![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড় মহাপুরুষের খোজে .....
লেখা শুরু করার আগে আমি আগে টাইটেল টা লেখি , আজ উল্টা হলো, কারন কি টাইটেল দেব খুজেই পাচ্ছি না। যাউজ্ঞা, টাইটেল পরে ও দেয়া যাইবো। কাজের কাজ শেষ করে নেই।
কিছুদিন আগেও ছোটখাট কিছু কষ্ট মনের মধ্যে ভিড় করে ছিল। আজ অনেকাংশেই তা লাঘবিত। না , অনেকাংশে না সম্পূর্নটাই লাঘব হয়েছে। ঘটনার শুরু, ডিসেম্বর থেকে, ক্লাসের সবাই মিলে ট্যুরে যাবো। পরবর্তীতে শুনলাম, ডিপার্টমেন্ট থেকেই ট্যুরে নিয়ে যাওয়া হবে আমাদের। তাই , অপেক্ষা করতে লাগলাম কবে ফাইনাল শেষ হবে আর কবে ট্যুর এ যাবো। কিন্তু ফাইনাল শেষ হয়ে আরেক ফাইনাল আসতে চললো ট্যুর এর নাম গন্ধ ও নাই। কারন একটাই উপরের ব্যাচ এর সাথে আমাদের কখনোই বনিবনা হয় না। আর আমাদের নিজেদের মধ্যেও অনেক ধরনের ঝামেলা মিশ্রিত। তাই একসাথে সবাই একটা ভ্রমনে গেলে অন্তত নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্তপ্রীতি কিছুটা হলেও বাড়বে।
অনেক ঝামেলা হওয়ার পর , শেষ পর্যন্ত কয়েকজনকে আগ্রহী করতে পারলাম ট্যুর এর বিষয়ে। আমরা ১৬ জন। এর মধ্যে ৩ টা লেডিস। ২ টা অরিজিনাল ১ টা নকল (মাইনে পোলা লেডিস আরকি)। ইট্টু গবেষনার পর দেখা গেল মেয়েদের যাওয়া সম্ভব না। যদি ১ জন যায় তাহলে সবাই যেতে পারবে এমন ব্যাপার। কিন্তু ১ জন যাবে না , তাই শেষ পর্যন্ত কারোই যাওয়া হলো না। তোকে বলছি তিথী, একদিন বুঝবি বন্ধুত্ত কি জিনিস। বয়ফ্রন্ড আর বন্ধুত্তের ফারাকটা এখন ও বুঝলি না।
বিভিন্ন কারনে কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত আমরা ৯ জন গেলাম ট্যুরে, সেটা ছিল কক্সবাজার। আমার ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ছিল সবার সাথে সম্পর্ক আরো জোড়দার করা। কারন আমরা ২ বছর একসাথে থেকেও কারো সাথে কারো তেমন বন্ধন তৈরী হয়নি। ট্যুর থেকে আসার পর একজন ছাড়া বাকি সবার সাথে আগের থেকে ভালো ফিলিংস তৈরী হয়েছে আমার মধ্যে। আমার মনে হয় তাদের মধ্যেও তা হয়েছে।
কক্সবাজার যাবার পর আমি আর রিমন ছাড়া সবাই ঘুরাঘুরিতে ব্যস্ত। আবার কবে আসবে না আসবে সে কারনে তারা সকাল থেকে রাত অব্দি বিভিন্ন জায়গায় কারনে-অকারনে দৌড়াতে লাগলো। সেই মূহূর্তে মনের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ জন্মালেও এখন আর তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। আমি তেমন ঘুড়াঘুড়ি করি নাই , তাহলে সবার প্রশ্ন হতে পারে আমি তাইলে গেলাম কেন আর গিয়ে পেলাম ই বা কি ???
