নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনারেল জিয়ার অন্যায়ের কারণে বেগম জিয়ার অস্বাভাবিক জীবন!

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬



মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মেজর জিয়ার ঘনিষ্টরা ছিলেন, ক্যা: মাহফুজ, ক্যা: হামিদ, মেজর শওকত আলী, মেজর রফিক, ক্যা: ওলি, ক্যা: শামসুল হক, ক্যা: আলী, ক্যা: এনাম, লে: খালিদ। আজকের দিনে হিসেব করলে, জেনারেল জিয়ার পরিবারটি ভয়ংকর অশান্তি ও অসুখী পরিবার; কিন্তু উনার সাথীদের মাঝে সবার পরিবারই মোটামুটি শান্তির সাথে বসবাস করেছে। যুদ্ধে অবদানের জন্য মেজর জিয়াকে অনেকটা সরাসরি জেনারেল পদ দেয়া হয়েছিলো ও মিলিটারীর কমান্ডে ২য় স্হানে ছিলেন; তিনি সেটা নিয়ে শান্তিতে জীবন যাপন করলে, উনাকে অকারণে অসময়ে প্রাণ দিতে হতো না, এবং ৩৬ বছর বয়স্কা বেগম জিয়াকে অকালে বিধবা হতে হতো না, উনাদের ছেলে আরাফাতকে পরিবার থেকে দুরে, প্রবাসে মরতে হতো না, তারেককে নির্বাসনে থাকতে হতো না। পরিবারটি অনেক চুরির টাকা পয়সার মালিক হয়েছে, কিন্তু শান্তি পায়নি কখনো। সেই তুলনায়, উনার যুদ্ধের সাথীরা সবাই শান্তিপুর্ণ পারিবারিক জীবনের অধিকারী হয়েছিলেন।

শেখ হত্যায় অংশ নেয়ার পর, জেনারেল জিয়ার পক্ষে বেঁচে থাকাটা অসম্ভব ছিলো; তারপরও তিনি ৬ বছর বেঁচে ছিলেন; এই ৬ বছর বাঁচতে গিয়ে ৪/৫ সৈনিককে হত্যা করতে হয়েছে জেনারেলকে; এবং অবশেষ সব হিসেব নিকেশ দিতে হয়েছে, উনার ঘনিষ্টরা উনাকে হত্যা করেছে।

জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পর, ৩৬ বছর বয়স্কা বেগম জিয়া নিজের জন্য মোটাুমুটি একটা প্রশান্তিকর জীবন বেছে নিতে পারতেন; আর্থিকভাবে বেগম জিয়া ভালো অবস্হানে ছিলেন: স্বামীর পেনশন, ঢাকাতে ২ টুকরা জমি ও এরশাদের দেয়া ২টি বাড়ী, গাড়ী, নগদ টাকা, সরকারী চাকর-চাকরাণী, ছেলেদের পড়ালেখার সরকারী খরচ, সব মিলে উনি ১৯৮২ সালে, ধনী বাংগালীদের শ্রেণীতে ছিলেন; কিন্তু সেই শান্তি উনার সইলো না। জেনারেল জিয়ার অপকর্মের সাথীরা উনাকে দুষ্টবুদ্ধি দিয়ে বিএনপি'র সভাপতি বানিয়ে দেয়। বেগম জিয়ার দক্ষতা এত কম ছিলো যে, উনি নিজের বাচ্চাদের পড়ালেখার ব্যাপারগুলোও বুঝতেন না, তিনি হয়ে গেলেন বিএনপি'র সভাপতি; এরপর, উনাকে ২ বার প্রধানমন্ত্রী করলো মিলিটারী, জাতিকে আফ্রিকা কিংবা বার্মার মতো জাতিগুলোর সমপর্যায়ে নিয়ে গেলো মিলিটারী, ব্যুরোক্রেটরা ও স্বাধীনতার বিপক্ষের রাজনীতিবিদরা; উনার ছেলেদের পড়ালেখা হলো না, নিজে চুপিসারে বিয়ে করলেন রাস্তার এক লোককে, ইহাকে জীবন বলা হয়?

*** ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলছেন যে, এখনই যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে বেগম জিয়া এই মাসও টিকবেন কিনা বলা মুশকিল। ডা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কি এত অভিজ্ঞ ডাক্তার?





মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: আপনার প্রায় প্রতিটা লেখায় একই ছবি ব্যবহার করার রহস্য জানতে চাই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




ছবি দেখে ব্লগারেরা বুঝতে পারেন, ইহা চাঁদগাজীর পোষ্ট।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

মোগল সম্রাট বলেছেন: বেগম জিয়ার রাজনীতির এক জীবন শেষ করতে হয়েছে তার স্বামীর পাপ ডাকতে আর বাকী জীবন পুত্রের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে করতে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেচারী নিজের জীবনটাকে উপভোগ করার সময়ও পাননি।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

জেনারেল জিয়ার নেয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তে স্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়ার কোনো প্রভাব ছিলো না? '৭৫ থেকে'৮১ জিয়ার মৃত্যু পর্যন্ত চলমান ঘটনাপ্রবাহ কি পরিস্কার জানতেন,বুঝতেন বেগম জিয়া??

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



জেনারেল জিয়া নিজের স্ত্রীকে জানতেন; সুতরাং, জেনারেলের উপর বেগম জিয়ার কোন প্রভাব থাকার কথা নয়; জেনারেলের মৃত্যুতে বেগম জিয়া নোকষ্ট পেয়েছিলেন কিনা, বলা মুশকিল।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জ্যাকেল বলেছেন: এই পোস্টে আপনার ভাষ্য মোটামুটি এইরকম-
১) বেগম জিয়া একজন স্ত্রী হিসেবে অসৎ হইবার সম্ভাবনা আছে।
২) বেগম জিয়ার আজকের এই পরিণতি উনার স্বামীর কর্মের ফসল।
৩) জিয়া শেখ হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন।

আপনি ব্লগিং করছেন, অন্যের পোস্টে গিয়ে তাকে নিরুৎসাহ দিচ্ছেন, সমাজের সমস্যা তুলে ধরছেন এই পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু আপনার মানসিক অশান্তির আউটপুট এই জায়গায় ছুড়ে দেওয়া কি ঠিক করছেন?
বিশেষত আপনি নিজেকে যুক্তি/প্রমাণ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের অনুসারি হিসেবে দাবী করেন অথচ কনফ্লিক্ট রেখে জীবন চালাইতেছেন। এই শেষ বয়সে এসেও যদি ফটিক চক্রবর্তীর মত দিনযাপন করেন তাহলে পুরো জীবনের অভিজ্ঞতার দাম তো এক পয়সাও হইবে না।
যাইহোক, প্রসংগে ফেরত আসি। আপনার সমস্যাদি মোটামুটি এইরকম-
১। জিয়া/বিএনপির সাথে আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভংগি যায় না, অতএব যেমন হোক, তেমন হোক উহাকে আক্রান্ত করে চলিতে হইবে।
২। টিপিকাল/গেঁয়ো মানুষের মত বিধবা/একা/বিপন্ন মানুষ নিয়ে গল্প শুনতে/বলতে/প্রচার করতে আপনারও ভাল লাগে। কুকিনি'র বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভংগি সঠিক থাকলেও বেগম জিয়ার ব্যাপারে ভিন্ন।
৩। শেখ হত্যায় যারা অংশ নিয়েছিল সবার পরিচয় প্রকাশ আছে, পরিস্কার আছে। এমনকি কোন কারণে এই হত্যাকান্ড হইয়াছিল তাও ওপেন। ডালপালা পত্র পল্লব মিলাই ফেলিয়া এইভাবে জিয়া পর্যন্ত ইহা পৌছিতে পারিলে বাকি উচ্চ পদস্থ অফিসারেরাও সেই দোষে দোষী হন কারণ তারাও তো দ্বায়িত্বে ছিলেন। এখন এইভাবে অপ্র‍য়োজনীয় লোম বাছতে থাকলে বাংলাদেশ আর এক দেশ এক জাতি থাকার উপায় থাকিবে কিভাবে? তাই এইসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকাই ভদ্র মানুষের আচার, আপনাকে স্বরণ করাই দিলাম।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি যদি মিথ্যাচার করে থাকি, আপনি সত্যটা জানেন; শেখ হত্যার মুল শক্তি-কেন্দ্রে কে ছিলো? আপনার সত্যটা লিখুন; কমেন্ট করতে ৭ কান্ড রামায়ন লিখবেন না।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: পাপ বাপ,স্ত্রী,পুত্র,কন্যা কাউকেই ছাড়ে না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এত বড় অন্যায় করে জেনারেলের পক্ষে পার পাওয়া সম্ভবপর ছিলো না; বেগম জিয়া আলু পোড়া খেতে গিয়ে আটকে গেছেন।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন:


