নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আয়েশী সন্ধ্যা। যুবতীর রোদ্রস্নাত গালের মতোই পৃথিবীর আকাশ ইষৎ লালিমাময়। সে রঙের আভা গায়ে মেখে শহীদ আশরাফ বেরিয়ে পড়ে। সামনেই কটমটি বাজার। বউয়ের দেওয়া লম্বা বাজারের লিস্ট দেখে শহীদও কটমট করতে করতে বাজারে গেলো। মাছ, মাংস তরিতরকারিসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনে ফিরতি পথে পা বাড়ায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই অগ্রহায়ণেও শীত পড়তে শুরু করেছে। কিছুদূর হাঁটতেই দেখতে পেলো টঙের দোকান। মৌসুমী পিঠাওয়ালা পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছে। ভাপা পিঠা, চিতই পিঠাসহ বেশ কয়েকটি আইটেম। কয়েকজন ছেলেবুড়াও সেখানে দাঁড়িয়ে পিঠা খাচ্ছে। তাদের পিঠা খাওয়ার ভঙ্গি দেখলে মনে হবে শীতকে তারা খুব উপভোগ করছে। শহীদেরও পিঠা খাওয়ার খুব লোভ হলো।টঙের কাছে যেতেই দেখলো আবু সিনা পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছে। টঙের একপাশে বাজারসওদা রেখে পিঠা খাওয়া শুরু করলো। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। পিঠাগুলো এতই ভালো লেগেছে যে একের পর এক সব আইটেমই সে দুটি করে টেস্ট করতে লাগলো। শহীদ অন্যান্য কাজ যত দ্রুত করে খানিটা ঠিক তত দ্রুত করতে পারে না। কচ্ছপের মতোই ধীর গতি!
হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকায়। ওমা! নয়টা বাজে। তাড়িঘড়ি করে বিল দিয়ে ব্যাগ হাতে নেয়। দ্রুত পা ফেলে। বাড়িতে পৌঁছতেই বউ শোকজের সুরে বলে- এতো দেরি করলে কেন? ব্যাগ দাও। শহীদ বাজারখরচের ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বললো- বাজারে তাজা মাছ একটু দেরিতে ওঠে। আর সে মাছের অপেক্ষা করেই দেরি হয়েছে। অবশ্য এ দুটো বাক্য বলতে তাকে বেশ কয়েকবার ঢোক গিলতে হয়েছে! বাজারের ব্যাগ হাতে নিতেই শহীদের স্ত্রী ক্রোধে ফেটে পড়লো। মিনশে মাছ-মাংস না কিনে চাউলের কুঁড়া নিয়ে এসেছে! বলদের মতো পানিতে ভিজিয়ে ওনারও কুঁড়া খাওয়ার শখ হয়েছে! এই মানুষটারে নিয়ে ক্যামনে যে সংসার করি...
শহীদ গাধামিভাব নিয়ে মাথা চুলকায়। কিনলাম মাছ-মাংস আর হয়ে গেলো কুঁড়া? সহসা সে বুঝে উঠতে পারে না। তবে কী টঙের দোকানে কারো সাথে বাজার বদল হলো? শহীদ লজ্জিত হয়ে বেরিয়ে যায়। পেছনে তখনও তার স্ত্রী বলেই চলছে- মিনশের বলদ হওয়ার শখ হয়েছে... বলদ!
২১.১১.২০১৬
শিবগঞ্জ, সিলেট
২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৯
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা!
কুড়া বলদই খায় বটে!