উত্তর দিচ্ছি এখনই ,
আমি যদি না যেতাম, তাহলে গতকাল আমার সাব্বির এর সাথে বইমেলায় যাওয়া হতো না। কারন, আগে ওর সাথে ভুলেও আমার চ্যাট কিংবা ফোনে কথা হতো না। কিন্তু এখন , ও ফিল না করলেও আমি ওকে ফিল করি। এই ফিলিংস এর জন্যেই হয়তো ঘটা করে ওর জন্মদিন টা আমরা পালন করতে পেরেছি। না হলে কোনদিন করতে পারতাম না। কি পারতাম ?? সবার কাছে প্রশ্ন রইলো।
আমার মধ্যে ওর জন্য আলাদা ভাবে একটা ভালো লাগা তৈরী হয়েছে। যার জন্য , আমি ওর সাথে নিয়মিত কথা বলি , চ্যাট করি। আমি মনে করি এতে আমি যেমন হাসিখুশি থাকতে পারি সেও পারে।
যদি আমি ট্যুরে না যেতাম, তুহিন এর সাথে রাত আড়াইটা পর্যন্ত বিচে বসে শীতে কাপতে কাপতে গল্প করতে পারতাম না। আপনি বলতে পারেন, আহাড়ে বেচাড়া , গল্প করার কত শখ। আসলেই অনেক শখ আমার। এই গল্পের মর্ম আপনারা কেউ বুঝবেন না। কিন্তু আমি বুঝি ওই গল্প করা আমার আর তুহিনের জন্য কতটা গুরুত্তপূর্ন ছিল। আত্নার সম্পর্ক তো এমনি এমনি ই তৈরী হয়না , তাই না ?
সারারাত সারোয়ারের মাতলামি নিয়ে পরদিন ওরে খোচানু , হাসি তামাশা করাটা মিস করলে মনে হয় জীবনের সবচেয়ে অমূল্য একটা কিছু মিস করতাম আমি।সেই আনন্দ কি, ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব ?
আমি বিকালে/সন্ধায় বন্ধুদের সাথে মার্কেটে যাইনি। কিন্তু অন্ধকারে খালি পায়ে বালিতে হাটতে হাটতে আমি শুনতে পেয়েছি কত কবির কবিতা, কত শিল্পীর কত গান কত সুর। হেলে পড়া সূর্যটা যেন কানে কানে বলে যায় তুই সফল হয়েছিস। আমার দোস্ত রিমনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমি তো গান গাইতে পারি না। ও আমাকে অনেকগুলা গান শুনিয়েছিল। হয়তো , ঠিক এরকম ভাবে আর কোনদিন গান শুনা হবে না। এসব গানের কিন্তু সুর নেই, ইন্সট্রুমেন্টাল ভাব নেই। কিন্তু যা আছে তা কি হাজারো গিটার , বেহালা অথবা অন্য কোন কিছু দিয়ে সৃষ্টি করা সম্ভব? নিসন্দেহে বলবো না।
কতরকম সম্পর্কই আছে পৃথীবিতে, সব ই একদিন ম্লান হয়ে যায়। এই বন্ধুত্ত এমনই একটি সম্পর্ক যা কোনদিন ম্লান হয়না। আজীবন কত ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্যে দিয়েই এই সম্পর্ক টিকে থাকে।
তা নাহলে নিচের কথাগুলা কি আমরা শুনতে পেতাম আশে পাশে ?
Friendship is not about “I’m sorry” it’s about “সব তোর দোষ”
Friendship is not about “I missed you” it’s about “এতো দিন কই মরসিলি”
Friendship is not about “I understand” it’s about “সব সময় আমি ক্যান বুঝব”
Friendship is not about “I’m happy for your success” it’s about “আবে পার্টি কবে?”
Friendship is not about “Are you coming with us” it’s about “ভাব কম মার চুপচাপ সাথে চল”
শেষে এসে চিৎকার করে বলতে চাই ,
"আমার একজন বন্ধু দরকার, বন্ধু !!
যে বন্ধু উত্তাল সমুদ্রের অতল থেকে আমার
শেষ রাতের চাপা আর্তনাদের শব্দ শুনবে,
আমার বুকেতে মাথা রেখে আমার জীর্ণ মনের ক্ষুধা খুঁজবে,
প্রশান্তের নাবিক হয়ে আমায় বিশাল এ্যালবাট্রসের ছায়া ভেজাবে,
হ্যাঁ, আমার ঠিক সেই রকম একজন বন্ধু চাই, বন্ধু !"
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
ছোট মহাপুরুষ বলেছেন: কোন এক্সকিউজ দিলাম না দোস্ত। দিলে ত কত ই দেয়া যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩
রিমন।গণিত পাগলা (প্রায়) বলেছেন: হালা, আমি জীবনে ও তোগোরে ক্ষমা করমু না, আমারে ঘুম থেকে না ডাকার লাইজ্ঞা, আমার খুউব ইচ্ছা ছিলো সারা রাত বীচ এ কাটামু, আমারে ডাকলি না তরা ;( ;(