নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনশি আলিমের ১৯টি সেরা কবিতা

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

নিষিদ্ধ শহরে

----------------------------------------

ভদ্রতার জলখাবার খেয়ে হাসির জ্যোৎনাজলে তুমি যখন নাইতে নামো

আমার তখন পাজেরা নিয়ে ঘুরতে ইচ্ছে করে তোমার নিষিদ্ধ শহরে

--------------------------------

মুনশি আলিম

১৪.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট







মহাকালের পীর

-------------------------------------------

একগুচ্ছ সুন্নত নিয়ে এখনও আমি মহাকালের পীর

সভ্যতা দোহন করে পৃথিবীর কলাবাগানে নূরের চাষ করে চলেছি

কুসংস্কারের চাদর দিয়ে আমার শরীর

ফরজের গায়ে হলুদ মেখে ফতোয়ার বাসরে নিত্য পূজা দেই

নারীর গন্ধ শুঁকে রুহানীর মাত্রা ধরে হাঁটি

আমার ঝাড়-ফুঁক পৃথিবীর ঘরে ঘরে

বহুকাল ধরে ধর্মের ক্লোনিং চলে সভ্যতার আঁচলে

আমার হিকমতে নিম্নবিত্ত আকাশ থেকে তাবিজ বৃষ্টি হয়

পৃথিবী ভরে ওঠে, গর্ভবতী হয়

ভাবের লেবাসে আমার অশরীরী আত্মা নূরের সুধাপান করে এখনো প্রসব করে চলেছে মৃত সকাল

দৃষ্টির সমভাঁজে নদী আর নারী

পীথাগোরাসের সূত্র মেনে অবগাহন করি-অহর্নিশি

আমার ভিতরে অন্তর্বাস খুলে সৃষ্টি রহস্য উলঙ্গ হয়ে ঘুরে, আমিও

শিষ্টাচারের প্রদীপ জ্বেলে কামনার তুলসি তলায় বহুকাল ধরে

আমি এখনও বেঁচে আছি প্রজন্মান্তরের শরীরে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে।

------------------------------

০১.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

জাফলং, সিলেট





বিধবা শীত

----------------------------------------------------



অন্ধকারের বেলকনীতে যুবতী মশা চুম্বন এঁকে দিল একটুও রাগিনি,

আরও একজনে দিতে চেয়েছে মোটেও অবাক হইনি;

কিন্তু তাই বলে বিধবা শীতও শীতালু চুম্বনের তিলক এঁকে দিবে?

কী তাজ্জব!





--------------------------------

মুনশি আলিম

০১.০২.২০১৫

বোরহানবাগ, সিলেট









নাতিশীতোষ্ণ ভোর

---------------------------------------------------------------



পোড়া গন্ধের আঁতুর ঘরে কিছু বয়সী চোখ বারুদের গন্ধে গর্ভবতী,

পৃথিবীর মতো পুরনো বাম-দেবিরা প্রগতিশীলতার চাদর মুড়িয়ে এখন ন্যাংটো পথে

মৌসুমী চাদর সরালে ভিখির প্লেটের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাদের মুখ

সুবিধার কামসূত্র খুলে সময়কে চুইনগাম ভেবে চিবায়

প্রজন্মের জিহ্বা টেনে টেনে রচনা করে জটিল ভোর

জড়াজীর্ণ আদর্শিক মন্ত্র;

আর শব্দবোমায় বিষাক্ত করে তুলছে গণতান্ত্রিক ক্যানভাস

তালকানা ক্ষমতা লিপ্সুর দল সূর্যের দিকে নগ্ন চোখ মেলে প্রজনন করে চলছে বিস্মিত কুটিল যন্ত্রনা।

কুটিলতার আবহে একালের ডিজিটাল দেবদেবিরাও ঘুমায়;

ক্ষমতার লোভে পোড়া গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে তারা এখন ঈশ্বর হওয়ার পথে,

অদূরেই ঘন মেঘের আড়ালে একটুকরো নাতিশীতোষ্ণ ভোর।



--------------------------------

মুনশি আলিম

০১.০২.২০১৫

বোরহানবাগ, সিলেট





গোমড়ামুখী নরমরোদ

-----------------------------------------------------------------------



অস্তিত্বের চাদরে মোড়ানো কিছু গোমড়ামুখী নরমরোদ স্বঘোষিত আধুনিতার লেজুর ধরে টানে - সমীহর তসবি পড়া নিয়ে এ কালের প্রগতিশীল হুলুদ ব্রাহ্মণ-ব্রামণীরা ঘুমায়; ওরা এখনো জানলোই না, গায়েহলুদের সাজে ব্যক্তিপূজার চাষাবাদ করে চলেছে তাদের তথাকথিত প্রগতিশীল চিন্তার রেডিমেট ক্যানভাস।



