকেন! একজন নারী কি কারণে অপবিত্র থাকবেন?

একজন মানুষ অপরিস্কার থাকতে পারেন, কিন্তু "অপবিত্র" থাকতে পারেন না; মনে হয়, নারীদের মাসিকের সময়টাকে বেদুইনরা মনে করতো "অপবিত্র" সময়; কারণ, বেদুইনরা বরাবরই অশিক্ষিত ছিলো; নারীদের মাসিক একটি ফিজিওলজিক্যাল প্রক্রিয়া, যা মানবদেহের অন্যসব প্রক্রিয়ার মতোই।

নারীদের এই ফিলিজিওলজিক্যাল প্রক্রিটাই মানব সমাজের সৃষ্টির মুল ফিজিওলোজিক্যাল প্রক্রিয়া, ইহা কেন অপবিত্র হবে? বেকুব বেদুইনদের অনুসারী হচ্ছে আমাদের কোর্টের বেকুব জর্জ সাহেব।

বাংলাদেশের মানুষ কম-শিক্ষিত, তারা নারীদেরকে অধিকার না দেয়ার পক্ষে অনেকটা; এমন কি রাষ্ট্রও এখানে আয়েশার অধিকার হরণ করছে ধর্মের দোহাই দিয়ে; আশেয়া দেশের কোর্টে গিয়ে পরাজিত হয়েছেন, কোর্ট বলছে যে, বিয়ে হলো পবিত্র বিষয়, যেহেতু নারীরা কোন এক সময়ে "অপবিত্র" থাকেন, তাঁরা কাজী হিসেবে কাজ করতে পারবেন না, রাষ্ট্র্র একজন নাগরিকের অধিকার খর্ব করছে ইসলাম ধর্মের নামে; ইসলামে, ততকালীন বেদুইনদের অনেক প্রথা সংযোজিত হয়েছে, সেগুলো ভুল ছিলো; সেই ভুলের জন্য আজকে একজন বাংলাদেশী নাগরিক নিজের অধিকার হারাচ্ছেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চিন্তার বিষয়! আয়েশা এখন কি করবেন? আমার জানামতে আয়েশা নামক বিশ্ব বিখ্যাত পারফিউম আছে, আয়েশা তার দুঃখ আয়েশা পারফিউমকে জানাতে পারেন, তাতে করে নামে নামে যমে টানে, আয়েশা পারফিউম কিছু একটা করলেও করতে পারে। এসব ব্লগে ফেসবুকে লিখে সমাধান হবে না - আয়েশা নিজের জন্য নিজে কিছু করতে হবে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আয়েশাদের ভাবতে হবে, শেখ হাসিনাকে কিভাবে ইমপিচ করতে হয়; শেখ হাসিনা নিজের বাবার মত বড় চাকুরী নিয়ে বসে থাকে, বাকী নারীদের পেশা হলো: চাকরাণী, ঝি, গার্মেন্টস কন্যা।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আয়েশা নিজের জন্য নিজে কিছুই করতে পারবেনা।ধর্ম ও রাষ্ট্র তাকে ঠিক করে দিবে,তোমাকে এই এই করতে হবে বেদুইনরা যা করেছে।
তুমি যদি দাসী হও তবে বেদুইনদের ধর্মের লোকদের অনেক সুবিধা।তারা অলিখিত সর্তদিয়েছে,তোমরা যদি লোক পাঠাতে চাও তবে তোমাদের নারীদেরকেও পাঠাতে হবে।আমাদের ১৪০০ বছরের স্বভাব আমরা ছাড়তে পারব না,যেটা আমাদের ধর্ম আমাদের ঠিক করে দিয়েছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য কিছুই করেনি; উনার পরিবারের লোকেরা বড় বড় চাকুরী ও ব্যবসা করছে, দেশটাকে নিজেদের পারিবারিক কলোনীতে পরিণত করেছে

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ক্ষমতায় থেকেও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে,সেখানে অন্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সহজ কথা না।দলের বেশির ভাগ নেতা কর্মী সুযোগসন্ধানী তাদেরকে দিয়ে ভাল কিছু করা অনেক ঝক্কিঝামেলার কাজ।
অধিকার যে প্রতিষ্ঠা করবে অধিকার আধায়ের আন্দোলন কোথায়।কার কি অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাষ্ট্রের সম্পদ, সুযোগ সম্পর্কে আপনার ধারণা খুবই দুর্বল।

