![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাদের ঘুষের ৫ হাজার রিয়াল দিতে না পারায় সাড়ে তিন বছর ধরে সৌদি আরবের জেলে বন্দী জীবনযাপন করছেন ধামরাইয়ের দরিদ্র পরিবারের সন্তান হাবিবুর রহমান। স্ত্রী সালমা আক্তার দুই ছেলে ও বৃদ্ধ শ্বশুরকে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। সৌদি কারাগার থেকে অন্যের সাহায্যে প্রায়ই ফোন করে কান্নাকাটি করে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আকুতি জানান হাবিবুর রহমান। কিন্তু সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র এ পরিবারটি এখন নিঃস্ব। তাদের পক্ষে এত টাকা খরচ করে হাবিবুর রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই তারা দূতাবাসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও দয়াবান ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ধামরাইয়ের শরীফবাগ এলাকার বাসিন্দা সমন আলী বেপারীর ছেলে হাবিবুর রহমান ভাগ্য ফেরাতে ২০০৬ সালে আড়াই লাখ টাকা ধারদেনা করে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। কনস্ট্রাকশনের কাজ নিয়ে সৌদি আরবে গেলেও তার আয়-রোজগার তেমন ভালো
ছিল না। তিন বছর একইভাবে চলে যাচ্ছিল তার। ধারদেনা তখনও সব পরিশোধ হচ্ছিল না। তাই ২০০৯ সালের প্রথম দিকে তিনি পুরনো লোহা, ফেলে দেয়া বিভিন্ন অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী কুড়ানো শুরু করেন। সৌদি সরকার এ ধরনের টোকাইয়ের কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। একদিন তার বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে এক বছর কারাদণ্ড দেয়। ২০১০ সালের প্রথম দিকে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর ধরে তিনি বিনাবিচারে কারাগারে বন্দীজীবন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে সৌদিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা একাধিকবার তার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাত্ করেছেন। কর্মকর্তারা তাকে মুক্ত করতে ৫ হাজার সৌদি রিয়েল চেয়েছেন ঘুষ হিসেবে। কারারুদ্ধ হাবিবুর রহমানের পরিবারের পক্ষে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। কারাগার থেকে প্রায়ই হাবিবুর রহমান তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোন করে কান্নাকাটি করেন টাকা সংগ্রহ করে তাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য। এদিকে কারারুদ্ধ হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে সেলিম হোসেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও শাওন হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। অর্থাভাবে তাদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে। এসএসসি পরীক্ষার্থী সেলিম হোসেন সপ্তম শ্রেণীতে পড়াকালে বাড়ির একটি গাছে উঠলে কাছ দিয়ে যাওয়া হাই বোল্টেজের বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে গাছ থেকে পড়ে মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। মেধাবী এ ছাত্রকে চিকিত্সার অভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতে হচ্ছে। ধামরাইয়ে শরীফবাগের বাড়িতে গেলে তাদের জীর্ণ কুঁড়েঘরে কথা হয় হাবিবুর রহমানের বৃদ্ধ বাবা সমন আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, তাদের সংসার আর চলছে না। অর্ধাহারে অনাহারে চলছে তাদের দিন। তিনি সরকার ও দেশের দয়াবান লোকদের সাহায্য চেয়েছেন তার ছেলেকে মুক্ত করতে। হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সালমা আক্তার ও একই আকুতি জানিয়েছেন।
ধামরাইয়ের দরিদ্র হাবিবুর ঘুষ না দেয়ায় তিন বছর ধরে সৌদি জেলে বন্দী
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২
ভুদাই আমি বলেছেন: