নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মাটির কথা

আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net

মাটির কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সউদী-ইসরাইলের গোপন চুক্তি ও মুসলমানদের ভূমি বিক্রি

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

সউদী রাজপরিবারের অস্তিত্ব মুসলিম বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ :সউদী-ইসরাইলের গোপন চুক্তি ও মুসলমানদের ভূমি বিক্রিঃ



ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের দ্বারা ফিলিস্তিনে অবলীলায় একের পর এক মুসলিম গণহত্যা চললেও সউদী ওহাবী শাসকরা যে এর বিরুদ্ধে টু শব্দটি পর্যন্ত করে না-

তার অন্যতম মূল কারণ হলো মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত ‘ইহুদীদের সাথে সউদী ওহাবী শাসকগোষ্ঠীর গোপন চুক্তি’ এ চুক্তি অনুসারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি ইহুদীদের কাছে বিক্রি করে দেয় সউদী ওহাবী মুনাফিকরা। যে ফিলিস্তিনের ভূমি দখলের জন্য খ্রিস্টানরা বছরের পর বছর মুসলমানদের সাথে ক্রুশ যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছিল।



মুসলমানদের প্রথম ক্বিবলা বাইতুল মুক্বাদ্দাস শরীফ অবস্থিত ফিলিস্তিনের সেই পবিত্র ভূমি বিশ্ব গাদ্দার সউদী রাজা নিজ হাতে স্বাক্ষর করে হাসি মুখে হস্তান্তর করে ইহুদীদের কাছে। এই গোপন চুক্তির দলিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফাঁস হয়ে মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যায়, যা তোলপাড় সৃষ্টি করে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে। (এ বিষয়ে প্রেসটিভি অনলাইন রিপোর্ট করে ২রা নভেম্বর, ২০১১), ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা হলেও অতি দ্রুত সেটি বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। এই গোপন চুক্তিতে ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইহুদীদের নির্বিঘ্ন প্রবেশ ঘটাতে এবং ক্ষমতা খাটাতে সেই সময়কার কথিত সুপার পাওয়ার ব্রিটেনের সাথে সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সেই সময়কার ইহুদী এজেন্ট আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল’র মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়।



এই সউদী ওহাবী রাজারা আজো ইরাক, ফিলিস্তিন, মিশর, সিরিয়া এভাবে একের পর এক মুসলিম ভূমি দখলে সন্ত্রাসবাদী আমেরিকা ও ইসরাইলকে সাহায্য করে আসছে।



আরবীতে লিখিত সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান আল সাউদ আল ফয়সাল-এর নিজ হাতে স্বাক্ষরকৃত সেই গোপন চুক্তিতে সে লিখেছিল- “আমি সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুর রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল, আমি গ্রেট ব্রিটেনের ডেলিগেট স্যার পার্সি কক্সের কাছে হাজারবার মেনে নিলাম ও অঙ্গীকার করলাম যে, গরিব ইহুদী এমনকি অইহুদীদের (মুশরিক খ্রিস্টান সমজাতিদের) কাছেও প্যালেস্টাইন হস্তান্তরে আমার কোনো বিরোধিতা নেই এবং আমি কখনো তাদের (ব্রিটেনের) আদেশ অমান্য করব না।”



এই কালো চুক্তির কারণেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলদারিত্ব ও নৃশংস গণহত্যায় কোনো প্রকার বাধা দেয়নি ক্ষমতাসীন সউদী ওহাবী শাসকরা। ২০০৮ ঈসায়ী সনের ডিসেম্বরে সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয় ইসরাইলী সন্ত্রাসীরা যখন ফিলিস্তিনে ব্যাপক গণহত্যা শুরু করে, তখনো সউদী ওহাবী শাসকরা বোবা শয়তানের ন্যায় নীরব ভূমিকায় থাকে যা নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে সারাবিশ্বে।



কিন্তু সম্প্রতি দিশেহারা মুসলমানরা এমন একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে যখন নির্যাতিত মুসলিমরা পৃথিবীর বুকে কোথাও বিশ্বস্ত অভিভাবক পাচ্ছেন না। মুসলিম বিশ্বের প্রধান গাদ্দার সউদীও নিজ ক্ষমতা আর আধিপত্য বিস্তারের মোহে অন্ধ হয়ে মুসলমানদের দেশগুলো দখলের ও মুসলমানদের গণহত্যা করতে আমেরিকা-ইসরাইলকে যত প্রকার সহযোগিতা প্রয়োজন তা করে যাচ্ছে।