--------------------------------

মুনশি আলিম

৩১.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট









কামের উত্তাপ

----------------------

তোমার কামের উত্তাপে এখনো দগ্ধ হয় তৃতীয় বিশ্বের নাতিশীতোষ্ণ ভোর; অপরাধহীনতাও বুঝি এখন অপরাধ! চিন্তার হসপিটালে কিছু বর্ণ এখনও রোদন করে চলছ।

-------------

মুনশি আলিম,

টিলাগড়, সিলেট











নারীবাদী প্রেয়সী

-------------------------------------------------------

পোড়া রোদের পিঠে আকাঙ্ক্ষার ভীতশ্রদ্ধ কান্না

তাই দেখে দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদী প্রেয়সী মুচকি হাসে

ভাবের সমুদ্রে স্নান করে চুম্বনের তিলক আঁকে

ন্যাংটো আবেগের ব্যালকনিতে গুচ্ছ গুচ্ছ ভেজা অভিমান

তবুও কামের গন্ধ শুঁকে একটি রক্তস্নাত সকাল ইতিহাস হওয়ার পথে।



--------------------------------

মুনশি আলিম

২২.০১.২০১৫

বাসটার্মিনাল, কদমতলী, সিলেট







একটি পোয়াতি বিকেল

--------------------------------------------------------------

অবশেষে রোদ্র-ছায়ায় স্নান করে নক্ষত্রের গালফ্রেন্ড বলল-

রাগ কমাতে হবে! তাহলেই...

পৃথিবীর জটায়ু আলতো ছুয়ে নক্ষত্র মৃত দাঁতে মুচকি হাসে;

শীতের চাদর গায়ে দিয়ে কিছু চুম্বন ঘুরে ফিরে গোপন শিল্পের বাণিজ্যিক এলাকায়

মুহূর্তেই উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে ওঠে ছায়াপথ,

মহাবিশ্বের ওলান ছিদ্র করে ভালোবাসার বৃষ্টি নামে

মৌসুমী জলবায়ু পথ ভুলে নৃত্যের চাষ করে

প্রজন্মান্তরের গোপন ঠোটে চুম্বন দিয়ে রোমান্টিকতার বাসরে পৃথিবী, নক্ষত্র এবং কিছু ভেজা অন্ধকার

একটি পোয়াতি বিকেল এখনও প্রসব করে চলছে গুচ্ছ গুচ্ছ রোমান্টিকতা, কিছুটা কুয়াশাও।

--------------------------------

মুনশি আলিম

১৯.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট







ভূমিহীন আকাশ

-----------------------------------------------------------------

রোদ্রস্নাত পৃথিবীর গোলাপী ঠোঁটে মঙ্গলের লালিমা যখন চুইয়ে পড়ছে ঠিক তখনি

আমি নক্ষত্র হয়ে নীল রঙের ভিতর দিয়ে কাছে আসি

পৃথিবীর শুদ্ধতার হসপিটালে আবেগের গন্ধ শুঁকতে

ইস! যদি একটু ছুঁতে পারতুম!

পৃথিবীর শুকনো হাসিতে মহাবিশ্বও যৌবন ফিরে পায়, তৃপ্তির নৌকো চড়ে বাড়ি ফিরে

শরীরী প্রচ্ছদের ভাঁজে আধুনিক সভ্যতা ইতিহাসের গুঞ্জন তুলে

পরিকল্পনার পাকস্থলীতে গোপন অভিসারের বাজার বসে রোজ

প্রয়োজনের বরাত দিয়েই খাবলে খায় রোমান্টিকতার নগ্ন ভোর

বহুকাল ধরে পৃথিবীর চিবুকের এক অসমাপ্ত তিল জুড়ে কল্পিত জগতের হুরিরা নৃত্য করে চলছে,

তাই দেখে দেবতাদের চোখ এখনও কামের গন্ধ

কী অদ্ভুত! আকাঙক্ষার জলখাবার খেয়ে দিব্যি সতেজ তার ভূমিহীন আকাশ,

আজ তাকে মনে হল ছব্বিশ বছরের ছুকরি!

