![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net
পবিত্র উশরের পরিচয়ঃ
পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে।
পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ
পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض.
অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- واتوا حقه يوم حصاده
অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১)
পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে দলীলঃ
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে পবিত্র উশর সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে-
عن حضرت عبد الله بن عمر رضى الله تعالى عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال فيما سقت السماء والعيون او كان عثريا العشر وما سقى بالنضح نصف العشر.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যাতে অর্থাৎ যে যমীনকে আসমান অথবা প্রবাহমান কূপ পানি দান করে অথবা যা নালা দ্বারা সিক্ত হয়, তাতে উশর অর্থাৎ দশ ভাগের এক ভাগ আর যা সেচ দ্বারা সিক্ত হয়, তাতে অর্ধ উশর অর্থাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ।
(পবিত্র বুখারী শরীফ)
পবিত্র উশর সম্পর্কে সম্মানিত হানাফী মাযহাবের ফতওয়াঃ
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমামে আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যমীনে উৎপন্ন যাবতীয় ফসলেরই পবিত্র উশর অথবা পবিত্র নিছফু উশর দিতে হবে। চাই দীর্ঘস্থায়ী শস্য হোক, চাই ক্ষণস্থায়ী শস্য অর্থাৎ শাক-সবজি হোক। তিনি আরো বলেন, ফসল কম-বেশি যাই হোক কিন্তু পবিত্র উশর আদায় করতেই হবে।
পবিত্র উশর আদায়ের সময় : পবিত্র উশর আদায়ের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। যতোবারই ফসল উৎপন্ন হবে ততোবারই ফসলের পবিত্র উশর দিতে হবে।
পবিত্র উশর প্রদানকারীঃ
যে বা যারা ফসলের মালিক হবেন তিনি বা উনারাই উশর প্রদান করবেন।
পবিত্র উশর ব্যয়ের খাতসমূহঃ
যে খাতে বা স্থানে পবিত্র যাকাত ব্যয় করা যায়, সে খাত বা স্থানেই পবিত্র উশর ব্যয় করতে হবে।
উল্লেখ্য, ওশর না দিলে কোন ফসলই হালাল হবে না। তাই ফসলের পবিত্রতার জন্য ওশর আদায় করতে হবে। ওশর আদায় না করলে সমস্ত ফসলই হারাম হয়ে যাবে। আর হারাম খেলে কোন ইবাদতই কবুল হবে না।
...........................চলবে (ধারাবাহিক)
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: চলুক । সাথে আছি ।