নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খাঁটি বাংলাদেশী

সুদীপ্ত কর

মরার আগে মেটালিকার মাস্টার অফ পাপেটস শুনতে শুনতে মরতে চাই। https://www.facebook.com/Sudipta.Kar

সুদীপ্ত কর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি পোস্টমর্টেম - রেদওয়ান রনির চোরাবালি

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

অপেক্ষায় ছিলাম সিলেটে কবে আসবে চোরাবালি। গতকাল রাস্তায় পোস্টার দেখেই সিদ্ধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক যেতে হবে। হরতালের জন্য আগামীকালের পরীক্ষা ক্যানসেল হওয়ায় দুপুরের শো ধরার জন্য দৌড় দিলাম ৩জন নন্দিতা সিনেমা হলের উদ্দেশ্যে। হলে ঢুকতে একটু দেরী হয়ে যাওয়ায় প্রথমের খানিকটা মিস করে ফেলেছি। :(







সুমন(ইন্দ্রনীল) এতিম এক ছেলে যে ছেলেবেলায় মায়ের উপর অত্যাচার করা চেয়ারম্যানকে খুন করে তার ক্যারিয়ার খুনী হিসেবে শুরু করে। তার গর্ভবতী মাকে চেয়ারম্যান রেপ করার চেষ্টা করে এবং তাতে সুমন বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যান মৌলানার সাহায্যে তার মাকে দোররা মেরে খুন করে। সুমন সেই চেয়ারম্যানকে খুন করে পালিয়ে যায়। তারপর বাজারের এক চায়ের দোকানে কাজ নেয় এবং ঘটনাচক্রে এক গুন্ডা তাকে আর তার মাকে ছোট একটা ঘটনায় গালাগালি করে তাকে মারায় সুমন তাকে রামদায়ের কোপে মেরে ফেলে। আলী ওসমান (শহীদুজ্জামান সেলিম) তাকে আশ্রয় দেয় এবং নিজের ছেলের মত বড় করে তোলে, অবশ্য খুনী হিসেবে।



আলী ওসমান এক দুর্নীতিগ্রস্থ নেতা। তার কাছেই সুমন বড় হয় এবং খুন করতে থাকে একের পরে এক আলী ওসমানের শত্রুদের। আলী ওসমানের কাছে রক্ষিতা হিসেবে থাকে এক মডেল সুজানা। সে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়লে আলী ওসমান তাকে এবরশানের অর্ডার দেয়। সে তা না মানলে এবং তাকে বিয়ে করার চাপ দিলে তাকে টর্চার করে ভাগিয়ে দেয় আলী ওসমান।



সুজানা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাংবাদিক বান্ধবী নবনী আফরোজকে (জয়া আহসান) আলী ওসমানের সব কুকীর্তি ফাস করে দেয়। একথা জেনে আলী ওসমান সুমনকে নির্দেশ দেয় সুজানাকে খুন করার। এরই মধ্যে সুজানার প্রেমে পড়ে এক ডাক্তার। সে সুজানাকে তার বাসায় অনাগত বাচ্চার জন্য একগাদা জুতো আর কার্ড গিফট করে। সুজানা যখন এই কার্ড পড়ছিলো তখনই আসে সুমন আর সুজানার মাথায় গুলি করে খুন করে। তখখই কার্ড আর জুতা দেখে সে বুঝতে পারে সুজানা প্রেগন্যান্ট ছিলো। তার মনে পড়ে যায় নিজের মায়ের কথা। অনুশোচনায় ভুগতে থাকে সে।



ডাক্তার থানায় যায় আলী ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করতে, কিন্তু অসৎ পুলিশ অফিসার মামলা না নিয়ে আলী ওসমানকে জানিয়ে দেয়। আর নবণী তার পত্রিকায় ছাপায় আলী ওসমানের কুকীর্তির কথা। আলী ওসমান সুমনকে নির্দেশ দেয় তাদের দুজনকে খুন করার।



