![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।
আপন লেখনী দিয়ে যারা কালের খেয়ায় জায়গা করে নিতে চান। চারপাশটা আলোকিত করে দিতে চান। যাদের ইচ্ছা হয় উত্তরসূরিদের কাছে নিজের বার্তা রেখে যেতে। যাদের ইচ্ছা হয় একটা অথবা অনেকগুলো বই প্রকাশ করে ইতিহাসের পাতায় একটু হলেও জায়গা করে নিতে। এই লেখা তাদের জন্য। হ্যাঁ। এই লেখা সেই সব স্বপ্নবাজ নবীন লেখকদের জন্য।
বইমেলায় বইয়ের সংখ্যা দেখে আমাদের যেমন উচ্ছ্বাস আসে। মান দেখে দীর্ঘশ্বাসও আসে। মান যদিও সন্তুষ্ট করে বইয়ের কাটতি হতাশ করে। নবীন লেখকরা যে উদ্যম নিয়ে বই প্রকাশ করেন, মেলা শেষে সে উদ্যম তলানিতে নামে। কেন এমন হচ্ছে? প্রযুক্তিতে, আধুনিকতায়, সুযোগ সুবিধায় ঈশ্বরচন্দ্র বঙ্কিমের চেয়ে আমরা কোন দিক দিয়ে পিছিয়ে? তারা সাহিত্যে নতুন ধারা তৈরি করেছেন, সমাজকে নতুন রূপ দিয়েছেন। আমরা কেন পারছি না? যদি বলেন আমাদের মেধায় কমতি রয়েছে। তবে তা আমি একদমই মানব না। কারণ সৃষ্টিকর্তাকে আমি অতখানি অবিবেচক মানতে নারাজ যে তিনি এক যুগকে যাবতীয় মেধাবী ঢেলে দেবেন আর এক যুগকে শূণ্য হাতে ফেরাবেন।
যদি বলেন মানুষ সাহিত্যবিরাগী বা বই বিরাগী হয়েছে। এখানে আমার প্রশ্ন আছে, তবে মানুষ অনুরাগী হয়েছে কিসে? যাতে অনুরাগী হয়েছে তার সাথে পাল্লা দিন। নিজের ক্ষমতাকে শাণ দিন। নিজেকে প্রস্তুত করুন বাস্তবিকই পাঠকের মনে জায়গা করে নেওয়ার মত করে।
মেপে জুখে, নিয়ম মেনে অথবা জোর করে যেমন লেখালেখি হয় না, তেমন কিছু মন্ত্র রয়েছে যা ভাল লেখক হওয়াকে অনেকখানি নিশ্চিত করে। তবে জানা যাক সে মন্ত্র?
আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কেন লিখিতে চান পরামর্শ স্বরূপ আমেরিকান লেখক জন গ্রিন বক্তব্যই তুলে দিচ্ছি,
“শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের জন্য লিখবেন না। কারণ কখনোই আপনার যথেষ্ট টাকা উপার্জন হবে না। এবং বিখ্যাত হবার বাসনাতে লিখবেন না। কারণ কখনোই আপনি যথেষ্ট বিখ্যাত অনুভব করবেন না। মানুষের জন্য উপহার তৈরী করুন। এই উপহার গুলো তৈরী করতে কঠোর পরিশ্রম করুন যাতে লোকজন তা লক্ষ্য করে এবং পছন্দ করে।
হয়ত তারা বুঝতে পারবে আপনি কত কঠোর পরিশ্রম করেছেন । হয়ত পারবে না। তারা যদি লক্ষ্য না করে, তাহলে আমি বুঝতে পারছি এটা হতাশাজনক। কিন্তু আসলে মূল ব্যাপারটা হল, এতে কোন কিছুর পরিবর্তন হয় না। কারণ আপনার দায় দায়িত্ব মানুষের উপর না, যে উপহার আপনি তৈরী করেছেন, তার উপর”।
সাথে বঙ্কিমচন্দ্রের কথাটাও যোগ করা উচিৎ,
'যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গল সাধন করিতে পারেন, অথবা সৌন্দর্যসৃষ্টি করিতে পারেন, তবে অবশ্য লিখিবেন। যাহারা অন্য উদ্দেশ্যে লেখেন, তাহাদিগকে যাত্রাওয়ালা প্রভৃতি নিচ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণ্য করা যাইতে পারে।'
