নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের উদ্ভব হয়েছে এশিয়ায়, ধর্মের পতন শুরু হয়েছে ইউরোপে

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৮



সামুতে ধর্ম নিয়ে আলাপ হয়, তর্ক-বিতর্ক হয়, সামান্য মন খারাপ হয়, আগে গালাগালি হতো, এখন গালাগালি হয় না; ব্লগে এখন ইসলাম প্রচার হয়, আরবী ও বাংলার সংমিশ্রনে পোষ্ট আসে; কারণ, আল্লাহ যা বলেছেন, তা আরবীতেই বলেছেন! যাঁরা ধর্মের পক্ষে পোষ্ট দেন, তাদের একাংশ মাঝে মাঝে "আস্তিক ও নাস্তিকদের" নিয়ে ক্যচাল পোষ্ট দেন; তাঁদের প্রায় সবাই একটা বিষয়ে অভিযোগ করেন যে, ব্লগে নাস্তিকাতার নামে "আসলে ইসলামকেই গালি দেয়া হয়"। ব্লগে, নাস্তিকাতার নামে শুধুমাত্র ইসলামকেই কেন গালি দেয়া হয়, উহা এত বছর পর নিশ্চয় সবার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে, সামুর লেখকেরা প্রায় সবাই ইসলাম ধর্মের লোকজন।

বড় বড় ধর্মগুলো এশিয়ায় জন্ম নিয়েছিলো: হিন্দু ধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, জুডাইজম, খৃষ্টানধর্ম, ইসলাম, সবই এশিয়ার প্রডাক্ট। ইউরোপ খৃষ্টান ধর্মকে গ্রহন করেছিলো; এক সময় ইউরোপের একাংশে ইসলামও প্রভাবশালী ধর্মে পরিণত হয়েছিলো; ইউরোপে ইসলামের প্রভাব বেড়েছিলো রাজতন্ত্রের সময়, পরে উহা মোটামুটি শক্তি হারায়েছে।

ধর্ম নিয়ে মানুষের উৎসাহ কমার শুরু হয়েছিলো ইউরোপে; বর্তমানে ইহা সারাবিশ্ব দেখা যাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকায় যারা ধর্মের রক্ষক, তারা এখনো সবচেয়ে ধনী ও বিশাল সংগঠন; কিন্তু সেখানে ধর্ম দ্রুত তার রূপ বদলাচ্ছে; সেখানে ধর্মকে এখন "কালচারেল জীবন" হিসেবে গণনা করা হচ্ছে; ইহা এখন জীবন মরণের বিষয় নয়।

এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় যা ঘটছে, উহাই বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় পথ; সবাই ইউরোপ ও আমেরিকার মতো জীবনের জন্য আগ্রহী। বাংগালীরা জাপানীদের মতো বাঁচতে চান, নরওয়ে সুইডেনের মতো বাঁচতে চান, আমেরিকার মতো বাঁচতে চান। কয়জন বাংগালীকে পাবেন যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সৌদী কিংবা ইয়েমেনের মত বাঁচার স্বপ্ন দেখেন?

ইউরোপে যখন ধর্মের পতন শুরু হয়েছে, উহা আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপানেও পতনের ডাক দিয়েছে; আমেরিকা, জাপান, চীন, রাশিয়ায় যা ঘটছে, উহা একটিন সারা বিশ্বেই ঘটবে, ইহাই স্বাভাবিক ব্যাপার।


মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১২

সাসুম বলেছেন: আপ্নে নাস্তেক নাসারাদের এজেন্ট।

আমাদের ব্লগে ধর্ম প্রচারক রা এই কদিন আগেই স্লোগান দিত রাস্তায়-

আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।

পত্রিকায়, আফগানিস্তানের নিউজের নীচে দেইখেন তাদের উল্লাস। এরা সব সেইম।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কতজন বাংগালী আফগানিস্তান কিংবা সৌদী জীবনের স্বপ্ন দেখেন, আর কতজন কানাডা, আমেরিকা, কিংবা ইউরোপের জীবনের স্বপ্ন দেখেন?

