![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল মতাদর্শকে আন্তরিকতার সাথে অধ্যয়ন করি।
চেহারা খোলা রাখা নাজায়িজ , নিষিদ্ধ বলা দু:সাহসিক । নিকাবের বিপক্ষে অবস্থান বা মতামত ব্যক্ত করাকে বিভ্রান্ত বলা বেপরোয়া এক্সট্রিমিজম।
কুরআন বলছে " ওয়া লাকাদ ইয়াচ্ছারনাল কুরআনা ফাহাল মিন মুজ্জাক্কির"।
" হাজা বায়ানুল লিন্নাছ ওয়া বাইয়িনাতিম মিনাল হুদা"
কুরআন বলছে কুরআন সহজ ও স্পষ্ট।
কুরআনের কোথাও নিকাবের কথা নেই। কুরআনের পর্দা সংক্রান্ত সকল আয়াতগুলো দেখুন। কুরআনে মদ হারাম, সুদ হারাম , শুকরের গোশত খাওয়া হারাম , কেমন পশুর গোশত খাওয়া জায়িজ সহ মেয়েদের মাসিক ঋতুস্রাব ও প্রসবোত্তর নেফাছ নিয়ে পর্যন্ত কুরআন কথা বলেছে। প্রত্যেকটি বিধান কুরআনে সহজ ও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। কাদের বিয়ে করা হারাম তাও বলা হয়েছে। কি আছে বাদ কুরআনে?
অথচ নিকাব করাকে ফরজ করতে চাওয়া আলিমরা ইনিয়ে বিনিয়ে যুক্তি দিবেন
"ওয়ালা ইয়ুবদিনা জিনাতাহুন্না ইল্লামাজাহারা মিনহা ....আলখ"-নুর-৩১
(তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া। আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে।)
নাউযুবিল্লাহ! আল্লাহর কি বুদ্ধিসুদ্ধি কম যে তিনি মেয়েদেরকে বুক ঢাকতে বলতে পারলেন কিন্তু মুখ ঢাকতে বলতে ভূলে গেছেন। ???
সুরা বাকারায় বর্নিত বনীইসরাইলীয়দের যেভাবে গরু (বাকারাহ ) কুরবানী করতে বলার পর তারা ইনিয়ে বিনিয়ে কুরবানী কঠিন করে ফেলেছিল ঠিক তেমনি নিকাবকে ফরজ বলতে চেষ্টা করার দলরা হল সেই জাতির মনমানসিকতার মুসলিম উত্তরসুরী মাত্র।
আজ নারীরা যেভাবে এন্টি ইসলামিকদের খপ্পরে পড়ে গেছে , ভয়াল অপসংস্কৃতির বিশ্বপরিস্থিতিতে নারীবাদীরা যেখানে ভয়ানক তৎপর সে অবস্থায় নিকাবকে ফরজ বলা বা নিকাবের বিপক্ষে মত প্রকাশকারীদের বিভ্রান্ত বলা , মুখমন্ডল খোলা নাজায়িজ হারাম অবৈধ বলা অজান্তে ইসলামের গাছটিকে কেটে ফেলারই নামান্তর।
এই এক্সিটিমিস্টরা
নারীদের যে মাসজিদে নামাজ পড়া দরকার ,দুই ঈদের নামাজে শরীক করা যে জরুরী , অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াত, হাদীস পড়া, সত্যকথা বলা , মিথ্যা না বলা, আমানত রক্ষা করা , পরোপকারী হওয়া, বড়দের সম্মান , ছোটদের স্নেহ করা সহ অসংখ্য প্রয়োজনীয় বিধান মানা দরকার সে বিষয় গুলো বলেনওনা এবং শিখানোর উদ্যোগও নেননা। তাদের কাছে সকল ফরজের চেয়ে বড় ফরজ হল নিকাব।
একজন নারী তার পুরো জীবনে যে সমস্যা গুলো ফেইস করে তার ওয়াজও এদের কাছ থেকে দেখা যায় না।
ইসলামে পুরোহিত গির্জাপ্রধান এর মত কোন বিষয় নাই। কুরআন কারো বাপের তালুকদারী ব্যবসা না। এই কোরআন বিশ্বমানবতার । এই কুরআনকে ইসলামকে যারা কঠিন করতে চাইবে তারা ইসলামের ছুপাশত্রুর মত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
সংবিধান বলেছেন: আপনার সাথে এগ্রি। কিন্তু নিকাব ফরজ নয়।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