কমপক্ষে ১০ বছরের পরিকল্পনা করুন আমাদের সবচেয়ে বড় মানসিক ত্রুটি হল আমরা খুব দ্রুত কর্মফল আশা করি। কখনো কখনো কাজের তুলনায় বেশি ফল পাওয়ার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু বাস্তবতা আর স্বপ্ন ভিন্ন জিনিস। যদি আজ থেকে আপনি লিখতে চান তবে আগামী ১০ বছরের একটি ছক একে ফেলুন। এবং প্রতিমাসে অথবা অন্তঃত ৩ মাস পর পর নিজের কাজ যাচাই করুন যে আপনি প্লান অনুযায়ী আগাচ্ছেন কিনা। লেখালেখিতে কমপক্ষে ১০ বছরের আগে বিচলিত হওয়া উচিৎ নয়।
কথা কম, শোনা বেশি সাধারণ মানুষের আবেগ অনুভূতি বুঝতে হলে, সাইক্লোজি জানতে হলে, কথা শোনার এবং তা গভীর উপলব্ধি করার কোন বিকল্প নেই। আমি মনে করি যার উপলব্ধি ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি ভাল লিখতে পারে।
লিখতে হলে পড়তে হবে এ বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই নিশ্চয়? লেখক হতে হলে আগে পাঠক হতে হয়, একথা কারো অজানা নয়। তাই নিয়মিত পড়ুন। সমৃদ্ধ হোন। যেকোন বিষয়ে সফলতা পেতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
মনে উকি দেওয়া আইডিয়াগুলো টুকে রাখুন দৈনিক অসংখ্য কথার মাঝে, অগণিত ভাবনার মাঝে কত ভাবনা যে হারিয়ে যায়! আমরা ভুলে যায়। সকালে হয়ত কোন গল্পের প্লট অথবা কবিতার ভাব মনে এল। তারপর আপনি আপনার নিত্যদিনকার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। সন্ধ্যায় আপনার মন থেকে সকালের ভাবনা হারিয়ে যাবে, হয়ত মনে করতে পারবেন না। তার থেকে বরং মনে ভাবনা আসার সাথে সাথে তাকে বন্দি করে ফেলা ভাল না?
লিখতে হলে লিখতে হবে ধরুন,আমি গাছের চারা কিনে আনলাম, আর স্বপ্ন বুনতে থাকলাম যে এই গাছ একদিন অনেক বড় হবে, আমায় ফল দেবে, কিন্তু চারাটি রোপনই করলাম না। হাস্যকর বোকামি না? লেখক হতে চেয়ে লেখাই অলসতাও ঠিক একই রকম বোকামি। প্রচুর লিখুন। লেখা মাথায় না আসলে প্রিয়জনের কাছে একটা চিঠিই অন্তত লিখুন। লেখাকে নিত্যদিনকার অভ্যাস বানিয়ে ফেলুন।
নির্জনতা প্রয়োজন আধুনিকতার এই ব্যস্ত বগীতে আমরা একেকজন মাল্টি টাস্কার যাত্রী। নির্জন অবসর সময় বড় দুর্লভ। হয়ত টিভি দেখছি, লিখছি আবার পরিবারকে সময়ও দিচ্ছি। দয়া করে লেখাকে অতখানি অবহেলা করবেন না। লেখার জন্য এমন সময় নির্বাচন করুন, যে সময়টাতে আপনি নির্জনতায় ভর করে লেখার মাঝে ডুবে যেতে পারেন।
আগে লেখার কাঠামো নির্মাণ শক্ত নাকি নরম, সরল নাকি আঁকাবাঁকা কিভাবে লিখবেন তা লেখকের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু একটা ব্যাপারে খেয়াল রাখা জরুরী, শুরু আর শেষ এর মাঝে যেন যোগসূত্র থাকে। লিখতে লিখতে খেই হারানোর আগে শেষ এর কল্পনা করে নেওয়াই উত্তম নয় কি?