২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা বিশাল ক্ষমতার অধিকারী, উহা তিনি বুঝতে পারেননি; আসলে, আধুনিক রাষ্ট্র সম্পর্কে উনার ২ পয়সার ধারণাও নেই। উনি নিজ "রাজনৈতিক" দলকে লাঠিয়ালে পরিণত করেছেন।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় নারীরা ঈদের নামাজ পড়েন। যেখানে নারী ঈমাম সাহেবা থাকেন। কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষার এক অধ্যাপিকা গতকয়েকবছর ধরে বিবাহ পড়িয়ে আসছেন। উপমহাদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী হচ্ছেন। সেখানে নারীরা কাজি হতে পারে না। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই তিন দিন তারা অপবিত্র থাকে,তাহলে বাকি ২৭ দিনের জন্য আপত্তি থাকবে কেন? আমি জানি প্রিয়ড কালে একজন নারী রমজান পালন‌ করেন না বা নামাজ আদায় করার দরকার হয়না। একজন হিন্দু নারী মন্দিরে রান না বা ঐ তিন দিনে তুলসী তলে জল দেননা। উভয় ধর্মাবলম্বী নারীরা নিজেদের মতো করে ধর্মীয় রাজনীতি পালন করেন।সেই স্থলে আয়েশাদের এভাবে দাবীয়ে রাখাটা কতদিন সম্ভব সময়ই কথা বলবে....

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৪০০ বছর যখন ভুলের মাঝে আছে মুসলমানেরা, কমপক্ষে আরো ৪০ বছর থাকবে অশিক্ষিত বাংগালীরা; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যখন রাখাল বালকের সমান মগজ নিয়ে অনেকেই এদেশে জর্জ হয়ে যাচছে; ইন্জিনিয়ার, ডাক্তার হয়ে যাচ্ছে!

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে সম্পূর্ন একমত।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম নিয়ে আমাদের জাতি পুরোপুরি বিভ্রান্ত, মানুষের সামান্য বাঁচার অধিকার পর্যন্ত বুঝে না জাতির শিক্ষিত প্রফেশানেল, জাজ, পাজ!

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বেকুব বেদুইনদের অনুসারী হচ্ছে আমাদের কোর্টের বেকুব জর্জ সাহেব।
......................................................................................................
জজ সাহেবরা যে সকল বই পুস্তক পড়ে বেকুব হচ্ছেন
তাদের নিয়গপত্র পাল্টে দিন , জজগিরি সনদ বাতিল করে আবার পরীক্ষা দিতে বলুন
এবার হেড এক্সামিনার নিশ্চয়ই আপনি হবেন ?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি হেড এক্সজামিনার হলে, আপনি জাতিকে আরো সাহায্য করার মতো বিদ্যা অর্জন করতে পারতেন।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: এক ওয়াজকারি গর্বের সাথে বলছে যে তোমরা নাস্তিকেরা যে বলো ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হলে জীবন উন্নত হয় না জীবিকার নিশ্চয়তা থাকে না এই দেখ আমি আমার এক দিনো কাটে নাই না খেয়ে এবং পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ খানা আমি খাই, কি করে খাই আল্লাহর ত্রিশ দিন আমার বিভিন্ন মানুষের বাসায় দাওয়াত থাকে তারা আমাকে পোলাও মাংস খাওয়ায় তাইলে আমি কি না খেয়ে থাকি৷

উপরের এই উক্তি থেকেই বোঝা যায় যে এই লোক গুলা ভিক্ষাবৃত্তিটাকেই জীবনের স্রেষ্ট এবং সঠিক পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর এরাই জাতিকে নসিহত দেয় বাচ্চাদের মাদ্রাসায় পড়াতে নতুন নতুন ভিক্ষুক সৃস্টির লক্ষ্যে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মোল্লারা যতটুকু জ্ঞানের অধিকারী, ইহাতে তারা অন্যের উপরেই বাঁচতে হবে।

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: দেশের কোর্ট আর তাদের সাহেবদের কান্ড দেখে তো আগের মতো সম্মান আসে না। ট্রাম্প নাকি ওর আইনজীবীকে ফি দিচ্ছে না, ফোনও রিসিভ করছে না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্পের ব্যবসার লাভ হয়েছে অন্যদের পাওনা না দিয়ে।

জর্জের এই অবস্হা হলে ব্লগারদের কি অবস্হা?

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই দেশে এগিয়ে যাবে।
দুবাই আজ উন্নত কারন তারা ধর্মটাকে একপাশে চাপিয়ে রাখতে পেরেছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারেরা সামান্য ধর্মই বুঝেন না, এরা কখন কি করবেন?

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


উনি ইচ্ছা করলে অনলাইনে আরবি পড়া শেখানো শেখাতে পারেন‌ ।
আজকাল দেশে আরবি শেখার ধুম লেগে গেছে।
চেষ্টা করলে এটা উনি করতে পারবেন বলেই আমার মনে হয়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




উনার পড়ালেখা মাদ্রাসায়, বুয়েটে পড়ে তাবলীগ করছে, উনি মাদ্রাসায় পড়ে অনলাইন ইত্যাদির উপর ভাবার সম্ভাবনা কম; উনি কাযী হওয়ার ভাবনা পেয়েছেন মাদ্রাসায় পড়ায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.