আমি যদি মিথ্যাচার করে থাকি, আপনি সত্যটা জানেন; শেখ হত্যার মুল শক্তি-কেন্দ্রে কে ছিলো? আপনার সত্যটা লিখুন; কমেন্ট করতে ৭ কান্ড রামায়ন লিখবেন না।


ওযু করতে গিয়ে আগে নাকে নাকি মুখে নাকি কানে পানি ঢালতে হবে এই প্রশ্নটা করে মুর্খ লোক। কারন সে ইসলামের মর্মে গিয়ে সেইটা অনুভব করতে পারেনি।
ঠিক এই মুর্খ লোকের মত অকাজ করে বেড়াচ্ছেন। শেখ হত্যার বিষয়াদি পরিস্কার আছে। এত প্যাচপুচ লাগিয়ে কেন্দ্র মেন্দ্র খুজতে থাকলে উকুন বাছার ঘটনা ঘটিবে। সেই মানেও বলে দিচ্ছি- উকুন বাছতে সব লোম উজার করা লাগিবে।
তাই ক্লিয়ারকাট প্রমাণ না আসা পর্যন্ত কোন প্রস্তাবনা/অভিযোগ/বক্তব্য/স্টেটমেন্ট'কে সত্য বলিয়া অভিহিত করা যায় না।
আমি এত পেচাপেচিতে যাব না, কারণ আপনার পেচমেচ পাকাইতে ভাল লাগলেও আমার ভাল লাগে না। একজন সহ ব্লগার হিসেবে আপনার দুর্দশা দেখে মায়ার কারণেই আপনাকে এত বড়/বিস্তারিত লিখা। যদিও এইটুকু বোঝার মত মানসিক দক্ষতা আপনার আছে সেইটাও বিলিভ করি না।
আর আমি যা লিখি তা আমি মনে করি অতিশয় সংক্ষেপ। এর কম লিখলে বক্তব্য প্রকাশ করা যায় না। ব্লগিংয়ে যে টুকু সময় দেই, আমি যেন কোয়ালিটি সময় দিতে পারি সেই প্রচেষ্টা করি। আর আপনি ইহাকে অতি বেশি মনে করেন। ছিঃ

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগার হিসে আমি খুবই ভালো অবস্হানে আছি, আপনার অবস্হান কি সেটা দেখেন! আপনার সময়টুকু কোয়ালিটি সময়, ইহা বুঝতে আমার কষ্ট হয়নি।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ডা,জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা রাজনৈতিক বক্তব্য।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডাক্তারী বক্তব্য নয়?
এদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেই, বেগম জিয়ার অসুস্হতাকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে; বেচারী ৭৬ বছর বয়স্ক একজন নারী।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০

অক্পটে বলেছেন: ব্লগার হিসেবে আপনাকে দালাল বলা যেতে পারে শুধু। আপনার মধ্যে আর হাছান মাহমুদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। দুটোই মিথাবাদি।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




বলেন, অসুবিধা নেই; আমি আপনাকে বারট্রান্ড রাসেল ডাকতে চাই, আপনি উহা বহন করতে পারেন কিনা দেখেন।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আশা করি আপনার পরের পোস্টটি মুক্তযুদ্ধের অভিজ্ঞতা, দর্শন ও পরিনতি সম্পর্কে হবে। কে কি ভাববে ওসব না ভেবে আপনি আপনার নিজের মতো করেই লিখবেন, এই প্রত্যাশা। শুভেচ্ছা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঠিক আছে।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে যা লিখেছেন, সঠিক কথাই লিখেছেন।
তবে আমি এই পোষ্ট লিখতে গেলে এত ভদ্র করে লিখতে পারতাম না। দুই একটা গালি দিয়ে দিতাম।

খালেদা জিয়ার সময় শেষ। এখন বিএনপি চাচ্ছে খালেদা জিয়া যেহেতু শেষ, তাই তাকে নিয়ে যদি দলকে চাঙ্গা করা যায়। এই চিন্তায় নেতা কর্মীর আছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




স্বাধীনতার বিপক্ষে যাদের অবস্হান ছিলো, সেসব পতিত রাজনৈতিক নেতাদের ততকালীন মিলিটারী কাজের মৌমাচি হিসেবে সমবেত করে, নাম দিয়েছিলো বিএনপি; সেই কাজের মৌমাচিরা জে: জিয়ার স্ত্রীকে এখন সারে পরিণত করে, মরা গাছের গোড়ায় দিতে চাচ্ছে।

