নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা এলাকা জুড়ে ডায়রিয়া। বাবা খুব শঙ্কিত হয়ে আমাদের বাড়ির সবাইকে ডাকলেন। আমরা জড়ো হলাম। তিনি বিড়বিড় করে কী পড়ে যেন সবাইকে ঝাড়ফুঁক দিলেন। এরপর একটি কালো লাঠি হাতে বাড়ির চারদিক দাগ কাটলেন। আমি জিজ্ঞেস করতেই বললেন—বালা দূর করছি! হঠাৎ পুরনো কয়েকটি ব্লেড হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, বাম হাতের নখ ঈষৎ চেঁছে এই পড়া পানি দিয়ে খেয়ে ফেলো। আমি আশ্চর্য হয়ে বললাম—কী বলেন! এসব খেলে তো পেট খারাপ করবে?
তিনি মৃদু হেসে বললেন—বাবা, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর! অতএব, বিশ্বাস করতে শিখো। বাবার অবাধ্য হওয়ার দুঃসাহস আমাদের কারোরই ছিল না। আমরা ডায়রিয়া থেকে রক্ষার জন্য পির বাবার কথামত বাম হাতের নখ চেঁছে পানি দিয়ে গুড়া অংশ খেলাম কাকতালীয়ভাবে অন্যান্যদের কিছু না হলেও আমার কিন্তু পেটের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেল। অনেকটা মুমূর্ষু অবস্থা! বাধ্য হয়ে আমাকে হাসপাতালে নিতে হলো। হাসপাতালে আমি আর বাবা। দুজনে পাশাপাশি। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে বললাম—বাবা, আমি কিন্তু আপনাকে এখনো বিশ্বাস করি।
বাবা কিছু বললেন না। কিন্তু লক্ষ্য করলাম তিনি ক্রমশই ঘেমে উঠছেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: -)
বিচারের মাপকাঠি কী?
ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো গল্প।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
জেন রসি বলেছেন: বিশ্বাস ব্যাপারটা হচ্ছে অনেকটা জুয়া খেলার মত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
ঋতো আহমেদ বলেছেন: নামকরণ ঠিক হয়নি। ''বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর'' হলে পারফেক্ট হোতো।