![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাবলো রুইজ পিকাসো (১৮৮১-১৯৭৩) বিখ্যাত স্পেনিশ চিত্রকর ও ভাস্কর যিনি পাবলো পিকাসো নামে সারা বিশ্বে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর এক শ্রেষ্ট শিল্পী এবং ঐতিহাসিক কিউবিজম অধ্যায়ের অন্যতম প্রবর্তক। তদানিন্তন ইউরোপ সমাজের ক্রান্তিকালে ঘুনে ধরা সমাজের পরিবর্তনের লক্ষে তিনি যে শৈল্পিক আন্দোলন এর সূচনা করেছিলেন তার প্রভাব সে সময়কার অন্যান্য মহান শিল্পীদের উপর দারুন ভাবে পরেছিল। যে কোনো কল্পনাকেই তিনি জীবিত ফুটিয়ে তুলতেন তার নিপুন হাতের তুলির সাহায্যে। সেদিনের তার অশ্রান্ত ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল ২ হাজারেরও অধিক চিত্রশিল্প আজও অবধি বিশ্বের বিভিন্ন জাদুঘরে নিদর্শন হিসাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রাজনৈতিক আদর্শে পিকাসো ছিলেন একজন শান্তিবাদী এবং সাম্যবাদী। তিনি তার মৃত্যু পর্যন্ত ফরাসি কমিউনিষ্ট পার্টির একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।১. পাবলো পিকাসো ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর স্পেনের শহর মালাগায় জন্মগ্রহণ করেন।
২.স্পেনের মালাগা শহরে জন্মগ্রহণকারী এই বিশ্বনন্দিত শিল্পীর পূর্ণ নাম ২৩টি শব্দ দিয়ে গঠিত। পাবলো দিয়েগো খোসে ফ্রান্সিসকো দে পাউলা খোয়ান নেপমুসেনো মারিয়া দে লস রেমেদিওস সিপ্রিয়ানো দে লা সান্তিসিমা ত্রিনিদাদ মার্টির পাট্রিসিও ক্লিতো রুইজ ই পিকাসো।
৩.তার মায়ের নাম ছিল মারিয়া পিকাসো ই লোপেজ এবং পিতার নাম খোসে রুইজ ব্লাস্কো।
৪. পিকাসো ভুমিষ্ট হওয়ার পর ধাত্রী ভেবেছিলেন মৃতশিশুর জন্ম হয়েছে। এই কারণে ধাত্রী শিশুটিকে একটি টেবিলের উপর রেখে মায়ের সেবা-শুশ্রুষায় ব্যস্তছিলেন। এ সময় শিশুটিকে টেবিলের উপর নিথর হয়ে পরে থাকতে দেখে তার চাচা এগিয়ে আসেন এবং তার মুখে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া শিশুটির মুখে নিক্ষেপ করা মাত্রই শিশুটি নড়াচড়া দিয়ে উঠে।
৫.শিশু পিকাসোর মুখ থেকে উচ্চারিত প্রথম শব্দটি ছিল " পিজ"। পিজ শব্দটি লাপিজ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। স্পেনের ভাষায় লাপিজকে পেন্সিল বলা হয়।
৬. মাত্র ৯ বছর বয়েসে পাবলো পিকাসো তার জীবনের প্রথম তৈলচিত্রের কাজ সম্পূর্ণ করেন। "এল পিকাদোর" (১৮৯০) যে অশ্বারোহী ষাঁড়ের লড়াইতে বল্লম দিয়ে ষাঁড়কে বিদ্ধ করে ।
৭.পিকাসো তার জীবদ্দশায় ২০ হাজারের অধিক শিল্পকর্ম সৃষ্টি করে গেছেন।
৮. মাত্র ১৪ বছর বয়সে পিকাসো ধর্মীয় সম্বলিত বেশ কিছু ছবি সিরিজ আকারে একেঁছিলেন যা তিনি কখনই বিক্রির আগ্রহ দেখাননি।
৯.১৯০০ থেকে ১৯০৪ সাল ছিল শিল্পীর জীবনে ব্লু প্রিয়ড। এই সময়কালে শিল্পীর ক্যানভাসে কেবল মানুষের দুঃখ, ক্লেশ আর দুর্দশা ফুটে উঠত।
১০.১৯০৪ সাল থেকে ১৯০৫ সাল ছিল শিল্পীর জীবনে রুপালি বছর। এই দিনগুলিতে তিনি প্যারিস শহর এবং সার্কাস পার্টি দ্বারা আকৃষ্ট ও অনুপ্রানিত হয়েছিলেন।
১১.শিল্পীর সৃষ্টি কিউবিজম পিরিয়ডের স্থায়িত্ব কাল ছিল ১৯০৮ সাল থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত।
১২. ১৯৮১ সালে পিকাসোর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বিখ্যাত চিত্রশিল্প গুয়ের্নিকা নিউইয়র্কের মর্ডান আর্ট মিউজিয়াম থেকে মাদ্রিদে ফেরত আনা হয়। পিকাসোর ইচ্ছাটি বাস্তবায়ন করতে তদানিন্তন স্বৈরাচারী সরকার ফ্রান্কোর পতন অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছিল ।
১৩.দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্পেনের ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক তিনি অপদস্ত ও নিগৃহীত হয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পিকাসো ফ্রান্সের কমুনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন ।
১৪.১৯৭৩ সালের ৮এপ্রিল ৯১ বছর বয়সে ফ্রান্সের মুগী শহরে এই বিশ্ববরেন্য শিল্পী মৃতুবরণ করেন।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৬
রামন বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি ভালো লাগলো।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৭
রামন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Great
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৭
রামন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই মে, ২০২০ রাত ৯:১৮
সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৮
রামন বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১৪
শের শায়রী বলেছেন: অনেক দিন আপনার পোষ্ট পড়া হয় না। ভালো আছেন তো? দারুন একটা পোষ্ট।
১৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৪৯
রামন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: উনার এতবড় নাম হওয়ার কারণ কি?