আমারও বলার ছিল বলেছেন: মেংগো পিপোল সাথে সহমত
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
সংবিধান বলেছেন: আমিও সহমত।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
তারেক বলেছেন: ভাই সংবিধান সাহেব, ব্রাকের বোনটি কিন্তু স্বেচ্ছায় নিকাব পড়েছে। তাকে কিন্তু জোর করে নিকাব পড়তে বলা হয়নি বা কেউ তাকে জোর করে নিকাব পড়াইনি।
কেউ যদি এভাবে নিকাব পড়ে তাহলে আপনি কিন্তু তাকে বাধা দিতে পাড়েন না বা বলতে পারবেন না যে নিকাব খুলে ফেল। কোরআনে তো নিকাব পড়তে বলা হয় নি।
এই অবস্থায় ঐ বোনটিকে আপনি যদি জোর করে নিকাব থেকে বিরত থাকতে বলেন তাহলে আপনি নারীর অধিকার লঙ্ঘন করলেন। তার উপর মানসিক অত্যাচার করলেন। কারন সে নিকাব পড়েই অভস্ত বা নেকাব ব্যবহারেই সে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
আর কোরআনে নিকাব পড়তে বলা হয়নি ঠিকই কিন্তু বড় চাদর সামনের দিকে ঝুলিয়ে পড়তে বলা হয়েছে। এখন বলেন কয়জন মেয়ে এভাবে চাদর পড়ে?
নিকাব পড়তে বলায় আপনার লেগে গেল , কিন্তু যে সব মেয়েরা পর্দাই করে না তাদের ব্যাপারে তো কিছু বললেন না? বলবেন এটা তো যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমিও তাই বলছি নিকাব পড়া যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ যদি নিকাব পড়ে তাহলে সে তো অইসলামিক কোন কাজ করল না। বরং পর্দাটাকে আরও সুন্দর করে পালন করল। একাজকে তো বাহবা দেয়া দরকার । তা তো করলেনই না উল্টা সমালোচনা করলেন। আবার বিশাল ইসলামিবিদও হয়ে গেছেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
সংবিধান বলেছেন: অনেকে নিকাব ফরজ মনে করে। আমি তার বিপক্ষে মত দিয়েছি। নিকাব নফল হিসেবে পালন করা যেতে পারে।
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫
মদন বলেছেন: পর্দা করা ফরজ, নেকাব পরা আরো ভালো যদি স্বেচ্ছায় করে। পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ, সাথে নফল নামাজ স্বেচ্ছায় পড়লে আরো ভালো।
ভালো কাজের শেষ নাই তবে নফল করতে গিয়ে যেন ফরজ ছাড়া না পড়ে সেদিকে খেয়াল থাকলেই ভালো।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
সংবিধান বলেছেন: সহমত
৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪
গরম কফি বলেছেন: ইসলামকে যারা কঠিন করতে চাইবে তারা ইসলামের ছুপাশত্রুর মত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩
সংবিধান বলেছেন: জ্বী ভাই।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরানের আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে সূরা আহযাবে।
উটকো ঝামেলা মনে করে পিছু হটলো ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। ফ্যাসিস্ট মৌলবাদী গোষ্ঠীদের প্রশ্রয় দেয়া ঠিক হল না। এরা এখন বিপুল শক্তি নিয়ে আরো বড় দাবি নিয়ে আসবে। এরা একপর্যায়ে তিউনিশিয়ার যেহাদি মহিলাদের মত ......
