নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বড়ো বড়ো চোহে এমুন কইরা চাইয়া থাহ কেন?
ইস! আমার বুঝি শরম লাগে না!
তোমার বাদামী চোহের অলিগলিতে এত মায়া ক্যারে?
তুমি যহন কথা কইবার লাইগা আমার খুব কাছাকাছি চইলা আহ- তহন আমার কেমুন জানি অস্থির অস্থির লাগে।
বুহের মধ্যে মুনে অয় সাগরের ঢেউয়ের লাহান ঢেউ ওঠে
আমার শরীর গরম অয়, মাছরাঙা পাহির লাহান আমিও তোমার আহনের লাইগা চাইয়া থাহি,
ঘরে একটা ভাঙ্গা ঘড়ি আছে, হেই ঘড়িডার দিকে খালি চাইয়া থাহি
কেন জানি সোময় যাইবার চায় না…
খাঁচার পাখির লাহান ছটফট করতে থাহি।
কিন্তুক এই কথা আর কেউরে কইবার পারি না।
শরম লাগে। ডরও লাগে। পাছে যদি …।
তাড়াতাড়ি কইরা বাইরে আহি, বড়ো আকাশ দেহি, নীল রঙের আকাশ;
হেই নীলের রঙে নিজের মনেও একটু রঙ মাখাই।
আমার খুউব ইছছা- এইখান থাইক্যা কিছু রং তোমারেও মাখাইয়া দিমু।
--------------
২৯.০৯.২০১৬
মুনশি আলিম
শিবগঞ্জ, সিলেট
কোনো এক বয়সী হেমন্তের শেষে বিকেলে মায়াবি হাসির পরাগরেণু ছড়িয়ে বলেছিলে- আমি তো স্বপ্ন চাষী!
মনের গোপন জমিনে নকশি কাঁথার মতো কেবল স্বপ্নের বুনন করি। সত্যি বলতে আমি যে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা!
আমি মুচকি হেসে বলেছিলাম- ভালোই তো!
সে হয়ত আরো রোমান্টিক কিছু আশা করেছিলো। মনের মতো উত্তর না পেয়ে মাথা নিচু করলো। মুহূর্তেই দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত মেঘপুঞ্জের কালো নির্যাস যেনো জমা হলো তার মুখায়বে।
নীরবতা ভেঙে আমি পুনরায় বললাম- একমাত্র আমিই তোমার স্বপ্নের ত্রেতা!
ওর অভিমান তখনো কমেনি। আহা! সপ্তাশ্চর্যের মতো তার অভিমান জুড়ে কেবলি রহস্যগুচ্ছের নীরব বিচরণ!
দাঁতে নখ কাটতে কাটতে বলি- ওহে অভিমানের দেবি! তোমার সংরক্ষিত গোপন ভাঁড়ার থেকে আমাকে কিছু অভিমান ধার দিবে? আমিও অভিমানের বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।
তুমি কেবলই হাসলে; সে হাসির সমুদ্রে একবার অবগাহন করলে আর ফিরতে ইচ্ছে করে না।
--------------
৩০.০৯.২০১৬
মুনশি আলিম
শিবগঞ্জ, সিলেট
০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ধন্যবাদ। হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩০
আনিসা নাসরীন বলেছেন: অন্যরকম সুন্দর