সৃজনশীলতা হোক লেখার মূলনীতি লেখক মাত্রই একজন শিল্পী। যিনি নিত্য নতুন প্যাটার্ন এর সাথে রঙ বেরঙের শব্দ মিলিয়ে অভিনব কিছু তৈরি করেন।
এক্ষেত্রে কবিগুরুর এই কথাটি চলে আসে,
আধুনিকতা ‘বিষয়’-কে নির্দেশ করে না, ‘নবরূপ’-কে নিয়ে সাহিত্যের আধুনিকতা বিনির্ণীত হবে। এ প্রসঙ্গে তাঁর উপস্থাপন, ‘পূর্বযুগের সাহিত্যই হোক, নবযুগের সাহিত্যই হোক, চিরকালের প্রশ্নটি হচ্ছে এই যে, হে গুণী কোন অপূর্ব রূপটি সকল কালের জন্য সৃষ্টি করলে।’
নিজেকে লেখক মানুন আপনি যদি মন থেকে চান একজন লেখক হতে তবে মনকে কুঁকড়ে রাখবেন না। যেকোন কাজে সফলতা পেতে, চাই আত্মবিশ্বাস। আপনি যে একজন লেখক সে কথাটি নিজেকে প্রতিনিয়ত বলুন। অন্যের কাছে নিজের লেখক পরিচয়টিও তুলে ধরুন।
ভাঙ্গা গড়া আর ঘষামাজার মাঝেই লেখার সৌন্দর্য লেখালেখিকে আমি হীরার সাথে তুলনা করি। একে যত বেশি সতর্কভাবে কাটা যাবে ততই দ্যুতি বাড়বে। অবশ্যই আপনি চান? আপনার লেখার মান উন্নত হোক? আপনার লেখা আলো ছড়াক? অন্যের মনে জায়গা করে নিক? এর জন্য লেখা বার বার সংশোধনের বিকল্প নেই।
পাঠক তৈরি করুন আপনি কেমন লিখছেন, অন্যরা তা কিভাবে নিচ্ছে এসব জানতে হলে লেখা অন্যকে দিয়ে পড়াতে হবে। যে লেখালেখি করেন, সে বিষয়ে জ্ঞান, অথবা যে কিছুই জানেন না শুধু তার অনুভূতি প্রকাশ করে আপনাকে উৎসাহ দেবেন এমন সকল লোক দিয়ে আপনার লেখা পড়ান। এগো টেগো ভুলে নিজের লেখা অন্যের হাতে তুলে দিন মূল্যায়নের জন্য।
পরামর্শ এবং সমালোচনাকে আশীর্বাদ হিসেবে নিন হতে পারে আপনার লেখা পাঠকের আকাঙ্ক্ষা থেকে ভিন্ন, হতে পারে আপনাকে শুধু হেয় করার জন্যই কেউ সমালোচনা করছে, হতে পারে বাস্তবিকই আপনি খারাপ লিখেছেন তাই শোধরানোর পরামর্শ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে উচিৎ হল অতি উত্তেজিত না হয়ে আবার একেবারে আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে সমালোচনা বা পরামর্শকে বিচার করা। তা সঠিক হলে কৃতজ্ঞতার সাথে গ্রহণ আর ভুল হলে বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করা।
অবশ্যই ভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকতে হবে এ আমার নিজস্ব মতামত। লেখক প্রতিকূল আমাদের এ দেশে লেখালেখির পাশাপাশি জীবনকে চালিয়ে নেওয়ার মত কিছু একটা করা উচিৎ। প্লান মাফিক ১০ বছর চলার পর আপনি যখন প্রতিষ্ঠিত লেখক তখন হয় শুধু লেখালেখি করলেন। কিন্ত প্রথম কমপক্ষে ১০ বছর আপনাকে সংগ্রাম করা লাগবেই। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সতর্কবাণী আর পরিণতি ত সকলের জানা,
“দুটো ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা না করে কেউ যেন সাহিত্যে না আসে।”
অচিন্ত্যকুমারের এ কবিতাটি নতুন লেখকদের অনুপ্রাণিত করবে আশা করি,
এ মোর অত্যুক্তি নয়, এ মোর যথার্থ অহঙ্কার,
যদি পাই দীর্ঘ আয়ু, হাতে যদি থাকে এ লেখনী,
কা’রেও ডরি না কভু; সুকঠোর হউক সংসার,
বব্ধুর বিচ্ছেদ তুচ্ছ, তুচ্ছতর বন্ধুর সরণি !
পশ্চাতে শত্রুরা শর অগণন হানুক ধারালো.,
সম্মুখ থাকুন বসে’ পথ রুধি’ রবীন্দ্র ঠাকুর,
আপন চক্ষের থেকে জ্বালিব যে তীব্র তীক্ষ্ণ আলো
যুগ-সূর্য ম্লান তা’র কাছে | মোর পথ আরো দূর !
গভীর আত্মোপলব্ধি --- এ আমার দুর্দান্ত সাহস,
উচ্চকন্ঠে ঘোষিতেছি নব নর-জন্ম-সম্ভাবনা ;
অক্ষর তুলিকা মোর হস্তে যেন রহে অনলস,
ভবিষ্যৎ বত্সরের শঙ্খ আমি ---- নবীন প্রেরণা !
শক্তির বিলাস নহে, তপস্যায় শক্তি আবিষ্কার,
শুনিয়াছি সীমাশূন্য মহা-কাল-সমুদ্রের ধ্বনি
আপন বক্ষের তলে ; আপনারে তাই নমস্কার |
চক্ষে থাক্ আয়ু-উর্মি, হস্তে থাক্ অক্ষয় লেখনী!
পরিশেষ পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি লেখক অনুকূল পরিবেশ ও লেখক পাঠক সম্পর্ক নির্মাণ হোক বই দিবসের প্রতিপাদ্য।
সূত্রঃ
view this link
view this link
view this link
view this link
সতর্কীকরণ কিছু অনলাইন পোর্টাল ও ব্লগে আমার কয়েকটি লেখা, আমার নাম ছাড়াই প্রকাশ হয়েছে দেখলাম। আমি সতর্ক না করে কাউকে অপদস্থ করতে চাই না। লেখা চোরদের প্রতি সতর্কবাণী এ যে আমার আগামী কোন পোষ্টে নিজের ছবি অথবা অনলাইন ঠিকানা চোর হিসেবে দেখতে না চাইলে এই পোষ্ট চুরি করবেন না।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ক্লে ডল বলেছেন: একমত নই। ৫০ এর আগেও লেখক হওয়া যায়।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টটি পড়ে উপকৃত হলাম।
ধন্যবাদ ক্লে ডল।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
ক্লে ডল বলেছেন: যদি একজনও উপকৃত হয়, তবেই এ পোষ্টের সার্থকতা।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: তা তো হওয়া যায় এবং ওরা সফলও। কিন্তু বেশির ভাগ অভাগা, পাতে ভাত পড়ে না।
জংলায় সোনার হরিণ নাকি থাকে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ক্লে ডল বলেছেন: আপনি নৈরাশ্যজনক কথা শুনাচ্ছেন। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যা একেবারে ফেলনা নয়।
তবে আমি আমাদের নবীন লেখকদের ব্যাপারে অনেক আশাবাদী।
ধন্যবাদ মোহাম্মাদ আব্দুলহাক।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখালেখি শখ। এর চেয়ে বেশি হলে সমস্যা আছে। নুন আনাতে গেলে পান্তা ফুরাবে।
কয়জনের বই প্রকাশকরা নিজখরচে প্রকাশ করে?
আমার উপর রাগ করে লাভ হবে না।
বেশি রাগ হলে এখানে ক্লিক করুন
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০২
ক্লে ডল বলেছেন: লেখালেখিতে শখের পাশাপাশি দ্বায়িত্ববোধের একটা জায়গা রয়েছে। যা আমি "কেন আপনি লেখালেখি করতে চান" তার উত্তরে বলেছি। যেখানে নুন আনতে গেলে পান্তা ফুরালে কোন যায় আসে না। আত্মার পরিশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি আর দ্বায়বদ্ধতার মুক্তিই সেখানে মুখ্য।
আপনার বইগুলোর নাম পড়ে এলাম। সফলতা কামনার সাথে অভিনন্দন রইল।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভালো লাগল, তবে শিক্ষনীয় পোস্ট নিশ্চয় লেখক বলতেই উপকৃত হবেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৮
ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ। উপকার হলেই সার্থক এ লেখা।
শুভকামনা জানবেন।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,
বেশ ঋদ্ধ একটি লেখা । পরিশ্রমী ও বটে ।
আপনার এই মনে করা অংশটুকু একশতভাগ সত্য - "আমি মনে করি যার উপলব্ধি ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি ভাল লিখতে পারে।"
আবার অন্যত্র -
কথা কম, শোনা বেশি হ্যাঁ.। এটা জরুরী । যারা ব্লগে লেখেন তাদেরকে পাঠকের মন্তব্য শুনতে হবে ( পড়তে হবে ) । তবে পাঠকের অমন মন্তব্য শুনতে আমরা প্রস্তুত নই অনেকেই ।
পরামর্শ এবং সমালোচনাকে আশীর্বাদ হিসেবে নিন । উপরের বক্তব্যের সূত্র ধরে এটা ঠিকই বলেছেন ।
শেষে বলি - হৃদয় নামের বস্তুটি থেকে যে গাঢ় ও সুকুমার অনুভূতির রস ঝরে, তাকে ফেনিয়ে ফেনিয়ে কাগজের পাতায় সেঁটে দিলেই সেখান থেকে কস্তুরী গন্ধ বেরুবেই ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১২
ক্লে ডল বলেছেন: যারা ব্লগে লেখেন তাদেরকে পাঠকের মন্তব্য শুনতে হবে ( পড়তে হবে ) । তবে পাঠকের অমন মন্তব্য শুনতে আমরা প্রস্তুত নই অনেকেই । যতার্থ বলেছেন। ব্লগে মন্তব্যের অনেক শ্রেণীবিভাগ রয়েছে। তার মধ্যে ক্ষতিকর মন্তব্যকে হয়ত মাথায় তুলে রাখি। আর উপকারী মন্তব্য ছুড়ে ফেলি।
শেষে বলি - হৃদয় নামের বস্তুটি থেকে যে গাঢ় ও সুকুমার অনুভূতির রস ঝরে, তাকে ফেনিয়ে ফেনিয়ে কাগজের পাতায় সেঁটে দিলেই সেখান থেকে কস্তুরী গন্ধ বেরুবেই ।
ওয়াও!! অভিনব!!