কিন্তু সুমন তা না করে তাদেরকে নিয়ে আটকে রাখে এক শ্মশানের মধ্যে বাড়িতে আর আলী ওসমানকে বলে যে তাদের খুন করা শেষ। নবনী ও সুমন প্রেমে পড়ে। নবনী সুমনকে আলী ওসমানের মামলায় রাজসাক্ষী হবার অনুরোধ করে। ইতিমধ্যে আলীওসমান জেনে যায় সুমনের বেইমানীর কথা এবং একসময় তার লোক দিয়ে নবনী আর ডাক্তারকে তুলে নিয়ে আসে। সুমনের সামনে ডাক্তারকে খুন করা হয় আর সুমনকে তুলোধুনা করে তার লোকেরা। আলী ওসমান যখন নবনীর আংগুল চাপাতি দিয়ে কাটতে যায় তখন সুমন উঠে সবাইকে মেরে নবনীকে নিয়ে পালায়। নবনী সুমনকে আবারো বলে রাজসাক্ষী হতে। তখন সুমন বের হয় আলী ওসমানকে খুন করতে। তার বেডরুমে তাকে খুন করে সুমন। তারপর বাকীরাও ধরা পড়ে। সুমনে জেলে যায় এবং বের হয়ে আসে নবনীর কাছে।





চিরাচরিত বাংলা ছবির সাথে তেমন একটা পার্থক্য নেই গল্পে। কিন্তু একটা জিনিসই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেটা হলো মেকিং।



ক্যামেরার কাজ মুগ্ধ করার মত। নায়ক কিলার সুমনের ছোটবেলার কাহিনী যখন ফ্ল্যাশব্যাকে দেখায় তখন কিছু কিছু দৃশ্য নজর কারার মত। বিশেষত মৃত মায়ের পাশে বসে চোখমুখ শক্ত করে কিশোর সুমন যখন কুপির আগুনের ভিতর দিয়ে আঙ্গুল চালাতে থাকে তখনের দৃশ্যটা ভোলার মত নয়। বেশ দুর থেকে নেয়া একটা শটে সেই ঘরের দৃশ্যটা দেখা যায় একটু পরে। শটগুলোয় আলো ছায়ার ব্যাপারগুলো দেখলেই বোঝা যায় কতটা যত্ন নিয়ে করা হয়েছে কাজগুলো। মায়ের খুনী (নামটা মনে নেই) কে খুন করার পর রেললাইনের উপর দিয়ে সুমনের পালিয়ে যাবার দৃশ্যটা থিম, দৃশ্যপট, ক্যামেরার কাজ আর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর মিলিয়ে অসাধারণ ছিলো।

প্রতিশোধপরায়ণ একটা ছেলের প্রাণ বাচানোর চেষ্টা, মনের ক্ষোভ, কৈশোরের চঞ্চলতা সবকিছুই চলে এসেছে সেই দৃশ্যে। লোকেশন ছিলো চমৎকার। বাজারের মধ্যে এক লোককে খুন করার পর তার পালিয়ে যাবার দৃশ্যটাও সুন্দর করে দেখানো হয়েছে। পুরো সিনেমাতে এই ফ্ল্যাশব্যাকের জায়গাটাই চমৎকার লেগেছে। কিশোর সুমনের অভিনয় খুবই ভালো ছিলো।



তবে দুটো জায়গায় একটু খুত ধরা পড়েছে। সুমনের মাকে দোররা মারার দৃশ্যটা রিয়েলিস্টিক হয়নি। অন্য কোন ভাবে হয়তোবা করা যেত। দোররা মারার ঘোষণা যখন মৌলানা দেয় সেই দৃশ্যটা সিনেমার মনে হয়নি বরং বিজ্ঞাপনীয় অতিরঞ্জিত শট মনে হয়েছে। তাছাড়া সুমনের মাকে যখন চেয়ারম্যান কুপ্রস্তাব দেয়ার পর সুমন তাকে মারতে যায় তখন ক্যামেরায় ক্লোজ শট নিলে এবং এংগেলটা চেঞ্জ করলে মনে হয় আরো বেটার হতো।



