নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিআইএ আমাদেরকে ২য় পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছিলো

০১ লা জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০২



**** যাঁরা আমার পোষ্ট পড়ছেন, কমেন্ট করছেন, তাঁদের পোষ্ট পড়ে ২/১টা কমেন্ট করা আমার দায়িত্বের মাঝে পড়ে, ইহা ব্লগিং'এর অলিখিত নিয়ম; আমি কমেন্ট ব্যানে আছি, আপনাদের পোষ্ট পড়ছি, কিন্তু কমেন্ট করতে পারছি না ****

শেখ সাহবেকে হত্যা করেছিলো সিআইএ; তাদের ধারণা হয়েছিলো যে, শেখ সাহেব দেশে 'বাকশাল'(সমাজতন্ত্র ) করে, সোভিয়েত ব্লকে (ওয়ারশ ফ্যাক্ট দেশসমুহের দল ) চলে যাচ্ছেন, উনি ফিদেল ক্যাষ্ট্রো ও মার্শাল টিটোর বুদ্ধিকে গ্রহন করেছেন। সিআইএ তাদের প্ল্যানকে কার্যকরী করেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মিলিটারীকে ব্যবহার করে। সিআইএ মেজর জিয়ার ইগো ও ক্ষমতার লোভকে কাজে লাগিয়ে, এবং সেনাবাহিনীর বাকী কিছু জেনারেলকে ক্রয় করেছিলো। হত্যা করার জন্য তারা কিছু মেজর, ক্যাপ্টেনদের ২ পয়সায় কিনে নিয়েছিলো।

সিআইএ গত শততে যেসব দেশের জাতীয়তাবাদী নেতাদের হত্যা করেছে, কিংবা ক্ষমতা থেকে সরায়ে দিয়েছে, তরা তা করেছে খুবই শক্ত পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে; প্রায় সব যায়গায়ই তারা স্হানীয় মিলিটারী অফিসারদের কিনে নিতো ও ক্ষমতায় নিয়ে আসতো।

পাকিস্তান ছিলো আমেরিকার জন্য একটা খেলনার দেশ; জেনারেল আইয়ুব খানকে কাজে লাগিয়ে সিআইএ ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানকে তাদের পক্ষে নেয়। সেই সময় পৃথিবী ২ ভাগে বিভক্ত ছিলো: (১) ন্যাটোর সদস্য সমুহ (ক্যাপিটেলিষ্ট ব্লক) (২) ওয়ারশ ফ্যাক্ট দেশসমুহ (সোস্যালিষ্ট ব্লক ); এরা বিশ্বের নিরপেক্ষ দেশগুলোকে নিজেদের দলে টানার জন্য যা যা দরকার সবই করতো, ইহা ছিলো "কোল্ড ওয়ারের" সময়ের একটা বড় ধরণের কাজ।

পাকিস্তানকে আমেরিকা ভালোবাসতো ও চাইতো যে, খয়রাতী জাতি হিসেবে তাদের সাথে থাকুক; ইহার দরকারও ছিলো; কারণ, ভারত কোন দলে না যাওয়াতে আমাদের এলাকায় আমেরিকানদের পোষ্য কেহ ছিলো না। পাকিস্তান ভেংগে বাংলাদেশ হওয়ার পর, আমেরিকা আশা করেছিলো যে, বাংলাদেশেও খয়রাতী দেশ হিসেবে আমেরিকার দলে থাকবে; কারণ, আওয়ামী লীগ ও শেখ সাহেব ক্যাপিটেলিজমে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু শেখ সাহেব যখন কিউবা যাচ্ছেন, যুগোশ্লাভিয়া যাচ্ছেন, বাকশাল ( সর্বদলীয় প্লাটফরম ) গঠন করছেন, তখন আমেরিকা মনে করেছিলো যে, শেখ সাহেব সোস্যালিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন, তিনি সোভিয়েত ব্লকে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু ইহা ছিলো সিআইএ'এর ভুল, শেখ সাহেব সোস্যালিজম বুঝতেন না।