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
জগতারন বলেছেন:
একটা ব্যাপারে খেয়াল রাখা জরুরী, শুরু আর শেষ এর মাঝে যেন যোগসূত্র থাকে।
ব্লগার ক্লে ডল -এর এই উক্তির যথার্থ প্রমান পাওয়া যায় আজ থেকে শত শত বছর আগে লিখা আরব দেশের গল্পের বই 'আলিপ লায়লা'য়। এই বইয়ে কত গল্প উপস্থাপন করা হয়েছ কিন্তু প্রত্যেকটি গল্পের সাথে একটি সাঞ্জস্য বিরাজমান। তাই বুঝি 'আলিপ লায়লা' পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পের বই।
ব্লগার ক্লে ডল -এর অভিন্দন আমাদের সুন্দর একটি লিখা উপহার দেয়ার জন্য।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৩
ক্লে ডল বলেছেন: 'আলিফ লায়লা' পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাহিনী তাতে সন্দেহ নেই। ছোটবেলায় দেখেছি কিন্তু মনে নেই। তাই বলতে পারছিনা শুরু আর শেষে যোগসূত্র আছে কিনা।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪২
শরতের ছবি বলেছেন: খুবই উৎসাহ নিয়ে পড়লাম । বেশ সমৃদ্ধ হলাম । লেখাটি বারবার পড়ার মত । এমন কিছুই যেন খুঁজি পড়ার জন্য ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩১
ক্লে ডল বলেছেন: আপনার উৎসাহে অনুপ্রাণিত হলাম।
আপনাকে অনেক দিন পর দেখলাম বোধ হয়।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১১
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: চারপাশে দেখিয়ে দিয়েছেন।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আমি তখনও একলা ছিলাম এখনও একলা।
এই জন্য আপনাদেরকে বন্ধু মানি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
ক্লে ডল বলেছেন: আমিও ব্লগারদের বন্ধু মানি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪১
পুলহ বলেছেন: পয়েন্টগুলো ভালো এবং লজিক্যাল । তবে এর অনেক ব্যতিক্রমও আছে। লেখার কাঠামো হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই পূর্বনির্ধারিত 'কোর্সে' চলে না। আবার পরিকল্পনা করেও অনেকে লেখালেখি/ লেখক জীবন শুরু করেন না (দু'টো ক্ষেত্রেই এই মুহূর্তে মাথায় আসা উদাহরণ হুমায়ূন আহমেদ, যদিও বুদ্ধিজীবীরা অনেকেই উনাকে সাহিত্যিক মানতে চান না : P )....