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

কুশন বলেছেন: নাস্তিক এবং মুক্তচিন্তার মানুষগুলো আস্তিকদের মত সংগঠিত নয় কেন?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সামু ব্লগে, অনেকই নিজকে "আস্তিক" হিসেবে ঘোষনা দেন; কারণ, সামুতে ইহা গ্রহনযোগ্য। নাস্তিকতা আলাদা কোন কালচার নয়, ইহা ধর্মের প্রভাবহীনতা মাত্র; মনে হয়, ইহা মানব সভ্যতার বিবর্তনের অংশ; ইহা চলমান প্রক্রিয়া, সেজন্য ইহা স্বাভাবিক প্রসেস, যার জন্য কোন সংগঠিত পদক্ষেপের দরকার এখনো হচ্ছে না।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

কুশন বলেছেন: আপনার কাছে প্রশ্ন-
নবী বোরাকে করে নাকি আরশে গেছে, কিন্তু নবী কি জানতো না মহাকাশে বাতাস নাই সেখানে বোরাক উড়বে কেমনে ?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ মহাকাশে যাবার মতো যান আবিস্কার করেছেন গত শতাব্দীতে; আমাদের নবী যেই যুগে জন্ম নিয়েছিলেন, তখন বাহন ছিলো উট, ঘোড়া, গাধা ও হাতী। ফলে, তিনি মহাকাশ যাবার কোন সম্ভাবনা ছিলো না।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২০

কুশন বলেছেন: আমার ২য় প্রশ্ন- স্রষ্টা নিজের প্রশংসা পাওয়ার জন্য এত বিচলিত হন কেন? সমগ্র মহাবিশ্বের কাছে পৃথিবী কত ক্ষুদ্র। আর এ পৃথিবীতে মানুষ কত ক্ষুদ্র সৃষ্টি। এ ক্ষুদ্র মানব থেকে কেউ যদি স্রষ্টার প্রশংসা নাও করে, তবে তাতে তার এমন কি যায় আসে?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্রস্টা যে আমাদের থেকে প্রশংসা পেতে আকুল, সেই কথা আমরা মানুষের মুখ থেকে শুনেছি, যেসব মানুষ আজকের মানুষ থেকে কম জানতেন।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইদানিং ব্লগে ইসলাম প্রচার সংক্রান্ত পোস্ট বেশি হচ্ছে।
আমার কেনো যেনো মনে হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু ব্লগার ছাড়া বাকিরা ব্লকে ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় জানতে আসে না। বিশেষ কিছু বিষয় বাদে অবশ্য।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামুতে ব্লগারেরা আসেন আধুনিক ও চলমান বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে; প্রায় ব্লগার ধর্ম সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখেন।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমারতো আপনার উল্লেখিত কোন দেশেই বসবাস করতে মন চায় না

আমিতো এখানেই এখনো বড় আরাম বোধ করছি...

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পরিবারের মতো ২ লাখ পরিবার বাংলাদেশে ভালো আছে; বিলিয়ন ডলার দিলেও বসুন্ধরার লোকজন আমেরিকায় বাস করতে যাবে না; কিন্তু বর্তমানে মেক্সিকোতে ৫ হাজার নোয়াখালীর বাংগালী অপেক্ষা করছে পায়ে হেঁটে আমেরিকা আসার জন্য; ওদের থেকে কমপক্ষে পথে ২০ জনের মতো মারা যাবে।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

ইউরোপের অনেক চার্চে রমজানের সময়ে তারাবী'র নামাজ হয়। আমি যুক্তরাজ্যে এর বেশ প্রচলন দেখেছি।

আমেরিকাতেও এরকম হয় কি?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকার ফিশকিল (নিউইয়র্ক রাজ্যে ) এলাকার ঈদের নামাজ হয় এক বিশাল চার্চে; কারণ, মসজিদের ধারণ ক্ষমতা ২০০ জনের মতো, ঈদের সময় আশপাশের এলাকাগুলো থেকে একসাথে ঈদ করতে আসেন ১২০০/১৩০০ মানুষ।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

