নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অধরা ও মানবমুক্তির ঘণ্টা

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৪






অধরার কথাই বলছি- যে জাগতিক দুঃখকে দুভাগ করে পুরোটাই নিজে নেয়। বিশ্বসংসারে জলপান করা সে হয়ে উঠেছে বিশ্বমানের। আজকাল বৈশ্বিক সমস্যাকে নিজের মনে করে কজনা? রাষ্ট্রীয় দুশ্চিন্তায় কেইবা আজকাল নিজেকে পোড়ায়? কিন্তু সে মানবতার আহ্বানে জোসনার মতোই হয়ে ওঠে স্নিগ্ধ। বাতাসের ভৌগোলিক গন্ধ শুঁকে প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করে।


বড়ই অদ্ভুত তার ভাষাপ্রেম। ভাষার অপব্যবহারে কজনাই বা কাতর হয় আজকাল? অধরা কিন্তুু ভেতরে ভেতরে ক্ষেপে ওঠে; কিন্তু ক্ষিপ্ত হয় না। কৌশলের মন্ত্র পড়ে শুদ্ধতার আলো ছড়ায়। বিন্দু বিন্দু শিশির জমানোর মতো করে ইতিহাসের চেতনা দিয়ে সে নীতির পেয়ালা সাজায়। অধরাটা আসলে এমন ছিল না। সহসা যেন কেমন হয়ে উঠলো।


পহেলা বৈশাখের উন্মাদনায় সে খুঁজে ফিরে বুনিয়াদি ইতিহাস চেতনার স্বরূপ। ধনুকের মতো বাঁকতে বাঁকতে আবার সোজা হয়ে ওঠে তবু নীতিচ্যুত হয় না।


গোলাপের সুঘ্রাণমাখা তার শরীরের প্রচ্ছদ জুড়ে পীথাগোরাসের জ্যামেতিক ক্যানভাস; কাগজীলেবুর মতো তার কোমল ঠোঁটে চিরায়ত বসন্তকাল। প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ ছুঁয়ে হাসির জোয়ার অবলীলায় যেন জগদ্বিখ্যাত ভিঞ্চির মোনালিসার শুভ্র কৌণিক হাসি জয়ের পথে।


জাফলংয়ের জলের মতোই স্বচ্ছ তার হৃদয়। পৃখিবীর বিলবোর্ড জুড়ে টাঙানো-শরীরই প্রধান! অধরা জানে, গুরুত্ব উপলব্ধি করে তবু শরীরকে সে মুখ্য জ্ঞান করে না। দেশপ্রেম, ভাষাপ্রেম, সর্বোপরি মানবপ্রেমে সে এক অন্যরকম মানুষ। বিনয়ী মহাবিশ্বে সে সন্ধ্যাতারা। ত্যাগের ভুবনে সে এক আলোকিত নক্ষত্র। নৈতিকতার পুন্যজলে স্নান করে স্নিগ্ধ বিকেলের রঙে নিজেকে সে নিত্য রাঙায়।


মাহতীয়দের মহত্ম্যের পথ ধরে সভ্যতার সুঘ্রাণ আসে। অধরা সে মহত্ম্যের মাত্রা ধরে হাঁটে। স্বদেশচেতনার অঘ্রানের সুঘ্রাণে সে লুটোপুটো খায়। মানবপ্রেমের চেতনায় নিজের ভেতর নিজেকে আবিষ্কার করে চলে অহর্নিশ।


নিজের চিন্তার হৃদয়ের জারুল তলার পুরনো বিলে শালুক কুড়িয়ে কুড়িয়ে স্বাধীনতার স্বাদ নেয়। গ্রীষ্ম নেই, বর্ষা নেই, শরৎ নেই। নেই শীত কিংবা বসন্ত। চিন্তায় তার নিত্য শিল্পের হাট বসে।


অধরা, সত্যি সে এক অন্যরকম মানুষ। পথশিশুর সাথে নিজের খাবার ভাগ-বাটোয়ারা করতে তার কোনো দ্বিধা হয় না। কোনো কার্পণ্য নেই বৃদ্ধদের সেবায়। মানবমুক্তির ঘণ্টা বাজিয়ে অধরা আলোর পথে হাঁটছে। যে পথে হেঁটেছে মহামনীষীগণ।




মুনশি আলিম
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
বোরহানবাগ আ/এ, টিলাগড়, সিলেট


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অধরার গল্প অনেক ভাল লাগল। ভাল থাকবেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৩

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: নিরন্তর ভালোবাসা।

২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন।
+++++

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৫

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.