![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বাইরে পড়াশোনা করছি আইটিতে। দেশেও কাজ করেছি একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে। লেখালেখি ভাল্লাগে না। তারপরও মাঝে মাঝে মনে হয় সবসময় কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না। তাই ২/১ টা কথা লিখে ব্লগে প্রকাশ করি। ফেইসবুকে আমি fb.com/cool.quiet
বারিধারা যেতে হয়েছিলো গতকাল অফিসের কাজে। বারিধারায় রিক্সা সংকটের কথা অনেকেরই জানা। রিক্সা না পেয়ে হাটা শুরু করলাম। একটু হাটতেই আমার সামান্য সামনে একটা প্রাইভেট কার থামলো দু’জন ভিক্ষুকের কাছে, যাদের মধ্যে একজন হুইল চেয়ারে বসা, অন্যজন দাঁড়ানো; যাকে সুস্থ্য মানুষ মনে হলো। প্রাইভেটা কার আরোহী গ্লাস নামিয়ে একটা ১০০০ টাকার নোট দিলেন হুইল চেয়ারে বসা ভিক্ষুকটির হাতে এবং কিছু একটা (টাকাটা দু’জন ভাগ করে নিও) বলে চলে গেলেন। গাড়ি চলে যাবার পর একজন আরেকজনকে বলতে শুনলাম “কইছিলাম না ইমুন সময় এইদিক দিয়া যাইবো?” অর্থাৎ গাড়ীর আরোহী ভদ্রলোক নিয়মিত অথবা প্রায়ই এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় টাকা দান করে যান।
প্রাইভেট কারটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম আমি আরো কিছুক্ষণ। খেয়াল করলাম রাস্তার আরেকটু সামনের দিকে আরো ৩/৪ জন ভিক্ষুক দাঁড়িয়ে/বসে আছে; যাদের মধ্যে কমপক্ষে দু’জনকে কর্মক্ষম মনে হলো। ভেবেছিলাম গাড়িটি হয়ত এবার দাঁড়াবে না (আমরা যেরকম করি, বাসে একজনকে ভিক্ষা দেয়ার পর আরেকজন উঠলে সাধারণত দেই না)।
আমাকে অবাক করে দিয়ে গাড়িটা এবারও দাড়ালো এবং আগের মতই তাদের একজনের হাতে কিছু টাকা দিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়ে চলে গেলো। এবারও ততক্ষণে আমি তাদের কাছাকাছি চলে এসেছি। তাদের কথোপকথনে জানতে পারলাম এবার টাকার অংক ৩ হাজার।
গাড়ি চলে গেলো আমার দৃষ্টির আড়ালে। কে জানে সামনে হয়ত আরো কিছু ভিক্ষুক অপেক্ষা করছে তার জন্য।
অধম অবাক হলাম এবং আমার কাজে আবারও হাটা শুরু করলাম। হাটতে হাটতে ভাবলাম; লোকটা মনে হয় আসলেই অনেক বড়লোক এবং অনেক দানশীল। কিন্তু আজকে যখন লিখতে বসলাম তখন চিন্তা করলাম এভাবে নিয়মিত ভিক্ষা দিয়ে দানশীল ব্যক্তিটি আসলেই কি ভিক্ষুকগুলোর কোনো উপকার করছে? এতগুলো মানুষকে ভিক্ষা না দিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দিলেই কি সেটা তাদের জন্য ভালো হত না?
গুলশান-বারিধারায় যখন দেখি এই ভিক্ষুকগুলো বিদেশীদের পেলেই ভিক্ষার জন্য হাত পেতে তাদের বিরক্ত করে; তখন বাংলাদেশি হিসেবে কতটা লজ্জিত হই তা’ লিখে বুঝানো সম্ভব না। কালকের দানশীল ব্যক্তির দান করার দু’টি ঘটনা দেখে মনে হলো এদেশে ভিক্ষাবৃত্তি না কমার পিছনে আসলে এরাই বহুলাংশে দায়ী।
পুনশ্চঃ দানশীল ভদ্রলোককে কিন্তু আমার বাংলাদেশি বলেই মনে হয়েছে।
০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
কুল_কুয়াইট বলেছেন: অনেকে বড়লোক হয়েও দান করে না ভাই। আবার অনেকে করে।
২| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: অর্থাৎ আপনি আমাকে একটা মাছ দিয়েছেন আমার এক বেলার খাওয়ার ব্যবস্থা হলো আর যদি মাছ ধরার কাঁয়দাটা শিখিয়ে দিলে সারাজীবন মাছ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন । সেই মনোভাবের মানুষ বিরল ॥
০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
কুল_কুয়াইট বলেছেন: সহমত। ১০০% সহমত। আমি তা-ই বলতে চেয়েছি।
৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২
আতা2010 বলেছেন: ২ নম্বর ট্যাঁ কা
০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
কুল_কুয়াইট বলেছেন: হইতেও পারে।
৪| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
জেরিফ বিন্ আমির বলেছেন:
ভাই আপনি যার কথা বলছেন উনাকে আমি চিনি। তার যে কত টাকা সে গল্পে আমরা নাহয় আর না-ই গেলাম। তবে আপনার কথায় লজিক আছে।
০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
কুল_কুয়াইট বলেছেন: পরিচয় জানতে চাইবো না, শুধু আরো কয়েকটা ঘটনা যদি জানা থাকে শেয়ার করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
নাহিদ বলেছেন: ভাই আমি যে বড়লোক তা প্রমান করুম কেমনে ভিক্ষা না দিলে।