নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয় মেঘবালিকা
কখন যে ফুরফুরে বায়ু প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলতেই পারি না। নিজের অর্থহীন ব্যস্ততায় উদ্বিগ্ন সময়। চারদিকে এখন খাঁ খাঁ রোদ্দুর। প্রকৃতির সুশ্রী চিত্রপট অনেকটাই যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। পক্ষীকুলের কিচিরমিচির নেই বললেই চলে। আঁধার কেটে সাদা মেঘের ভেলাগুলো যেন ঈষৎ হাসছে। দূরের দীঘল্বয় ছুঁই ছুঁই করছে আকাশকে। মরীচিকাময় আবছা হাতছানি আমা প্রিয় মেঘবালিকা
কখন যে ফুরফুরে বায়ু প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলতেই পারি না। নিজের অর্থহীন ব্যস্ততায় উদ্বিগ্ন সময়। চারদিকে এখন খাঁ খাঁ রোদ্দুর। প্রকৃতির সুশ্রী চিত্রপট অনেকটাই যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। পক্ষীকুলের কিচিরমিচির নেই বললেই চলে। আঁধার কেটে সাদা মেঘের ভেলাগুলো যেন ঈষৎ হাসছে। দূরের দীঘল্বয় ছুঁই ছুঁই করছে আকাশকে। মরীচিকাময় আবছা হাতছানি আমাকে দিকভ্রান্ত করার নিরন্তর চেষ্টায় মগ্ন রয়েছে। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
সময় ঢুকরে কাঁদে। আকাঙ্ক্ষা হারিয়ে যায় বাস্তব বিভীষিকার অতল গহীনে। জোনাকির ন্যায় কখনো ক্ষুদ্র আলোর লেশ আশা স্বরূপ দৃষ্টিগোচর হয়ে আবারও তা হারিয়ে যায় আঁধারের গহীন থেকে গহীনে। পরিস্থিতির রূঢ়তায় বিহ্বল হয়ে বুঝতে পারলাম আলোককর্তিকা নয় আলেয়ার পিছনে অজ্ঞাতসারে ছুটছিলাম। বোধোদয় হয়েছে বটে, তবে অনেকটাই যেন সময়ের অস্তরেখার বিদায় বেলায়।
ইংরেজি নতুন বছরের আগমন বার্তায় অনেক কিছুরই শুভ বদল ঘটেছে, কেবল অশুভের ছায়া এসে পড়েছে আমার গায়। আঁধারের বৈরিতা ক্রমেই যেন বাড়ন্ত হয়ে ওঠছে। বৃশ্চিক দংশনের ন্যায় কাতরাতে থাকে মাংসল দেহ।
সময় নিথর। শ্মশানের মতই নির্লিপ্ত রজনী। আঁধারের বুকে গা এলিয়ে ঘুমাই। গরিবের বেশ ঘুম। স্বপ্নহীন নির্ভেজাল ঘুম।
সমাপনান্তে
কুয়াশা
.....................
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ খিস্টাব্দ
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট
©somewhere in net ltd.