![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!
কাদের
----
কাদের বায়ুত্যাগ করিতেছিল।মোবাইল বাজিল। বস কল করিতেছে দেখিয়া কাদেরের বায়ুত্যাগ আধাআধি পথে আটকাইয়া গেল!কল রিসিভ করিয়া কাদের কাঁপা কাঁপা গলায় কহিল-
- আছছালামুয়ালাইকুম ছার!
- কাদের, তুমি এখন আসমানে যাবা! সপ্তর্ষীর পাশে যে তারাটা পুটপুট করে জ্বলে সেটা পেড়ে নিয়ে আসবা। তুমি সপ্তর্ষী চেন?
- মুই ত সপ্তর্ষী চিনিনা ছার!
- তুই কি বসে বসে বাল ছিঁড়িস যে সপ্তর্ষী চিনিস না? শালা খাসি!!
- খাসি চিনি স্যার। মোর বাপে কসাই আছিল।
- তোর বাপ কসাই ছিল, তুই অ তাইলে কসাইগিরি করে খা। তোর আর চাকরি করার দরকার নাই।
- আ…আসমানে অনে ক্যামনে যাই ছার? মোর পাছায় ত রকেট লাগানো নাই!
- পাছায় রকেট লাগানো না থাকলে রকেট জোগাড় কর! নাসায় ফোন কর!!
বস লাইন কাটিয়া দিল। কাদের ‘নাসা’ শুনিয়া কিছু বুঝিল না। কিন্তু তার তৎক্ষনাৎ মনে হইল বস নিশ্চয় তার কলিগ আবু নাসেরের কথা কহিতেছে! বস নিশ্চয় ‘নাসের’ ই বলিয়াছে, কাদের নার্ভাস ছিল বলিয়া নাসের কে নাসা শুনিয়াছে। কাদের আবু নাসের কে কল দিল।
- নাছির বাই, মোর পাছায় একটা রকেট লাগাই দিতে পারবা? আসমানে যামু!
‘পাছায় রকেট’ এবং ‘আসমানে যামু’ শুনিয়া নাসের ভাবিল কাদেরের নিশ্চয় জ্বর হইয়াছে। জ্বরের ঘোরে আবোলতাবোল বকিতেছে এবং তার ‘পাছায় রকেট’ অর্থাৎ সাপোসিটর দরকার! নাসের একটু বেশিই করিৎকর্মা ছিল। সে সাপোসিটর লইয়া কাদেরের বাসায় গেল এবং কাদেরের শত জোরাজুরি এবং বাঁধা অতিক্রম করিয়া কাদেরের পশ্চাৎদেশ দিয়া সাপোসিটরি ঢুকাইয়া দিল। কাদেরের কপাল বা বগলে থার্মোমিটার না লাগাইয়াই সে সিদ্ধান্ত করিল কাদেরের কমপক্ষে একশ পাঁচ ডিগ্রী জ্বর, কারন সাপোসিটরি সে পয়সা দিয়া খরিদ করিয়াছিল!
পরদিন সকালে কাদেরের সত্যি সত্যি জ্বর আসিল! এক সপ্তাহ সে জ্বরে পুড়িল এবং তাহার চাকরি গেল। মাসখানেকের মধ্যে বৌয়ের চিল্লানিতে কাদের পুরাপুরি পাগল হইয়া গেল।
তাহের
------
তাহের বায়ুত্যাগ করিতেছিল। মোবাইল বাজিল। বসের কল ছিল। তাহের ধীরেসুস্থে বায়ুত্যাগ শেষ করিয়া কল রিসিভ করিল।
- আসসালামুয়ালাইকুম ছার।
- তাহের। তুমি এখন আসমানে যাবা। সপ্তর্ষীর পাশে যে তারাটা পুটপুট করে জ্বলে সেটা পেড়ে নিয়ে আসবা। তুমি সপ্তর্ষী চেন?
- জ্বী স্যার আমি অখনি আসমানে যাইতেছি স্যার!তারা সপ্তর্ষীর ডাইন পাশেরটা আনমু না বাঁ পাশের টা আনমু হেইডা খালি কয়া দেন ছার।
- এই বেটা, তোর পাছায় রকেট লাগানো আছে? তুই সপ্তর্ষী চিনিস?
- রকেট নাই ত রকেট লাগায়া লমু! সপ্তর্ষী চিন্যা লমু। কাজ ত কাজ। যেমনে অউক, করতে অইব! ছারে খালি কইয়া দেন ডাইন পাশের টা না বাঁও পাশের টা।
- ডাইনে, বাঁয়ে, সামনে, পিছে যেখানেই হউক, আমার তারা পাইলেই হইল। তুই এক্ষুনি আসমানে চইলা যা। দেরি করিস না।
তাহের বাসায় যাইয়া ধীরে সুস্থে ছুরি শুঁটকি দিয়া ভাত খাইল। তারপর সাইকেল মারিয়া তারাবাতি বিক্রির মার্কেটে যাইল। সৌভাগ্যক্রমে মার্কেটে একটা দোকানের নাম ছিল সপ্তর্ষী! তাহের সপ্তর্ষীর পাশের দোকান হইতে তারাবাতি খরিদ করিল। ছাব্বিশ টাকা দামের জায়গায় মেমোতে ছত্রিশ টাকা লেখাইয়া লইল! তারপর সাইকেল মারিয়া অফিসে বসের কাছে গেল।
- সপ্তর্ষীর পাশ থেকেই তারা আনিছি ছার!
-শালা, তোরে বলছি আসমানের তারা আনতে, তুই জমিনের তারা কিন্যা আঞ্ছস! শালা বাঞ্চোত!!
- ছার। আপনে যদি আসমানের তারায় উইঠা দুনিয়াডারে দেহেন তহন দুনিয়াডারেই ত মনে অইব আসমানের তারা! যেইটা যমিন হেইডাইত আবার আসমান ছার!!
তাহেরের পদোন্নতি হইল। বেতন বাড়িল। তাহের মার্কেটে যাইয়া বৌয়ের জন্য আসমানী রঙের শাড়ি কিনিল। বৌ আহ্লাদে গদ গদ হইয়া পোলাপানের সামনেই তিন দিনের দাড়ি না কাটা তাহেরের খরখরে গালে চুমা দিল।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্য়বাদ ভাই।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৩
রোকন০৭ বলেছেন: মজা পাইলাম!!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মজা পাইলাম।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
সেফালন বলেছেন: বিয়াফক মজা পাইলাম