![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাটকটি সম্ভবত পৃথিবীর নাট্যসাহিত্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম-সফল পূর্ণাঙ্গ পঞ্চাঙ্ক; ইটালীয় নাটক । প্রায় সাড়ে ৬০০ বছরেরও আগে রচিত হয় । শেক্সপীয়রের জন্ম তখনও হয়নি । ‘ভারতী’ পত্রিকাতে ৩৪ বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা ১৩১৭ সালের আষাঢ় মাসে ভারতীয় ভাষার মধ্যে প্রথম বাংলা ভাষাতে অনুবাদ প্রকাশিত হয় ।
অনুদিত নাটকটি আমরা (‘এবং নৈকট্য’ – বিশেষ সংখ্যা ) যেভাবে পেয়েছি অবিকল সাজানোর ক্ষেত্রে সেভাবেই ছেপে দিলাম ।
পঞ্চাঙ্ক নাটক
[প্রায় ৬ শত কবি বৎসর পূর্বে ইতালির গাওভেনী ভেন্টুরা (Giovanni Ventura) এক পৃষ্ঠার মধ্যে একখানি করুণ রসাত্মক পঞ্চাঙ্ক নাটক লিখিয়াছিলেন । নাটকটির নাম রসমুন্ডা (Rasmunda) । ইতালির টুরীণ ও মিলান প্রদেশে বহুবার এই নাটকের অভিনয় হইয়াছিল । অভিনয়ক্ষেত্রে রসমুন্ডা জনসাধারণের মনোরঞ্জন করিতে সমর্থ হইয়া তৎকালীন নাটকগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছিল । আমরা এই ক্ষুদ্র অথচ পঞ্চাঙ্ক নাটকখানির সম্পূর্ণ বঙ্গানুবাদ নিম্নে প্রকাশ করিতেছি । ]
গাওভেনী ভেন্টুরা প্রণীত – নাট্যোক্ত চরিত্র ----
এলবিয়ান : রাজা
রসমুন্ডা : রাণী ( রাজা কূনীমন্ডের কন্যা )
পেরিডেন্স : নফর
প্রথম অঙ্ক
মদ্যপূর্ণ নরকঙ্কাল রসমুন্ডার মুখের সন্মুখে ধরিয়া এলিয়েন বলিলেন ---
পান কর ।
রসমুন্ডা ॥ ( পানপাত্র দেখিয়া আতঙ্কে শিহরিয়া ) – ওঃ !
এলবিয়ন ॥ আমার আদেশ -- পান কর ।
রসমুন্ডা ॥ (মদ্যপান করিতে করিতে) তুমি অধঃপাতে যাও ।
দ্বিতীয় অঙ্ক
এলবিয়ন ॥ (প্রেম-বিহ্বল) – প্রিয়তমে, এত বিষণ্ণ কেন ?
রসমুন্ডা ॥ কিরূপে প্রসন্ন থাকব বল ?
এলবিয়ন ॥ অতীতের কথা ভুলে যাও, প্রিয়ে ।
রাজা রসমুন্ডার দিকে অগ্রসর হইলেন ।
রসমুন্ডা ॥ (সরিয়া যাইয়া ) যাও আমাকে স্পর্শ করো না ।
এলিয়ন ॥ রসমুন্ডা, আমাকে তুমি ঘৃণা কর ?
রসমুন্ডা ॥ ঘৃণা ? না ।
তৃতীয় অঙ্ক
রসমুন্ডা ছুরিকার ধার পরীক্ষা করিতেছিলেন । পরে উচ্চস্বরে ডাকিলেন
---- গোলাম ।
পেরিডেন্স প্রবেশ করিল এবং জানু পাতিয়া বসিয়া বলিল --- মহারাণী !
রসমুন্ডা একটু থামিয়া, পরে পেরিডেন্সের প্রতি প্রেম-চকিত নয়নে দৃষ্টিপাত করিলেন । ধীরে ধীরে বলিলেন – গোলাম, আমি তোমাকে ভালবাসি ।
পেরিডেন্স চমকিয়া কহিল --- অ্যাঁ --- সেকি !
রসমুন্ডা ॥ হ্যাঁ, এস – কাছে এস ।
রাণী নফরকে আলিঙ্গন করিলেন ।
চতুর্থ অঙ্ক
পার্শ্বস্থকক্ষে রাজা সুপ্তিমগ্ন । তাঁহার নাসিকাধ্বনি শুনা যাইতেছিল ।
রসমুন্ডা পেরিডেন্সের হস্তে ছুরিকাপ্রদান করিয়া ব্যগ্রকন্ঠে বলিলেন – যাও,
এই মুহূর্ত্তে খুন কর ।
পেরিডেন্স ॥ (ইতস্তত করিয়া ) রাজাকে খুন করব ?
রসমুন্ডা ॥ হ্যাঁ, রাজা ! – যে রাজা তোমার প্রেমের প্রতিদ্বন্দ্বী !
পেরিডেন্স ॥ তবে ----
পেরিডেন্স দ্রুতপদে রাজার শয়নগৃহের দিকে গমন করিল
পঞ্চম অঙ্ক
নেপথ্যে রুদ্ধ কন্ঠে রাজা চীৎকার করিয়া উঠিলেন – রক্ষা কর !
রসমুন্ডা ॥ (শব্দলক্ষ্যে ) – তোমার নিপাত হোক ।
(রক্তাক্ত ছুরিকাহস্তে প্রবেশ করিয়া )
পেরিডেন্স ॥ কাজ শেষ !
রসমুন্ডা পেরিডেন্সের হস্ত হইতে ছুরিকা কাড়িয়া লইলেন এবং তাহার অগ্রভাগ ঊর্ধ্বে তুলিয়া তীব্র কন্ঠে বলিলেন --- পিতা ! পিতা ! – এই রক্ত পান করে আজ তোমার আত্মা তৃপ্ত হোক !
॥ যবনিকা ॥
### ‘এবং নৈকট্য’ – বিশেষ সংখ্যা, শারদ উপলক্ষ্যে জুলাই – ডিসেম্বর ১৯৯৬ । রসমুন্ডা : গাওভেনী ভেন্টুরা --- অনুবাদ : শ্রী কার্তিকচন্দ্র দাসগুপ্ত ।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: হিজিবিজি হিজিবিজি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশতো!