![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
পিতার পরিবারে আদরে বেড়ে উঠা কন্যা সন্তানটি এক সময় শশুরালয়ে গমন করে। বিয়ের আগে কন্যার সন্তানের সকল আবদার বাবা পুরন করে থাকে। বিয়ের পর স্বামীকেই স্ত্রীর সকল আবদার পুরন করতে হয়। স্ত্রীর সমস্ত দায়িত্ব স্বামীকে নিতে হয়। এটাই আমাদের সমাজের বেঁধে দেয়া নিয়ম। এই নিয়মের কেউ বরখেলাপ করতে পারে না। বরখেলাপ করলেই স্বামীকে পরিবার, সমাজ, আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। দায়িত্ব পালনের অবহেলার কারন ব্যাখা করতে হয়। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সংসারের যাবতীয় সকল কিছুর যোগান দেয়া। স্ত্রীর দায়িত্ব হলো সংসারকে সুন্দর করে সাজানো। স্বামী-স্ত্রী যথাযত দায়িত্ব পালন করলেই সংসারে সুখ-শান্তি বিরাজ করে। অন্যথায় অশান্তির আগুনে পুড়তে হয়।
স্ত্রীর কিছু কিছু অন্যায় আবদারের কারনে সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভূল বোঝাবুঝি হয়। আজকে এমন একটি অন্যায় আবদারের করুন কাহিনী শেয়ার করব।
কেস স্টাডিঃ
আকাশ আমার প্রবাসী বন্ধু। বিবাহিত। পরিবারে স্ত্রী-পুত্র, মা-বাবা, ভাই,অবিবাহিত দুই বোন নিয়ে যৌথ ভাবে বসবাস করে। আকাশ প্রবাসে আসার পর থেকেই একটি কোম্পানীতে চাকরী করছে। মধ্যেপ্রাচ্যে মন্দাভাবের কারনে তার প্রতিষ্টান থেকে অনেক কর্মচারীকে বিদায় নিতে হয়েছে। কিন্তু আকাশের সততার কারনে তার চাকরী এখনো আছে । তবে তার বেতন বাড়েনি। বিয়ের আগে যা ছিল এখনো তাই আছে। তার এই বেতন দিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। মাস শেষে তার পকেটে কোন টাকায় থাকে না। বেতন পাওয়া মাত্র দেশে পাঠিয়ে দেয়। স্ত্রীর জন্য প্রতি মাসে ৩০০০.০০ টাকা আলাদা করে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু স্ত্রী তার পাঠানো টাকায় খুশী নয়। আরো বেশী টাকা পাঠাতে বলে। এই টাকা দিয়ে নাকি তার স্ত্রীর চলতে কষ্ট হয়। আকাশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী রাগাম্বিত হয় হয়ে বলে “ আগামী মাসেই যেন আমার ও আমার সন্তানের মৃত্যু হয়।” স্ত্রীর এই কথা শুনে আকাশ খুব কষ্ট পায়। স্ত্রীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। ডিউটি শেষ করেই একা একা রুমে মন খারাপ করে বসে থাকে। তার চোখে-মুখে বিষন্নতার চাপ দেখতে পেরে কি কারন জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলে “ভাই, আর পারছি না, এভাবে আর কতদিন? স্ত্রীকে আর কত বোঝাব? আমার পক্ষে অবৈধ উপায়ে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। আমি হালাল ইনকাম করে সংসার চালাতে চায়। আমার যোগ্যতাও মেধা দিয়ে যা আয় করি তাতেই আমি সন্তুুষ্ট। কিন্তু আমার স্ত্রী সন্তুষ্ট নয়।” এখন আমি কি করি?
পাঠক! শুধুমাত্র একটি আবদারের কথা তুলে ধরলাম। স্ত্রীদের আরো অনেক আবদার আছে। যেগুলো পুরণ করা স্বামীর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশেষ করে আকাশের মত হালাল উপার্জনকারীদের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
আকাশের বউ কি পারে না আরেকট ধয্য ধরতে? আকাশকে একটু শান্তনা দিতে? আমিই বা কি শান্তনা দিতে পারি? আপনারাই বলুন? ব্লগে অনেক জ্ঞানী বিবাহিত নারী-পুরুষ আছে। আপনারাই বলুন আকাশদেরকে কি বলে শাস্তনা দেয়া যায়?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৪৪
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আরেকটা বিয়ে করলে সমস্যা আরো বাড়বে।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৪০
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ভাইজান কেমন আছেন , অনেক দিন পরে দেখলা। এসবি ব্লগে যাওয়াও হয় না আর আপনাদের সাথে দেখাও হয় না
২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৪৫
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আমি কিছু দিন সামুতে বাইরে ছিলাম। আবার ফিরে এসেছি। প্রিয় ব্লগারদেরকে আর আগের মত দেখা যায় না।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৫৫
আমি নি (?) বলেছেন: তাঁর বৌয়ের জন্যে কি একটা চাকুরী বা অন্য কোন আত্ননিরভরশীলতা মূলক মত কাজের ব্যবস্থা করা যায় না? যে টাকা আকাশের নেই, তা সে দিতে পারবে না। তবে তাঁর বউ কে যদি বোঝানো যায়- নারীরাও সব কিছু করতে পারে, তবে আকাশ কিম্বা নীলা (একটা নাম দিলাম, কেননা আকাশের বউয়ের ভারে তাঁর আত্ন পরিচয়টা হারিয়ে ফেলা ঠিক না) দুজনেই দুজনের সহযোদ্ধা হয়ে যেতে পারে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৫৯
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রস্তাবটা জানিয়ে দিব।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৪৮
যান্ত্রিক বলেছেন: দ্রুত স্ত্রীকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে বলুন। আশা করি আল্লাহতা'লা এতে বরকত দান করবেন এবং তাদের সমস্যা দূর করবেন।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৪৭
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৫১
দুরন্ত ইসলাম বলেছেন: ঠিক।তবে এদের আবদার মেটাবেন কি ভাবে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৩৯
গুগলরকস বলেছেন: আকাশকে বলেন আরেকটা বিয়া করতে