পুরো সিনেমার একটা ক্ষমতাবান চরিত্র ছিলো আলী ওসমান। চোখ ধাধানো অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। এক্ষেত্রে রেদওয়ান রনি তার চরিত্র চিত্রায়নে অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন। ঘুম থেকে উঠার একাধিক দৃশ্যে হাত দিয়ে মুখে বাড়ি দেয়ার কাজগুলো প্রতি দৃশ্যে কন্টিনিউ করতে ভুল করেননি তিনি। বাঘের মত হিংস্রতা, কপটতা, নরম বুলি, চালাকি সবকিছুই চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছের শহীদুজ্জামান সেলিম। তবে এই চরিত্র আগে প্ল্যানমত যদি হুমায়ন ফরিদী থাকতেন তাহলে কন্ঠস্বরটা আরো মানিয়ে যেত। সুমনের বেইমানী ধরা পরে যাবার পর তার কাজকর্ম খুবই ম্যাচিউরড মনে হয়েছে মেকিং এর জন্য। এককথায় গডফাদার হিসেবে চমৎকার অভিনয় করেছেন।



নবনীকে যখন সুমন আটকে নিয়ে যায় তখন গাড়ির ভেতর সানগ্লাস পড়া সুমন যেকোন হলিউডি ফিল্মের দৃশ্যই মনে করিয়ে দেয়। তবে তাদের প্রেমে পড়াটা খুবই দ্রুত মনে হয়েছে। আলী ওসমানের গ্যাং এ ও কিছুটা অসামঞ্জস্যতা দেখা গেছে। সেখানে তার পোষা গুন্ডাদের মধ্যে সুমনকেই যা একটু ঠান্ডা মাথার স্মার্ট মনে হয়েছে। বাকীদেরকে আর দশটা মুভির মাথা গরম, চোখট্যারা মাস্তানই মনে হয়েছে। এটলিস্ট সুমন বেইমানী করার পর যাকে আলী ওসমান সুমনের জায়গা দেয় তার একটু স্মার্ট হওয়া উচিত ছিলো। জাস্ট ফর কম্পারিজন। সেই গ্যাং এ এক শর্ট লোক ছিলো যে শেষে একটা টুইস্ট দেয়। চমৎকার ছিলো তার অভিনয়। হাসির খোরাক জুগিয়েছে। আলী ওসমানের চরিত্রের সাথে তার বাড়িটা মানিয়ে গেলেও তার গ্যাং টা মানায় নি। সুমন ঠান্ডা মাথার খুনী হলেও তার মুখে একটু হিংস্রভাব থাকলে আরো ভালো লাগতো। এটলিস্ট ছোটবেলার সুমনের আগ্রাসী ভাবের বিন্দুমাত্রও চোখে পড়েনি।



অপ্রয়োজনীয় সিন তেমন একটা ছিলো না। স্ক্রিপ্টটা বাংলাদেশের ছবির তুলনায় অনেক বেশী পারফেক্ট। যদিও মাঝে মাঝে কিছু শট একটু বেশী সময় ধরে নেয়া উচিত ছিলো তারপর অন্য সিনে যাওয়া যেত।



ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর একদমই আলাদা। সিনেমার সাথে মানিয়েছে। প্রেমে পড়ার পর আকাশ-পাতাল মিলিয়ে কোন রোমান্টিক গান না থাকায় রনিকে আবারো ধন্যবাদ। শেষের দিকে নবনী যখন জেলে যায় সুমনকে আনতে তখনের মিউজিক মনে করিয়ে দেয় কোরিয়ান রোমান্টিক মুভির কথা। খুবই ম্যাচিউরড কাজ হয়েছে সেটা। একদম শেষ দৃশ্যে নবনীর স্বর্গীয় হাসির পর যখন হঠাৎ ডিরেক্টরের নাম আসে তখন চমৎকার একটা আত্বতৃপ্তি পেলাম। পারফেক্ট এন্ডিং।