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তিন দিন আগে স্বপ্নে দেখেছি খালেদা জিয়া মারা গেছেন। এই স্বপ্নের কথা আপনাকে নিয়ে আরো একজনকে বলেছি। সেই একজন সুরভি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি নোযোগ দিয়ে বেগম জিয়ার সংবাদ পড়েছিলেন সম্প্রতি।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৭

দংশন বলেছেন: পৃথিবীতে অনেক ধরনের পাপ থাকে। কিছু পাপের প্রায়চিত্ব সম্ভব। আর কিছু পাপ আছে যে পাপের কোন প্রায়চিত্ব হয়না পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত এই পাপের ফল ভোগ করতে হয়। ১৫ই আগষ্ট ঠিক তেমনই পৃথিবীর সবথেকে জঘন্য পাপ সংঘটিত হয়েছিল। এই পৃথিবী কিন্তু এই জঘন্য হত্যাকারীদের ঠিকই মনে রাখবে ঘৃণা প্রকাশের জন্য। যতদিন যাবে এই পাপ আরো উজ্জল থেকে উজ্জলতর হবে। এই পাপ থেকে খালেদা জিয়া মুক্তির চেষ্টাতো করেনই নাই বরঞ্চ পাপকে আরও পাপাকার করে ছেড়েছে ২১শে আগষ্ট এবং ১৫ই আগষ্টয়ে নিজের ভুয়া জন্মদিন পালন করার মাধ্যমে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



কেক বেশী খেয়ে নিজের ক্ষতি করেছেন।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার মধ্যে জিয়া পরিবারের প্রতি এলার্জি আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই, এবং এটা অনেকটাই বায়াসড সেটা আপনার লেখাতে অনেক সময়ই প্রকাশিত হয়ে পড়ে। বিস্ময়করভাবে আপনার লেখাতে কখনো লেজেহোমো এরশাদের মতো চরম দুর্নীতিবাজ ও লম্পটকে নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করতে দেখিনা।

বাংলাদেশের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় লুচ্চা, লাফাঙ্গা চরম দুর্নীতিবাজ লেজেহোমো এরশাদই সর্বপ্রথম দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যে সবধরণের পাপাচার ও দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল। এরশাদের পূর্বের কোনো বাংলাদেশী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জীবনে আর্থিক দুর্নীতির ও লাম্পট্যের কোনো অভিযোগ ওঠে নি। এরশাদের শাসনামলেই জাতি সম্পূর্ণভাবে সবধরণের নৈতিকতা থেকে চরমভাবে বিচ্যুত হতে শুরু করে। ওই ব্যক্তিটি এতই ধূর্ত ও শয়তান ছিল যে সে মানুষের ধর্মীয় আবেগকেও পুঁজি করে জাতির সাথে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। আমাদের জাতি কি এতই দৈন্যতায় ভুগছিল যে কোনো সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তির পরিবর্তে একজন লম্পট ও তস্করের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রধর্ম নির্ধারণ করতে হবে ?

যাহোক, জাতিকে বিভ্রান্তকারী সেই শয়তানটাকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশকে স্খলনের হাত থেকে রক্ষায় শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া উভয়ের অনেক অবদান আছে সেটা অস্বীকার করা যায় না। সেই হিসাবে এই দুই নেত্রী জাতির কাছ থেকে কিছুটা হলেও সম্মান পাওয়ার দাবিদার - তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেক ভুলত্রুটি থাকা সত্বেও। তাদের কেহই ফেরেস্তা নন কিন্তু দুইটি বৃহৎ দলের কর্মী সমর্থকদের নেত্রী তারা একথাও আমাদের স্বীকার করতে হবে।

খালেদা তার আশপাশের চাটুকারদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে অনেক ভুল করেছেন - তার এই ভুলত্রুটির ক্ষেত্রে আইন অবশ্যই তার নিজস্ব গতিতে চলবে। শুধু খালেদা নন, শিকদারপুত্র, বসুন্ধরাপুত্র, ইয়াবা বদি, শেয়ার মার্কেট লুটেরা, ব্যাংক লুটেরা সবার ক্ষেত্রেই আইন নিরপেক্ষভাবেই চলবে বলে আশা করি। কিন্তু কারো প্রতি ব্যক্তি আক্রোশ যদি তার উপর অধিক আইন ও শাস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে সেটা ভবিষ্যতে কারো জন্যই ভালো উদাহরণ হিসাবে দেখাবে না। ইতিহাস বড়োই নির্মম - কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে কেহই ইতিহাস হতে শিক্ষা নেয় না।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের রক্ত না শুকোতে, পাকীদের পথ ধরে, বাংলাদেশে রক্তাক্ত সারিক ক্যু করেছিলো জেনারেল জিয়া, এরশাদ এসেছে জিয়ার রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই পরিবারটা আপনার অপছন্দ

