![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহীদ মিনারে আজ আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। সংগঠনের সভাপতি এশারত আলী বলেছেন, সরকার ও প্রশাসন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শিক্ষকদের ওপর যতই নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হোক, তারা জাতি গড়ার কারিগর। আমরা তো আর পুলিশের সঙ্গে মারামারি করতে পারি না। এমপিওভুক্তি’ একদফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিখোঁজ সম্পর্কে এশারত আলী বলেন, পুলিশি হামলায় সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই কামরুল ইসলাম আমার দেশ-কে জানান, শিক্ষকদের কর্মসূচি থেকে কাউকে আটক করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির (বেতন-ভাতা বাবদ মাসিক সরকারি টাকা) একদফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। ওই দাবিতে চলতি বছরে আন্দোলনের তৃতীয় দিনে গত বুধবার শিক্ষকরা শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের হামলায় তা পণ্ড হয়ে যায়। ওই হামলার প্রতিবাদ এবং এমপিওভুক্তির একদফা দাবিতে শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় গতকাল সকাল ১০টায় শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচির শুরু হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষকরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সকালে সেখানে এসে দেখেন বিপুলসংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ও র্যাব যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে অবস্থান করছেন। আশপাশের এলাকাও পুলিশ ঘিরে রেখেছে। ওই এলাকায় শিক্ষকদের দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। প্রেস ক্লাবে যেতে না পেরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষক-কর্মচারী শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদের অনেকে শহীদ মিনারের বেদিতে ও পাদদেশে শুয়ে পড়েন। পুলিশ এসে দুপুর ২টার মধ্যে শহীদ মিনার থেকে সরে যেতে বলে। বেলা ১টার দিকে তারা মাইকিং করার চেষ্টা চালালে পুলিশ মাইক কেড়ে নেয়। পুলিশের বেঁধে দেয়া সময় পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ২টার দিকে মরিচের গুঁড়া স্প্রে করা হয়। মরিচের গুঁড়ার কবলে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঐক্যজোটের সভাপতি এশারত আলী বলেন, সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীরা জড়ো হতে চাইলে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। শিক্ষকদের গ্রেফতারের হুমকি দেয়। ভয়ে অনেক শিক্ষকই প্রেস ক্লাবের সামনে আসেননি। এরপরও শিক্ষকরা তোপখানা রোড হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তাই তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষক সমিতির সভাপতির দাবি, মরিচের গুঁড়া হামলায় তিনিসহ (সভাপতি) অন্তত অর্ধশত শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মরিচের গুঁড়ায় আক্রান্ত হয়ে চোখে জ্বালাপোড়া হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সারা শরীরেও জ্বালাপোড়া হচ্ছে। অসুস্থদের মধ্যে ৩০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মরিচের গুঁড়ার কবলে পড়েন সময় টেলিভিশনের এক সাংবাদিকও। কর্মসূচি পণ্ড ও মরিচের গুঁড়া হামলা সম্পর্কে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অনুমতি ছাড়াই শিক্ষকরা এখানে জমায়েত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের অনুমতি না থাকা এবং কোনো অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করায় শিক্ষকদের শহীদ মিনার ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বাধ্য হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর এ কারণেই শহীদ মিনার থেকে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
রহমান মাহমুদুর বলেছেন: এই সরকার দূর্নিতি বাজদের সরকার, তারা শিক্ষকদের সম্মান করতে জানে কি?
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: এদের কে আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। হাসিনা দুই দিন আগে ২৯ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করছে। আশাকরি বিএনপি এসে বে-সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলি এমপিও ভুক্ত করার কাজটা করবে।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
নেটবুক বলেছেন: 1. সারা জীবন শিক্ষকরাতো ছাত্রদের মারছে, তাই ঐসব ছাত্ররা ( আম্লিগ, প্লিুশ) একটু প্রতিশোধ নিছে আর কি!
2. শিক্ষকরাইতো ভোট ক্যাম্পে থাকে, তাই তাদের এখন থেকে একটু দেখিয়ে দিল যে, আম্লিগের কথা না শুনলে এভাবে মাইর খাইতে হইবো!!
3. অথবা আম্লিগ হলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একমাত্র শক্তি যাদের কাছে দাবি দাওয়ার জন্য রাজপথে কেন? এটাতো একশ পার্সেন্ট মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করা হয়। তাই রাজাকার মারলে কিছু হয়না।
4. তাছাড়া বাংলাদেশের শিক্ষকদের মতো লোকদের আম্লিগতো প্রতি রাতে একজন জন্ম দেয়“!!!!!!
কি মজা!!!!!!! রাগ কইরেন্না কমেন্ট পইড়া, এটা ছাড়া আমার লেখার কিছুই ছিলনা।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
শয়ন কুমার বলেছেন: আমরা ভোট দিয়া সরকারি দল বদল করি কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারি দলগুলোর আচরন বদলায় না ।অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য ,আন্দোলনরত এই শিক্ষকদের উপর পুলিশ দিয়ে নির্যাতন আওয়ামী লীগ এবং বিএন পি দুই দলেই করেছে । পুলিশ দিয়ে শিক্ষক পিটনো, আহত শিক্ষককের মৃত্যু আওয়ামী লীগের আমলেও যেমন ঘটেছে তেমনি বিএন পি আমলে “১৯৯১ সালে শিক্ষকরা যখন এই দাবিতে অনশন করেন। আন্দোলনে একজন শিক্ষক যখন মারা গেলেন তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যিনি এখনকার বিরোধীদলীয় নেতা তার সুগন্ধা কার্যালয়ে একটি উৎসব করছিলেন।”
আন্দোলনরত এই শিক্ষকদের উপর পুলিশ দিয়ে নির্যাতন আওয়ামী লীগ এবং বিএন পি দুই দলেই করেছে । কেউ সাধু হতে পারলো না ।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশী সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই ধরণের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানাই।মাসিক মাত্র ১৭০০ টাকায় জীবনযাপনকারী শিক্ষকদের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি সম্পন্ন করার দাবি জানাই।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: @শয়নকুমার: আন্দলোন করছে বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষদের ২ দিন আগে সরকারিকরন করা হয়েছে।মনে হয় প্রাথমিক শিক্ষকদের দেখে এরাও কিছু পাওয়ার চেষ্টা করছে।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
ইথান মাহমুদ বলেছেন:
লাল টিক মার্ক এ চিহ্নিত লোকটি কে ভাই?? পুলিশ নাকি??
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
বাঁশ বাগান বলেছেন: শহীদ মিনার শুধু মাত্র সুশীলদের জায়গা। এটা কি শিক্ষকরা জানতো না।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
আহসান২০২০ বলেছেন: শিক্ষকের হাতে তো কোন অস্ত্র নাই, পুলিশের হাতে অস্ত্র কেন? বাংলা ২য় পত্রের একটা বাগধারা পাল্টাইতে হবে। এখন লিখতে হবে "মসির চেয়ে অসি বড়"।