![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে ভালোবাসি, ভালোবাসি আমার কন্যা মনস্বিতা মেধাকে, ভালোবাসি কবিতা, গান, আর মানুষ, সকালের শিশির, সব চেয়ে বেশি ভালোবাসি আমার বাংলাদেশকে।
একজন মানুষের ঠিক কোথায় আঘাত করলে মানুষটি আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না, আর কোথায় আঘাত করলে মানুষটি ঢলে পড়বে মৃত্যুর কোলে সে ওদের চেয়ে আর কে বেশি জানে, একটি জাতির কোথায় আঘাত করলে সেই জাতি পঙ্গু হয়ে বোধ শক্তিহীন হয়ে পথ হারাবে অসভ্য অন্ধকারে এটা ওরা জেনেছে আরো আগে ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাঙালীর বিজয় অর্জনের ঠিক দুদিন আগেও একবার তারা মেতে উঠেছিলো আমাদের মেধা হননে। তাই প্রজন্ম জাগরণ জোয়ারের তোড়ে ভেসে যাবার আগ মুহুর্তে সর্টসার্কিট থেকে বই মেলায় আগুন মন থেকে ঠিক মেনে নিতে পারছি না, বাচ্চার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না তাই একটু সকাল সকালই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, বরাবরের মতো ভোররাতে উঠেই দেখলাম আগুনে পুড়ে গেছে আমার বর্ণমালার শরীর, যে বর্ণমালা তিল তিল করে ঋদ্ধ করে আমার মেধার শরীর, যে বর্ণমালা বজ্রকন্ঠ হয়ে ঘোষনা করে আমার অস্তিত্ব বিশ্বময়, মেনে নিতে পারছি না মাঝরাতে তার শরীরে আগুন, শ্বাপদেরা যে মধ্যরাত ভালোবাসে, ২৫ মার্চ ১৯৭১ কালরাতেই তো অপারেশন সার্চলাইট নামে তারা শুরু করেছিলো নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও পোড়াও। স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে তারা ঘুমের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন করে দেবার সামরিক নীল নকশা তৈরি করেছিলো। অন্য কেউ নয়, আমার অভিজ্ঞা ফিস ফিস করে বলছে মাঝরাতে বই মেলায় আগুন নিছক আগুন নয়, এ শ্বাপদের জিহ্বা থেকে উদগীরিত বিষাক্ত লাভা জাত আগুন! চলুন অপেক্ষা করি, কে কিভাবে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে, গ্যালারিতে বসে তাই উপভোগ করার চেষ্টা করি।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪১
চৈতী আহমেদ বলেছেন: দুর্ভাগ্যকে আমরা ফুল চন্দন দিয়ে তুষ্ট রাখতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এমন এক একটি ঘটনার পর আমরা সব সময় তদন্ত কমিটিই গঠিত হতে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাড়ি ফিরে যাই, কি তদন্ত হলো তা দেখার আর আগ্রহ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের থাকে না, এই সুযোগে তদন্ত কমিটি হয় কোমায় চলে যায় নতুবা একটা দায়সারা রিপোর্ট দিয়েই দায় সারে।
যতক্ষণ গ্যালারী টুকুও থাকবে আমার তো মনে হয় সেখানে বসার লোকের অভাব কখনোই হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০০
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: শত্রু থাকে নিজেরই বাড়ির ভিতর তখন ক্ষমতালিপ্সু বিদেশী শক্তির খুদ ছড়ালেই হয়, ট্রোজান হর্স পাঠানোর মত চৌকষ কাজটুকু দরকার হয় না। যারা আমাদের পঙ্গু করতে চাইলো অনেকেই জন্ম নিয়েই এই মাটিতেই। দুর্ভাগ্য আমাদের...
আর চারপাশে জ্বলতে থাকা আগুনগুলো হু হু করে ছড়াতে থাকলে কতক্ষণ আর গ্যালারীতে বসে থাকা যাবে?