প্রিয়তে রাখলাম আপনার লেখা। শুভকামনা জানবেন ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
ক্লে ডল বলেছেন: আমার মনে হয় দক্ষ হলে লেখার কাঠামোর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু যারা নতুন লিখবেন তাদের পথ হারানোই স্বাভাবিক। তবে একেবারে নির্দিষ্ট করে রাখার কথা আমি বলতে চাইনি। হুবুহু যা ঠিক প্লান করতে তাই লিখতে হবে এমনটা না। জাস্ট আবছা একটা সমাপ্তি মাথায় রাখা।
"পরিকল্পনা করে অনেকে লেখক জীবন শুরু করেন না" একমত। তবে যারা লেখালেখিতে ঢুকে গেছেন এবং অতি অল্প সময়ে সফলতা চাইছেন আর ফলাফল দেখে নিজেই হতাশাগ্রস্ত হচ্ছেন তারা যেন একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসেন। এমনটা বুঝাতে চেয়েছি।
আমার লেখা আপনি প্রিয়তে রেখেছেন!! জেনে ভাল লাগল খুব।
কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ! ভাল থাকুন সর্বদা।
১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০২
উদভ্রন্ত বালক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লিখা শেয়ারের জন্য ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
ক্লে ডল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ উদভ্রন্ত বালক।
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো হলো পোষ্টটি পড়ে, অনেক সাহস পেলাম ভাই। চারিদিক হতাশা নিয়েও আমি লিখেই চলেছি যতো অলেখা। অলেখাকে লেখা করতে না পারার যন্ত্রণায় মাঝেমধ্যে ছেড়েই দেই লেখার আশা আবার লিখে ফেলি আরেকটা অলেখা। লেখাটা আমার কাছে এখন নেশার মতোই মনে হচ্ছে, একটু দমে গেছি অলেখা হয় ভেবে, তবুও আবার লেখি। তাতেই বুঝলাম যে এটা আমার নেশায় পরিণত হয়ে গেছে। খুব লজ্জা আর আত্ম সংকীর্ণতা আমাকে গ্রাস করে ফেলেছিল প্রায়। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুব উপকার হলো ভাই, কৃতজ্ঞতা জানবেন পোষ্টে।
কাকতালীয় ভাবে আপনার অনেক পরামর্শ আমার মনের সাথে মিলে গেছে। এখন ভালো লাগছে, সাহসী হলাম। হোক অলেখা, আমার কাছে সেটাই লেখা হয়ে থাকবে।
আপনার -
"নিজেকে লেখক মানুন আপনি যদি মন থেকে চান একজন লেখক হতে তবে মনকে কুঁকড়ে রাখবেন না। যেকোন কাজে সফলতা পেতে, চাই আত্মবিশ্বাস। আপনি যে একজন লেখক সে কথাটি নিজেকে প্রতিনিয়ত বলুন। অন্যের কাছে নিজের লেখক পরিচয়টিও তুলে ধরুন।"- এই কথাগুলি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অনেক এগিয়ে। তবুও কেমন যেন লজ্জায় পড়ি, কেমনে নিজেকে লেখক হিসেবে পরিচয় দেবো, যখন লেখাই হয় না, সব অলেখা !!
অনেক ভরসা পেলাম ভাই পোষ্টটি পড়ে। অনেক সাহস দিয়েছেন আমার মতো নতুনদের।
শুভকামনা ভাই আপনার জন্য সবসময়।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪
ক্লে ডল বলেছেন: চারিদিক হতাশা নিয়েও আমি লিখেই চলেছি যতো অলেখা। অলেখাকে লেখা করতে না পারার যন্ত্রণায় মাঝেমধ্যে ছেড়েই দেই লেখার আশা আবার লিখে ফেলি আরেকটা অলেখা। লেখাটা আমার কাছে এখন নেশার মতোই মনে হচ্ছে, একটু দমে গেছি অলেখা হয় ভেবে, তবুও আবার লেখি।
আপনার লেখাকে অলেখা বলছে কে? আগে তাকে বিচার করুন। আসলেই তিনি সঠিক বলেন কিনা। তারপর লেখা নিয়ে বসুন। আর একটা লেখার পিছনে যত বেশি সময় দেওয়া হয় তত বেশি সুন্দর হয়।
আপনার প্রতি অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১১
উম্মে সায়মা বলেছেন: যারা লেখক হতে চান তাদের জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উপকারী পোস্ট। শুভ কামনা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ উম্মে সায়মা। ভাল থাকবেন।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:০৭
রিফাত হোসেন বলেছেন: ডলপৌত্র নামে একজন ব্লগার ছিলেন আপনি সেই নিকের নাকি?
অনটপিক: ভাল হয়েছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩
ক্লে ডল বলেছেন: না রিফাত হোসেন। ক্লে ডলই আমার প্রায় প্রথম নিক।
পোষ্ট আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয়ে লিখেছেন। আমরা যারা লিখি তাদের অনেক উপকারে আসবে।ভাল থাকুন। অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪
ক্লে ডল বলেছেন: উপকারে আসলেই সার্থক। ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লিখতে হলে পড়তে হবে এ বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই নিশ্চয়? লেখক হতে হলে আগে পাঠক হতে হয়, একথা কারো অজানা নয়। তাই নিয়মিত পড়ুন।
আসলেই এর কোনো বিকল্প নেই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৬
ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ! মিলে গেলো কিছু কিছু।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১০
ক্লে ডল বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়ই রয়েছে। এগিয়ে যান।
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: লেখাটি প্রিয়তে নিলাম পরে আরাম করে পড়ার জন্য ।
শুভ কামনা রইল ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১১
ক্লে ডল বলেছেন: প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে সত্যিইই ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ফাতিমা জান্নাত।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আপনার আদেশ মানিয়া চলিতে চেষ্টা করব আপু। কিন্তু আজকের দিনের সমস্যাটা কি করে পার করব তাই ভাবছি।
সরাদিন বৃষ্টি। মন কিছুটা বিষন্ন, কারণটা এত বেশি তুচ্ছ যে আজকের দিনে সে কথাটা মুখে আনতে সাহসের দরকার। ইতিহাসে কোনোখানে লেখে না যে, হাতের কাছে ছাতা ছিল না ব’লে বাদলের দিনে প্রেমিক তার প্রিয়ার কাছে যাওয়া মুলতবি রেখেছে, বরঞ্চ লেখা আছে সাঁতার দিয়ে অগাধ জল পার হওয়ার কথা।
কিন্তু সেটা অন্যের ইতিহাস, সেখানকার সমুদ্রে আমিও কি সাঁতার কাটছি নে ভাবছেন? সে অকুল কোনোকালে কি পার হতে পারব ?