সবশেষে কেউ যদি চোরাবালিকে হলিউডি, ইরানী ছবির সাথে মেলাতে যান তাহলে বলবো যাবেন না। এটা বাংলাদেশের মুভি। এবং আদর্শ কমার্শিয়াল একটা মুভি। দেশের হলে হলে চলার মত মুভি। প্রথম মুভি হিসেবে রেদওয়ান রনি প্রত্যাশার চাইতে বেশী দিয়েছেন। যেসব ছোটখাট ত্রুটি আছে সেগুলো সময়ের, অভিজ্ঞতার সাথে চলে যাবে। আর গল্পের ব্যাপারে বলবো এখনকার সময়ের জন্য ঠিক আছে। এখনের মেইনস্ট্রীম ঢালিউডি গল্প এমনই, যেটা খুব তাড়াতড়ি বদলাবে।



চমৎকার পরিবর্তন হিসেবে বলা যায় স্ক্রিপ্ট, ক্যামেরাওয়ার্ক, মিউজিক। সবচাইতে বড় কথা ছবিটা একবার দেখার পর আমার পরের শোটাই আবার দেখতে ইচ্ছা করছিলো। হল ভালোনা তাই দেখিনি। বলাকা/ সিনেপ্লেক্সে দেখবো আবার আশা করি। আজ খুবই গর্ব হচ্ছে আমার দেশের চলচিত্র অনেক এগিয়ে যাচ্ছে ভেবে।

সবাইকে রিকুয়েস্ট হলে গিয়ে দেখবেন প্লিজ। সময়, পয়সা দুটোই উশুল হবে।



এগিয়ে যাক বাংলাদেশের সিনেমা । স্যালুট রেদওয়ান রনি।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

মাথাল বলেছেন: প্রথম ভালো লাগা।

কবে দেখার সুযোগ হয়, কে জানে!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

সুদীপ্ত কর বলেছেন: দেখে ফেল তাড়াতাড়ি। মিস করা ঠিক হবেনা। :)

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

শেখ মিলন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন। ধন্যবাদ

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

সুদীপ্ত কর বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ শেখ মিলন।
ভাল থাকুন :)

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

হৃদয় জিনিয়াস বলেছেন: শহীদুজ্জামান সেলিম এর চরিত্রটির শামীম ওসমান নয় আলী ওসমান

প্রথম ৫মিনিট আপনি দেখেন নি। আমি বলবো ছবির অসল মজাই আপনে পাননি।

তাছাড় আপনি এক নিশ্বাসে লিখেছেন। কাহনী ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি।

সর্বশেষ আলী ওসমান কে সুমন একা খুন করেনি। ওসমানের সাথে থাকা বামুন ছেলেটি শেষ গুলি করে ওসমানের মৃত্যু নিষ্চিত করে।

পরবর্তীতে মুভি রিভিউ দিলে আর একটু যত্নবান হবেন আশা করছি।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সুদীপ্ত কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিক করে দিচ্ছি।
পরের বার খেয়াল রাখবো ব্যাপারটা।
আবারো ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। :)

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

হৃদয় জিনিয়াস বলেছেন: ধন্যবাদ

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

সুদীপ্ত কর বলেছেন: :)

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

টুটুল২০০৮ বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে।
ওহ পরীক্ষার পিপারেশন নিচ্ছেন তো ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩

সুদীপ্ত কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
দোয়া করবেন এই ফাকিবাজ ছাত্রের জন্য। :(

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

মিহির লাল সিংহ বলেছেন: Bhai chomotkar review likhechen... Chaliye jan. Movieta dekhar aagroho bariye dilen. Sylhet kon kon hall e cholche janaben, kun jaigai... Kaal-pors dekhar asa rakhi. Aachi Chowkidekhi

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: হুম, দেখে ফেলেন।
দেরী করার মানেই হয়না। :)

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

আবু মান্নাফ খান বলেছেন: দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ চমৎকার রিভিউ লিখে সেটা শেয়ার করার জন্য

