![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!
ছেলেটার চোখে ভারি চশমা। ছেলেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মহসিন হলে থাকে। ছেলেটির বাবা পুলিশ অফিসার। অনেকগুলো ভাইবোনের মধ্যে সে সবার বড়।
ছেলেটা বই পড়তে খুব ভালবাসে। আর ভালবাসে ম্যাজিক। অতি প্রাকৃতিক যেকোন বিষয়ে তার সাংঘাতিক আগ্রহ! ভারি চশমার ভেতর দিয়ে অবাক চোখে ছেলেটা তার চারপাশের মানুষ জন দেখে। কি আশ্চর্য্য! প্রত্যেকটা মানুষ একেক টা আলাদা জগত!! শিশু কিশোর তরুণ তরুণী যুবক বৃদ্ধ সবাই নিজ নিজ বিশ্বাস ধ্যান ধারণাকে চুড়ান্ত ধরে নিয়ে একেক জন একেক রকম আচরণ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে সেই আচরণ গুলোর হাস্যকর দিকটা কেউ দেখেনা। এই আচরণের লুপে আটকা পড়ে তৈরি হয় অনন্ত দূঃখের দিনরাত্রি।
কিন্তু ছেলেটার চশমার কাঁচ মোটেও ঝাপসা নয়। চশমার কাঁচের ভেতর দিয়ে দূ’দিক টাই দেখতে পায়। যুগ যুগ ধরে নির্মিত এবং প্রবাহিত কৌশলী কুসংস্কারের খাঁচায় বন্দী অসহায় মানুষের ভেতরে বেঁচে থাকা যে মানবিক সম্ভাবনা, যে খন্ড খন্ড প্রতিরোধ, যে ছোট ছোট সুন্দর গুলো ভবিষ্যতে তাকে মুক্তি দিতে পারে স্ব-নির্মিত খাঁচা থেকে সেগুলোও সে দেখে।খুব ভালভাবেই দেখে। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ পড়ে কেঁপে উঠে মানুষ! এত অনায়াস বর্ণনায় কেমনে ফুটে এ অসাধারণ জোছনার ফুল!
জোছনার ফুল ফুটতেই থাকল। যে শ্যামল ছায়ার জন্য মুক্তি যোদ্ধারা আজীবন লড়ে যায় সেই শ্যামল ছায়ার আজন্ম চলমান ইতিহাসের যে টুকরো টা আমাদের হৃৎপিন্ড ভেদ করে যায় সেটাকেও ধরে ফেলে তার ‘আশ্চর্য্য সাধারণ কলম’। এই কলমের সবচেয়ে বড় জাদু, এর কোন জাদু নেই!
নির্বাসন এর পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা যখন একটি মাত্র সংলাপে( ‘একটা যুদ্ধে অনেক কিছু হয় পরি!’) ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা কেন জিতে যায় পৃথিবীর সব দেশে সব কালে তখন এই জাদুহীন কলমের জাদুকরীতে পাঠক আবার থমকে যায়।
জোছনা কারিগর পথ চলতে থাকেন। বিটিভির একজন প্রযোজক ভাবেন জোছনার একটা ধারা এই টেলিভিশন চ্যানেলে প্রবাহিত করলে কেমন হয়! টেলিভিশন চ্যানেলে প্রবাহিত হওয়া শুরু হয় জোছনাধারা। ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’ মানুষ শুধু নাটক হিসেবে দেখেনা। নিজেদের চলমান জীবনের পাশাপাশি এও এক অবিচ্ছেদ্য জীবন! পরিবারে বাবা মা ছেলে মেয়ে নানি দাদি কাজের মেয়ে লজিং স্যার সবাই মিলে একসাথে দেখে নিজের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। চোখের সামনে মেলে ধরা সাদা কাগজে সবাই দেখে তার নিজের জীবনটাই আঁকা। শুধু একটু স্বপ্নের মোড়কে ঢাকা। এই স্বপ্নের মোড়ক জোছনা কারিগরের চোখের জল। এই চোখের জল ই তার বুকের ভালোবাসা জোছনা। এই জোৎস্নাবেগে আগে নিজে মাখামাখি হয়েই উনি লিখতে বসেন। কাজেই এই স্বপ্নমোড়ক কে ক্ষমা করা যায়।
নক্ষত্রের পথ চলার সাথে সাথে পৃথিবীতে চলতে থাকে নক্ষত্রের পতনের আয়োজন ! নক্ষত্র যেদিন থেকে হলুদ হিমু হয়ে জোছনা চরাচরে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করে সেদিন কি কিছুটা হলেও বদলে যায় নক্ষত্রের গতিপথ? উত্থান এবং পতনের একটা সীমারেখা ধীরে ধীরে মুছে যায় ভারি একটা চশমার দিগন্ত রেখা হতে?? হিমু হাঁটে, চারপাশের সমস্ত সীমাবদ্ধতা নিজের মধ্যে নিয়ে অসীম হয়ে হাঁটে। হিমুর এই অসীমতাই এক সময় কাল হয়! রসায়নের দ্বি-মুখী বিক্রিয়ার নিয়ম মেনে হিমু একসময় রচনা করতে শুরু করে হুমায়ুন কে! হিমু রচিত এই হুমায়ুন মিঃ হাইড হয়ে রচনা করে কিছু অর্থহীন নাটক। জীবনে এবং পর্দায়!