শেখ সাহেব কেন "বাকশাল" নামের রাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করলেন? শেখ সাহেব বিশাল মাপের চিন্তাবিদ ছিলেন না; কিন্তু ১৯৫২ সাল থেকে বাংগালীদের মাঝে যে জাতীয়তাবাদের একটা চারাগাছ বড় হচ্ছে, সেটা উনি সঠিকভাবে অনুমান করতে সমর্থ হয়েছিলেন; তিনি সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য ৬ দফা বের করেন; বাংগালীরাও যেকোন মুল্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সমবেত হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। সেই ৬ দফার আন্দোলনের ঐক্য দেশকে স্বাধীন করে ফেলে। স্বাধীনতা ছিলো বড়ই কষ্টকর: ৯ মাসের যুদ্ধ, জাতির মানসিক দৃঢ়তা, ঐক্য, সাহস ও বীরত্ব কাজ করেছে। কিন্তু এই ৯ মাসের যুদ্ধের সময় শেখ সাহেব যুদ্ধক্ষেত্রে না থাকাতে তিনি মানুষের অবদান দেখেননি, তাঁদের কষ্ট ও বীরত্ব দেখেননি, তাঁদের স্বপ্নকে অনুধাবন করতে পারেননি।

দেশের স্বাধীনতার মুল্য উনার কাছে ও উনার দলের ঘনিষ্টদের কাছে যেভাবে ছিলো, ৯ মাস যুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী জনতার কাছে সেইরূপ ছিলো না; জনতার কাছে ইহা ছিলো নতুন জীবনের শুরু, বিশাল স্বপ্নের বাস্তবায়নের সুযোগ। শেখ সাহেব ও তাঁর দলে এই নতুন দেশকে ঠিক পাকিস্তানের পুরানো মডেল চালাতে শুরু করেন; তাঁরা পাকিস্তানের সেই পুরানো, পঁচা ব্যুরোক্রেসীর মেশিনকে দেশ চালানোর কাজ দিলেন; মানুষের স্বপ্নে লাথি মেরে গতকালের পাকিস্তানের প্রশাসনযন্ত্র নতুন দেশকে তাদের আগের পাকিস্তানের মতো চলাতে থাকে; ফলাফল, ভয়ংকর বিশৃংখলা, দারিদ্রতা ও স্বপ্নভংগ।

বিশৃখলা ও স্বপ্নভংগের মাঝ দিয়ে ৩ বছর কেটে গেলো; শেখ সাহেব বুঝতে ছিলেন, কিছু একটা করার দরকার; কিন্তু কি করতে হবে সেটা তিনি জানতেন বলে মনে হয় হয় না; যাক, একটা দিক তিনি সোজা করতে চাইলেন, সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটা "সর্বদলীয় সরকার" গঠন করার জন্য মনস্হির করলেন; এখানেও তিনি একটা ভুল করলেন, এই প্রচেষ্টাকে ভুল নাম দিয়ে, ভুলভাবে সংগঠিত করলেন, বললেন "এক দল" হতে হবে, এবং নাম হবে "বাকশাল"; উহা আসলে এক দল হওয়ার দরকার ছিলো না, দরকার ছিলো "সর্বদলীয়" হওয়ার, এবং নামটা স্বাভাবিকভাবে "সর্বদলীয়" হলেই বুঝতে সহজ হতো; ঢাকায় অবস্হিত বিমান বন্দরের নাম "ঢাকা বিমানবন্দর" হলেই ভালো, "হযরত শাহজালাল বিমান বন্দর" দেয়া মানেই একটা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা।

যাক, নামটা ও উনার অভিপ্রায় জাতির কাছে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তাটা উনি বোধ করেলেন না; জাতি বিভ্রান্ত, আমেরিকা বিভ্রান্ত; বিভ্রান্ত আমেরিকা ঠিক করলো যে, এই নেতাকে সরায়ে, এই নতুন দেশকে ২য় পাকিস্তান বানানোর দরকার; তারা সেনাবাহিনীর অফিসারদের ২ পয়সায় কিনে, তাহাই করলো।






মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ,শতভাগ সহমত।৭২ সাল থেকে কিছু লুট পাট করা লোক ছাড়া সবাই সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলেছিলো।কিন্তু শেখ মুজিব কানে তোলে নাই।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



যখন শেখ সাহেব বুঝলেন যে, সর্বদলীয় সরকার ব্যতিত উনি একা ভালো করছেন না, তখনও ভুল নাম দিলেন ও গঠনতান্ত্রিক ভুল করে "একদল" হিসেবে পরিচিতি দিলেন; দরকার ছিলো "সর্বদলীয়" নাম দেয়া ও মানুষের কাছে ব্যাখ্যা করে, তাঁদের মতামাত নেয়া।

২| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার লেখার হেডলাইন পুরোপুরি সত্য।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার মতামত জেনে ভালো লাগছে।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। সি আ ইয়ের হিসাবের ভুলে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হলো। তখনকার রাজনীতি একটা সময় অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছিল ।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহবের যেটুকু দক্ষতা ছিলো, উহা একটি নতুন জাতি গঠনের জন্য যথেষ্ট ছিলো না; উনার দরকার ছিলো, পুরো জাতির বুদ্ধিমান মানুষদের মতামত নেয়া, সবাইকে কাজ দেয়া ও সবাইকে ফ্রি শিক্ষা দেয়া।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শাহ আজিজ বলেছেন: কিনে নেওয়া নয় বরং কারা শেখ সাহেবের গোপন বিরুদ্ধাচারন করছে , কাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের দুজনকে কোলে টেনে নেওয়া । লক্ষ্য করবেন হত্যাকারি দলের একজন চীনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হয়ে চাকরি করেছেন । তার মানে চীন সব জেনে শুনে তাকে নিয়েছিল যা অন্য দেশের জন্য বিরল ঘটনা । আরেকজন তো চীন থেকে বাকিতে বিতর্কিত জায়গায় অস্ত্র সাপ্লাই করত। একাধিক রাষ্ট্র জড়িয়ে পড়েছিল হত্যাকাণ্ডে । এটিকে নিছক সোসিয়ালিজম বা ক্যাপিটালিজমের ইস্যু করলে ঠিক হবে না । শেখ সাহেব তার চাতুরিপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি ।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজনীতিবিদ হিসেবে, শেখ সাহেব একজন ভালো ছাত্রলীগার ছিলেন; ফলে, উনি হয়তো কখনো মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, দ: কোরিয়ার মতো দেশ গঠন করতে পারতেন না; তবে, আমরা পাকিদের মতো অবস্হার মাঝে ২য় বার যেতাম না; কিংবা আজকের মতো এনার্খীর মাঝে যেতাম না।

আইয়ুব খান আমেরিকা থেকে খয়রাত নিতেন, আর ভারত-বিরোধীতা করে সস্তায় চীনা জিনিষপত্র কিনতেন; ফলে, আমেরিকা ও চীন, উভয়েই শেখ সাহেবের পতন চেয়েছিলো। চীনারা এখনো পাকীদের খুব ভালোবাসে, কারণ পাকীরা ভারত বিরোধী ও চীনের আবর্জনা কিনে।

৫| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনা বিশ্লেষণের সাথে আমিও একমত।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার ধারণার পক্ষে ফিডব্যাক পেলে আমি বুঝতে পারি যে, আমি ভুল ভাবছি না।

৬| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাসুম বলেছেন: একদম সত্য স্টেটমেন্ট বলেই মনে হয়।

দেশ কে মুক্ত করে নিজ দেশে এভাবে খুন হওয়া কাম্য ছিলনা।



ধন্যবাদ এই নিয়ে পোস্ট দেবার জন্য।

এবার আপনার কাছে নতুন প্রশ্ন।


শেখ হাসিনার জাতিকে দেবার মত কিছু বাকি নেই আর।

উনার পরে আওয়ামী লীগ এর কি হবে এবং দেশ কোন দিকে ঝুকে যাবে?


এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েন।


আমার মতামত দেইঃ উগ্রবাদী জংগিপনার দিকে যাব আমরা। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও সেইম হচ্ছে। আমার মতে আমরা আফগানিস্তান মডেলে চলব। জামাত হুজি হেফাজত রা ক্ষমতায় আসবে। তবে মিলিটারি রেজিম হবেনা।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



জামাত-শিবির-হেফাজতের জন্য পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন হচ্ছে আদর্শ মুসলিম দেশ; ওরা বাংলাদেশকে সেইদিকে টানবে; তারপর বাংগালীদের লাথি খাবে, কিছু ফাঁসীতে ঝুলবে; এই হলো জামাত-শিবিরের ইতিহাস ও পাওনা।

শেখ হাসিনা দেশকে জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদের লোকদের থেকে কেড়ে নিয়েছেন।

কিন্তু তিনি আধুনিক বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি বুঝেন না, সেইদিকে জাতিক নিতে পারেননি; জাতির শিক্ষা ব্যবস্হা নষ্ট হয়ে গেছে, মানুষকে ফ্রি শিক্ষা দেননি, মানুষের জন্য চাকুরী সৃষ্ট করেননি, মানুষকে তাঁদের স্ত্রী পরিবার থেকে আলাদা করে আরব ও মালয়েশিয়ায় দরিদ্র পরিবারের পয়সায় দাস হিসেবে বিক্রয় করেছেন; উনি এখন যা করছেন, এসব উনার বাবার রাজনৈতিক ভাবনার বিপরিতে করছেন।


৭| ০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

স্বপ্নাশিস বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন। অনেককিছু জানলাম।

০১ লা জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার পোষ্ট পড়ার আগে, আপনার ধারণা কি ছিলো, শেখ সাহেবকে কারা হত্যা করেছিলো?