যে চুম্বনের উষ্ণতা নিয়ে বেঁচে আছে কয়েকশ বছর ধরে অথচ-

ভেজা অন্ধকারে কয়েক শতাব্দী ধরে নাটকীয়তার চাষ করছে

সমকালীন নাটকীয়তায় জন্ম নেয় একগুচ্ছ অভিমান

এক বিমূঢ় অন্ধকারের আড়ালে তার টলোটলো চোখ

পৃথিবীর আকাশে অনেক দিন থেকে মেঘ জমে কিন্তু বৃষ্টি হয় না।

কী এক অজ্ঞাত কারণে পৃথিবীকে এখনও 'সরি' বলা হয়ে ওঠেনি!

--------------------------------

মুনশি আলিম

১৮.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট





একটি ঘনায়মান দুঃখী ভোর

-----------------------------------------------------------------------

চিন্তার সংসারে পোড়া রোদের জিভ টেনে একটি নাতিশীতোষ্ণ আবেগ বিশ্বাসের গ্রন্থি মুছে চুম্বনের অথৈ সম্ভাবনায়,

মহাকালের ফসিল গায়ে দশ দিগন্তের ভোর বহুকাল ধরে চিবিয়ে খাচ্ছে সমকালীন প্রেমবিলাসী ভিখিরিদের মগজ,

স্যাঁতস্যাঁতে আভিজাত্যের আকাঙ্ক্ষার মোহনায় স্নান করেও আমাদের প্রেয়সীর চিন্তা এখনো ছেলেবেলাতেই রয়ে গেল,

পাংশুটে আবেগের তলানীতে মহাকালের মৃত ফসিল চিবিয়ে একটি গণতান্ত্রিক প্রেমিকা সুন্দরের ধ্যানে

যাযাবর লোভের রক্তক্ষরণে তৃতীয় বিশ্বের মধ্যবিত্ত আকাশে একটি ঘনায়মান দুঃখী ভোর।



--------------------------------

মুনশি আলিম

২১.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট







--------------------------------

মুনশি আলিম

২১.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট









একটি ভোর

------------------------------------------------------------------



কয়েক শতাব্দী থেকে একগুচ্ছ পরিচিত শব্দের মধ্যেই আছ

পরিবর্তন নেই

পৃথিবী পরিবর্তন চায়, আমিও।

সবুজ পাতার নিচে একটি ভোর অন্য সাজে।



--------------------------------

মুনশি আলিম

১৬.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট







একপুরুষ ধরে অপেক্ষা

-------------------------------------------------------------------

একপুরুষ ধরে অপেক্ষা করছি...

কিছু কথা ছিল তার সাথে,

এখনও বলা হয়ে ওঠেনি, হয়ত আর ওঠবেও না

--------------------------------

মুনশি আলিম

১২.০১.২০১৫

টিলাগড়, সিলেট





একগুচ্ছ মন খারাপ

---------------------------------------------------------------------------

বিজ্ঞাপনের কথাটি একটু এডিট করে বললাম- লুকায়ে লুকায়ে প্রেম করছ না?

তুমি হাসলে; পৃথিবীও... বড়ই অদ্ভুত হাসি

পৃথিবীর পাকস্থলীতে থেকে কিছু সংখ্যক জড়তা কুড়িয়ে নিয়ে বললে- আমি আসলে এমনিই ! অনাদিকাল থেকে এমনিই ছিলাম

আমি বললাম- হয়ত অনাদিকাল ধরে এমনিই থাকবো...

তুমি শুধু হাসলে; রাতের অন্ধকারও

মহাবিশ্বের একুরিয়াম থেকে কিছু স্মার্টনেস ধার করেছিলাম গত শতকে

তাই দিয়ে এখনও চলছি,

কী করব বলো, তোমার মতো তো আর গাঢ় কুয়াশা হতে পারি না!

তুমি হঠাৎ থামলে..

মৃদু হাসলে

তোমার পোয়াতি হাসিতে আমিও নির্বাক হাসলাম

তুমি মেঘকে কথা দিয়েছিলে ছায়া হয়ে ঘুরবে পৃথিবীর ক্যানভাসে;

আপিস ঘুরে আসবে পরিচিত নক্ষত্রের

কিন্তু কই? তুমি আসলেই কুয়াশা; মহাবিশ্বের জটিলতর সৃষ্টি!

একগুচ্ছ মনখারাপ নিয়ে সুনীলের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে বললাম, আসলে কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখে না!



