নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সোশ্যাল ওয়ার্কার, লেখা লেখি করতে ভালো লাগে। আমি লাইফ স্টাইল এবং ঘড় বাড়ির ডিজাইন নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। ইন্টরিয়র ডিজাইন বিষয়ে সব কিছু আমার মধ্যে পাবেন।

মো: ইমরান হোসেন

আজ না অন্য দিন লিখব ....

মো: ইমরান হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যু দন্ড হোক।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

আজ সকাল বেলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা নিউজ ছড়িয়ে পড়ে এবং সবাই খুব আনন্দ প্রকাশ করে।

নিউজ টির হেড লাইন ধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত এই হেড লাইনেই সব পত্রিকায় খবরটি প্রকাশ পায়। গত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে আশংকাজনক আরে ধর্ষণ বেড়েই চলছে। নিউজটিতে দুইটি পয়েন্ট রয়েছে এক নম্বর হল ধর্ষণ, দুই ক্রস ফ্যায়ার। ধর্ষণ হচ্ছে খুনের চাইতেও আরো অনেক বড় ঘৃণিত আপরাধ।
গত কয়েক দিন থেকে ধর্ষণের জন্য নারীর পোষাককে দায়ী দিয়ে এক শ্রেণীর লোক ধর্ষণের মত এত জগণ্য অপরাধকে হালকা করে ফেলেছেন। অথচ এরা একবারো ধর্ষকের বিচার দাবি করেনি। তাদের কাছে বরাবরের মতই মনে হচ্ছে ধর্ষণের জন্য পোশাকই দায়ি। এটি তদের ঘৃণ্য রুচিবোধের ব্যাপার। আমার কাছে ধর্ষণের জন্য পুরুষের ভিতরের থাকা পশুটাকেই দায়ী মনে হয় এটাতে কোন সন্দেহ নেই। ধর্ষণ যদি শুধু পোষাকেই হত তাহলে তো সব পুরুষেই ধর্ষক হত। কোন নারীই নিরাপদ থাকত না। আমরা হয়ত এতদিনে তনুর কথাও ভুলে গিয়েছে আমরা কি পেরেছি তনু হত্যার বিচার সম্পর্ন করতে? যদি তনু হত্যর বিচার সঠিক ভাবে হত তাহলে কি ধর্ষকরা দেখতে পেত না যে ধর্ষণের জন্য কি শাস্তি হচ্ছে? বিচারহীনতার এই দেশে তাই একজন শিশুর ধর্ষণকারিকে ক্রস ফ্যায়ার দেয়ায় সাধারণ মানুষ উল্লাসীত।



ধর্ষকদের ক্রস ফ্যায়ার দেয়াটা কি সঠিক বিচার? না তা কখনোই নয়। এটা যে খুব বেশি কাজ আসবে এমন না। বরং বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে কারন আমাদের দেশের আইন শৃংখলবাহিনী একেবারেই সৎ নয়। তা না হলে তো তনুকে ক্যান্টমেন্টের মত সুরক্ষিত যায়গায় ধর্ষিত হয়ে খুন হতে হত না। র‍্যাব নারায়ণগঞ্জে কতজন নিরাপরাধ ব্যাক্তি খুন করেছে টাকার বিনিময়ে? বিরোধীদলের কতজন কর্মিকে প্রাণ দিতে হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আইন শৃংখলবাহিনীর হাতে পড়লে সাধারণ একটা সমস্যায় পড়তে হয় সেটা হচ্ছে- ইয়াবা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়া হবে বা জঙ্গি বানিয়ে ক্রস ফ্যায়ারের হুমকি। এটাই হচ্ছে রাষ্ট্র যন্ত্রদিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনেয় হাতিয়ার। এর মাধ্যমে আইনের শাসন বিলীন হয়ে যায়। আমরা দেখেছি এই দেশে ৫৭ ধারাকে কিভাবে অপব্যবহার করে। তাই যেকোন অপরাধের জন্য কখনোই শাস্তি হিসেবে ক্রস ফ্যায়ার কাম্য হতে পারে না। বরং উপযুক্ত প্রমাণ থাকার পর ধর্ষকের পক্ষে যেন কেউ কথা বলতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে তার পক্ষে কোন আইনজীবি যেন কোর্টে না দাঁড়ায় সেটাকে নিশ্চিত করা গেলে আর সে আইনের ফাক দিয়ে বের হয়ে আসতে পারবে না। ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হোক এবং তার বিচার ওপেন বিচারালয়ে করা হোক যেন আর কোন দিন কেউ ধর্ষন করার নূন্যতম সাহস না পায়। এছাড়াও ধর্ষককে কোনভাবেই যেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেয়া হয় সেদিকেও সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ।

তাই ধর্ষনের জন্য পোষাককে দায়ী না করে চলুন আমরা ধর্ষণের বিচারের দাবীতে মিছিলে অংশ গ্রহন করি এবং যেকোন ধরনের ক্রস ফ্যায়ার নামক বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলি।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