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, ইহাদের আমি অপছন্দ করি। এরা আমাদেরকে আগের পাকিস্তানী জীবনে নিয়ে গেছে।

৩০ লাখ মানুষের অর্জিত দেশে, এই পরিবার প্রধান রক্তাক্ত ক্যু ঘটায়। মানুষের পুরো প্রাপ্তিটা ধুলায় মিশায়ে দেয়। এরপর, একটা অপদার্থ গৃহবধু দেশটাকে ১০ বছর চালায় ও ডাকাতী করে; একই সাথে উনার ২ ছেলে ডাকাতী করে দেশের সম্পদ!

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:১৫

এ আর ১৫ বলেছেন: ১৪ জন এখানে মন্তব্য কোরলে কারো চোখে পোড়লোনা যে শিরণামে জেনারেল শব্দটাকে জেলারেল লিখা হয়েছে ?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আমি নিজে চোখে একটু কম দেখি।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৯

বঙ্গদুলাল বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুকে তৎকালীন ইন্ডিয়ান সরকারগুলো কীভাবে নিয়েছিল? ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের সরকারগুলোর সাথে এদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং কেমন ছিল?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারতের রাজনীতিবিদরা ও মিলিটারী বুঝতে পেরেছিলো যে, বাংলাদেশের মিলিটারী ও পাকিস্তানের মিলিটারী ভাই ভাই, এরা এই জাতি ২টিকে চুষে খাবে।

ইন্দিরা গান্ধী বড় ধরণের হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন। ভারত ইহাকে পাকিস্তানের ছোটভাই হিসেবে জানে।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

জেনারেলের কথা বাদ দেন
পোলার কথাও বাদ দেন।
মা নিজেই তো ছিলেন এক 'মাছের মা'।

যিনি পোলা অসুস্থ হয়ে লন্ডন যাওয়ার পর প্রথম ৬ বছরে একবারো দেখা করেন নাই।
৬ বছরে ৬ বার ফালুকে সাথে নিয়ে ওমরা করতে গেলেও বহু সুযোগ পাওয়ার পর ও লন্ডনে কথিত অসুস্থ পুত্রকে দেখতে যান নি, তারেকও আসেনি জেদ্দায় মার সাথে দেখা করতে।

খালেদা তারেক কোকো এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অনেক মামলা থাকলেও বিদেশ ভ্রমনে কোন বাধা ছিল না। এরপর অনেক বছর সুযোগ পেলেও যান নি। সুধু একবার দেখা হয়েছিল আগুনসন্ত্রাস সুরু করার কিছু আগে। ২০১৪ তে খালেদার পুর্বনির্ধারিত লন্ডন সফর শেষে দায়সারা কিচ্ছুক্ষনের (ঘন্টাখানেক) 'একটি দেখা' হয়েছিল। লন্ডনের একটি হোটেলে।

আর ছোট ছেলে কোকোর সাথে একবারও দেখা করেন নি, 'মাছের মা'।
লন্ডনে বিলাসি জীবনজাপন করা বড় ভাই তারেক একবারও দেখেন নি, বা দেখতে যান নি ছোট ভাইকে।
খালেদাও একই অবস্থা। একাধিকবার থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কুয়ালালাম্পুর সফর করলে একটি বারও দেখা করেন নি কোকোর সাথে। বহু সুযোগ পাওয়ার পরও অসুস্থ কোকোকে দেখতে জাননি।
এমনকি মৃত্যুর পর লাশও দেখতেও মালয়েশীয়া যায়নি তারেক।
এ নিয়ে একটি পোষ্ট লিখে ছিলাম ৫-৬ বছর আগে, সংক্ষিপ্ত লেখা পড়ে দেখতে পারেন view this link

বর্তমানেও একই অবস্থা। খালেদা তো জেলে নেই, বাসায়। তারেকের বউ ইচ্ছে করলেই আসতে পারে, সে কিন্তু একজন ডাক্তার খালেদার পাশে থাকতে পারতো, আগেও এসেছে কিন্তু এখন আর খবর নেই। টু-শব্দও নেই। কোকোর বউ তো প্রায়ই আসতো ঢাকায়। এখন নিখোজ,
চুপচাপ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এক ভয়ংকর পরিবার।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: ভারত,পাকিস্তান ও পরাশক্তিসমূহের ভূমিকা ব্যাখ্যা না করে রাজনীতির জঘণ্য প্লটকে একচোখা বিশ্লেষণ করলে পুরো সত্য জানা যাবে কি !?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