সুতরাং দ্বীন ইসলাম ও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সউদী ওহাবী রাজপরিবারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে বিশ্বের প্রতিটা মুসলমানকে। এটাকে প্রতিটা মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করা উচিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দ্বীন ইসলাম ও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সউদী ওহাবী রাজপরিবারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে বিশ্বের প্রতিটা মুসলমানকে। এটাকে প্রতিটা মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করা উচিত।

+++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

মাটির কথা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনি লিখেছেন - (শেষ প‌্যারা)

সুতরাং দ্বীন ইসলাম ও নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সউদী ওহাবী রাজপরিবারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে বিশ্বের প্রতিটা মুসলমানকে। এটাকে প্রতিটা মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করা উচিত।

আপনার স্পিরিটের সাথে একমত।


তবে এটি সম্ভব নয় ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ ইমাম মাহাদী আ. এর আবির্ভাব না-হয়।

বর্তমান সওদী এষ্টাবলিষ্টমেন্ট কোরানের নির্দেশ (ইহুদী ও খৃষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব না-করার আহবান) পরোয়া করেনি। (সুরা মায়েদা)

ইমাম মাহাদী আ. এর সাথে বর্তমান আমেরিকান কিংডম অব সওদী এরাবিয়ার যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে তাদের পরাজয় ও ক্ষমতা থেকে উৎখাত হবে।

বিস্তারিত জানার জন্য ইমরান নযর হোসেন এর এ সংক্রান্ত ভিডিউটি দেখুন। ইউটিউবে পাওয়া যাবে।

ধন্যবাদ।

ইহুদী ও খৃষ্টান খৃষ্টিয়ানিটি দুই ভাগে বিভক্ত।


ওয়েষ্টার্ণ খৃষ্টিয়ানিটি ও ইষ্টার্ণ খৃষ্টিয়ানিটি।


ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি ইত্যাদি মিলে ওয়েষ্টার্ণ খৃষ্টিয়ানিটি।

আর

রাশিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, গ্রীস ইত্যাদি মিলে ইষ্টার্ণ খৃষ্টিয়ানিটি।

ইষ্টার্ণ খৃষ্টিয়ানিটির সাথে মুসলিমদের কোন সমস্যা নেই। তারা ফ্রেন্ডলি।

নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন। এটি ছাড়াও অন্যান্য ভিডিউও আছে। খুঁজে দেখুন। ইমরান নযর হোসেন। সময় কম। তাই বিস্তারিত লিখতে পারছি না।

ধন্যবাদ।


ভিডিওর টাইটেলঃ

| Wisdom of Khidr And End of Times | Sheikh Imran Hosein |




সময় নিয়ে ষ্টাডি করতে হবে। সাথে অন্যান্য ডকুমেন্টারীও দেখতে হবে। এটাই সঠিক লাইন। সঠিক তথ্য পাবেন ইনশা'আল্লাহ।

ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

মাটির কথা বলেছেন: *** সউদী রাজ পরিবার তথা ইহুদী পন্থী সউদী সরকারের পতন হতে বেশী দেরী নেই। শুধু অপেক্ষার পালা।


****রাশিয়ার ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নেই।
উনিশ শতকে মুসলমানরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয় রাশিয়ার দ্বারা। নাস্তিকপন্থী রাশিয়াই প্রথম কুরআন শরীফ পুড়ানোর মত নিকৃষ্ট কর্ম চালু করে।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .

হ্যাঁ, আপনার স্পিরিটের সাথে একমত।

তবে ইমাম মাহাদী আ. এর আবির্ভাব না-হওয়া পর্যন্ত সওদী বর্তমান শাসকদের কেউ উৎখাত করতে পারবে না।

নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।



এ সংক্রান্ত অনেক ভিডিও রয়েছে।

ইমরান নযর হোসেন এর ইউটিউবের সব ভিডিও দেখুন। এ সংক্রান্ত ভিডিউগুলো খুঁজে দেখুন।

ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২২

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: সউদী রাজপরিবার এই চুক্তিটি কবে, কোথায় এবং কেন করেছিল?

৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

পারাবত বলেছেন: |-)

৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

পারাবত বলেছেন: |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.