৮| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: সিআইএ আগে ব্লকে ঢুকাইতো;এখন কি করে?

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




এখন সিআইএ ৩য় বিশ্ব নিয়ে তেমন উৎসাহী নয়; তবে, তারা চীনাদের দ্বারা বিশ্বের সরকারগুলোকে দুর্নীতিবাজ করা তোলা দেখে হতবাক; তাদের কাজটা চীনারা করছে এখন।

৯| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৩

স্বপ্নাশিস বলেছেন: ছোটমাথা ছোটজ্ঞান। বইপত্রে পড়ে এসেছি, কিছু বিপথগামী সেনা অফিসার, পাকিস্থানী দোসরেরা শেখ সাহেবকে হত্যা করেছিল।

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



৩য় বিশ্বের সেনা-অফিসারেরা লোভী হয়ে থাকে; তারা বার্মাকে ৬৯ বছর চালিয়ে, উহাকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে; তারা পাকস্তানীদের ভিক্ষুক ও শঠ জাতিতে পরিণত করেছে; তারা মিশরের শিক্সিত লোকদের আমেরিকার ভিক্ষা-নির্ভরশীল করেছে।

১০| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: গাজীজী,
ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বহুত হয়েছে। এই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এখন পুরাই এ্যাকাডেমিক।
বিগ কোয়েশ্চন ইজ- এই মূহুরতে জাতীর করনীয় কী?
যে হারে স্ট্রাকচারাল প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে সে হারে মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে না। দ্বিতীয়টা বাস্তবায়ন করতে হলে কী করনীয়?

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা বর্তমান সভ্যতার মুলমন্ত্র বুঝেন না; সভ্যতার মুলমন্ত্র হলো, শিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ; দক্ষ ও শিক্ষিত মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে হলে, মানুষকে ফ্রি শিক্ষা ও ট্রেনিং দিতে হবে, দেশের কাজ দেশের মানুষ দ্বারা করাতে হবে, দেশের কাজ যেন চীনা, ভারতীয় বা অন্য কারো হাতে না যায়; কিন্তু শেখ হাসিনা ও উনার ব্যুরোক্রেটরা এটুকু বুঝে না; কারণ, তারা ভুয়া শিক্ষায় শিক্ষিত।

আপনার প্রশ্নের উত্তর: (১) ফ্রি শিক্ষা (২) সবার জন্য চাকুরী (২) বিদেশীরা যেন এই গরীব দেশে কাজ না পায়।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৬

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: চাঁদ গাজী বলেছেন, শেখ হাসিনা বর্তমান সভ্যতার মুলমন্ত্র বুঝেন না; সভ্যতার মুলমন্ত্র হলো, শিক্ষিত ও দক্ষ মানব সম্পদ; দক্ষ ও শিক্ষিত মানব সম্পদ সৃষ্টি করতে হলে, মানুষকে ফ্রি শিক্ষা ও ট্রেনিং দিতে হবে, দেশের কাজ দেশের মানুষ দ্বারা করাতে হবে, দেশের কাজ যেন চীনা, ভারতীয় বা অন্য কারো হাতে না যায়; কিন্তু শেখ হাসিনা ও উনার ব্যুরোক্রেটরা এটুকু বুঝে না; কারণ, তারা ভুয়া শিক্ষায় শিক্ষিত।

আপনার প্রশ্নের উত্তর: (১) ফ্রি শিক্ষা (২) সবার জন্য চাকুরী (২) বিদেশীরা যেন এই গরীব দেশে কাজ না পায়।


তো এগুলাই ছিল স্বাধীনতার মূল কারণ। মানুষ এই সব পাওয়ার জন্যই লড়াই করেছে। অর্ধ শতাব্দী পরেও আমরা এগুলাই খুঁজছি!

