নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি : প্রতীকী
সংগ্রহ : ইন্টারনেট
হাসপাতালে যাইবার নিমিত্তে সিএনজির পশ্চাৎ আসনে উঠিয়া বসিলাম। পশ্চাৎ আসনে আমরা অপরিচিত দু’জন। কালক্ষেপণে সুযোগবুঝিয়া উভয়েই ইন্টারনেটে মগ্ন রহিলাম। সিএনজিতে তিনজনের আসন বরাদ্ধ থাকিলেও বাংলাদেশে বিশেষ করিয়া সিলেট অঞ্চলে পাঁচ জনের কম হইলে উহারা ছাড়িতে চাহে না। নিরুপায় হইয়া পরবর্তী প্যাসেনজারের অপেক্ষা করিতে থাকিলাম। আহা! কঠিন কর্তব্যকর্মের প্রাক্কালে প্রহর যেনো আর ফুরাইতে চাহে না।
মিনিট চারেক পরে আনুমানিক প্রায় একশত বিশ কেজি ওজনের এক বোরকা পরা রমণী আসিয়া পশ্চাৎ আসনের খালি জায়গাটি দখল করিয়া ফেলিল। রমণী বসিবার প্রাক্কালে সিএনজিটি একবার প্রকম্পিত হইয়া উঠিলো। আমার ডাইনের ভদ্রলোক মধ্যমপ্রকৃতির মোটা আর বামের জনের তো কথাই নাই! আমি যেনো মাইনকার চিপায় পড়িলাম! মহিলাকে যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা দিতে আমাদের দুজনকেই বেশ বেগ পাইতে হইলো। আহা! পশ্চাতের পুরো আসনটি রমণীর একার নিমিত্তে হইলেই বোধকরি ভালো হইতো!
সে যাইহোক। রমণীর সহিত একটি বড়ো ব্যাগ ছিলো। তিনি সুবিধামতো বসিয়া ব্যাগটিকেও আমার এবং মহিলার মধ্যিখানে রাখিবার নিরন্তর চেষ্টা করিতে লাগিলেন। রমণীর ন্যায় ব্যাগটিও নানাবিধ দ্রব্যাদিতে ফুলিয়া উঠিয়াছে। আমি কিছু বলিতে গিয়াও সংকোচে বলিতে পারিলাম। বিপদে পড়িলে নাকি মানুষ বিষ খাইয়াও বিষ হজম করিয়া থাকে!
এমনিতেই রমণীর জায়গা দিতে আমাদিগকে অনেক বেগ পাইতে হইয়াছে তদুপরি মহিলার গর্ভবতী ব্যাগের জায়গা দিতে আমাদের দুজনের অবস্থা আরও শোচনীয় হইয়া উঠিলো! ড্রাইবার লুকিং গ্লাসে একটিবার দেখিয়া কেবল ম্লান হাসিলেন! হয়ত এইরূপ ঘটনা প্রায়শ তাহারা দেখিয়া থাকেন।
ব্যাগটির ভিতর কী একটা শক্তগোছের মতো জিনিস রহিয়াছে। আমার উরুতে লাগিবামাত্রই আমি ঈষৎ উহ! শব্দ করিলাম। সরিয়া বসিবার চেষ্টা করিলাম। তাহাও আর সম্ভব হইলো না। কেননা, পশ্চাতে কিংবা ডান পার্শ্বে আর তিলার্ধ স্থান শূন্য রহে নাই।
সহসা সিএনজি ড্রাইভার হার্ডব্রেক করিলো। নিজেকে সামলাইতে গিয়া আমার বাম হাতের কনুই ব্যাগের ওপর একটু লাগিবামাত্র মহিলা ক্রোধে উদবিগ্ন হইয়া উঠিলো। আহা! মহাভারত যেনো অশুদ্ধ হইয়া উঠিলো। মানুষের ধৈর্যেরও সীমানা থাকে। সে সীমানা অতিক্রম করিলে মানুষ আর স্বাভাবিক থাকিতে পারে না! আমিও পারিলাম।
নিজের চোখমুখ ভয়ানক রকম শক্ত করিয়া বলিতে লাগিলা-আমি হাত খানো রাখতাম? আসমানো রাখতাম নি? অত শুচিবায়ু লইয়া পাবলিক গাড়িত আইলায় খ্যানে? সিএনজি রিজার্ভ নিলানা খ্যানে? আর না অইলে রিকশাত এখলা গেলা না খ্যানে? ইনসাফ বিচার নাই খ্যানে? আফনার লাগি আমরা দুইজন কিলান ঠাসাঠাসি খরি বইছি-তারফরো আফনার অয় না? অত বিবেক ছাড়া খ্যানে?
আমি আরও কিছু বলিতে চাহিলাম। কিন্তু আমার ডান পার্শে বসা ভদ্রলোক আমাকে থামাইয়া বলিলেন-বাদ দেউক্কা ভাই-অউ তো আর আইচচি! সিনজির বহিরের পানে তাকাইয়া শেষ বাক্যটিও তিনি বলিলেন- মাইনশে আইজখাইল ইনসাফবিচার ঘরো রাখিয়া আইন, লগে রাখোইন না!
১৫.০৩.২০১৭
মুনশি আলিম
সিলেট
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
ভালোবাসা জানবেন প্রিয়।
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫
বিজন রয় বলেছেন: আপনার গল্প কিন্তু মাঝে মধ্যে পড়ি।
আজকাল সময় খুব কম পাই।
ভাল থাকেন।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯
মাঝিবাড়ি বলেছেন: মাইনশে আইজখাইল ইনসাফবিচার ঘরো রাখিয়া আইন, লগে রাখোইন না!
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: অফুরন্ত ভালোবাসা।
৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
প্রণব দেবনাথ বলেছেন: হাহাহাহা বেশ ভালো।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৬
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ভালোবাসা অফুরান।
৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ব্যাগের ভিতর কেউ ঢুকে ছিল বোধহয়
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হাসি পাইল কেন বুঝলাম না।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৫
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: লাফিং গ্যাস মনে হয় বেশি জমে গেছে !
ভালোবাসা জানবেন।
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৃষ্টিশীল আলিম ,
মজা পেলুম ।
তবে একটা সত্য তুলে ধরেছেন আপনার সহযাত্রীর মুখে -- মাইনশে আইজখাইল ইনসাফবিচার ঘরো রাখিয়া আইন, লগে রাখোইন না!
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
অফুরন্ত ভালোবাসা জানবেন প্রিয়।
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
মিঃ আতিক বলেছেন: অফুরন্ত ভালোবাসা জানবেন প্রিয়
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
আপনাকেও কিছু ভালোবাসা বিকাশ করিয়া দিলাম, পাইয়া কৃতার্থ করিবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা ...............
মাইনশে আইজখাইল ইনসাফবিচার ঘরো রাখিয়া আইন, লগে রাখোইন না!
++++