![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাৎস্যায়নো মল্লনাগঃ কৌটিল্যশ্চ ণকাত্মজঃ। দ্রামিলঃ পক্ষিলস্বামী বিষ্ণুগুপ্তোহঙ্গুলশ্চ সঃ।।
মুহাম্মদ (সা) এর জীবনের শেষ পর্যায়ে ইসলামের যে ঢালাও রাজনীতিকীকরণ হয় তার পরিণতি হিসেবে প্রথম বাঁশটা খায় তারই বংশধররা। কারবালা তারই শেষ অধ্যায়। মৃত্যুর আগে সম্ভবত নিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আবু বকর আর উমরের উপর তার কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলোনা। সেই সুযোগে প্রথমেই সরিয়ে দেয়া হয় খলিফা হওয়ার সবচেয়ে জোর দাবিদার রাসুলের পালকপুত্র জায়েদ আর চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবি তালিবকে। অবতারণ করা হয় মুতার যুদ্ধ নামক এক কাহিনীর। আর সেই কাহিনীই মুসলিমরা শুনে খালিদ বিন ওয়ালিদের কাছ থেকে। যুদ্ধক্ষেত্রে রীতিবহির্ভূত হত্যার ক্ষেত্রে যার ব্যাপক সুনাম ছিলো। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় রাসূলের মৃত্যুর সমান্তরালেই চলছিল মুতার অভিযান।
উমাইয়া গোত্রের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে একমাত্র পথের কাঁটা হিসেবে বেঁচে থাকে আলী। কিন্তু আবু বকর, উমর আর আবু সুফিয়ানের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের কাছে ৩৩ বছর বয়সী আলী দুগ্ধপোষ্য শিশু ব্যতীত কিছু ছিলনা। আরবের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা হলেও রাজনীতির চাল বোঝার মতো বিচক্ষণতা তার ছিলোনা। যদিও ব্যক্তিগত সততা, ন্যায়পরায়ণতার দিক থেকে আলীই ইসলামকে সুন্দর ভাবমূর্তি দিতে পারতো। গরিব ও যুবক হওয়াতে এমনিতেই তার প্রভাব মদীনায় কম ছিলো। তার ওপর বিভিন্ন যুদ্ধে পৌত্তলিক যোদ্ধাদের প্রায় অর্ধেকের বেশি আলীর হাতেই নিহত হওয়ায় তার শত্রুর কোন অভাব ছিলোনা। ফলশ্রুতিতে মসনদের খেলায় আলী প্রথমেই নকআউট। অবশেষে প্রায় পচিশ বছর পর যখন আলীর হাতে ক্ষমতা আসে তখন আরবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে উসমানের হত্যা নিয়ে। আর তখনই তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয় আবু সুফিয়ান পুত্র মুয়াবিয়া। ধুরন্ধর এই ব্যক্তির চালে নাস্তানাবুদ আলী যখন নিজের পূর্বসমর্থক খারেজিদের হাতে নিহত হন তার জেরেই মুয়াবিয়ার ষড়যন্ত্রে হাসান বিষপ্রয়োগে মারা যান। অবশেষে সেই ষড়যন্ত্র পূর্ণ হয় কারবালার ময়দানে।
ইসলামের ধর্ম হিসেবে অধঃপতনের সূত্রপাত সেই থেকেই। আলীর রক্ত বিভেদের বীজ বুনেছিল। হুসাইনের রক্ত তাতে জল সিঞ্চন করেছে মাত্র।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৩৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখার রেফারেন্স দিলে খুবই ভালো হতো |