শেরজা তপন বলেছেন: আমাকে আপনি ওই দলে ফেললেন নাকি??
আপনারা যারা বহুবছর বিদেশ বাস করেন তাদের ধারনা ধনবান আর ক্ষমতাবান লোকেরাই বাংলাদেশে থাকতে পছন্দ করে!
আপনারা এইদেশের শুধু খারাপ বিষয়গুলো তুলে ধররতে চেষ্টা করেন!
শুনুন, আমি খুব সাধারন একজন মানুষ- কিন্তু অসাধারন কিছু মানুষের মাঝে বাস! আমি খুবই সাধারন জীবনযাপন করি!
আমি যে পাড়া বা মহল্লায় থাকি এখনো প্রতিদিন রাতে রাস্তার মোড়ে আড্ডা দেই, দরদাম করে বাজার করি, নান্নু মার্কেটে গিয়ে সস্তায় পোষাক খুঁজি, অনেক খারাপের মাঝেও ভালগুলো খুঁজে বের করে দারুন আহ্লাদ বোধ করি। এই দেশে কেন আমরা থাকতে চাই সেটা আপনি বুঝবেন না। আমার আশেপাশে যারা থাকে তাদের অনেকেরই যোগ্যতা বা ক্ষমতা থাকার পরেও কেউ ওসব দেশে গিয়ে বসবাস করতে চায় না।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনারা দেশকে ভালোবাসেন; যারা দেশকে ভালোবাসে না, তাদের বড় অংশ আরবে মুজুর খাটতে চায়, মালয়েশিয়ায় রাবার গাছে পানি ঢালতে যায়; নৌকায় ভুমধ্যসাগর পাড়ি দেয়, মেক্সিকো হয়ে পায়ে হেঁটে আমেরিকায় ঢোকে।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: এশিয়ায় জন্ম তাই জন্মভূমি ছেড়ে দিতে কস্ট হবে ; ইউরোপ, আমেরিকা জন্মস্থান ছিলোনা বিধায় সহজে ছেড়ে দিতে পেরেছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এশিয়া জানে যে, তারা পেছনে পড়ে আছে; জাপান, চীন, কোরিয়া ইত্যাদি ইউরোপ ও আমেরিকাকে অনুসরণ করছে, বাকীরাও সেই পথে যাবে।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ৫০ শতাংশের নিচে চলে আসলে ;বাকিটুকু দ্রুত কালচারাল পার্ট হবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইউরোপ, আমেরিকা গড়ে শতকরা ৫০ ভাগের নীচে; এশিয়া ও আফ্রিকায় সময় লাগবে।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার মনে হয় ধর্ম একটা অস্র একে যে যে ভাবে ব্যবহার করবে তেমনি আচরণ করবে। এশিয়ার বেশিরভাগ লোভীদের প্রধান অস্র ধর্ম।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কমবুদ্ধিমানদের দর্শন।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: ব্লগে কোন নাস্তিক আছে বলে আমার চোখে পড়েনাই।কিছু সংশয়বাদী ও কিছু মুক্ত চিন্তার মানুষ আছে।
ইসলামীক দেশগুলোতে গনতন্ত্র না থাকাতে ধর্মীয় প্রভার বেশী।ধর্ম ত্যাগ করলে হত্যা করার বিধান একটা প্রধান কারন।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পশ্চিমেও বেশীরভাগ মানুষ ধর্মকে ত্যাগ করেনি, উহাকে ট্রেডিশনে পরিণত করেছে।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৪৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ইউরোপে একসময় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চললেও শিল্পবিপ্লবের পর ধর্মরাজনীতিতে ভাত নেই। তাই ধর্ম শুধু একটি দিন রবিবার চার্চেই সীমাবদ্ধ।
সোভিয়েট ইউ পুর্ব ইউরোপ, চীন, পুর্বএশীয়াতে অনেক বছর সমাজতান্ত্রিক শাসনে দারিদ্র তেমন না থাকায় ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে।

