নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী

চীড়া মুড়ী

ইন্টালাকচুয়াল এলিবেসন........আবশ্যই হতে হবে ইসলামর মাধ্যমে

চীড়া মুড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূ-খন্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে সরকার

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৯

সরকার কি আইন সংশোধন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূ-খন্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে? নাকি রহস্য জনক কারণে স্বাধীন জুমল্যান্ড গঠনে একধাপ এগিয়ে দিচ্ছে? এ প্রশ্ন এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯ লাখ বাঙালী সহ কোটি-কোটি নাগরিকের। উচ্চ আদালতে অবৈধভাবে ঘোষিত আঞ্চলিক পরিষদের নেতাদের সাথে বৈঠক করে তাদেরই সুপারিশে সরকার এমন একটি আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির উপর তথা বাংলাদেশের একদশমাংশ ভূ-খন্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাবে।তৎকালীন চাকমা রাজ ত্রিদিব রায় সহ যে জনগোষ্ঠিটি বারবার স্বাধীতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকেই বাংলাদেশ ভূ-খন্ডের ভিতরে ভিন্ন এক স্বাধীনতার সাধ দিতে গিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছেন নাতো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দাবীদার দলটি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১ সংশোধনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার স্ব-উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনার অধিকার বঞ্চিত হয়ে কার্যত: পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূ-খন্ডের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে।







এরই মধ্য দিয়ে স্বাধীন জুমল্যান্ড (বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র) গঠনের স্বপ্নে আরেক ধাপ এগিয়ে নিলেন ষড়যন্ত্রকারীরা। সরকারের সংশ্লিষ্ঠদের এধরনের ঐকমত্যের সিদ্ধান্তে হতবাক পাহাড়ের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ। উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে বারবার উপেক্ষিত হয়ে আসা প্রায় ৯ লাখ পার্বত্য বাঙালি জনগোষ্ঠির মধ্যে।







পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালীদের অভিযোগ চুক্তি অনুযায়ী গঠিত কমিশনে তাদের উপেক্ষা করা হয়েছে। এ কমিশনের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালীদের কোন প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ মোট ৯ জন সদস্যের মধ্যে এই কমিশনে দু’জন সরকারী কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি এবং বাকি ৭ জন সদস্যই পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের প্রতিনিধি এবং আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ নেতা। উল্লেখ্য যে, কমিশনের বিরোধ নিষ্পত্তির পৃথক ৩ জেলার ৩টি প্যানেল হলো প্রতিটিই চেয়ারম্যানসহ ৫ সদস্যের। ফলে আঞ্চলিক পরিষদ তথা পাহাড়ে বসবাসকারী একাংশ পাহাড়ী জনগোষ্ঠি যে ভাবে চাইবে বা যা বলবে পকারান্তরে তাই হবে কমিশনের সিদ্ধান্ত। এ ক্ষেত্রে সেখানে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণই থাকবে না।







দীর্ঘদিন ধরে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন এবং আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পৃথক ভূখন্ড গঠনের নীলনকশা বাস্তবায়নে নেমেছে একটি মহল। মূলত আড়াইশ বছরের অভিবাসী হয়ে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে তারা ৪ হাজার বছর ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙালীদের বহিরাগত আখ্যাদিয়ে বিতারিত করার চেষ্টায় সক্রিয় রয়েছে। ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত চুক্তিতে নিজেদের উপজাতীয় হিসাবে পরিচয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি নিয়েও আবার নিজেদের আদিবাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা নিতে উঠেপড়ে লেগেছে খোদ সন্তু লারমা তথা আঞ্চলিক পরিষদ। এটা প্রতিষ্ঠা পেলে পার্বত্য তিন জেলায় সরকার তার নিজ কর্তৃত্ব হারাবে ধারণা করছে অভিজ্ঞ মহল। উঠে যাবে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত আইনের শাসন। পাহাড়ীরা তাদের নিজস্ব আইনের শাসনে চলবে। ইচ্ছা করলেও অন্য কেউ জায়গা কিনতে পারবে না। একই সঙ্গে সরকারের অধীনে থাকা কাপ্তাই প্রকল্প, বেতবুনিয়া ভূউপগ্রহ এলাকা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নামে রেকর্ডকৃত ভূমিও তাদের অধীনে চলে যাবে।







এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম তথ্যাবিজ্ঞমহল বলে আসছেন, তাদের এ সব দাবি পূরণ হলে তিন পার্বত্য এলাকায় সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তাঁদের দাবি অনুযায়ী ভূমি কমিশনের মাধ্যমে পুরো কাপ্তাই লেক তাদের কাছে হস্থান্তর করতে হবে। হস্থান্তর করতে হবে সংরক্ষিত বনাঞ্চলও (রিজার্ভ ফরেস্ট)।







মূলত আদিবাসীর অধিকার চাচ্ছে পাহাড়ী গোষ্ঠীগুলো। জাতিসংঘের আদীবাসী সংজ্ঞায় উল্ল্যেখ আছে, কোন আদিবাসী এলাকায় সেনা চলাচল করা যাবে না। এলাকার কোন জমি সরকার ব্যবহার করতে পারবে না। অনুমোদন ছাড়া আদিবাসী এলাকায় প্রবেশও নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া আদিবাসী হলে অপরাধ করলেও তাদের রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে কোন বিচার বা গ্রেফতার করা যাবে না। তারা তাদের নিজস্ব আইনে অপরাধীদের বিচার করবে।







পার্বত্য চট্টগ্রাম তথ্যাবিজ্ঞমহলের তথ্যমতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং পাহাড়ী নেতৃবৃন্দ নিজেদের আদিবাসীতে পরিণত করতে দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তদবির চালিয়ে আসছেন। বিভিন্ন সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাঁদের পেছনে রয়েছেন তাঁদের নেতা চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশীষ রায়। আদিবাসীর মর্যাদা আদায়ের পাশাপাশি ভূমি কমিশন আইন সংশোধন করতে পারলে তাঁরা তাঁদের লক্ষ্য অর্জন করে ফেলবেন।







পাহাড়ের ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ভূমি জটিলতা নিরসনে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন করা হয়। বিভিন্ন সময় সরকার অধিগ্রহনকৃত ভূমি ও বাঙালীদের নামে দেয়া বন্দোবস্তীকৃত জমিও কমিশনের আওতায় আনতে চাচ্ছেন পাহাড়ী নেতৃবৃন্দ।



গত বছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আদিবাসী শব্দটি ভুল ব্যবহার হচ্ছে উল্ল্যেখ করে তা না করার জন্য নির্দেশনা জারি করেন। তখন বলা হয়, বাঙালীরা আদি অধিবাসী হিসেবে বিগত ৪ হাজার বছর ধরে বসবাস করছে বলে বিভিন্ন ভাবে প্রতীয়মান হয়। অপরপক্ষে ঐতিহাসিক সূত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের ভূখন্ডে তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৭২৭ সাল থেকে মাত্র দু’শ বছর ধরে বসবাস করছে বিধায় তাঁরা আদিবাসী নন।







সবকিছু মিলিয়ে পার্বত্যবাসী আজ নানা আশঙ্কায় ভুগছে এবং আবারো বড় ধরনের কোন সহিংসতার কথা আঁচ করছে। বিদ্যমান সার্বিক পরিস্থিতি পার্বত্যাঞ্চলের নিরীহ জনগণকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন- আর কতোদিন সমস্যায় নিমজ্জিত থাকবে পাহাড়ি জনপদ ? কী হচ্ছে এসব পার্বত্য চট্টগ্রামে? আর যা হচ্ছে তা কেন সমগ্র জাতীকে জানানো হচ্ছেনা ? থেমে থেমে পাহাড়ে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে তার জন্য যারাই দায়ী, তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে সহাবস্থান করা সম্ভব হবেনা এবং পাহাড়ে কখনোই শান্তি প্রতিষ্টা হবেনা।















আল-মামুন ::খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি::

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৯

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: পাহাড়ে কখনোই শান্তি প্রতিষ্টা হবেনা। :(( :(( :(( :((

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: যে খাটায় ক্ষমতা ঘরে
তার দাম নাই বাইরে
চিনা প্রবাদ
আমাদের সরকারের পরিনতি তাই

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: : দৃষ্টি আকর্ষণ

ধর্ষক দের ফাসি চাই
পাশাপাশি আওয়াজ তুল

মধ্যযুগের বর্বরতা
সবাই আওয়াজ তুল
ভারতের হায়নাদের কবল থেকে মুক্ত চাই বাঙ্গালী
বিএস এফের বিচার চাই
অন্যায় ভাবে সিমান্তে হত্তা বন্ধ হোক করতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.