-----------------------------------

মুনশি আলিম

১১.০১.২০১৫

রাজা ম্যানশন,জিন্দবাজার, সিলেট









পোয়াতি ভবিষ্যৎ

--------------------------------------------------------------------------

একগুচ্ছ রাতের গুহায় কিছু প্রশ্নের ফসিল এখনও কঁকিয়ে কাঁদে

পথ জানা নেই অন্ধকারের

নিরবতার ঠোঁটে চুম্বন দিয়ে এখনও কিছু বৈরী সময় ভাবী ক্ষমতার খসড়া তৈরির পথে

সভ্যতার বিরাট ওলানের নিচে আমাদের দুরাশার শিশুরা বহুকাল ধরে অপুষ্টিতে

গত শতকের যখন গায়ে হলুদ তখনও আমি মৎসগন্ধ্যা হয়ে পৃথিবীর গর্ভে

গন্ধমের প্রসববেদনায় মুমূর্ষু একগুচ্ছ পোয়াতি ভবিষ্যৎ।



------------------------------

০৯.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

বোরহানবাগ, পূর্ব শিবগঞ্জ,

সিলেট













অনাদিকালের প্রেমিক

-------------------------------------------------------



আকাশের গোপন চাদর সরিয়ে আমি এখনও শুনি তোমার মৃত কান্না,

মুগ্ধতার জলপান করে এখনও নস্টালজিয়ার চাষাবাদ করি,

এখনও রাত্রির অন্ধকার নামে তোমার পন্থপানে চেয়ে...

অভিযোগ করো না নন্দিনী!!!

আমি অনাদিকালের প্রেমিক ভীম খেয়ে হাঁটছি পৃথিবীর পথে পথে।



------------------------------

০৭.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

বোরহানবাগ, পূর্ব শিবগঞ্জ,

সিলেট









একগুচ্ছ সন্দেহ ভরা ঠোঁট

----------------------------------------------------------------



গণতন্ত্রের একগুচ্ছ সন্দেহভরা ঠোঁট মানবাধিকারের ন্যাংটো চোখের দিকে

সময়ের মাংস খাবলে খায় আমাদের ক্ষমতার শকুন

সুন্দরের ধ্যানে আগামির ভোর বৃশ্চিকদংশনে কাতরাতে থাকে

স্বদেশের আকাশজুড়ে এখন ঈষার পুষ্পবৃষ্টি

নগ্ন হয়ে আমরা ভিজি, আমাদের প্রজন্মকেও ভিজাই

কুৎসিত ক্ষমতার মোহনায় টিকটিকির মৃত প্রলাপ ফসিল হয়ে জানান দেয়

তবুও আবেগের তলানীতে আত্মশুদ্ধির শ্লোগানে আমাদের প্রজন্ম

একটি মৃত সময়ের ব্যালকনীতে।



------------------------------

০৬.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

বোরহানবাগ, পূর্ব শিবগঞ্জ,

সিলেট

























ওগো রাত্রিখোর নন্দিনী

----------------------------------------------------------------------

নন্দিনী, কতদিন হয় শিশিরে মতো তোমার ভেজা চোখ দেখি না!

ইচ্ছে হলেও ছুঁয়ে দেখা হয় না তোমার নগ্ন নির্জন হাত,

কামরাঙা ঠোঁটের দেশে ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে কয়েক'শ বছর ধরে

নিঃশব্দ হাসির গন্ধ এখনও টানে

রোদ্দুরের মতো তুলতুলে গাল কেবলি হাতছানি দেয়

শৈল্পিক তুলিতে আঁকা তোমার ভ্রু'র মেরু অঞ্চল

তোমার বুনো গালের শিল্পাঞ্চল জুড়ে অদ্ভুত সুন্দর টোল হাসনাহেনার ঘাণে

বিনম্র চাহিদাগুচ্ছ ইতিহাসের মলাট খুলে ন্যাংটো হয়ে ভিজে আবেগের বৃষ্টিতে

শাদা মেঘের মতো ললাটের ভাঁজে ভাঁজে সহস্র বছরের চুম্বনক্ষুধা কেবলি ঘুরে ফিরে

তোমার কমনীয় দৃষ্টির উষ্ণতায় বিগলিত হতে ইচ্ছে করে

হৃদয়ের জানালা খুলে নক্ষত্রের মৃদু আলোয় ভিজিতে ইচ্ছে করে!