কিন্তু বাকি দরিদ্র দেশগুলোতে ইসলাম ধর্মের চেয়ে ইসলামী রাজনীতি বেশী প্রাধান্য পেয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে একটু বেশী হয়েছে। কারন আছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সামরিক শাসকরা নির্বিঘ্নে টিকে থাকার জন্য ধর্মিয় নেতাদের বিপুল অর্থ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে গেছে।
যে কারনে একসময় কোরবানির চামড়া বেচা টাকায় ভিক্কা করে চলা জামাতিরা মাওলানা মান্নানরা অল্পদিনেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়।
২০০৯ এ হাসিনা আসার পর মাওলানা মান্নানের দল আর সরকারি সুবিধা না পেয়ে রাজনীতি ত্যাগ করে ব্যবসায়ে মন দেয়।
৫ জামাতি নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানোর পর জামাত আর হালে পানি পায় নি। আর সেভাবে সামনে আসতে পারেনি জামাতিরা।
তবে জামাত নিজে মাঠে নামতে না পারলেও বি টিম হেফাজতিদের দিয়ে দুই দফা তান্ডোব চালিয়ে মোটামোটি কোনঠাসা করে ফেলেছিল সরকারকে।

কিন্তু বিধি বাম। ছাত্রলীগ-যুবলীগের দুচারজন দুঃসাহসি সদস্য জীবন বিপন্ন করে ৫০১ নম্বর রুমে নক করে। মাওলানা মামুনুলকে চ্যালেঞ্জ করে। তাৎক্ষনিক হাতেনাতে ধরা খেয়ে মামুনুল কিছু ভুল করে ফেলে, বাকবিতন্ডা বেড়ে গেলে রিসোর্ট কতৃপক্ষ পুলিশ কল করে। মামুনুল তার দলে জরুরি সাহায্য চায়, তার আগেই মুল কাজ শেষ। যদিও মামুনুলের দলবলের হাতে যুবলীগের সেই কজন গনপিটুনি খেল, পুলিশের সামনেই। পরে বাড়ীঘর ভাংচুর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি।
ঢাকা চট্টগ্রামের সব আলেমরা সম্মিলিত ভাবে মামুনুলের পক্ষে ২য় স্ত্রী বৈধ বলে রায় দিয়েও আন্দলনে মানুষ আনতে পারেনি।
কোন বন্দুক কামান গুলি খরচ না করেই বিশাল এক দানবকে থামিয়ে দেয়া হলো।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি ও মাদ্রাসার মাঝে পার্থক্য খুব বেশী নয়; অনেক ইউনিভার্সিটিতে জামাতী শিক্ষকই বেশী, ওরা পড়ায় না; ভুল পড়ায়।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:১৮

সাসুম বলেছেন: ব্লগে এখন ইসলাম প্রচার হয় জোরেসোরে।

ধর্মীয় ভাইয়েরা ৩ টা দলে বিভক্ত।

১. গালিবাজ ধর্ম প্রচারকঃ এদের কাজ গালি দেয়া। বস্তি থেকে উঠে আসা রুহানি সন্তান এরা। যেহেতু জন্ম পরিচয় ঠিক নেই এদের, সো কাঠাল পাতা চিবাতে চিবাতে গালি দিয়ে এদের জন্ম পরিচয় জানিয়ে যাওয়া তাদের রুহানি দায়িত্ব বলে মনে করে এরা।

২. শিবিরের ট্রেইন্ড ধর্ম প্রচারকঃ এরা আসবে লম্বা সালাম দিয়ে। এসে আপনাকে হেদায়েত এর পথে নিয়ে যাবে। তবে এদের একটা বৈশিষ্ট্য হল- এরা গালিবাজ না, বরং সুন্দর ব্যবহার কারী। এরা জামাত শিবিরের সাথী, রোকন পর্যায়ে স্ট্রিক্ট ট্রেইন্ড সোলজার। এরা আপনাকে তাদের যুক্তি দিয়ে বুঝাবে এবং সুন্দর ব্যবহার করবে। তবে, এরা হল বাইন মাছের মত। আপনি কোন কারনে যুক্তি দিয়ে কোন প্রশ্ন করলেন- এরা সাথে সাথে সেই প্রশ্ন থেকে তাদের বোকামির পক্ষের সকল কিছু বাদ দিয়ে, অনেক দূরের একটা নিরীহ টপিক নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা শুরু করে দিবে। মানে বাইন মাছের মত কোন কিছুতেই ধরা দিবেনা।