সত্য আপনি আগের থেকেই জানেন, আপনার কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খালেদা জিয়া বিএনপির হাল না ধরলে বিএনপি ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে যেত। একই কথা আওয়ামীলীগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বাঙালি পারিবারিক ধারার রাজনীতির বাইরে চিন্তা করার অবস্থানে আসে নি এখনও। তবে এটা ঠিক রাজনীতিতে না এলে একটা সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারতেন খালেদা জিয়া।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতা-বিরোধীদের দল বিএনপি থাকার কি দরকার ছিলো?

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাক, আপনিই প্রথম বেগম জিয়ার বিয়ের কথা বললেন। শেখ হাসিনাও এটা বলেনি কখনো। অবশ্য জানজুয়ার কথা আপনি এড়িয়ে যাওয়াতে ধন্যবাদ প্রাপ্য। বাকীগুলো রাজনৈতিক বায়াসড কথাবার্তা। এখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিলে অসুস্থ বেগম জিয়া ক্ষমতায় চলে আসবেন। সেই ভয়েই তো আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার পালাবদল চায় না। জিয়া, খালেদার বিচার ইতিহাসই করবে...

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের মানুষ আত্মঘাতী, সেটা শেখ হাসিনা জানেন; সেজন্য শেখ হাসিনা মানুষ যাতে ভোট না দিতে পারে, সেই ব্যবস্হা করেছে। চেয়ারম্যান ভোটের মতো, ২ ধাপে সংসদের ভোট করে, শেখ হাসিনা বুঝতে পারতেন দেশের মানুষের অবস্হা।

২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: ২১ আগস্ট এর গ্রেনেড হামলার রহস্য সমাধান তিনিই করেছিলেন। জাতির সামনে উন্মোচন করলেন কিভাবে শেখ হাসিনা নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ এ করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন সেইদিন। একজন গোয়েন্দা হিসেবেও তিনি সফলতা দেখিয়েছেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ পোষ্টে এত বেশী কমেন্ট করলে ভালো দেখায় না।

বেগম জিয়া খুবই অদক্ষ ও লোভী মহিলা ছিলেন; মিলিটারী ও স্বাধীনতা-বিরোধীরা উনাকে পুতুল সাজিয়ে জাতির মাথায় তুলে দিয়েছিলো।

২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: প্রায়শই বিভিন্ন সমাবেশে বেশ মজাদার বক্তব্য রেখে তিনিই প্রথম দেশে ও বিশ্বে " mental health matters" এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার " ইনশাল্লাহ " আর " ঈদের পর কঠোর আন্দোলন এর ডাক" তো সর্বজনপ্রিয়।

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: তার সৌন্দর্য কে অস্বীকার করতে পারেনি কেউ ই। এমনকি তৎকালীন মৌলবাদী দলের হনু রাও তার সৌন্দর্যের জাদুতে আটকা পড়েছিলেন। এইটি তার ব্যক্তিগত সফলতার অন্যতম মাইল ফলক।তার সৌন্দর্য কে অস্বীকার করতে পারেনি কেউ ই। এমনকি তৎকালীন মৌলবাদী দলের হনু রাও তার সৌন্দর্যের জাদুতে আটকা পড়েছিলেন। এইটি তার ব্যক্তিগত সফলতার অন্যতম মাইল ফলক।

২৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: তিনি মানুষের মন থেকে মৌলবাদের ভয় দূর করতে পেরেছিলেন। জামায়াতের মত দলের নেতা কর্মীদের সাথে তার এমন সখ্যতার মাধ্যমে তিনি জামাতকে উদারপন্থী তে রুপান্তর করছিলেন।তিনি মানুষের মন থেকে মৌলবাদের ভয় দূর করতে পেরেছিলেন। জামায়াতের মত দলের নেতা কর্মীদের সাথে তার এমন সখ্যতার মাধ্যমে তিনি জামাতকে উদারপন্থী তে রুপান্তর করছিলেন।

২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: খালেদা জিয়াকে একজন আপোষহীন নেত্রী বলা হয়। এটি কতটা যুক্তিপূর্ণ বলে মনে করেন? রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখা করুন।
ব্যাক্তিগত ভাবে যদি বলি আমার ধারনা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আপোষহীন শব্দ টি বেমানান, অনেক রাজনৈতিক দল কে দেখছি ক্ষমতায় আসার জন্য, দেশ বিরোধি দের সাথে আপোষ করেছে আবার কেউ সৈরাচারদের সাথে। তাই আপোষহীন শব্দ টি বেমানান

২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: "খালেদা জিয়া অমর হোক, শহীদ জিয়া জিন্দাবাদ" - বিএনপি-এর নেতা-কর্মীরা এইরকম ভুলভাল স্লোগান দেয় কেন?