প্রজাপতির মতো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করে চিবুকের স্পর্শাঞ্চল;

কাশফুলের মতো বুকের মৃদু ঘ্রাণ নিয়ে ঘুমুতে ইচ্ছে করে রূপালি জোছনায়

কোমল হাত ধরে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর ভিজতে ইচ্ছে করে ভালোবাসার বৃষ্টিতে

অনাদিকাল থেকে হৃদয়ের অশ্বথতলায় এখনও তুলসিপ্রদীপ জ্বলে

ওগো রাত্রিখোর নন্দিনী, ভালোবাসার ফাগুন ঝরা রাতে বাসন্তীয় পুঙক্তিমালা নিয়ে আসবে কি?

প্রত্যাশার চাদর গায়ে এখনও বেঁচে আছি, বেঁচে থাকতে হয় বলে!

------------------------------

০৫.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

বোরহানবাগ, পূর্ব শিবগঞ্জ,

সিলেট







আমিও ভালো নেই

------------------------------------------------------------------



মোরগের ডাকে একটি ভোর ভূঁইফোর সভ্যতার শ্লোগান দেয়

প্রত্যাশার ঠোঁট বেয়ে নামে আগামি;

সততার কন্টিনেন্টালের ভিতর অনাগত জীবন্মৃত ভবিষ্যৎ।

হাঁপানী রোগীর মতো পৃথিবীর চরাঞ্চলে কিছু কিছু চিন্তা এখনও দারিদ্র সীমার নিচে বহুকাল ধরে অপুষ্টিতে ভুগছে আমাদের নির্ভৃত মনাঞ্চল

ঈষার কলাবাগানে রাত্রিখোর জোনাকি

মাচুপিচু আর প্রেত্রা নগরীর গোপন সৌন্দর্য ভক্ষণ করে এখনও আমাদের চিন্তা জুলু, টোডা, মাউরি কিংবা দ্রাবিড়, নার্ডিক হয়ে ঘুরে পৃথিবীর পথে পথে।

দুঃসময়ের মুখোমুখি পৃথিবী, আমার দেশ, আমিও।

বিপন্ন সভ্যতার ওপর দাঁড়িয়ে - আমার দেশের মতো আমিও ভালো নেই, হয়ত আমরাও...।

------------------------------

০৪.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

বোরহানবাগ, পূর্ব শিবগঞ্জ, সিলেট































একটি আঞ্চলিক ভাষার কবিতা

গাল ফেরেন্ড!

-------------------------------------------------------------------------------------------------

বহু বছর আগে জোছনা রইতে আমরা দুইজন

জোছনার ভিজা চাদ্দর গায়ে দিয়া আমি তার লগে কথা কই।

ইস রে! কী যে সুন্দর! একবারে শাদা দুধের লাহান;

প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লাহান ঠোঁটে যেন কী মাখছে-খালি ঝিলিক মারে!

নতুন ধানের গন্ধের লাহান তার ঠোঁটের মিষ্টি গন্ধে আমি গোসল করি

উফফ! সেইরাম !! সেইরাম!!!

আমার ক্যান জানি মুনে অইল- এমুন ঠোঁটের লগে কয়েকশ বছর ঘর- সোংসার করন যায়!

ও যহন কথা কয় তহন মুনে অয় স্রস্টার আরশ থাইক্যা মধু পড়তাছে

মধু বৃষ্টি! আহ্হারে! এত মজা লাগে ক্যারে?

আমি সাওস কইরা আরও কাছে যাই

সূর্য মামার তাপ ছাড়াই আমার শরীর গরম অয়

খুব, খুউব গরম!

চান্দের লাহান হেয়ও বিদেশি

খারাপ পোলারা তারে বিদেশি মাল কয়!

আমি কইনা; আমি তারে বান্দবী ডাহি কিন্তুক মাইনশে কয়...

ইংরাজি কয়...

কী ফেরেন্ড জানি!

ও মুনে পড়ছে গাল ফেরেন্ড!

গালের লগে গাল ঘঁসলে নাকি গাল ফেরেন্ড হয়!

কী তাজ্জব কথা;

মদ খাওয়া মাইনশের লাহান আমার মাথা হঠাৎ চক্কর মারে

আমি তারে...

হ ধইরা ফালাই;

থুতনির মধ্যে ধইরা আমার ঠোঁটের কাছে আনি

হঠাৎ পিছন থাইক্যা ক্যারা জানি কামড় মারে!

ঐ ডারে ধরবার গিয়া দেহি আমি খাটের নিচে

হায়রে হালার খোয়াপ!

কিছুই করবার দিল না!!!

------------------------------

০৩.০১.২০১৫

মুনশি আলিম

জাফলং, সিলেট



মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: চমৎকার , :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.