নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মাটির কথা

আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net

মাটির কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সউদী আরব কি অনন্তকালের দুধেল গাই?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

সউদী আরবের দেদার অর্থ আমেরিকার আগ্রাসনবাদী পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের জন্যে এতোটা কাজে লেগেছে যে, স্বয়ং প্রেসিডেন্ট রিগান বলেছিল-

Saudia Arabia is such a cow that never stops giving milk.

এই অফুরন্ত দুধের নহর থেকে সউদী বাদশাহ দিয়েছে নিকারাগুয়ার সরকার বিরোধী মার্কিনপন্থী গেরিলাদের আর্থিক সাহায্য। ইরানের বিরুদ্ধে ইরাকের প্রায় এক দশকের যুদ্ধে সউদী আরব বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়েছে বামপন্থী নাস্তিক পার্টির ইরাকী নেতা সাদ্দাম হোসেনকে। আবার আমেরিকা যখন ইরাক আক্রমণ করেছে তখন সউদী আরবের বিমান ঘাঁটি ব্যবহৃত হয়েছে আক্রমণের জন্য। সউদী আরব আর্থিক সাহায্য দিয়েছে আমেরিকা ও ন্যাটোকে আফগানিস্তানে আক্রমণ করার জন্য। অর্থ সাহায্য দিয়েছে মিশরের মুরসিকে উৎখাতের জন্য। আরো অর্থ দিয়েছে সিরিয়ায় আক্রমণ করার জন্য।

১৯৭৫ ঈসায়ী সালে সউদী তেল রফতানী হতো দৈনিক ৬.৮ মিলিয়ন ব্যারেল। ১৯৭৮-৭৯ ঈসায়ী সালে দৈনিক রফতানী দাঁড়ায় ৮.৫ মিলিয়ন থেকে ৯.৫ মিলিয়ন ব্যারেল। ১৯৮০ ঈসায়ী সালে দৈনিক ১০.৫ মিলয়ন ব্যারেল রফতানী করে এবং পরে আরো বাড়ানো হলে তেলের দাম দ্রুত কমে যায়। ১৯৮৭ ঈসায়ী সালে সউদী আরবের আয় ১৯৮১ ঈসায়ী সালের এক চতুর্থাংশে নেমে যায়। কিন্তু ১৯৬০ ঈসায়ী সালে যে রিজার্ভ ছিল ৫৩ বিলিয়ন ব্যারেল তা ১৯৮০ ঈসায়ী সালে দাঁড়ায় ১৬৪ বিলিয়নে। বর্তমানে রাজতন্ত্রের ৪৭টি তেল উৎপাদন ক্ষেত্র আছে। মাত্র ১৫টি থেকে তেল উত্তোলন করা হচ্ছে এবং বাকিগুলো ভবিষ্যতের জন্যে মজুদ আছে। কিন্তু এই তেল নিয়ামত সউদী ওহাবী রাজপরিবারের ভাগ্যে থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ সউদীর ওহাবী রাজারা তাদের হাত এখন সরাসরি পৃথিবীর নিরীহ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে শহীদ করে মুসলমানদের তাজা খুনে রঞ্জিত করে যাচ্ছে শুধু নফসের গোলাম হয়ে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই নফসের গোলামদের হাতে বায়তুল্লাহর দায়িত্ব থাকতে পারে না।

প্রকৃত মুসলিমরা সবময়ই ঈমানের তেজে বলীয়ান হলেও দুনিয়াবি মোনাফেকি, ষড়যন্ত্র আর লোভের মোকাবেলায় সফল হয়েছে খূব কম।

এখন হিকমার সাথে তাদের মিথ্যা, প্রতারণা আর মোনাফেকির মূখোশ খুলে দেবার সময় এসেছে।

কিন্তু সেই জ্ঞান, বিজ্ঞান আর হিকমার চর্চা সেই জন্যেই ওহাবীরা বিভিন্ন দল মতের আড়ালে বন্ধ করার চেষ্টায় রত।

কিন্তু আল্লাহ মহাপ্রজ্ঞাবান।

তিনি তার পরিকল্পনা মতোই অপরাধিকে শাস্তি দিয়ে থাকেন। ইহকালে এবং পরকালে।

আসুন জ্ঞান বিজ্ঞানে দ্রুত এগিয়ে মন্দ শক্তিকে প্রতিহত করার শপথ নেই। সত্য ন্যায়কে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকারে।

ঈদ মোবারক।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

গান পাগলা বলেছেন: আসলেই তো!!!!!!! /:) /:) /:) /:)

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

ইলুসন বলেছেন: Saudia Arabia is such a cow that never stops giving milk. =p~ তারা যে নিজের ক্ষতি করছে তা বুঝতে পারছে না। আমার ভাবতে অবাক লাগে যেখানে অন্য ধর্মের বিভিন্ন লোক আমেরিকার আগ্রাসন নীতির সমালোচনা করে, খোদ আমেরিকার কিছু নাগরিক তাদের যুদ্ধবাজ নীতির বিরোধীতা করে, সেখানে সৌদি সরকার দুধেল গাইয়ের মত তাদের অর্থ দিয়ে অথবা সমর্থন দিয়ে সকল কুকর্ম মেনে নিচ্ছে। মুসলমানদের প্রিয় নবী (স) এর জন্মস্থান ও তাদের পবিত্র তীর্থভুমি মক্কাশরীফ সেখানে থাকায় সৌদি আরবের প্রতি এক ধরণের আবেগ কাজ করে, সেটার ভালই ফায়দা নিচ্ছে এরা।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পুরা গোলমাল !!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.