আরািফন বলেছেন: ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী একটা অপরাধকে ঠেকাতে যদি ধর্ষককে হত্যা করাটা অপরাধ হয়ে থাকে, তবে সেটাই করা হোক। হাজারটা প্রতিবাদে কোন কাজ হয়নি যখন, সেখানে তপ্ত সীসার দশটা বুলেট হাজারো ধর্ষকামী পুরুষের বিকৃত কামনার আগুনে জল ঢেলে দিতে পারে অনায়াসে। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই, সেই শাস্তিটা যদি উল্টোপথেও আসে, তাতে আপত্তি নেই ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: অল্প কয়েক দিনের জন্য হয়ত এই পক্রিয়া ঠিক আছে কিন্তু এটা দীর্ঘ দিনের জন্য কোন সমাধান নয়। আশাকরি এই যাবত কালের সকল ধর্ষকদের বিচার হবে। হতেই হবে। ধর্ষকের পক্ষে নিয়ে যেসব আইনজীবি পক্ষ নিবে তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হোক। ধর্ষকের কোন ধর্ম নেই, কোন দল নেই, কোন দেশ নেই, কোন পরিবার নেই।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

ধর্ষণ হচ্ছে সামাজিক অস্হিরতার কারণে, সামাজিক ব্যবস্হা ভেংগে পড়েছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: ধর্ষনের জন্য পরিবারিক শিক্ষাদায়ী, বিচারহীনতা দায়ী।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

আমিনভাই বলেছেন: আমাকে সরকার বানায় দেন দেখবেন ১ মাসে সব কেমনে রাস্তায় জুলিয়ে রাখি।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: ক্রমাগতভাবে ধর্ষন করে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধী, দেশে বিচারহীনতার একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, এটাই মূলত ধর্ষণ বেড়ে যাবার মূল কারন। অপরাধের সঠিক বিচার হলে আরো দশটা পশু এমনিতেই ভাল হয়ে যেত।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: আমরা আজো তনু হত্যার বিচার পাইনি।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: ধর্ষণের জন্য কে দায়ী?
প্রশ্নটা কঠিন।

আমাদের দেশে অবস্থাবান বা রাজনৈতিক আশ্রিতরা এ অপকর্মে বেশি সাহস পায়। এদের জন্য বিচার বিভাগ স্বাধীনতা হারাচ্ছে।

একজন নারী সম্ভ্রম হারানোর পর তাকে কোর্টেও আবার ধর্ষিত হতে হয়। তাকে আদালতে ঘরে রাস্তায় বারবার সবজায়গায় ধর্ষিত হতে হয়। এই ভয়ে অনেক ধর্ষিতা আদালতের শরণাপন্ন হন না। অথচ মেডিকেল রিপোর্ট্ের পর আর কোন জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আদালত এই ধর্ষিতাদের বারবার জনসম্মুখে ধর্ষণ করে। তাই নারীরা নীরবে সব সহ্য করে যায়।

যদি বিচার বিবাগ স্বাধীনভাবে বিচার করার ক্ষমতা পেত, সেই সাথে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে সঠিক শিক্ষায় সকলকে শিক্ষিত করা যেত তাহলে অতিদ্রুত এ সমস্যা সমাধান হয়ে যেত।

সর্বোপরি, পরিবারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থারও পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রয়োজন সুশিক্ষিত সমাজ।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: ধর্ষণ রোধের জন্য সমাজ, পরিবারকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: পরিবার ও সমাজের চেষ্টাকে স্বার্থক করতে হলে সরকারের উদ্যোগও প্রয়োজন আছে।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কালাম আবুধাবি বলেছেন: কে কি বলেছেন জানিনা, আমি বলতেছি, আমাদের দেশে আইনের শাসন নাই, যদি থাকত তা হলে ধর্ষণ তো দূরে থাক মেয়ের দিকে তাকাতে পারতনা, আমি আবুধাবি আছি গত ২৪ বছর এখানে মেয়েরা কি ভাবে চলে বলে লাভ নাই কিন্তু কেউ একটু মশকরা করলেও ধরা পড়লে ৩ মাসের জেল তারপর নিজের দেশে পাঠিয়ে দেবে, এমন অবস্থায় কেউ কি সাহস করবে ? তাই বলছি আইন ঠিক থাকলে প্রয়োগ করলে যে কোন অন্যায় করতে সাহস করবে না। তারপর যখন যে দল ক্ষমতায় (আমাদের দেশে) থাকে তারা যা ইচ্ছা করে বেড়ায় কিন্তু আইন তাদেরকে কিছু করতে পারে না ( উপরের নির্দেশ) আর বিরোধী দলের কেউ রাস্তায় বের হতে পারেনা ।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুলিশ, আইনজীবি, রাজনীতিবিদদের মা বোনকে ধর্ষণ করা হোক, দেখবেন কী আমূল পরিবর্তন এসে গিয়েছে গ্রেফতার আর বিচারের...

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

মো: ইমরান হোসেন বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.