নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মাটির কথা

আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net

মাটির কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমর ভাষা শহীদগণ!!! স্মরন করি দোয়া- দরুদ ও মীলাদ শরীফে, গান বাজনার মাধ্যমে নয়

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩



মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা পবিত্র সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন পবিত্র কুরআন শরীফ খতম, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং তওবা-ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়। কারণ, এ সমস্ত কাজগুলো পবিত্র ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমান উনাদের জন্য করা নিষিদ্ধ।



ইসলাম ও মাতৃ ভাষা প্রেমঃ “মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। তাই মাতৃভাষাকে মুহব্বত করা পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য শরয়ী তর্জ-তরীক্বা মুতাবিক যেমন পবিত্র কুরআন শরীফ খতম, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ এবং তওবা-ইস্তিগফার করে দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে তাদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার খিলাফ তর্জ-তরীক্বায় যেমন গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনার মাধ্যমে নয়। কারণ, এ সমস্ত কাজগুলো পবিত্র ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সম্পূর্ণরূপে হারাম। তাই মুসলমান উনাদের জন্য করা নিষিদ্ধ।” মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সব হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে উনাদেরই স্বজাতির ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি। যাতে তাদেরকে স্পষ্ট করে বোঝানো যায়।” (পবিত্র সূরা ইব্রাহীম শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৪)। এ পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা প্রতিভাত হয়, নিজ নিজ জাতির ভাষায় কথা বলাই হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ সুন্নত মুবারক। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মাতৃভূমিকে মুহব্বত করা পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ।” এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, মাতৃভাষাকে মুহব্বত করাও পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ।



ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন উনারা শহীদঃ জামাতি দেওবন্দী ওহাবী খারিজী উলামায়ে ‘সূ’ গংয়ের প্ররোচনায় যালিম সম্প্রদায় এদেশের মুসলমানদেরকে সেই পবিত্র সুন্নত মুবারক পালন বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। কাজেই যাঁরা প্রকৃতপক্ষে মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁরা শহীদী দরজা অর্জন করেছেন।এদেশবাসী মুসলমানের উচিত- ভাষার জন্য যাঁরা প্রকৃতপক্ষে প্রাণ দিয়েছে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, তাঁদের উপকার করার চেষ্টা করা।



ইসলামের দৃষ্টিত মৃতের জন্য করনীয়ঃ আমরা মুসলমান। ইসলাম আমাদের পবিত্র দ্বীন। আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম মোতাবেক মৃত্যুর পর প্রত্যেক বান্দা- ‘হয় কবরে আযাবে থাকে’ অথবা ‘সুখে থাকে।’ সেক্ষেত্রে জীবিতরা যদি মৃতের জন্য দোয়া করে ও মাগফিরাত কামনা করে তবে সে দোয়ার উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কবরের আযাব ক্ষমা করে দেন। আর আযাব না থাকলে তার নিয়ামত আরো বাড়িয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ! মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত- ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে তাঁদের উপকারার্থে তাঁদের জন্য ইস্তিগফার পাঠ করে, মাগফিরাত কামনা করে, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করে তাঁদের জন্য পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে দোয়া করা অর্থাৎ তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। ‘বায়হাক্বী শরীফ’ কিতাব মুবারক উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা মৃত ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ খতম, দোয়া-ইস্তিগফার ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে মৃত ব্যক্তির নামে ছওয়াব রেসানী করে বা বখশায়ে দেয় তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা উক্ত নেকীগুলো মখমলের রুমালে জড়িয়ে মৃত ব্যক্তির নিকট পেশ করেন। মৃত ব্যক্তিরা তা দেখে খুশি হয়।” সুবহনাল্লাহ!



শহীদগণকে স্মরন করতে গিয়ে হারাম বা কুফরী করা যাবে নাঃ খালি পায়ে চলা, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া, গান-বাজনা করা, বেপর্দা-বেহায়াপনাজনিত অনুষ্ঠান দ্বারা যারা জীবিত তারা কঠিন গুনাহে গুনাহগার হয় অর্থাৎ কবীরা ও কুফরী গুনাহে গুনাহগার হয়। আর যাঁরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে কবরে আছেন তাঁদের কোনই উপকার হয় না। বরং তাঁরা এসব কাজের জন্য ভীষণ লজ্জিত হন ও কষ্ট পান। কারণ, তাঁরা সবই দেখতে পান। কেবলমাত্র তাঁরা নির্বাক বলেই কিছু বলতে পারেন না।



শরীয়ত সম্মতভাবেই স্মরন করতে হবেঃ মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই সেভাবে আমল করা উচিত যেভাবে আমল করলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের উপকার হবে। অর্থাৎ ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য দোয়া-ইস্তিগফার, পবিত্র কুরআন শরীফ খতম ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ পাঠ করে তাঁদের রূহে ছওয়াব বখশিয়ে দেয়া। পাশাপাশি গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার হারাম, কুফরী ও ইসলামী শরীয়ত বিরোধী আমল ও বদ রসম থেকে বিরত থাকা সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য।



এ ব্লগেও প্রকাশিত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২১

দিশার বলেছেন: "মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি প্রত্যেক হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ক্বওমের ভাষা দিয়ে প্রেরণ করেছি।’ প্রত্যেক হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রেরণ করা হয়েছে। "

তাহলে ইসলাম সুধু আরবি ভাষা ভাষী দের জন্যই .

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.