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সুদীপ্ত কর বলেছেন: ধন্যবাদ।
দেখে ফেলেন হলে গিয়ে।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শয়ন কুমার বলেছেন: অসাধারণ লাগছে একটা ডায়ালগ,
"আমি নেতা হলে, পানির সমস্যা থাকবে না ,গ্যাসের সমস্যা থাকবে না ,বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না ,কোন সমস্যাই থাকবে না, মশার সমস্যা থাকবে না ,
.
.
.
.
.
.আমার বাসায় !!!!!!!! "

আমি ভাবছিলাম পাবলিকের কথা কইবো , কিন্তু নেতা হবার খায়েশকারী খল নায়ক কইলো নেতা হইয়া নিজের বাসার সমস্যা সমাধানের আকাঙ্খার কথা । তখনি বুঝলাম এটা আসলেই অন্যরকম চিত্রনাট্য

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২০

সুদীপ্ত কর বলেছেন: অনেক সুন্দর কিছু ডায়লগ ছিলো। অসাধারণ লেগেছে।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ভাই স্ট্যান্ট এর কথাটা বাদ দিসেন ,আমার মতে স্ট্যান্ট আর এ্যাকশনের আরো কিছু কাজ করা লাগবে, তবে বাংলা মুভি বাংলা স্টাইলেই চলুক এমন মুভিই একদিন বিশ্বব্যাপী মানুষ দেখবে। এই আশায়। অসাধারন মুভি ঢাকায় গিয়ে সিনেপ্লেক্সে আবার দেখতে হবে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২১

সুদীপ্ত কর বলেছেন: লিখতে মনে ছিলোনা।
আমিও ঢাকায় গেলে আবার দেখমু। সাউন্ড বোঝা যায়নি।

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: ami muktir 2nd dinei dakc..
Atm er charactr tao vlo silo,
kolbalis er size ki ?
xtra large..
osthir...
tobe birokti lgce item song ta...

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

সুদীপ্ত কর বলেছেন: এই লেখাটা একটা মালাউনের অচ্ছুত লেখা। এখানে আপনার মত পূত-পবিত্র লোকের কমেন্ট করা কি ঠিক হলো?

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

স্বপনবাজ বলেছেন: এভাবেই গুড মেকিং দিয়ে বদলে যাবে বাংলা সিনেমা !
অফটপিক : অনন্ত জলিল কে বলছি , খালি টাকা থাকলেই চলচিত্র বানানো যায়না , খানিক টা কমনসেন্স আর অভিনয় ও জানা লাগে !
চোরাবালি বাংলা সিনেমাকে চোরাবালি থেকে টেনে আনার প্রথম ধাপ !

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬

সুদীপ্ত কর বলেছেন: সহমত।

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: সুন্দর পজিটিভ রিভিউ।

+++++++++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬

সুদীপ্ত কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

মাসু২০০৯ বলেছেন: ভাই আমিও নন্দিতায় ৪ তারিখ গিয়ে দেখে এসেছি...।। সিনেমার সব ভাল লাগছে কিন্তু নন্দিতা তে যে প্রিন্টটা দেখেছি তা ভাল লাগেনি। আরও ভাল ভাবে ভাল প্রোজেক্টর দিয়ে দেখান যেত

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: হল তেমন ভালো না তো, তাই প্রজেকশান আর সাউন্ড ভালোনা।
এই যে আমরা দলে দলে হলে যাওয়া শুরু করলাম আবার, আস্তে আস্তে হলগুলি ঠিক হয়ে যাবে।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

শিপু ভাই বলেছেন:
চিরাচরিত বাংলা ছবির সাথে তেমন একটা পার্থক্য নেই গল্পে। কিন্তু একটা জিনিসই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সেটা হলো মেকিং।

১০০% সহমত!!!

প্রেজেন্টেশন চমতকার ছিল!!!

রিভিউতে++++++++++++++++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫০

সুদীপ্ত কর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শিপু ভাই। :)
ভাবী আর পিচ্চিটারে নিয়ে দেখতে গেছেন?

