![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য।’
সুমহান ৫ই শা’বান শরীফ-সাইয়্যিদুশ শুহাদা, ইমামুল হুমাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস।
যা এ বছরের জন্য ১৬ আউওয়াল ১৩৮১ শামসি সন, ১৫ জুন ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুস সাবতি বা শনিবার।
উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা, উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা, অনুসরণ করা এবং উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য ফরযে আইন।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা, উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সাইয়্যিদুশ শুহাদা, ইমামুল হুমাম, ইমামুছ ছালিছ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি চতুর্থ হিজরী সনের পবিত্র শা’বান মাস উনার ৫ তারিখ জুমুয়াবার পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার কান মুবারক-এ পবিত্র আযান ও পবিত্র ইকামত দিয়ে দোয়া মুবারক করেন। সাতদিন পর পবিত্র আকীক্বা মুবারক করে উনার নাম মুবারক রাখেন হযরত ‘হুসাইন’ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- “সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার ও সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের নাম মুবারক জান্নাতী নাম মুবারকসমূহের মধ্য হতে দুটি নাম মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! এর আগে আরবের জাহিলিয়াত যুগে এ বরকতময় দু’নাম মুবারক প্রচলিত ছিলো না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা বেহেশতে যুবকগণ উনাদের সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা দু’জন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন। তিনি উনাদেরকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা এমন অবস্থায় বাইরে তাশরীফ আনলেন যে, উনার এক কাঁধ মুবারক উনার উপর হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনাকে এবং অন্য কাঁধ মুবারক উনার উপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে বসিয়ে ছিলেন। এভাবে আমাদের সামনে তাশরীফ আনলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, ‘যে ব্যক্তি এ দু’জন উনাদেরকে মুহব্বত করলো, সে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করলো। আর যে উনাদের সাথে দুশমনি করলো, সে আমার সাথে দুশমনি করলো।’
উনাদের ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে এরূপ বহু বর্ণনা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে। তাছাড়া হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম অর্থাৎ ইমামুছ ছালিছ। আর পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অসংখ্য স্থানে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, শ্রষ্ঠত্ব ও পবিত্রতা মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরযে আইন। তাই উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানাও প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য ফরযে আইন। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘ইলম হচ্ছে আমল উনার ইমাম।’ অর্থাৎ উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা থাকলেই মূলত উনাকে পরিপূর্ণ মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও অনুসরণ করা সম্ভব। কাজেই, পৃথিবীব্যাপী সমস্ত মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করাও ফরযে আইন। কারণ যে বিষয়টি ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে ফরয-ওয়াজিব সে বিষয় সম্পর্কে ইলম অর্জন করাও ফরয-ওয়াজিব।
মূলকথা হলো- সুমহান ৫ই শা’বান শরীফ- সাইয়্যিদুশ শুহাদা, ইমামুল হুমাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস। যা এ বছরের জন্য ১৬ আউওয়াল ১৩৮১ শামসী সন, ১৫ জুন ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুস সাবতি বা শনিবার। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ বা খুশী প্রকাশ করা, উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা, অনুসরণ করা এবং উনার জীবনী মুবারক জানা প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য ফরযে আইন। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা, উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
হে হোসাইন, দরুদ ও সালাম তোমার সনে
আমরা অধম প্রেমি রাখি স্মরণে
পারিনা শোধাতে প্রেমের দাম, তবু
ভুলো না আমাদের ঐ শেষ দিনে।।