![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টেলিভিশানের টকশো এর রাতজাগা বুদ্ধিজীবিগন অথবা যারা দেশপ্রেমের(!) কালিতে কলামের পর কলাম ভরিয়ে ফেলছেন ‘৯০% মুসলমান এর বাংলাদেশ’ এর ম্যাৎকারে, বলি ম্যাৎকারটা থামিয়ে পরিসংখ্যানটা একটু আপডেট করে নেন। সেই ১৯৮৯, ১৯৯০, ১৯৯২ অথবা ২০১২ সাল থেকে ২০১৩, এখনও যদি একই পরিসংখ্যান কপচাতে থাকেন তাহলে আমরা যারা গণিতে কাঁচা তারাও তো খুব লজ্জা পাই। এটা হয়ত এখন ৯২%, ৯৪% কিংবা আরও বেশী। প্রতিটা আঘাতের পরে আপনারা প্রত্যাশা করতে থাকেন হিন্দুসম্পত্তির দরপতনের যা শেয়ারবাজারের চেয়ে বহুগুন নিম্নমূখী আর আপনাদের প্রভূগন পোড়া পিঠে হাত বুলিয়ে স্বান্তনা দিতে গিয়ে ক্ষতটাকে দগদগে করে ফেলে প্রতিবার। আমি জানি আপনাদের এই সংখ্যাতাত্ত্বিক ফ্যান্টাসীর পেছনে আছে এক ধরনের ‘ইনফেরইরিটি কমপ্লেক্স’। ‘বুদ্ধিবেশ্যা’ বলে আপনাদের অভিহিত করা হয় এই একটি কারনে, মালিককে তুষ্ট করতে মোসাহেবের মত মূহুর্তের মধ্যে দাঁড় করিয়ে ফেলেন শতকরা হিসাব আর অনুপ্রানিত হয়ে আপনাদের অনুগতরা বারুদ নিয়ে বসে থাকে আরও একটি উপাসনালয়ে আগুন দেবার জন্য। আপনাদের ডিসকোর্সে উদ্বুদ্ধ হয়ে অগনিত মানুষ ‘অবদমিত আকাঙ্খা’ নিয়ে ঘুমাতে যায় আর সুযোগ পেলে অন্ধকার বা ভীরের মাঝে পরিনত হয় এক একটি জীবন্ত জন্তুতে। আমি এও জানি, আপনারা এখন একটি বৈচিত্রহীন ‘১০০%’ এর স্বপ্ন দেখেন। তখন মুর্তি না পেয়ে হয়ত জীবন্ত মানুষ গুড়িয়ে দিবেন, মন্দির না পেয়ে মডারেট মুসলমানদের মসজিদ ভাঙবেন। ভাগ্যিস ওবামা বলেননি যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টানের পৃথিবীতে দূর্গাপূজা করা যাবেনা বা আযান দেয়া যাবে না। তাহলে হয় বসবাসের জন্য মঙ্গলগ্রহে বা চাঁদের দেশে প্লট বুকিং এ লাইন ধরে যেত, না হয় পৃথিবী প্রত্যক্ষ করত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
আমার প্রফেসর উন্মাদনা আর সস্তা সংবেদনশীলতার উদাহরন দিতে গিয়ে পাকিস্তান, ইরান, ইরাক আর আফগানিস্তানের কথা বলে। অস্বস্তি লাগে, এই বুঝি বাংলাদেশের কথাও বলে ফেলে। ভাগ্যিস, বাংলাদেশে এই ‘১০০%’ এর স্বপ্ন দেখা লোকেরা এখনও সংখ্যালঘু। সেই দিন বেশী দূরে নয় যেদিন এইসব ‘১০০%’ ডিসকোর্সের ঔরসে জন্ম নেয়া জন্তুগুলো তাদের জন্মদাতার রক্ত খেতে চাইবে শুধুমাত্র একটু বৈচিত্রতার জন্য।
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
বর্ণান্ধ বলেছেন: এরা প্রত্যেকেই একেকটা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে। সেই অর্থে বুদ্ধিজিবী এখন আর নাই বললেই চলে। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।
২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ‘বুদ্ধিবেশ্যা’ ছাড়া এইরকম পোষ্ট কেউ লিখতে পারে?
পরের মূখে ঝাল খায় আর অন্যের মূখে উহু াহা শুনে আপ্লুত হয়!!
মন্দির এবং সংখ্যালঘু নিয়ে রাজনীতি কে করছে?
বুকে হাত দিয়ে বলুন।
শহীদ মিনার পতাকা পোড়ানোতে যখন হাতে নাতে ধরা খায় তখন বলে পাগল!!!!!
আর আপনি সেই দলের ব্যশ্যাবৃত্তি করতে ণ্যাকা আবেগ নিয়া আসছেন ব্লগে!!!!!
এই দেশৈ গুজরাট হয়না!!! খুব খেয়াল কইরা.. সো ধানাই পানাই প্যানপ্যাননী দিয়া নিজের দেশের বিরুদ্ধে লিখতে লজ্জা করে না!!!!
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
বর্ণান্ধ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু, দেশের বিরুদ্ধে লেখা দেখলেন কই?? আপনার কাছে এটা ন্যাকা আবেগ মনে হল? বাংলাদেশের ঘরবাড়ি পোড়ানোকে সাথে সাথে গুজরাট দিয়ে জাস্টিফাই করে দিলেন?? আমি কিসের বিরুদ্ধে লিখেছি একবার বোঝার চেষ্টা করেন। অযথা উত্তেজিত হতে নেই। ধন্যবাদ।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭
এই আমি রবীন বলেছেন: ওবামা পারবেনা, আমরা পারব।
আজ সারা পৃথিবীতে আমাদের সংখ্যা ১৬% এবং খুবই আশার ব্যাপার তা খুবই দ্রুত বর্ধনশীল! (খ্রিষ্টানদের সংখ্যা ২৩%, হুহ!),
যখন আমরা ওদের ছাড়িয়ে যাব তখন এই পৃথিবীতে শুধু বাঁচার অধিকার থাকবে শুধই আমাদের!!!
ডাইনোসর লোপ পেয়েছে, বিধর্মী (ভিন্ন ধর্মী নয় কিন্তু, পৃথিবীতে ধর্ম একটাই তা শুধুমাত্র ইসলাম!) 'রাও লোপ পাবে। ওদের জন্য মায়াকান্না দেখিয়ে লাভ নেই!
বাইদ্যাওয়ে, বেহেস্তের টিকিটের জন্য সাইদী ও আস্তিকতার সার্টিপিকেটের জন্য সত্তর খালেদা ম্যাডামের সাথে যোগাযোগ করুন। সময় সীমিত!!
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১২
বর্ণান্ধ বলেছেন: সার্টিফিকেট চাই , টিকিট চাই !!!!
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
চলতি নিয়ম বলেছেন: আমার প্রফেসর উন্মাদনা আর সস্তা সংবেদনশীলতার উদাহরন দিতে গিয়ে পাকিস্তান, ইরান, ইরাক আর আফগানিস্তানের কথা বলে। অস্বস্তি লাগে, এই বুঝি বাংলাদেশের কথাও বলে ফেলে।
এভাবে চলতে থাকলে সে দিন আর বেশী দুরে নয়।
পোস্টে +
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬
বর্ণান্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ চলতি নিয়ম।
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৭
বর্ণান্ধ বলেছেন: দেখেন উপরে একজন কমেন্ট করেছে আমি নাকি দেশের বিরুদ্ধে লিখেছি!!! ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা টাইপ। আমি বাংলাদেশের সেইসব সংখ্যালঘুদের বিরূদ্ধে বলছি যারা গ্যাঞ্জাম লাগিয়ে হিন্দুদের জমি কম দামে কেনার আশায় বসে থাকে। আর একদল বুদ্ধিজিবী তাদের তত্ত্ব দিয়ে এগুলো জাস্টিফাই করতে থাকে, ফরহাদ মজাহাড় এর মত। আপনি নিজেকে সেই দলের একজন মনে করলে আমার কিছু করার নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
নায়করাজ বলেছেন: রাজনৈতিক দলের লেজুড় ধরে যারা বুদ্ধিজীবী, তাদের আসলে বলার কিছু নাই। নেত্রী ।যা বলে সেটাই ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো বাজাতে থাকে। নেত্রী যত ভুল কথাই বলুক, সেটা সাপোর্ট করা ছাড়া তাদের আর কিছু করার নাই। তারা তো রাজনৈতিক কর্মী নয়, তারা চামচা।
দুই বড় দলে গণতন্ত্র বলে কিছু নাই। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের ভেতরই গণতন্ত্র নাই। নেতানেত্রীরা যা বলে কর্মী বা পা চাটারা সেটাই বার বার বলতে থাকে। চামচামি ছাড়া তাদের কিছু করার নাই । চামচামি না করে কেউ দল থেকে বহিষ্কার হতে চায় না।
সুতরাং এই সব রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবীদের কথাবার্তা জনমানুষের কোন উপকার করবে না। বরং তারা চামচামি করে করে নিজের আখের গুছাতে চায়।