![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করটিয়া সাদতের এক ছোট কাহিনী
ছেলের নাম রফিজ(ছদ্দনাম) মেয়ে মিতা(ছদ্দনাম) মেয়েটা হিন্দু ঘরের। তারা একই বিষয়ে পড়তো নাহ। মেয়ে ইংরেজি তে অনার্স এবং ছেলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র। ছেলেটার জীবনে আগে কোনো মেয়ে আসে নাই মিতাকে দেখার পর তার ভালো লেগে যায়। ঘটনা ১৯৭২এর পর কোনো এক সালের। তখনকার সময় প্রেম অনেক জটিল বিষয়। এই বিষয়ে পাশ করা অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। আবার মেয়ে অন্য ধর্মের, হিন্দু ধর্মের লোকজন তাদের ব্যাপারে অনেক কট্ট্রর। ছেলে মেয়েকে অনেক চিঠি দিতো, কথা বলার চেষ্টা করতো কিন্তু মেয়ে তার দিকে নজর দেয়নাহ। যাইহোক কোনোভাবে ছেলের সাথে মেয়েটির প্রেম হয়। তারা একসাথে ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতো। বাইরে ঘুরা ফেরা করতে পারতো নাহ যদি কেউ দেখে ফেলে। এক সময় মেয়ের পরিবার তার প্রেমের কথা জানতে পারে। মেয়েটিকে বিয়ে দেয়ার জন্য ছেলে খুজতে থাকে, আর এইদিকে রফিজ পাগলের মতো করতে থাকে তার প্রেমিকা অন্য কারো হতে চলছে। ছেলেটির পরিবার তাকে মানা করে কিন্তু রফিজ শুনে না।
মিতার বিয়ে হয়ে যায়। ছেলেটি তখন মাস্টারস এ পড়ে, সে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে বাড়ি থেকে একেবারে চলে যায়। রাস্তায় ঘুরে সারাদিন ঘুরে, মাঝে একদিন মিতাকে দেখতে পায়। পাগলের মতো তার কাছে ছুটে যায়...কিন্তু তাকে আর চিনে নাহ মিতা। রফিজের এই আচরনে ক্ষিপ্ত হয়ে মিতার স্বামী রফিজ কে মারধোর করে। মিতা একবারো মানা করলো নাহ। রফিজ এর পর থেকে রাস্তার পাগল । এখনো রফিজ কে দেখা যায় টাংগাইলের এক জায়গাতে। অনেকেই হয়তো তাকে চিনে। আমার সাথে দেখাও হয় বাড়ি গেলে। কিন্তু সে তো কাউকে চিনে নাহ। সারাদিন কি হিসাব করে কে জানে। কলম ধার করে ক,খ,গ abc অনেক কিছু লেখে কিন্তু লেখার মানে কেউ বুঝে নাহ। আবার হিসাব করে। কাগজ ধার করে কলম ধার করে। ভিক্ষা করে নাহ কিন্তু মাঝে মাঝে টাকার দরকার পড়লে অনেকের কাছে চায় কিন্তু সবার কাছে সাহায্য নেয় নাহ। তার বয়স এখন হয়তো ৬৫/৭০ এর মতো হবে। বিড়ি ফুকে আর প্রলাপ বকে...এই গল্পের শেষ কই কেউ জানে নাহ ...মিতা এখন বেচে আছে নাকি জানি নাহ থাকলে হয়তো রফিজ কে আজও চিনতে পারতো নাহ
২| ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
গাজী রাইসুল ইসলাম বলেছেন: :ধন্যবাদ ভাইয়া.।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১০
আহসানের ব্লগ বলেছেন: পোস্ট পড়লাম ।
সামহোয়ার ইন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।
ব্লগে পড়ুন মন্তব্য করুণ আর ভাল থাকুন ।