২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: কথিত আছে বঙ্গবন্ধু বেগম জিয়াকে তার স্বামী-সংসার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই খালেদা জিয়াই শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার জন্য ১৫ আগস্টে তাঁর মৃত্যু দিনে বেহুদা জন্মদিন পালন করতো। যদিও তার প্রকৃত জন্মদিন নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরি যে সত্যিই খালেদা জিয়ার জন্মকদিন ১৫ আগস্ট। তবুও দেশের জাতির পিতার সম্মানে এরকম লোকদেখানো বেহায়াপনা তিনি না দেখালেও পারতেন।

২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত হাস্যকর একটা বিতর্ক তারা সৃষ্টি করেছিল। তারা দাবী করেছিল মেজর জিয়া নাকি স্বাধীনতার ঘোষক। জিয়া পরিবারের মুর্খামী দেখে আমার এখনও হাসি পায়। তারা পাঠক আর,ঘোষকের পার্থক্য জানে না। মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ কতেছিলেন ২৭ মার্চ। অথচ তার আগেই বেশ কয়েক জন ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন, বিএনপির তথা জিয়া পরিবারের দাবী অনুযায়ী তাহকে তাঁরাই মেজর জিয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষক হওয়ার দাবীদার। জিয়ার পাঠকৃত ঘোষণা শুরু হয় এই বাক্যটি দিয়ে,”“On behalf of our great national leader, the supreme commander of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman do hereby proclaim the independence of Bangladesh. “

এর দ্বারা জিয়া পরিবার কী বুঝতে পেরেছিলো সেটা আমার মাথা কুলোয় না। “on behalf of” -এর দ্বারা তারা আসলে কী বুঝেছিল!

২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: তিনি বরাবরই মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করতেন। তিনি একবার বলেছিলেন যে একাত্তরে নাকি ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়নি,অত নারী ধর্ষিত হয়নি। একজন নারী হয়ে,বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি কীভাবে এমনটা বলতে পারেন আমি বুঝতে পারি না।

৩০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: বিএনপির পতনের মূল কারন কোন নির্দিষ্ট মতাদর্শ না থাকা। বিএনপির নিজস্ব কোন আদর্শ নেই, আওয়ামী বিরোধীতাই তার রাজনীতির একমাত্র পুঁজি। আওয়ামী লীগ যেটা করে, বিএনপি তার বিরোধীতা করে

৩১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: আওয়ামী লীগ যদি ভাল কিছু করে বিএনপি সেটার বিরোধীতা করতে গিয়ে অনেক সময় ভালোর বিপরীতে চলে যায়। যেমন ধরুন শাহবাগের আন্দোলন। শুরুতে আওয়ামী লীগ এটার বিরুদ্ধে ছিল কারন তাদের শংকা ছিল আরব বসন্তের মত এটা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। শুরু দিকে সাজেদা চৌধুরির মত নেতাকে শাহবাগের ছেলেপেলেরা বক্তব্য দিতে দেয়নি। সেই অবস্থায় কিন্তু বিএনপি এই আন্দোলনকে স্বাগত জানালো। এরপর আস্তে আস্তে যখন আওয়ামী লীগ বুঝলো এটা সরকার বিরোধী আন্দোলন নয়, তখন তারা সমর্থন করল এবং কোনভাবে যেন সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ না নেয় সেই দিকে নজর দিল। আর যেই আওয়ামী লীগ সমর্থন দিল, অমনি বিএনপি এটা বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেল, বিএনপির পত্রিকা "আমার দেশ" এটাকে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি হিসেবে আখ্যা দিল। ফলে যেই অসংখ্য তরুন ছেলেমেয়ে এটার পক্ষে ছিল তাদের চোখে বিএনপি আর জামায়াতের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকলো না।

৩২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু বিএনপি সবচেয়ে বড় মিত্র হল জামায়াতে ইসলাম। এটা কিভাবে হতে পারে?