৩. খাঙ্কে মাগে ওড়না কই ধর্ম প্রচারকঃ এদের ধর্ম প্রচার পুরুষের বহু বিবাহ, নারী জাগরন কি করে ধর্ম ধ্বংস করে দেয় এবং নারীর পর্দাই একমাত্র সমাধান জাতির মুক্তির- এটাই তাদের একমাত্র যুক্তি। এদের দেখা পাওয়া যায় ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টের নীচে কমেন্ট বক্সে।

এ ছাড়াও আরেক ধরনের, প্রচারক আছে- যারা নিজেদের জন্ম পরিচয় জানেনা, তাই ছাইয়া ও ফেক আইডি নিয়ে আসে ধর্ম প্রচার করতে। তবে, এরা যেহেতু ফেইক আইডি, তাই তাদের কাজ কাম ও ফেইক সেটা সবাই ধরে ফেলে।

মজা ব্যাপার হল- এই সব ধর্ম প্রচারক দের সবার একটা জিনিষ কমন-তারা অল্প শিক্ষিত, তাদের জ্ঞানের পরিধি কম, জ্ঞান বলতে গুগুল আর উইকিপিডিয়া, তাদের পড়ালেখার দৌড় বলতে প্যারাডগিস্টাইল মজিদ এর হাদীসের বই এবং তাদের কাছে যুক্তি, জ্ঞান, বিজ্ঞান এসব একটা হোয়াক্স।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানব জাতির বুদ্ধিমত্তার ইমোশানেল লেভেলে ধর্ম এসেছে, মানব জাতির চিন্তাভাবনা লজিক্যাল লেভেলে পৌঁছার পর থেকে তারা নিজেদেরকে ও বিশ্বকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পেরেছেন।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধর্মের পতনের মতো চরম শব্দ ব্যবহারে করতে আমি পক্ষপাতী নই। বরং যুগের সাথে তাল মিলানোর জন্য ধর্মের রূপান্তর ঘটবে বলেই আমার কাছে মনে হয়। এর মাধ্যমে ধর্মে অনেক আধুনিক বিষয়ের এবং মানবিক বিষয়ের সংযোজন ঘটবে এবং অধিকাংশ ধর্মানুরাগী সেটাকেই গ্রহণ করে নিবে। যে সকল ধর্মনুরাগী এই এডাপ্টেশন মেনে নিতে পারবে না তারাই ধীরে ধীরে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীতে পরিণত হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মের ট্রেডিশনগুলো থাকছে, কিন্তুু সৃষ্টিকর্তা ও নবী/পয়গম্বরদের সম্পর্কে আগের ধারণা থাকছে না।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ধর্ম কি দিয়ে কি নিয়ে যায়??

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকের ধর্ম মানুষকে বেকুব হিসেবে বাস করতে সাহায্য করে।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২০

সাসুম বলেছেন: শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ধর্ম কি দিয়ে কি নিয়ে যায়??



When the missionaries came to Africa they had the Bible and we had the land. They said 'Let us pray.' We closed our eyes. When we opened them we had the Bible and they had the land.

Desmond Tutu

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফ্রিকাকে ধোকা দেয়া সহজ ছিলো, কারণ আফ্রিকানরা নিজের লোকদের ধোকা দিয়ে আসছিলো সব সময়।

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা মানে সময় নষ্ট। এঁর চেয়ে ডিসকোভারি চ্যানেল দেখা ভালো।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



৩য় বিশ্বের কিছু মানুষ বাকীদের বেকুব বানিয়ে রাখার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.