Click This Link
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
সংবিধান বলেছেন: কেউ মুখ ঢাকতে চাইলে তাকে আপনি নিষেধ করতে পারেননা। নিকাব করা ফরজ না হলেও ইসলামের রুলসে আছে।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০
তারেক বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী - তিউনিসিয়ার যে সব মহিলাদের কথা বলা হয়েছে তারা নিষিদ্ধ মাজহাবের । তাদের আকীদা ভুল। তারা মুসলমান দাবী করলেও তারা মূলত ইসলামের বাহিরে। আর এটা হচ্ছে ইহুদীদের সৃষ্টি একটা ভ্রান্ত মতবাদ। সুতরাং আসল ও খাটি মুসলমাদের সাথে তাদের তুলনা করবেন না।
আর সঠিক তথ্য জেনে মন্তব্য বা ব্লগ লিখবেন।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬
অন্যরকম একজন বলেছেন: কারে কী বোঝাবেন ভাইজান? আজকাল ত কেউ কেউ শুধু নেকাব না ।মেয়েদের 'একচক্ষু রাক্ষস' বানাতে ব্যস্ত ।এই আজকেই ফেবুতে এক দেওবন্দির দেখা পাইলাম যে কিনা 'নেকাব ফরজ' বলেই ক্ষান্ত হয় নি। 'এখন মেয়েদের মসজিদে যাওয়া বারন' বলে বসে থাকল।বারবার বললাম বোখারি হাদিসে বহুত দলিল আছে মেয়েদের মসজিদে যাওয়া হালাল হবার ।আরবের মেয়েরা মসজিদে যায় ।হজের সময় বায়তুল্লাহ এবং মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ে ।সে তার জায়গাতেই গ্যাট হয়ে রইল ।তার মতে আয়েশা(রাঃ) এর একটি হাদিস ' রাসুলুল্লাহ এখন যদি বেচে থাকতেন তাহলেও তোমাদের মসজিদে যেতে মানা করতেন'। এই হাদিস নাকি আগের সকল হাদিসকে রদ করে দিয়েছে! অথচ সে এই কথাও বেমালুম ভুলে গেল যে এই উক্তিটি আয়েশা(রাঃ) করেছিলেন হযরত উমর(রাঃ) কিছু নারীকে অসদাচরনের দায়ে মসজিদ থেকে বের করে দেবার পর! এটা কোন নিষেধাজ্ঞা নয় মোটেও ।বুঝুন তাহলে ।কাকে কী বলবেন?
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
সংবিধান বলেছেন: ঝামেলা হইল উনারা ইসলামের অনিচ্ছাকৃত অবুঝ শক্ত শত্রু।
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
অন্যরকম একজন বলেছেন: সবচেয়ে কষ্ট লেগেছে কী দেখে জানেন?ওই দেওবন্দির সাথে যতক্ষন ফেসবুকে ক্যাচাল করলাম,একটা মানুষও এসে আমার সাইড নিলো না ।(কেউ তার সাইডও নিতে আসেনি যতদূর মনে পড়ে)সে রীতিমত মেয়েদের একচক্ষু দানব বানিয়ে রাখার পক্ষপাতী। নেকাব নিয়ে আমি তার সাথে তেমন একটা কথা বলার সময়ই পাইনি ।মসজিদ প্রসংগ নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম ।শুধু বলেছিলাম-পর্দা নিয়ে জানার জন্য দেওবন্দি হুজুররাই আপনার আইকন হলে আমার কিছু বলার নেই ।সে উলটো বলল-মতিয়া ইনুদের মতো হুজুররা থাকতে আমাদের কিছু বলার নাই ।
সে আল্লামা শফির একনিষ্ঠ অনুসারী ।বাংলাদেশের অনেক নারীই মুখ,হাত আর পায়ের পাতা খোলা রেখে(অনেকে মোজাও পরেন) পর্দা পালন করছেন ।আমি অন্তঃত আশা করেছিলাম তেমন কেউ এসে দুটো কথা বলবে ।কিন্ত হায়!কেউই আসলো না ।অযথাই ক্যাচাল করলাম।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
সংবিধান বলেছেন: হুম
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
মেংগো পিপোল বলেছেন:
ইবাদাতের সর্ব উচ্চ পর্যায়ের কোন সিমা নেই, যেমন পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ, এখন কেউ যদি নফল, তাহাজ্জুত পড়ে আপনি কিন্তু তাকে বাধা দিতে পারবেন না। এখন কোন নারী যদি খাস পর্দা করতে চায় আপনি বাধা দেবার কে? একজন নারী যদি চায় সে তার শরিরের একটু অংশও আপনাকে দেখাবেনা সেটা তার অধিকার। ঠিক তেমনি আপনিও যদি চান আপনি খাস পর্দায় যাবেন সেটাও আপনার অধিকার। নারীর অধিকার দেবার নামে তার অধিকার হরন করাটা আর যাই হোক ভদ্রতা হতে পারনা। আপনাকে মনে রাখতে হবে ব্রাকের বোনটি কিন্তু তার অধিকার পাবার জন্য সোচ্চার হয়ে ছিলো।
ভালো থাকুন।