নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখনো যুবতী বিকেলের গায়ে গা লাগিয়ে সূর্য স্নান করা হয়নি, মেঘের ফসিল দিয়ে মালাও গাথা হয়নি- তবুও তুমি ডাকলে- আমিও... বৈশাখের জমানো উত্তেজনা আমার ভেতর বাজার বসায়; ইন্দ্রিয় জুড়ে বিদেশি বাতাসের গন্ধ মেখে কিছু ভেজা স্বপ্ন কীনব্রীজের রেলিং ধরে উড়ে চলে সুদূরের পানে, অনুভূতির দাপুটে ঘোড়া চালিয়ে আমি তোমার দিকে তাকাই। কী আশ্চর্য, আমি তাকাতেই তুমি তোমরা হয়ে গেলে!
তবু আমি পৃথিবীর মতো গোলাকার তোমার চোখের দিকে তাকাই- বিকেলের মতোই ধূসর তোমার চোখ- কিন্তু কী যে এক মোহ... ! শরীর জুড়ে প্রশান্ত সাগরের অবিরত ঢেউয়ের মতো লাজুক কিছু অনুভূতি যৌবনের গেরস্থালি শুরু করে দিল। অনুভূতির আঙিনায় তখন আর বিদেশি ফ্লেবার নেই- দেশীয় সুগন্ধির সুবাতাস বইছে। সম্বোধনের পর্বে এসে থমকে গেলাম- কী বলে যে শুরু করব... তার চেয়ে ঢের ভালো আমি তাকিয়েই থাকি এবং থাকলামও। হৃদয়ের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলি, গোধূলির মতো তোমার ঠোঁটের কোণে গোপন কিছু কথা ছিল- মুখ ফোটে বলোনি বলে বুঝেই নিয়েছি। কিছু কথা তো থাকে ভঙ্গির মাধ্যমে বুঝে নেওয়ার- তাই না?
স্পর্শের অনুভূতি কেমন হয়? ধারণায় সিদ্ধি লাভ করতেই আমি ছুঁয়ে দিলাম তোমার নগ্ন হাত। উফ! শিশুর মতো কোমল! অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতির সমুদ্রে আমি তখন নিরেট শিশু! কী একটা বলতে বলতে কানও ছুঁয়ে দিলুম, অবশ্য এদিন বিশ্ব কানমলা দিবস ছিল না! তুমি প্রগাঢ় লজ্জায় হাসলে, জগৎবিখ্যাত সোয়াম ফরেস্টের জলের মতোই স্বচ্ছ- কী যে সে বিস্ময়কর হাসি! এ যে আমার সেই হারিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের ফেরিওয়ালা!!! সে হাসির সমুদ্রে একবার অবগাহন করলে আর ফিরতে ইচ্ছে করে না।
----------------------------
২৯.০৪.২০১৫
মুনশি আলিম
বোরহানরবাগ, টিলাগড়, সিলেট
©somewhere in net ltd.