নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকালবেলা ঘুম ভেঙ্গে গেলে চোখ কচলাতে কচলাতে মোবাইল ঘড়িটির দিক তাকাই। প্রায় ১০টা বাজে। ৪৮ মিসড কল!!! ৪৯ নং কলটা রিসিভ করি।
- হ্যালো,
- জি বলেন
- আপনার একটি পার্সেল আছে।
- কোথায়?
- ... আচ্ছা।
পার্সেল রিসিভ করে বেশ কৌতূহলভরে তা খুলতে থাকি। বাসন্তীয় রংয়ের হলুদ ব্যাগ। ভেতরে একটি সুন্দর টি শার্ট, একটি মনোহর কলম আর পাঁচ পৃষ্ঠার একটি চিঠি। প্রেরকের কোন নাম নেই দেখে বেশ বিস্মিত হলাম। এ ডিজিটাল যুগেও আবার পত্র! বেশ লাগছে। টি শার্ট ও কলম থেকে আমার কৌতূহল বেড়ে গেল এনালগ যুগের চিঠির ওপর। আমি পড়তে থাকি। নিজের ভেতরেই নিজে ভাঙ্গতে থাকি। এতদিন জানতাম আমার কবিতার ভক্ত আছে; এখন দেখি আমি কবি'রও ভক্ত আছে!!!
পত্রের বিন্যাস আনাড়ি তবে বেশ আবেগঘন। আমি পত্রের লাইন ধরে ঘুরে আসতে থাকি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। আবেগের সমুদ্রে অবলীলায় স্নান করতে থাকি। কিন্তু হঠাৎ কিছু বাক্যের ওপর চোখ বুলিয়ে মাথা গরম হয়ে ওঠছে। নিয়ন্ত্রনহীন শরীর ক্রমশই ঘামছে। যদিও অভ্যাস নেই তবুও চুরট টানতে ইচ্ছে করছে। ... চুরট ধরাই। ধোয়ার কুণ্ডলির সাথে কিছু টেনশন উড়ে যায় আকাশের গহীন থেকে গহীনে।
ভক্তের ভালোবাসায় আমি যেমন মুগ্ধ তেমনি শঙ্কিত। এত ভালোবাসিস কেন রে পাগলি? আমি কী আর তোর মতো পারি রে??? 'চিরকুমার' শব্দটা অস্তিত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লালন করছি। ঐ শব্দটা আমার পৃথিবীতেই থাকুক আরও কিছুকাল; তোর ভালোবাসার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
পাগলি, নিজের মতো করে বাঁচতে শিখ; ভালো থাকিস রে, অনেক ভালো থাকিস।
-----------------
১২.০২.২০১৫
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট
ইমেইল: [email protected],
©somewhere in net ltd.