০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



৫০ বছর পর আমাদের আশা পুরণ হচ্ছে না; কারণ, জিয়ার নেতৃত্বে মিলটারী আমাদেরকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করেছিলো; এরশাদ ও বেগম জিয়া আমাদেরকে ২য় পাকিস্তানের নাগরিকে পরিণত করেছিলো।

শেখ হাসিনা মিলিটারীকে ও তাদের লোকদের ক্ষমতা থেকে অপাসারিত করেছেন আংশিকভাবে; বর্তামন সময়েও মিলিটারী আমাদের সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার করে আছে।

সর্বোপরি, শেখ হাসিনা আধুনিক বিশ্বের অর্থনীতি না জানায় (১) ফ্রি শিক্ষা দিচ্ছে না (২) মানুষকে দাস হিসেবে অন্য জাতির কাছে বিক্রয় করছেন (৩) চাকুরী সৃষ্টি করেননি (৪) নিজেদের লোকদের বেকার রেখে চাীনা ও ভারতীয়দের কাজ দিচ্ছেন (৫) ব্যবসায়িক লোনের নামে দেশের পরিচিত ডাকাতেরা আমাদের ব্যাংক লুট করছে ৪৫ ববর (৬) সব সুঅগ ও সম্পদ দখল করেছে সরকার, প্রশাশন, দল ও ডাকাত ব্যবসায়ীরা।

১২| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: মানুষ সহসাই সত্য থেকে প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করে বেশি,ছড়ায় বেশি। ৭৫ এর অপপ্রচার এখনো জনপ্রিয়।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতা বিরোধীরা, পরাজিত যোদ্ধারা, মিলিটারীকে যারা ভোট দিয়েছে, এরা বিশাল শক্তি আজো; ফলে, তাদের অপপ্রচার চলতে থাকবেই।

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫২

কল্পদ্রুম বলেছেন: শেখ সাহেবকে CIA হত্যা করলে তাঁর পরিবারকে কারা হত্যা করেছিলো?

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পরিবারের লোকদের লিষ্ট ষড়যন্ত্রের মাঝেই ছিলো।

১৪| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দেশের শিক্ষা বঞ্চিত অবহেলিত লাঞ্ছিত শিশুদের নিয়ে আপনার কাছে একটি পোস্ট আশা করছি। সম্ভব হলে একটি পোস্ট লিখতে পারেন। আমার আজকের শিরোনামহীন লেখাটি আশা করি পড়েছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য যা করেছে বাংলাদেশ সরকার তার ৫% আমাদের দেশের সন্তানদের জন্য করতে পারলেও এই জনম দুঃখি শিশুদের জীবন পাল্টে যেতো।

এই পথ শিশুদের সাথে কথা বললে আপনি আশ্চর্য হবেন তাদের সাধারণ জ্ঞান, দেশ, রাজনীতি ও অর্থনীতি সম্পর্কে তাদের ধারণা আপনাকে অবাক করবে। মোটামোটি ১৪ - ১৬ বছরের একটি বালক সমগ্র বাংলাদেশ তার দেখা। আমি এ বিষয়ে আরো লিখবো।

সঙ্গত কারণে কেজিবি সিআইএ নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আপনার পুরো পোস্ট আমি পড়েছি।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখা পড়েছি; আমার কথাটুকু বলতে পারিনি, কমেন্ট করতে পারিনি।

শেখ সাহেব মুক্তিযুদ্ধের এতিমদের জন্য কিছুই করেননি, উনার মেয়ে পথ শিশুদের চোখে দেখেন না।

১৫| ০১ লা জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪২

স্প্যানকড বলেছেন: পালটাবে না চিত্র
পালটাবে না কিছু
খোয়াব বুনা শুধু মিছু মিছু।

ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




সামুর ব্লগারেরা যখন বদলায়নি, বাকীরাও বদলাবে না।

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:


এরা কি সবাই সিআইয়ের লোক?

০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এদেরকে সিআইএ ব্যব হার করেছে; জেনারেল জিয়াকে ব্যবহার করেছে, এরশাদকে ব্যবহার করেছে। আইয়ুব খানকে ব্যবহার করেছে।

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সিস্টেমের সমাধি রচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আর বাংলাদেশের সকল নৈতিকতার কবর রচিত হয়েছে আলহাজ লেজে হোমো এরশাদের মাধ্যমে। এরশাদ নিজেই ছিল চরম দুর্নীতিবাজ আর লম্পট। আর দেশের জনগণ তাকে পীরের আসনে বসিয়ে নিজেরাও তাদের সকল নীতি, আদর্শ, সততা বিসর্জন দিয়ে ফেলে। প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারসহ সকল সিস্টেমকে চরম দুর্নীতিগ্রস্থ করে এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর কফিনের শেষ পেরেকটি টুকে দিয়েছে বদমাশটা।

০৩ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান হলো আদর্শ ইসলামিক দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.