নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: চঞল মাহমুদ

যারা বার বার ভূল করে,আমি তাদেরই একজন,স্বপ্নহীন মানুষ হিসেবে বেঁচে আছি.প্রতিটি জীব সৃষ্টির পেছনে প্রকৃতির একটি উদ্দেশ্য থাকে.সব সময় চাই যেন তার ইচ্ছাটা বাস্তবায়ন করতে পারি.আমি স্রষ্টাকে খুঁজিনা.আমি আমাকেই খুঁজিয়া বেড়াই.

মো: চঞল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতি সাধারন গল্প

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৬

প্রিয়জনের কাছে সব কথা বলতে নেই৷

সেটা দুঃখের হোক,সুখের হোক বা কোন ইচ্ছা৷

যেমন আমার এখন ইচ্ছা করছে চন্দ্রা তার সেই বেগুনী রংয়ের শাড়িতে দেখতে৷ ওকে বললেই ও শাড়িটা পড়ে হাজির হবে,কিন্তু কেন যেন বলতে ইচ্ছা করছে না৷

চন্দ্রা যদি কোন মতে শোনে আমি ট্রেনের রাস্তা ধরে হাটছি তবে ও চলে আসবে৷কিন্তু আমি চাইনা ও জানুক৷



পথ ধরে হাটতে হয় একা একা এখানে শুধু পথ আর পথিক দুজনই সংগী৷পথে বেশিক্ষন হাটলে পথের প্রতি এক ধরনের মায়া চলে আসে৷এই মায়া জন্মাতে বৈরাগী হওয়া লাগেনা৷শুধু পথকেই নিজের সংগী বানাতে হয়৷



চন্দ্রার সাথে আমার প্রথম পরিচয় একটু অন্যভাবে,

একদিন আমি রাস্তার ধারে বসে এক পথশিশুর (মানে আমরা যাকে টোকাই বলি) সাথে গল্প করছি অবশ্য মাঝে মাঝেই করি৷ চন্দ্রা অনেকদিন যাবৎ আমায় ফলো করছে৷ সেদিন হঠাৎই সামনে এসে শাসনের সুরে বললো আপনি এসব উদ্ভট কাজ করে বেড়ান কেন?কথা শুনে মন হলো আমি যেন ওর অনেক আগের চেনা কেউ৷ আমি বললাম কি করি?

রাগস্বরে বললো,এদের সাথে গল্প করেন,রাস্তায় একা একা হাঁটেন,ভিক্ষুকদের সাথেও রাস্তায় খাবার খান!

আমি বললাম ও আপনাকে সাথে রাখিনি সেজন্য রাগ করছেন?

চন্দ্রা আরও রেগে গিয়ে বললো আপনাকে যেন আর এসব পাগলামি না করতে দেখি৷

আমি বুঝতে পারলাম ও আমায় ভালবেসে ফেলেছে৷ কোন নারী তখনই কোন পুরুষের প্রেমে পড়ে যখন তার মাঝে অন্যসব পুরুষের চাইতে আলাদা কিছু তার মাঝে খুঁজে পায়৷

আর ওর আমার এইসব কর্মকান্ডই ভাল লেগেছে৷



সেই থেকে ওর সাথে কথা বলা শুরু৷আমি চন্দ্রাকে ইচ্ছা করেই দূরে দূরে রাখি৷প্রিয়জনদের বেশি কাছে কাছে রাখতে নেই তাতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ঠিকই কিন্তু পরস্পরের প্রতি টান টা কমে যায়৷আমি চাই আমার প্রতি ওর এই টান টা এভাবেই সারাজীবন থাকুক.....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.