![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলেটি ভোর বেলায় মাঝ রাস্তা দিয়ে হাটছিলো, হয়তো কারো সাথে দেখা হবে বলে, অথবা কেউ তার জন্য অপেক্ষায় আছে বলে। মেয়েটিও বারান্দায় দাঁড়িয়ে অস্থির ভাবে পায়চারি করছিলো, কোন একজন কে দেখবে বলে। হঠাৎ ছেলেটা মেয়েটার বাড়ির সিঁড়ি বারান্দার থেকে একটু দূরে ফুট পাথে বসলো। হাতে একটা আধ জলন্ত সিগেরেট। আর একটা বাসি পাউরুটি। ছেলেটির পাশে একটা শহুরে 'জারজ' কুকুর। দুজনে ভাগ করে খেলো রুটিটা। মেয়েটা দেখলো এবং সামান্য হাসলো। এর পর চলে গেলো ভেতরের ঘরে। আজ আকাশে বৃষ্টি নেই, তবুও সে ভিজবে। মেয়েটি আজ ও জানে না ছেলেটিকে তার ভালো লাগে কি না, অথবা ছেলেটির নাম। ছেলেটিও জানে না কেউ একজন তাকে পেছন থেকে দেখছে। তবুও ছেলেটি এসে বসে। সেখানেই হ্যাঁ ঠিক সেখানটাতেই যেখানে সে রোজ এসে ভাগ করে খায় গতদিনের বাসি রুটিটা। কি চৌম্বক শক্তি তাদের আকর্ষন করছে তা কেউ জানে না। কিন্তু এটা রোজকার নিয়ম। একদিন কুকুর টা মারা গেলো, কিছু সময় পর মেয়েটার ও বিয়ে হয়ে গেলো। তবুও ছেলেটা আর তার আধ খাওয়া রুটি ও আধ পোড়া সিগেরেট আগের মতোই আছে। সে এখনো সেখানেই বসে। সত্যিকারেই হয়তো সুখের সংজ্ঞায়ন করা যায় না। হয়না ভালোবাসার ও সংজ্ঞায়ন। হতো অন্যের বুকে মাথা রেখে মেয়েটি আজ ও দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে, স্বর্গ হতে আধ খাওয়া রুটি টা দেখে কুকুর টা আজ ও ডুকরে কাঁদে। ছেলেটা কি জানে সে কেন আসে? অথবা তার কোন অনুভুতিই নেই। অথবা সে অন্যদের চেয়ে বেশি অনুভুতি প্রবণ তাই সে সব দেখতে পায়। দেখতে পায় ভুত ভবিষ্যত, আর বসে থাকা সময়ের গতিশীল অথচ স্থবির বর্তমান। সে ও জানে এখানে একদিন সে ও এখানে আর আসবে না। তবুও আসা। আসা যাওয়া, ছায়া মায়া কায় আর এই নিয়েই হতাশা। ছেলেটি হতাশ নয়। সুখী, তার মতো করে। অনেকে পেথিড্রিন নিয়ে সুখী হয়। ছেলেটি সুখী হয় সর্বস্ব ভাগ করে নিয়ে। এই তো জীবন, অনন্ত আসীমের মহাজীবন। চান সুরুজের টানা মহাকালের সকটে চলা মহাজীবন। হয়তো অর্থহীন তবুও তো জীবন। এই তো জীবন...!
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: লেখকের চাওয়া আর শিল্পের স্বার্থকতা তো সেখানেই। শিল্পের দায়বদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারলেই তা পাঠকের ভালো লাগবে।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২০
নীরবসাথী বলেছেন: অসাধারণ গল্প। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২২
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৯
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার লিখেছেন ।
ভাল লেগেছে গল্প
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫৮
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর ।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ছোট্ট কিন্তু মন ছুঁয়ে যাওয়া।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৯
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
দুর্দান্ত হইছে !
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৪
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ আমিন ভাই
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
মশিকুর বলেছেন:
গল্প খুবই ভাল হয়েছে +
তবে আমি মনেকরি কুকুর কখনও জারজ হয় না। অন্যান্য প্রানিরা বংশবৃদ্ধির জন্য কাজটা করে, আনন্দ পাওয়ার জন্য না।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৫
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: জারজ শব্দ টা কোট করে দেয়া আছে একটা বিশেষ কারনেই।
৮| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১১
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার ছোট গল্প।
০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
ফ্রাঙ্কেস্টাইন বলেছেন: ধন্যবাদ ভায়া।
৯| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার ছোট গল্প।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লেগেছে প্রিয় ফ্রাঙ্কেস্টাইন! হাহাকারটা টের পাচ্ছি। এমন হাহাকার অবশ্য কম বেশি আমাদের সবারই আছে, তাই না?