জোছনা কারিগরের এটুক সীমাবদ্ধতায় নিজেকে আটকে ফেলে তার জোছনা সরোবরে স্নান করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাটাও অনেক বড় সীমাবদ্ধতা। বলাবাহুল্য এই সীমাবদ্ধতায় আটকে পড়া পাঠক এবং অপাঠকের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়!
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা আপা।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: চমৎকার ভাবে জন্মদিনের শুভেচ্ছাটা জানালেন। +
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ রক্তিম।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
আবু শাকিল বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই।
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
লেখনীতে মুগ্ধতা।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ রুহী আপা।
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬
পাজল্ড ডক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ পাজলড!
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুভ জন্মদিন জ্যোৎস্না কারিগর।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ!
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৬
সুলতানা রহমান বলেছেন: খুব ছোট্ট করে,সুন্দরভাবে হুমায়ূন আহমেদকে তুলে ধরেছেন ৷ ভাল লাগলো৷
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ সুলতানা আপা।
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: ভারি চশমা পরা ছেলেটা হৃদয় দিয়ে লিখে গেছে, আর আপনি হৃদয়ের উপলব্ধি দিয়ে তাকে পড়েছেন। তারই অনুপম প্রকাশ দেখিঃ
//পরিবারে বাবা মা ছেলে মেয়ে নানি দাদি কাজের মেয়ে লজিং স্যার সবাই মিলে একসাথে দেখে নিজের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। চোখের সামনে মেলে ধরা সাদা কাগজে সবাই দেখে তার নিজের জীবনটাই আঁকা। শুধু একটু স্বপ্নের মোড়কে ঢাকা। এই স্বপ্নের মোড়ক জোছনা কারিগরের চোখের জল। এই চোখের জল ই তার বুকের ভালোবাসা জোছনা। এই জোৎস্নাবেগে আগে নিজে মাখামাখি হয়েই উনি লিখতে বসেন। কাজেই এই স্বপ্নমোড়ক কে ক্ষমা করা যায়।//
পুরো লেখাটায় আমি মুগ্ধ, শেষটা সে মুগ্ধতাকে আরো উপরে নিয়ে গেছেঃ
//জোছনা কারিগরের এটুক সীমাবদ্ধতায় নিজেকে আটকে ফেলে তার জোছনা সরোবরে স্নান করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাটাও অনেক বড় সীমাবদ্ধতা। বলাবাহুল্য এই সীমাবদ্ধতায় আটকে পড়া পাঠক এবং অপাঠকের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়!//
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার চমৎকার বশ্লেষনের জন্য। আপনিও ভাল থাকবেন সব সময়।
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো শ্রদ্ধাঞ্জলী।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচছা!
১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
তাশমিন নূর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। হৃদয়গ্রাহী।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ তাশমিন নূর আপনাকে।
১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৬
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
শায়মা বলেছেন: খুব সুন্দর ভাইয়া। হুমায়ুন আহমেদের জন্য ভালোবাসা।