নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
“বাক বাকুম পায়রা,মাথায় দিয়ে টায়রা,বউ সাজবে কালকে ,চড়বে সোনার পালকে”। এ ছড়া এখনো ছোটদের অনেকেই শিখায়্ ছড়ার পায়রা আছে। পায়রার মাথায় মনোরম সুন্দর টায়রাও আছে। সোনার পালকির কথা শোনা গেলেও সেই পালকি কাল্পনিক। তবে কাঠের তৈরি পালকি এক সময় ছিল। সে সোনার পালকির ছড়া থাকলেও কাঠের তৈরি পালকি এখন তেমন আর দেখা যায় না। পালকি এখন বয়োজেষ্ঠ্যদের অতীত স্মৃতি। পালকি ও চদুলে চড়ে বিয়ে করেছে এমন বয়োজেষ্ঠদের সংখ্যাও ক্রমে হারিয়ে গেছে।
সেই স্মরণাতীত কালে যখন আনুষ্ঠানিক বিয়ে সাদীর প্রথা চালু হয়েছিল। তখন পালকিতে করে নব বধূকে বহন করে ঘরে আনা হত। বিয়ের দিন নব পরিনিতাদের রাজার সাজে সজ্জিত করা হয়। তাই তাদের রাজ রানী হিসেবে একদিনের জন্য সমাজ গন্য করত। এক সময় যখন আধুনিক যান্ত্রিক যান ব্যবস্থা ছিলনা তখন রাজাও জমিদারগন পালকিতে চড়ে চলাফেরা করত। জমিদার ছাড়া অন্য কেউ পালকি ব্যবহার করার রেওয়াজ ছিল না।
বিশেষ কোন অনুষ্ঠান,বিশেষ করে বিয়েরদিন পালকি ব্যবহার করত সাধারণ মানুষ। কন্যার বাড়ীতে বিয়ের অনুষ্ঠান হলে দুলা/বরকে চদুলে চড়ে সেই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হত।
জামাই নতুন বউকে নিজ বাড়িতে আনার সময় নব পরিণিত স্বামী স্ত্রী দুই জনই পালকি ও চদুলে করে বাড়িতে ফিরত। যেই বাহনে বউ বহন করা হত সেই বাহনকে পালকি,
আর যে বাহনে বর/দুলাকে বহন করা হত সে বাহনকে চদুল বলা হত। চদুল অপেক্ষাকৃত বড় বাহন। আর পালকি ছোট বাহন।
সেই সময় অপেক্ষাকৃত চদুলে কলের গান/মাইক লাগিয়ে শ্বশুড় বাড়ীতে বিয়ে করতে যেত। পালকি ও চদুলের আগে পিছে বরযাত্রীরা লাইন ধরে সারিবদ্ধভাবে চলাফেরা করত। এ দৃশ্য দেখার জন্য গ্রামের লোকজন উৎসুক হয়ে থাকত।
পালকি থেকে নব বধূকে নামিয়ে শ্বশুড় বাড়ীর দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকানোর সময় নব বধুর জ্ঞান বুদ্ধি বা আক্কেল আছে কিনা পরীক্ষা করার জন্য বয়োজেষ্ঠরা বিশেষ করে শ্বাশুড়ী ও ননদগন দরজার মধ্যে ঝাড়ু দিয়ে রাখত। যেই নব বধূ ঝাড়ু অতিক্রম করে ঘরে ঢুকে যেত তাকে বুদ্ধিহীন ও বেয়াক্কেল হিসেবে চিহ্নিত করা হত। এ জন্য তাকে শ্বশুড় বাড়ীতে সারা জীবন নানা কথা শুনতে হতো। আর যেই নব বধূ দরজার ঝাড়ু সরিয়ে ঘরে ঢুকত তাকে বুদ্ধিমান হিসেবে আখ্যায়িত করা হত।
কালক্রমে গাড়ীর ব্যবস্থা প্রচলন হওয়ায় পালকির পরিবর্তে গাড়ীতে করে বিয়ের ব্যবস্থার প্রচলন হয়। পালকির পরিবর্তে গাড়ীতে করে বউ আনা অনেকে আধুনিক ব্যবস্থা বলে মনে করে। প্রথমে শ্বশুর গাড়ী,পরে রিক্সার প্রচলন হওয়ায় রিক্সা,তারপর ট্যাক্সি,সর্বশেষ বর্তমানে প্রাইভেট কারসহ আধুনিক গাড়ী বিয়ের যান তথা বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায়ও এক সময় পালকি বিয়েতে বউ আনার একমাত্র বাহন ছিল । এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। তাই পালকি দিযে বউ আনার পরিবর্তে গাড়ীতে করে বউ আনতে লোকজন বেশী পছন্দ করে। যেহেতু পালকির ব্যবহার এখন নেই বললে চলে তবে বর্তমানে আবার অনেক বিত্তবানদের সন্তানদের বিয়েতে আধুনিক ফ্যাশন হিসেবে পালকি ব্যবহার করে থাকে।
বিলুপ্ত প্রায় পালকি এখন কেউ দেখলে তা দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করে। তবে পালকির সেই জৌলস এখন আর নেই। পালকি পাওয়াও গ্রামে এখন কষ্টকর। কালের আর্বতে পালকি এখন হারিয়ে গেছে।
পালকি এখন অতীত স্মৃতি। বর্তমান প্রজম্ম পালকি চিনবে না। কোন পুরাতন নিদর্শন সংরক্ষানাগারে হয়তো পালকি দেখা যাবে। ছবিতে পালকি দেখে বর্তমান প্রজন্ম যদি সেই বাহনটি দেখতে পিতা মাতা ও অভিভাবকদের কাছে বায়না ধরে তাহলে স্মৃতি যাদুঘরে নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোন পথ নেই।
সুত্রঃ দৈনিক আজাদী (১৯.০৮.২০১৩)
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
আম্মানসুরা বলেছেন: প্রথম প্লাস।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
নাজনীন১ বলেছেন: ভেবেছিলাম আপনি লিখেছেন। এখন দেখছি নিচে অন্য লিঙ্ক। হ্যাঁ, পালকি এখন কেবল জাদুঘরেই আছে মনে হয়। তবে আমার ছোটবেলায় তিনবার পালকি চড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল!
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: হারিয়ে যাওয়া ৫টি বাংলা ছড়া
(১)
বাক বাকুম পায়রা
মাথায় দিয়ে তায়রা
বৌ সাজবে কালকি
চড়বে সোনার পালকি
(২)
ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি
মোদের বাড়ি এসো,
খাট নাই পালং নাই
খোকার চোখে বসো।
বাটা ভরে পান দিবো
গাল ভরে খেয়ো,
খোকার চোখে ঘুম নাই
ঘুম দিয়ে যেয়ো।
(৩)
ছেলে ঘুমালো পড়া জুড়ালো
বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দিবো কিসে?
(৪)
ঢোল ঢোল ঢুলোনি
রাঙ্গা মাথায় চিরুনি
বর আসবে এখনি
নিয়ে যাবে তখনি।
(৫)
খেঁজুর পাতা হলদি
মেঘ নাম জলদি,
এক বিড়া পান
ঝুমঝুমাইয়া নাম।