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০২

শিপু ভাই বলেছেন:
না। আপ্নের ভাবি আছিল বাপের বাড়ি।

আমি, কাল্পনিক ভালোবাসা, ঘুড্ডির পাইলট, তামিম ইবনে আমান, কান্ডারী অথর্ব, অনির্বান তন্ময়, স্বপ্নবাজ, বাবুরাম সাপুড়ে, একজন আরমান- এই নয় জন একসাথে বলাকায় দেখেছি। :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

সুদীপ্ত কর বলেছেন: বাহ.. মজাই হলো তাহলে :)

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: নানা ঝামেলায় দেখার সুযোগ পাইতেসি না। রিভিউয়ে প্লাস।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

সুদীপ্ত কর বলেছেন: আপনার তো মজাই। পিচ্চি আসছে ঘরে :)
দেখে ফেইলেন সপরিবারই, সাঙ্গইপাঙ্গই...

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

তারান্নুম বলেছেন: লেখক,আপনাকে আসলেই দোষ দেয়া যায়না আপনার আমার পোস্টে গিয়ে এমনভাবে কথা বলার জন্যে।

আমার প্রথম দিকে আপনার উপর রাগ হচ্ছিলো,মনে হচ্ছিলো আপনি একজনের ধর্ম সম্পর্কে না জেনে তাকে আঘাত করছেন,এ আপনার ভুল।কিন্তু যত সময় যাচ্ছে আপনার মন্তব্য পড়তে গিয়ে একটু খটকা জাগছে মনে।আসলে কি দোষ আপনার?না! দোষ আপনার না, দোষ তাদের যারা আপনার কাছে আমার ধর্মকে এভাবে উপস্থাপন করছে তাদের। যারা ইসলামের ধ্বজাধারী হয়ে এদেশে ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের। দোষ সেই ১৯৭১-এর নর্দমার কীটগুলোর যারা দেশ তো তখন চায়নি,অথচ এখন সেই দেশেই ধর্মকে পুঁজি করে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখছে, বারবার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে,আপনার এবং আমার মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে,তাদের।আমার দেশে আমার ধর্মকে এরাই অন্তত একশো বছর পিছিয়ে দিয়েছে নিজেদেরকে তার প্রতিভূ বলে দাবী করে।
এদের প্রতি আপনার ঘৃণা একমুখী,১৯৭১ কেন্দ্রিক,কিন্তু আমার ঘৃণা?দ্বিমুখী!
এক।১৯৭১ এর রাজাকারদের নিয়েই এরা পথ চলছে বলে,
দুই।আমার ধর্মের ভাবমূর্তি ধ্বংস করার পাঁয়তারার জন্যে।
আসুন নিজেদের মধ্যে সঙ্কীর্ণতা আর ঝগড়াঝাঁটি বাদ দিয়ে এদের বিরুদ্ধাচারণ করতে সোচ্চার হই,আপনার আমার যার যার জায়গায় থেকেই...
আপনার আমার পথ বটতলায় না মিলতে পারে,মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমাকে আপনি নাও পেতে পারেন,কিন্তু মুসলিম ধর্ম মানলেই জামাত/শিবির হবে আর দেশকে,দেশের মানুষকে অস্বীকার করবে...আজকের পর আপনি এমন ধারণা আর পোষণ করবেন না আশা করি।

ভালো থাকবেন...No hard feeling from my part, wishing that you will say the same.

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০১

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: দেখার ইচ্ছে আছে ব্রো :)+

অ:ট: "বদমায়েশ" নামের এক ব্লগারের পোস্ট কিন্চিৎ মিস্টেক খাইছেন বস :) বিয়া করনের কপাল এখনো হয় নাই :( আর ঐটা আমার লেখা ছিলোনা।
ভালো থাকবেন।শুভকামনা দাদা।:)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৪

সুদীপ্ত কর বলেছেন: পোষ্টে ঢোকার সময় কার পোষ্ট এইটা তেমন খেয়াল করিনা। :(
পোষ্ট ভাললাগলে কমেন্ট করি। অই ব্লগেও সেইম কাহিনী হইসে :/

১৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

ফারিয়া বলেছেন: যেখানে আছি সেখান থেকে এই ছবি দেখার কোন চান্স নেই! :((
খালি রিভিউ পড়ে গেলাম! :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.