৩৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: মতাদর্শ না থাকার কারনে বিএনপিকে কেউ বিশ্বাস করতে পারে না। এরা একবার ভারত ভাঙার জন্য অস্ত্রের চালান খালাস যেমন করে আবার দিল্লী গিয়ে মোদির সাথে দেখা করে বন্ধুত্বের কথাও বলে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য মায়াকান্না করে কিন্তু নিজ দলের নেতা নির্বাচন করে সিলেকশনের মাধ্যমে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে চিৎকার যেমন করে আবার যেসব ইসলামী দল ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য মৃত্যুদন্ড চালুর পক্ষে তাদের সাথে জোট করে। শফিক রেহমানের মত কড়া নাস্তিক তাদের দলে যেমন থাকে তেমনি ইসলামী ঐক্যজোটও তাদের সাথে থাকে। তাই বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যে হাওয়া কোনদিকে বইবে সেটা বোঝা যায় না। এই কারনে আদর্শবাদী লোকজন এই দলে থাকে না। আর আদর্শ না থাকলে বড় কিছু করা সম্ভব না।

৩৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: ২০ নভেম্বর ২০২১, চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি গণঅনশন কর্মসূচী পালন করছে, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সময় দেখেই পরিস্কার বোঝা যায় - এটা আসলে কোন কষ্টের কাজ না। অথচ এই কর্মসূচীতো সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেওয়া যেত। কিংবা আমরণ অনশন শুরু করা যেত, টানা ৭ দিন এতগুলো মানুষ আমরণ অনশন চালিয়ে গেলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হত। কিন্তু "প্রাণপ্রিয়" নেত্রী বা "গণতন্ত্রের মা" এর জন্য সামান্য কষ্ট স্বীকার করার মত কোন নেতা দলে নেই। ৭ ঘন্টার অনশন করতে আসা নেতা-কর্মীদের চেহারা দেখে কি মনে হচ্ছে তারা তাদের মৃত্যুপথযাত্রী নেত্রীর জন্য সামান্য কষ্ট অনুভব করছে? কেন দলের জন্য জীবন দেওয়ার মত নেতা-কর্মী নেই সেই কারণ অনুসন্ধান করলেই বিএনপি পতনের কারণ বোঝা যাবে।২০ নভেম্বর ২০২১, চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি গণঅনশন কর্মসূচী পালন করছে, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সময় দেখেই পরিস্কার বোঝা যায় - এটা আসলে কোন কষ্টের কাজ না। অথচ এই কর্মসূচীতো সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেওয়া যেত। কিংবা আমরণ অনশন শুরু করা যেত, টানা ৭ দিন এতগুলো মানুষ আমরণ অনশন চালিয়ে গেলে সরকার দাবি মানতে বাধ্য হত। কিন্তু "প্রাণপ্রিয়" নেত্রী বা "গণতন্ত্রের মা" এর জন্য সামান্য কষ্ট স্বীকার করার মত কোন নেতা দলে নেই। ৭ ঘন্টার অনশন করতে আসা নেতা-কর্মীদের চেহারা দেখে কি মনে হচ্ছে তারা তাদের মৃত্যুপথযাত্রী নেত্রীর জন্য সামান্য কষ্ট অনুভব করছে? কেন দলের জন্য জীবন দেওয়ার মত নেতা-কর্মী নেই সেই কারণ অনুসন্ধান করলেই বিএনপি পতনের কারণ বোঝা যাবে।

৩৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: নেত্রী মৃত্যুশয্যায় আর এই নেতা ফিটফাট হয়ে হাসিমুখে অনশন করতে এসেছেন।নেত্রী মৃত্যুশয্যায় আর এই নেতা ফিটফাট হয়ে হাসিমুখে অনশন করতে এসেছেন। চোখে সানগ্লাস পরে অনশন সেলফি।

৩৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী, বিএনপি জামাত পাকিস্তানপন্থী, তাহলে বাংলাদেশপন্থী কারা?

বাংলাদেশপন্থী কোন লোক নেই।

৩৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: বিএনপি ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও জিয়া হত্যার বিচার করলো না কেন?

৩৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন:

৩৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

অক্পটে বলেছেন: দেশ ভর্তি মানুষ হাভাগোবা, দেশের মানুষ আত্মঘাতী। একমাত্র ভোটচোরেরাই বিজ্ঞ! দেশের মানুষ জানেনা তাদের ভালো মন্দ। আর এই ভয়েই লুটেরা লীগ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার পালাবদল চায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.