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২০
ক্লে ডল বলেছেন: পুরো মন্তব্য ঠিক ধরতে পারলাম না। তবে যেটুকু বুঝলাম, আপনার মন খারাপ এবং সমস্যায় পড়েছেন। আপনার যাবতীয় সমস্যার সমাধান কামনা করছি।
তবে আপনি এই পোষ্টের পয়েন্টগুলো মানার চেষ্টা করবেন জেনে ভাল লাগছে। ধন্যবাদ মুশি।
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চমৎকার।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০২
ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ!
২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: নবীন লেখকরা যে উদ্যম নিয়ে বই প্রকাশ করেন, মেলা শেষে সে উদ্যম তলানিতে নামে - নবীন লেখকদের একেবারে মনের কথা, ধন্যবাদ এটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করার জন্য।
বঙ্কিমচন্দ্রের এবং আমেরিকান লেখক জন গ্রীন এর উদ্ধৃতি দুটো যথার্থ।
আমি মনে করি যার উপলব্ধি ক্ষমতা যত বেশি সে তত বেশি ভাল লিখতে পারে -- অবশ্যই আমিও তাই মনে করি।
সন্ধ্যায় আপনার মন থেকে সকালের ভাবনা হারিয়ে যাবে, হয়ত মনে করতে পারবেন না। তার থেকে বরং মনে ভাবনা আসার সাথে সাথে তাকে বন্দি করে ফেলা ভাল না? -- আমার মনে বেশীরভাগ ভাবনা আসে ঘুমের আগে। পরদিন সকালে সেগুলোর বেশীরভাগই হারিয়ে যায়। যানজটে বসে অনেক কবিতা লিখেছি, গ্যাস ফীলিং স্টেশনে বসেও।
লেখাকে নিত্যদিনকার অভ্যাস বানিয়ে ফেলুন। -- চমৎকার পরামর্শ, অপরিহার্য।
লেখার জন্য এমন সময় নির্বাচন করুন, যে সময়টাতে আপনি নির্জনতায় ভর করে লেখার মাঝে ডুবে যেতে পারেন। -- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার যেসব লেখা পড়ে আমি নিজেই তৃপ্তিলাভ করেছি, তার বেশীরভাগই লেখা হয়েছে মধ্যরাতে নাহয় ফজরের নামাযের পরে। যেহেতু রাত জাগায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেহেতু পরেওরটাই বেশী হয়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৯
ক্লে ডল বলেছেন: একুশে বইমেলা নিঃসন্দেহে নতুন লেখকদের গুরুত্বপূর্ণ এক প্লাটফর্ম। কিন্তু আশানুরূপ ফল আমরা পাচ্ছি না। কিন্তু এখন সময় এসেছে আরো উন্নতির।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার যেসব লেখা পড়ে আমি নিজেই তৃপ্তিলাভ করেছি, তার বেশীরভাগই লেখা হয়েছে মধ্যরাতে নাহয় ফজরের নামাযের পরে।
ফজরের নামাজের পরের সময়টা কে আমারো বেস্ট মনে হয়। এই সময়টার তুলনা দিনের অন্য কোন সময়ের সাথে চলে না।
২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যে একজন লেখক সে কথাটি নিজেকে প্রতিনিয়ত বলুন। অন্যের কাছে নিজের লেখক পরিচয়টিও তুলে ধরুন। -- এ ব্যাপারে দ্বিধান্বিত ছিলাম। তবে সম্প্রতি নিজেকে "স্বচ্ছন্দানুবর্তী লেখক ( freelance writer)" হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেছি। আপনার এ কথাটিতে অনুপ্রাণিত হ'লাম।
এর জন্য লেখা বার বার সংশোধনের বিকল্প নেই -- আমিও সেটাই করে থাকি।
এগো টেগো ভুলে নিজের লেখা অন্যের হাতে তুলে দিন মূল্যায়নের জন্য জ্বী জ্বী, তাই করে থাকি। এখানে সেখানে পাঠিয়ে থাকি, একে ওকে পড়তে দেই। তবে মন্তব্য করতে বলিনা, শুধু মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি।
“দুটো ভাত কাপড়ের ব্যবস্থা না করে কেউ যেন সাহিত্যে না আসে।” -- আহা! কতটা গভীর দুঃখবোধ থেকে এ কথাটি উঠে এসেছে!
কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর কবিতাংশের উদ্ধৃতিটুকু চমৎকার হয়েছে। আর সর্বোপরি চিত্তাকর্ষক হয়েছে সতর্কীকরণ বাণীটা!!!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
ক্লে ডল বলেছেন: স্বচ্ছন্দানুবর্তী লেখক ( freelance writer)" বাহ! চমৎকার নাম দিয়েছেন ত!! আপনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন জেনে খুব ভাল লাগছে।
জ্বী জ্বী, তাই করে থাকি। এখানে সেখানে পাঠিয়ে থাকি, একে ওকে পড়তে দেই। তবে মন্তব্য করতে বলিনা, শুধু মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি। এ অংশটুকু অন্তর দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করলাম। অপেক্ষায় থাকেন? আপনি গুণী মানুষ। নিশ্চয় অপেক্ষার ভাল ফল পান? সত্যিই খুব করে চাই সব লেখকরা যেন অপেক্ষার পর গঠনমূলক এবং প্রেরণাদায়ক মন্তব্য পান।
লেখা চুরি দেখে খুব বিমর্ষ হয়েছি। চোরের ছবিসহ লেখার স্ক্রিনশট দেওয়া যেত কিন্তু এ পোষ্টটাতে অতকিছু আনতে চাইনি।
২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট। অভিনন্দন ও শুভকামনা!
মন্ত্রগুলো অনেকেই জানে, কিন্তু বলে ক'জনা?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
ক্লে ডল বলেছেন: আন্তরিকতায় পূর্ণ এমন মন্তব্য পেতে খুব ভাল লাগে। এবং আনন্দ হয়! আপনি ভাল থাকুন সর্বদা
২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৫৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: আমার পরিচিত পাঠকেরা আমার থেকে গল্প বা ফিচার লেখা আশা করে কিন্তু আমি কবিতা লিখতে পছন্দ করি ।
আমি কি করব ? খায়রুল সাহেব ?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৭
ক্লে ডল বলেছেন: আমার মনে হয়। এসব ক্ষেত্রে নিজের পছন্দানুযায়ী চলা ভাল। তবে পাঠকের আশানুযায়ী টুকটাক ট্রাই করে দেখতে পারেন।
২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
সামিয়া বলেছেন: সুন্দর পোস্ট উপকারী পোস্ট
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
ক্লে ডল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ইতি সামিয়া। ভাল থাকবেন।
২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার পয়েন্ট গুলোর অধিকাংশের সাথে সতমত! কিছু পয়েন্টের সাথে প্রায় একমত!
পোস্টে অবশ্যই প্লাস!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬
ক্লে ডল বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাসের জন্য।
২৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০২
জেন রসি বলেছেন: মন্ত্র পাঠ করিলাম। এবার দেখি মোক্ষ লাভ হয় কিনা!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
ক্লে ডল বলেছেন: হ্যাঁ হ্যাঁ! মোক্ষ লাভ করতেই হবে।
২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: @জাহিদ অনিক, কবিতা লিখেও তো কথিকা বা গল্প লেখা যায়। আহমেদ জী এস ভাইকে দেখেন না? উনি কি সুন্দর কবিতাও লিখেন, আবার গল্পও। তাঁর একটি অনবদ্য পোস্টঃ যে জোনাকি লুকিয়ে রেখেছি চোখে, পলকে অশ্রুজল.......।
সুতরাং, পরিচিত পাঠকদের অনুরোধ বিবেচনায় নিতে পারেন, জাহিদ অনিক।
২৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৮
ক্লে ডল বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখক হওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি অনেক বড় ধনী? কাজ না করলে কি চলবে?

হ্যাঁ হলে শুরু করতে পারেন। না হলে ভাতের চিন্তা করলে মঙ্গল হবে।
লেখক হতে হলে কমপক্ষে বয়স ৫০ হতে হয়।